নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে কার স্যার?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

পুলিশ ধমক দিয়া জিজ্ঞাসা করলো
- এ্যাই তোর নাম কী?
যারে জিজ্ঞাসা করা হইলো, সে কোন কথা কয় না। বসা ছিলো, লুঙ্গি ধইরা কুঁজু হইয়া দাড়াইয়া রইলো। পুলিশ এবার রাম ঝাড়ি দিয়া জিজ্ঞাসা করলো
- এ্যাই ব্যাটা তোর নাম কী?
এবার লোকটা থরথর করে কাঁপতে কাপঁতে কথা বললো। তবে ভয়ে নাম ভুলে গেলো। শুধু বললো
- স্যার আমি হেগে দিয়েছি।

গল্পটা সত্য। বহু বছর আগে, আমার গ্রামের ঘটনা। ছোট বেলায় এই গল্প শুনতাম আর খিল খিল করে হাসতাম।

কয় দিন আগে ফেসবুকে একটা ঘটনা দেখলাম। ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা কাহাকে বলে। দুইজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভকে তিনি কান ধরে উঠ-বস করাইলেন। শুধু তাই না, জামা কাপর খুলে। যতদূর জানি, ম্যাজিষ্ট্রেট আইন প্রনেতা না। তবে বাংলাদেশের কোন আইনে এই শাস্তির বিধান আছে কে জানে।

বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় রাষ্ট্রপতিও বাংলাদেশের শাষক না। তারা দেশের জনগণের প্রতিনিধি। তারা জনগণের সেবক। তারাই যদি সেবক হন, তাহলে আমলারা কি এর চাইতেও উপরের কেউ!

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, জনগণ হইলো চাকর, বাকর। আর জনগণের টাকায় যাদেরকে বেতন দেওয়া হয়, তারাই বড় স্যার। তাদেরকে স্যার ডাকতে হবে। আর এই স্যারেরাই কথায় কথায় ইউরোপ আমেরিকার উদাহরণ দিয়া ভাসাইয়া ফেলেন। অথচ উন্নত দেশগুলাতে কিন্তু পুলিশ বলেন আর যাই বলেন, জনগণকেই উল্টা স্যার বলে (যতদূর জানি)।

সরকারী চাকরী যারা করেন তারা কি সত্যিকার অর্থে বুঝেন, কে কার স্যার? যেহেতু চাকরী করেন গণপ্রাজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের। সেহেতু যার চাকরী করেন তাকে স্যার ডাকবেন, এইটাই যুক্তির কথা। এই ক্ষেত্রে চাকরীটা করেন জনগণের।

ছোট্ট একটা যুক্তি দেই। ধরেন আপনি একটা কোম্পানীতে চাকরী করেন। কোম্পানির মালিককে আপনি স্যার ডাকবেন? নাকি আপনি চাকরী করেন বলে আপনাকে মালিক উল্টা স্যার বলবেন! এবার গোটা দেশটাকে একটা কোম্পানী ভাবেন। দেশটার মালিক জনগণ। এই দেশটা যেন ঠিকঠক মত চলে তাই কিছু লোককে সরকার চাকরী দেন। তাহলে যারা চাকরী করবেন তারা কাকে স্যার ডাকবেন?

এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এটুআই বলে একটা প্রজেক্ট আছে। অর্থাৎ একসেস টু ইনফরমেশন। জনগণ চাইলেই দেশের অনেক ইনফরমেশন এখন জানতে পারবেন। জনগণ খুব দ্রুতই জেনে যাবে, তাদের অধিকার সম্পর্কে। আমি, আপনি অথবা আমার, আপনার পরিবার থেকেই কিন্তু কেউ না কেউ সরকারী চাকরী করেন। কেউ কিন্তু কারো বিরুদ্ধে না। কথাটা হচ্ছে, সবাইকে জানতে হবে। কার অধিকার কী। আর কার দায়িত্ব কী।

সব কথার শেষ কথা হইলো, জনগণ সম্মান পাবে না হয়রানী হবে তা নির্ভর করে সরকারের উপর। সরকার যদি নিজেকে শাষক ভাবেন। আর তার সব চাকরীজীবিদের পাইক পেয়াদা ভাবেন। তাহইলে এই দেশের জনগণের অবস্থা হবে, স্যার আমি হেগে দিয়েছি।

এই দেশ বড় অভাগা দেশ। আমারা সুখে আছি, আমাদের দেশে শাষক না বরং সেবক আছেন। এইটুকু আমরা "আশা" করতেই পারি। এইটুকু আশা খুব বেশী "আশা" না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: খুব সুন্দর একটা টপিক নিয়ে লিখছেন। ভাল লাগছে অনেক :)

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অনেক কিছুই উল্টো করে চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.