![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
আমার বন্ধু-বান্ধব এইটা কোন কাজ করলো !
ভালোবাসা দিবসের অর্ধেকটা দিন চলে গেলো, কেউ একজন বল্লো না
- অরুণ ভাই, বিশেষ এই দিনে আপনার লেখা কই?
অন্তত একজনও যদি এই কথা বলতেন তখন একটা ভাব নিতে পারতাম। এমন একটা সুখ সুখ ভাব যে
- নাহ ভক্ত পাঠকদের অত্যাতারে দেখি এখন থেকে দিন ফিন ও মনে রাখতে হবে। আর পারি না...
বন্ধুরা এই সুখ সুখ অত্যাচারটা করলো না। তাই কি আর করা, যা লেখবো ভেবেছিলাম তা আর লেখা'র মুখ থাকলো না। অন্য কিছু লেখি -
-০-
ভালোবাসা'র সাথে আমার একটা সম্পর্ক আছে। বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলতে গেলে বলতে হবে, বিকর্ষণ-ধর্মী সম্পর্ক। ঘটনা বুঝায়ে বলি -
দুই জন মিলে যে পুতুপুতু টাইপ একটা সম্পর্ক হয় তা আমার হয়নি। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণেই তার প্রতি একটা মোহ তো ছিলই। তবে ভালোবাসা না হওয়ার পিছনে যে কারণগুলো আমি দাঁড় করিয়েছি তা হলো
- সহপাঠীরা কেন জানি আমাকে ভাই, আপনি, নেন, দেন টাইপ কথা বলতো। আমার জীবনে তুমি, তুই বলা বন্ধুর সংখা খুবই কম। এই ভাগ্য নিয়ে আমি জন্মাইনি।
- বন্ধুদের বোনদেরকে আমার নিজের বোন মনে হতো। কেবল মনে হতো আমি তো আমার বন্ধুরই ফটোকপি। অতএব বর্তমানে, অবর্তমানে আমিও তার ভাই। ভাই মানে, ভাই। একেবারে আপন ভাই।
- বাসে লং জার্ণি করার সময় মনে মনে একটা সুখ সুখ কাজ করতো। বাসা থেকে যখন বের হতাম তখনই ভাবতাম, আহা পাশে একজন সুন্দরী...। বিধি ডান কখনোই হয়নি, বিধি সব সময় বাম হতো। পাশে বাজখাই ধরনের ভ্রু বাঁকা লোকজনই জুটতো আমার পাশে। তবে এতেও একটা এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ পেতাম। বাস থেকে যখন আমরা নেমে যেতাম তখন ঐ মানুষটা বন্ধু হয়ে যেতো। বিদায় দেওযার সময় এমন ভাবে তাকিয়ে থাকতো যেন আহারে লোকটা চলে যাচ্ছে! আমি নিশ্চিৎ থাকতাম, আমার চলে যাওযা পিঠের উপর দুইটা চোখের মায়া ভরা দৃষ্টি বার বার আছড়ে পরছে।
-০-
বিয়ে হলো, গিন্নি যে আমাকে ভালো বাসে না তা না। তবে তার ভালোবাসার ধরণটা একটু ভিন্ন। যার হাতে পেইন্ট করার ব্রাশ আছে সে রং মাখাবে। যার হাতে ছুড়ি আছে সে ছুড়ি দিয়ে খোঁচা দিবে। এইটাই স্বাভাবিক। আমার গিন্নি মুখে ছুড়ি নিয়ে জন্মেছেন। উদাহরণ দেই -
- আমি নাক ডাকি। ভাগ্নি যখন বল্লো, মামা আপনার নাক ডাকায় তো আমি পর্যন্ত ঘুমাইতে পারি না! তখন ভাবলাম বউয়ের না জানি কত কষ্ট হয়। মহিলাদের নাকের নথের মত দেখতে একটা যন্ত্র কিনে বাসায় গেলাম। বউরে দেখায়ে বল্লাম
- বউ নাক ডাকার পার্মানেন্ট সলোশান করে ফেল্লাম। এই দেখো কী আনছি।
বউ কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে যন্ত্রটা দেখলেন। এর পর মুখের ছুড়িতে মধু মাখায়ে বল্লেন
- আর কোন ফাইজলামি পাও না? ফালাও এই ফালতু জিনিস।
তিনি কিন্তু আলটিমেটলি বুঝায়ে দিলেন, আমার নাক ডাকাটাও তার পছন্দ । কিন্তু মুখে বল্লেন না।
-০-
সব নদি সাগরে মিশে, যদি সে সোভাগ্যবান হয়। মাঝে যদি কোথাও শুকিয়ে না যায়। সব ভালোবাসাই (ভ্যালেনটাইন বলতে যে ভালোবাসা বুঝায়) কাছে টানে। কাছে যাবার পর টুপ করে মাঝে একটা গিফ্ট চলে আছে স্বর্গ থেকে। এই গিফ্টটাই হলো জীবন-নদীর সাগর। দ্যা আলটিমেট টার্গেট। আমাদের এই স্বর্গীয় গিফ্ট এর নাম প্রিয়। এখন কোনটা ভ্যালেনটাইন, কোনটা লাভ, কোনটা এফেয়ার, কোনটা কী তা আলাদা করে বুঝি না। সব কিছুই এখন গিয়ে প্রিয়'তে ঠেকে।
প্রিয় যেদিন বড় হবে। তার ভাগ্য তার বাবার মত প্রেমের অভিজ্ঞতাহীন কাটে কি না কে জানে। তবে হ্যাঁ যদি সুস্থভাবে বেঁচে থাকি তবে এমন ভ্যালেনটাইন দিন গুলাতে বাপ-বেটা বের হবো। আর যদি বাপের খড়া কাটায়ে উঠে ছেলেটা প্রেম টেম করতে পারে তাহলে দূর থেকে দেখবো ছেলেটা বাপের মত রোমান্টিক হয়েছে কি না। ঐদিনের আশায় এডভান্স ভ্যালেনটাইন ডে প্রিয়।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ভালো লাগল।
সেইম হিয়ার
ভালোবাসা দিবসের ১২ টা বেজে গেল আর আমি ঘরে বসে কফির মগে ভালোবাসা খুঁজি।
প্রিয়র জন্য শুভ কামনা। যেন বাপের মতোই রোমান্টিক হইতে পারে।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
সুখী মানুষ বলেছেন:
প্রিয়...
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: হাহাহা! ভালো বলেছেন। লেখা ভালো লাগলো।
অ.ট.-http://www.somewhereinblog.net/blog/d2kshajib/30013650