নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাপি ভার্সেস পিয়ার

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১১

বন্ধুদের কথা হইলো -

আপনি হ্যাপিরে নিয়া লেখলেন কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ঘটনা নিয়া চুপ কেন?



ভাইরে আমি তো স্বীকৃত লেখক না। আমার পাঠক আপনারা বন্ধুরাই। তা ও আবার সব বন্ধুরা না, হাতে গুনা কয়েকজন বন্ধুই। অতএব আমি লেখলেও যা, না লেখলেও তা।



নতুন ঘটনাটা আগে বলি, এর পরে দুই ঘটনার একটা মিল দাঁড় করাই। রহমান পেয়ার নামের সম্ভবত এই ভদ্রলোক (https://www.facebook.com/rahman.pyar?fref=ts) অস্ট্রেলিয়ার গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযোগ নতুন কিছু না। সব কিছু ভাবনায় আসলেও বাস্তবে যে আনা যায়না তারই "হয়ত" শিকার ছেলেটা। হয়ত কেন বল্লাম? কারন এখনো অভিযোগ প্রমানিত হয়নি।



যাহা রটে, সামান্য হলেও ঘটে। এই অর্থে ধরে নেওয়া যায় কিছু না কিছু একটা ঘটেছেই। আর যৌন হয়রানি ঘটনাটার ব্যপ্তি কিন্তু ছোট না। উদাহরণ দেই-

ধরেন এক ভদ্রলোক / ভদ্রমহিলার ঠোঁট ফেঁটেছে। সাথে তার ভেজলিন জাতীয় কিছু নাই। কিছুক্ষণ পরপর সে জিহ্বা বের করে ঠোঁট ভিজাচ্ছে। আর উদাস হয়ে কোন এক দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে।



এখন এই ঘটনাও কিন্তু যৌন হয়রানি হিসাবে ধরা যায়। কেউ একজন হয়ত তার পাশে বসে আছে। সে মনে করলো জিহ্বা বের করে তাকে কোন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এইখানে ঘটনা কিন্তু ঘটেছে ঠিকই। একেও কিন্তু যৌন হয়রানি বলা যায়।



কিন্তু অভিযোগ ডিটেইল শুনে, প্রমান নিয়ে দেখা গেলো লোকটা বুঝেনই নাই যে তার এই ঠোঁট ভিজানোর ঘটনা পাশের মানুষটাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে। তাহলে নিশ্চয়ই লোকটার মুক্তি মিলা উচিৎ, তাই না?



এখন অস্ট্রেলিয়ায় পিয়ার রহমান কতটুকি কি করেছেন তা এখনো ডিটেইল জানা যায়নি। কোর্টে তার সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তও দেয়নি। তাই তাকে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি সে উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই কিছু করে তবে তার দায়ভার কেউই নিবে না। তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তার পাশে অন্য কোন পুরুষ গিয়ে বলবে না, যে ব্যাটা যা করছিস ঠিকই করছিস।

-০-

কিন্তু হ্যাপির ঘটনার পর বেশীর ভাগ মেয়েরই কথা হইলো, হ্যাপি যা করছে ঠিক করছে। আহারে ঘোমটা পড়ে মেয়েটা আদালতে যায়, আশ্বাস পাওয়ার পর মেয়েটা শরীর দেয়, এর আগে দেয় না। কত ভালো মেয়ে। সো হ্যাপির কোন কিছুই হবে না। সব শাস্তি হবে রুবেলের। যেখানে ঘটনাটার প্রমানই হয় নাই!



আর ঘটনা হ্যাপির মুখে শুনে যা বুঝা যাচ্ছে তা হলো-

বাঘকে মাংস দেওয়া হলো খাওয়ার জন্য। বাঘ তা খেলোও। পরে বলা হলো, শুধু খাইলে কেন হবে? কথা তো ছিলো খাওয়ার পর ঢেকুর দিবো। যেহেতু খাওয়ার পরে ঢেকুর দেয় নাই, তার মানে এই খাওযা বে আইনি। বাঘের সামনে মাংস দিয়ে খেতে তোষামুদি করলে সে তা খাবে। এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু পরে যদি ঢোল পিটায়ে বলি যে খাওয়ার পর কেন ঢেকুর দিলো না, এইটা অস্বাভাবিক। আর যাবতীয় ঘটনা এই অস্বাভাবিকতা নিয়েই ঘটেছে।



এই উদাহরণে আমি রুবেলকে বাঘ যে বলছি তা কিন্তু না। কেবল একটা উদাহরণ মাত্র।



একান্ত ব্যাক্তিগতভাবে আমার যা মনে হয় তা হলো

- তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক থাকতেই পারে। সম্পর্কটা ঘনিষ্ট হতেই পারে। একটা পর্যায়ে হয়ত বিরক্ত লেগেছে, একটা দূরত্ব বেড়ে গেছে। এই বিষয়টা হ্যাপি কিছুতেই মেনে নিতে পারে নাই। সে তার মত করে চেয়েছিলো, তা হয় নাই।



আরে পাগল, যা চায় তা কি অন্য কেউ দিতে বাধ্য? দুনিয়ায় আমরা কেউই যা চাই তা সব পাই না। বিয়ে করা বউয়ের কাছেও আমি যা চাই তাই পাবো তা আশা করা অন্যায়। সম্পর্কগুলো টিকে থাকে একান্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাসে। এর কোন একটারও ঘাটতি হলে অভিযোগ করে কোন লাভ হয়না। অভিযোগে সম্পর্ক আরো তিক্ত হয়।



দুনিয়ায় কেউই কারো না। শুধু আবেগ থাকলেই মনে হয় আমি ওমুকের, ওমেকে আমার। আবেগ ফুড়ায়ে গেলেই বুঝা যায় অন্য কেউ আমার হবে কী! আমি নিজেইতো কারো না!



যাই হোক, হ্যাপি যখন নিজের মত করে পেলো না সব কিছু। তখনই তার মনে হলো, ঠিক আছে একটা প্রতিশোধ নিয়ে নেই। আর সমাজের রীতিই হলো, নারী যা বলবে তাতেই নারীর পক্ষে পুরেষেরও ঝাপিয়ে পড়তে হবে। নইলে যে সে আবার নারী-বান্ধব পুরুষ হবে না! এই সুযোগটাই হ্যাপি নিতে চাইলো।

-০-

ইসলামের ছোট্ট একটা সুন্দর উদাহরণ দেই-

এখ ভদ্রলোক (মায়াজ বিন মালিক(রা.)) জিনা করেছেন। এর পর পড়ে গেলেন মহা অনুতাপে (হ্যাপির মত আক্রোশে না)। তিনি আবু বকর সিদ্দিকের(রা.) এর কাছে গিয়ে বল্লেন

- আমি জিনা করেছি

- তুমি কি একথা অন্য কারো কাছে প্রকাশ করেছ?

- না

আবু বকর: তাহলে এটাকে আল্লাহর পর্দা দিয়ে ঢেকে দাও। আল্লাহ তার বান্দার তওবা কবুল করেন।



(বাকী ঘটনাটা এই লিংকে: http://www.peaceinislam.com/bngsadat/9766/)

-০-

জোর করে, মতের বিরুদ্ধে কিছু করা অবশ্যই শাস্তির। কিন্তু মতের মিলে যৌক্তিক কিছু হতেই পারে। আর এর শাস্তি পরে দাবি করা অযৌক্তিক।

-০-

Click This Link ভাই এর একটা ষ্টেটাস-

ইন্ডিপেন্ডেন্টেস টিভির গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক রহমান পিয়ার ওরফে পিয়ার রহমানকে বৃহস্পতিবার সিডনির লোকাল কোর্টে হাজির করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার নিয়োগকৃত আইনজীবী তার পক্ষে জিম্মাদার কোন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে কোর্টে উপস্থিত না পাওয়াতে তার জামিনের আবেদন করেননি! জিম্মাদার পাওয়া সাপেক্ষে সোমবার তার জামিনের আবেদন করা হবে। সংশ্লিষ্টদের খবর পাঠিয়েছি কোন জিম্মাদার পাওয়া গেলে আমি জিম্মাদার হবো। তবুও আমার জন্মভূমি থেকে আসা সাংবাদিকটি মুক্ত হোক। সে ভুল করেছে। তাকে সংশোধনের সুযোগ দেয়া উচিত। উল্লেখ্য বিশ্বকাপ কভার করতে সিডনি আসার পথে বিমানে এক বিদেশিনী তরুনীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে বুধবার তাকে সিডনির কিং জর্জ স্মিথ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রেফতার করা হয়

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.