নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের পর মূল কথা

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আগে একটা গল্প বলতেই হবে। এরপর মূল কথা।

রাজা'র ছেলের আঙটি চুরি গেছে। তার সাথে ছিলো দুই বন্ধু, উজির পুত্র আর কোটাল পুত্র। দুই বন্ধুকে ধইরা প‌্যাদানি দিলেই আঙটিটা বের হবে, নিশ্চিৎ। কিন্তু রাজকুমার ভদ্রমানুষ। তিনি তা করতে চান না। আবার চোর না, এমন বন্ধুটাকে মনেও কষ্ট দিতে চান না। তিনি একটা বুদ্ধি বের করলেন।

রাজপুত্র দুই বন্ধুকে নিয়া আড্ডায় বসলেন। বললেন
- দোস্ত একটা গল্প বলি শোন। এক দেশের রাজা খুব দয়ালু। এই দেশের রাজকন্যা সখীদের সাথে বনে গিয়া গেলো হারাইয়া। রাতের অন্ধকারে তারে ধরলো মুখুশধারী ডাকাতের দল। রাজকন্যা বললো, আমি ওমুক দেশের রাজকন্যা। রাজার নাম শুনে ডাকাত দল বললো, রাজকন্যা তোমার কোন ভয় নাই, তুমি নির্ভয়ে বনে ঘুরে বেড়াও। তারপর রাজকন্যাকে ধরলো এক বাঘ। বঘকে রাজকন্যা বললো, আমি ওমুক দেশের রাজকন্যা। বাঘ বললো, রাজকন্যা তোমার বাপ খুব ভালো মানুষ। তোমাকে আমি খাবো না। তুমি নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াও।

এতটুকু গল্প বলে রাজকুমার ধামলেন। এবার দুই দোস্তের দিকে ভ্রু নাচায়ে বললো, বলতো বাঘ আর ডাকাতের মধ্যে বোকা কে? উজির পুত্র বললো, দোস্ত বোকা হইলো বাঘটা। কারন মুখের সামনে খাবার পাইয়াও ছাইড়া দিলো! এবার কোটাল পুত্রের পালা। কোটাল পুত্র বললো, দোস্ত বোকা হইলো ডাকাত দল। অন্ধকার রাত, আবার মুখুশপড়া। এরা যদি ডাকাতি করলেও ধরা পড়তো না।

গল্পের আশর ভাঙ্গলো। সন্ধার সময় রাজকুমার গেলো উজিরপুত্রের তাবুতে। গিয়া বললো, হারামজাদা সারাদিন খালি খাই খাই করস। ভুঁড়িটা কত বড় করছস খেয়াল আছে? উজিরপুত্র মাথা চুলকায় আর হাসে। তারমানে সে খাওয়া দাওয়া কমাবে না। এবার রাজকুমার গেলো কোটালপুত্রের তাবুতে। গিয়া বললো, দোস্ত তোর কাছে যে আঙটিটা রাখছিলাম, এইটা দে। কোটালপুত্র তার পাজামা'র নাড়া'র সাথে আঙটিটা বাইন্ধা রাখছিলো। এইটা খুইলা দিয়া দিলো।
-০-

প্রিয় যে দড়জায় কলিং বেল পড়লেই দড়জার সামনে দৌড়ায়ে যায়, এইটা নিয়া একটা ষ্টেটাস দিলাম একটু আগে। গল্পের মূল বিষয়টা আমার কাছে ছিলো - প্রিয় ঐদিন ভাড়াটিয়া এক মহিলাকে ড্রেসআপের কারনে বুয়া বলে ফেলছে। অথচ একজন ফেসবুকে মেসেজ দিলেন
- তারমানে ঢাকায় আপনার নিজের বাড়ী আছে! ওয়াও লুক্রেটিভ।
আমি থতমত খেয়ে বললাম
- নিজের বাড়ী থাকাটা কি লুক্রেটিভ!

এবার তিনি মনে করলেন, হয়ত বোকামি করে ফেলছেন। তাই বুদ্ধি করে বললেন
- তার আগে বলেন, বাড়ীটা কি আপনার না ভাবীর?
আমি বললাম, বাড়ীটা ভাবীর হইলে কি ভাবী তখন লুক্রেটিভ হয়ে যাবেন? তিনি বললেন, হুম।

আমি তাকে বললাম
- এখন আপনি কী ভাবতেছেন? ভাবতেছেন, এমন জাপানি পুতুলের মত সুন্দর একটা মেয়ে, যার বাড়ী, গাড়ী আছে। তিনি আমার মত কদাকার দেখতে এবং সহায় সম্বলহীন একটা মানুষকে কেন বিয়ে করলেন?

তিনি কিছুক্ষণ সময় নিলেন। তারপর বললেন
- জানি না উনার ভাগ্যে কেন এমন হইলো :( । তিনিতো আপনার চাইতে অনেক ভালো কাউকে ডিজার্ভ করেন।

কিন্তু তিনি সান্ত্বনা আমারে একটা দিলেন। বললেন
- হয়ত আপনি লোক ভালো, তাই ভাবি মেনে নিয়েছে।

ভাবি না হয় মেনে নিলো। কিন্তু তিনি যে মেনে নিতে পারছেন না! এর কী হবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.