নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুদিন পর হারুণের সাথে দেখা...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৩



হারুণ গাঁজা খায়। অভিযোগ ঘোরতর।
মর্নিং ওয়াকে বের হওয়া এক হুজুর দেখি হারুণকে কাউন্সিলিং করতেছে
- বুচ্ছ, গাঁজা টাজা ইতান খাইবা না। যেই জিনিস খাইলে পেট ভরে না, এই জিনিস কেন খাইবা?

যিনি অভিযোগ দিয়েছিলেন, তিনি হারুণের পাশের ভিক্ষুক। গলা উচা কইরা বললো
- হুদা গাঞ্জা! হিতাইনে মদও কায় (খায়) বুজঝুইন!
হুজুর এবার আর কথা খুঁইজা পায় না। হুজুরের যুক্তিতে হুজুর ধরা খাইয়া গেছে। গাঁজা না হয় ধোঁয়া, মদতো পানির মত। এইটা খাইলেতো পেট ভরার কথা। এখনতো আর বলতে পারে না, যেই জিনিস খাইলে পেট ভরে না, এই জিনিস কেন খাইবা?

হুজুর 'ইতান খাইবা না, বুচ্ছ' বলতে বলতে হাটা ধরলো। হারুণ বেশ কয়েক মাস লাপাত্তা ছিলো। উত্তরা ৫নং সেক্টরের লেকের পশ্চিম-দক্ষিণ কোনায় এদ্দিন সে একাই ভিক্ষা করতো। কিন্তু ফিরে এসে দেখে তার ব্যবসায় ভাগ বসানোর জন্য আরো অনেকে ধারে কাছে বসে পড়েছে। কিন্তু হারুণের বুদ্ধি ভালো। সবার সাথে তার আই-কন্টাক আছে। সবার সাথে তার নিয়মিত কথা বার্তা হয়। তাই তার ইনকামও ভালো। হারুণের ইনকামে ভাটা পড়ে নাই দেখেই হয়ত তার প্রতিবেশীরা খেপেছে।

আমি হারুণের পাশে গিয়া দাঁড়াইলাম। বললাম
- হারুণ এইসব কী শুনি!
হারুণ বিরক্ত হয়ে বললো
- __গী মিছা কথা কয়। তুমিও মাইয়া মাইনসের কথায় বিশ্বাস করছো?

হারুণের চেহারায় কিছু একটা লুকানোর প্রবনতা। লম্বা করে ডাক দিলাম
- হা - রু - ণ!
এবার হারুণ নীচের দিকে তাকায়ে মিটিমিটি হাসে। বললাম
- হারুণ মাইয়া মাইনসের কথায় বিশ্বার করার যথেষ্ঠ যুক্তি কিন্তু আছে।

এবার হারুণ আর সামলাইতে পারে না। আনন্দ চাপা দিতে গিয়া থুতু ফেলে। মুচকি হাসি আর থুতু ফেলার কম্বিনেশনটা হারুণ ঠিক মত করতে পারে না। অর্ধেক থুতু তার জামা কাপরে পড়ে। এই থুতু মুছতে মুছতে হারুণ বলে
- তুমি যাও তো...।
বললাম
- হারুণ সুখে তো আছি তুমি। বিয়া করছো তিনটা। আবার মদ, গাঁজাও খাও। মানুষতো এক বউয়ের ভয়ে সিগারেটেও মুখ লাগাইতে পারে না।

সকাল সকাল হারুণ তার ব্যবসায় ঝামেলা করতে চায় না। আমাকে চোখ টিপ দিয়া বলে, তুমি যাও তো...। ভাব টা এমন যে, তুমি এখন যাও। পরে তোমারে সব টেকনিক শিখায়া দিতাছি। ;)
হারুণ গাঁজা খায়। অভিযোগ ঘোরতর।
মর্নিং ওয়াকে বের হওয়া এক হুজুর দেখি হারুণকে কাউন্সিলিং করতেছে
- বুচ্ছ, গাঁজা টাজা ইতান খাইবা না। যেই জিনিস খাইলে পেট ভরে না, এই জিনিস কেন খাইবা?

যিনি অভিযোগ দিয়েছিলেন, তিনি হারুণের পাশের ভিক্ষুক। গলা উচা কইরা বললো
- হুদা গাঞ্জা! হিতাইনে মদও কায় (খায়) বুজঝুইন!
হুজুর এবার আর কথা খুঁইজা পায় না। হুজুরের যুক্তিতে হুজুর ধরা খাইয়া গেছে। গাঁজা না হয় ধোঁয়া, মদতো পানির মত। এইটা খাইলেতো পেট ভরার কথা। এখনতো আর বলতে পারে না, যেই জিনিস খাইলে পেট ভরে না, এই জিনিস কেন খাইবা?

হুজুর 'ইতান খাইবা না, বুচ্ছ' বলতে বলতে হাটা ধরলো। হারুণ বেশ কয়েক মাস লাপাত্তা ছিলো। উত্তরা ৫নং সেক্টরের লেকের পশ্চিম-দক্ষিণ কোনায় এদ্দিন সে একাই ভিক্ষা করতো। কিন্তু ফিরে এসে দেখে তার ব্যবসায় ভাগ বসানোর জন্য আরো অনেকে ধারে কাছে বসে পড়েছে। কিন্তু হারুণের বুদ্ধি ভালো। সবার সাথে তার আই-কন্টাক আছে। সবার সাথে তার নিয়মিত কথা বার্তা হয়। তাই তার ইনকামও ভালো। হারুণের ইনকামে ভাটা পড়ে নাই দেখেই হয়ত তার প্রতিবেশীরা খেপেছে।

আমি হারুণের পাশে গিয়া দাঁড়াইলাম। বললাম
- হারুণ এইসব কী শুনি!
হারুণ বিরক্ত হয়ে বললো
- __গী মিছা কথা কয়। তুমিও মাইয়া মাইনসের কথায় বিশ্বাস করছো?

হারুণের চেহারায় কিছু একটা লুকানোর প্রবনতা। লম্বা করে ডাক দিলাম
- হা - রু - ণ!
এবার হারুণ নীচের দিকে তাকায়ে মিটিমিটি হাসে। বললাম
- হারুণ মাইয়া মাইনসের কথায় বিশ্বার করার যথেষ্ঠ যুক্তি কিন্তু আছে।

এবার হারুণ আর সামলাইতে পারে না। আনন্দ চাপা দিতে গিয়া থুতু ফেলে। মুচকি হাসি আর থুতু ফেলার কম্বিনেশনটা হারুণ ঠিক মত করতে পারে না। অর্ধেক থুতু তার জামা কাপরে পড়ে। এই থুতু মুছতে মুছতে হারুণ বলে
- তুমি যাও তো...।
বললাম
- হারুণ সুখে তো আছি তুমি। বিয়া করছো তিনটা। আবার মদ, গাঁজাও খাও। মানুষতো এক বউয়ের ভয়ে সিগারেটেও মুখ লাগাইতে পারে না।

সকাল সকাল হারুণ তার ব্যবসায় ঝামেলা করতে চায় না। আমাকে চোখ টিপ দিয়া বলে, তুমি যাও তো...। ভাব টা এমন যে, তুমি এখন যাও। পরে তোমারে সব টেকনিক শিখায়া দিতাছি। ;)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: সুন্দর সুন্দর :-B

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

সুখী মানুষ বলেছেন: হারুণের সব কথাই এমন মধুর :)

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাহ , চমৎকার অনু গল্প .।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

সুখী মানুষ বলেছেন: বাস্তব গল্প রে ভাই। সকাল বেলা গেলেই হারুণের দেখা পাইবেন...

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

আহলান বলেছেন: হারুনদের জন্যই ঢাকা শহর ...!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

সুখী মানুষ বলেছেন: হ রে ভাই :(

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

শুভ৭১ বলেছেন: হারুন,
তোমার টেকনিক কিন্তু দারুন ....

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

সুখী মানুষ বলেছেন: ব্যাটা ভালো পপুলার রে ভাই। বিশেষ করে মহিলাদের সাথে এমন মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে! সবাই এরে টাকা দেয়।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

কিরমানী লিটন বলেছেন: সুখী মানুষ হারুন,মিলটা কিন্তু দারুণ !!!!

অনেক মজার- সত্যিই!হারুনেরা তাদের বাসনা পুরনে তিনটা বিয়ে করে,কিন্তু সমাজের চোখে দারুণরা বিয়ে না করেই এই বাসনা অবলিলায় পুরন করে যায় - এটাই নৈতিকতা,অন্তত এই সমাজের !!!

সুন্দরের সাথেই থাকুন- নিরন্তর, শুভকামনা ...

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঢাকা শহরটা হারুনদের জন্য আদর্শ!

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । মজা পেয়েছি হারুন গল্পে । লেখাটা পরপর দুইবার এসেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.