নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটবেলার বৃষ্টি...

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

নিষিদ্ধ জিনিসে রোমাঞ্চকর মজা। বিষয়টা টের পাইছিলাম ছোট বেলাতেই। উদাহরণ দেই।

বৃষ্টির দিনে বারান্দায় যাওয়াও ছিলো নিষেধ। সুযোগ সন্ধানে থাকতাম। পা টিপা টিপা বারান্দায় যাওয়া মাত্রই মা ডাক দিতো...বাবু...! ব্যাস ঘরে ফেরত। আব্বার লম্বা সাইজ জুতা ছিলো। আমার হাটু পর্যন্ত ঢুকতো। এই জুতা পায়ে দেওয়া ছিলো নিষেধ। বড় আপার ফুল তোলা কাপড়ের একটা ছাতা ছিলো। টিপ দিলেই ঝপাং করে ওপেন হয়ে যায়। এই ছাতার দিকে নজর দেওয়াও ছিলো নিষেধ।

তখন এক টানা বৃষ্টি হইতো। এখনের মত টিপ টিপ বৃষ্টি না। ঝুম বৃষ্টি। তাও আবার তিন, চার দিন ধইরা একটানা। এমন এক দিন ঝুম বৃষ্টির দিন। সবাই পাতলা কাঁথা গায় দিয়া ঘুম। সারা বাড়ীর এই ঘর, সেই ঘর ঘুরলাম। খবরদারী করার মত কেউ নাই।

আব্বার গাম বুট পায় দিলাম। বড় আপার ছাতা ঝপাং কইরা খুল্লাম। টুক টুক করে ওঠান পার হয়ে রাস্তায় নামলাম। চার, পাঁচটা বাড়ীর পরেই প্রাইমারী স্কুল। তখন অনে...ক দূর মনে হতো। ছাতা কাঁধে ধইরা, ঝুম বৃষ্টি দিয়া স্কুল ঘরে গিয়া হাজির। বন্ধের দিন, আশেপাশে কেউ নাই। স্কুল ঘরের নীচ তলায় কোন বাউন্ডারী ছিলো না। কোনায় দেখি পাশের বাড়ীর আমার বয়সী দুই জন বসে আছে। এরা আমার মত শাষনে বড় হয় না। যখন যেখানে খুশি যাইতে পারে। এরা আমারে দেখার পর দেখি খুব একটা খুশি হয় নাই। ঘটনা হইলো, এরা পাশের বাড়ীর জাম গাছ থেকে জাম চুরি করবো। আমি থাকলে তা সম্ভব না। শিক্ষকের ছেলে হওয়ার মহা যন্ত্রনা। সাহস দিয়া বল্লাম
- যা ব্যাটা, উঠ গাছে। কাউরে কিচ্ছু কমু না।

জাম পাড়া হইলো। যাদের গাছের জাম, তাদের বাড়ী থেকেই লবন, মরিচের গুঁড়া আনা হইলো। পাশের বাড়ী থেকে পাতিল আনা হইলো। ফাইনালি তৈরী হইলো জামের ভর্তা।

জামের ভর্তা খাচ্ছি। আকাশ মহা অন্ধকার। অঝর ধারায় বৃষ্টি পড়তেছে। বৃষ্টির আনন্দ, শাষনের দড়ি ছিঁড়ার আনন্দ, অনিয়ম করার আনন্দ। আহারে, আহা জীবন এত সুখের! দূর থেকে দেখি কে জানি আসছে। ভয়ে ভয়ে কলিজা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। বড়ীর কেউ না তো! দেখি দূরের এক বাড়ীর ভাবি। উনিও এসে আড্ডায় যোগ দিলেন। আমরা চার, পাঁচ বছরের কয়েকটি শিশু আর চল্লিশ, পয়তাল্লিশ বছরের একজন গুরুজন। ভাবিও দেখি বৃষ্টির দিন একেবারেই শিশুদের মত। ভাবির বাড়ী খুলনা, খুব সুন্দর করে কথা বলেন। আমাদেরকে বল্লেন
- শোন্ গল্প বলি তোদের।

(বন্ধুরা যারা আমার লেখা পড়েন, তাদের অভিযোগ - আমি অনেক বড় লেখি্ সরি, এই লেখাটা অনেক অনেক বড় হয়ে যাচ্ছিলো। তাই নো মোর...)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
বাড়ী খুলনা, খুব সুন্দর করে কথা বলেন। আমাদেরকে বল্লেন
- শোন্ গল্প বলি তোদের।


বৃষ্টির দিনে ভাবীর গল্প !!!
আহা কী না মজার !!!!!

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

কাবিল বলেছেন: ভাই বড় বেলার বৃষ্টির গল্প কবে শোনাবেন???????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.