![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
নানী'রে অসম্ভবের উপরের লেভেলের ভালোবাসতাম। অথচ নানী আমারে এক চওক্ষেও দেখতে পারতেন না। বিয়ের পর পর বিনা বিরতী'তে পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র জন্ম দেওয়ার পর আমার নানা পটল তুলে ফেললেন। এরপর নানী বাকী জীবন তার পাঁচ কন্যা ও নিজের বাড়ীতে মুসাফিরের মত কাটায়ে দিলেন।
নানীর সাথে সব সময় দুইটা ব্যাগ থাকতো। একটায় কাপড় চোপড়, আরেকটায় বই। তখন আমি একা একা সেজো খালা'র বাড়ীতে যাওয়ার মত বড় হইলাম। যখনই শুনতাম নানী সানু খালার বাড়ী, ঐখানে গিয়ে খালাতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়াঝাটি, মারামারি, টানাটানি করে নানীকে আমাদের বাড়ীতে নিয়া আসতাম। কিছুদিন পর দেখা গেলো নানীর ব্যাগের সমস্ত বই আমার পড়া শেষ। বইয়ের লিস্টে ছিলো, হাতের রেখা কথা বলে, খোয়াব নামা, বেহেশতী জেওর, আদর্শ স্ত্রী শিক্ষা ইত্যাদি।
নানীর বই প্রথম ভক্তি নিয়া পড়তাম। হয়ত নানী চলে গেলো, তখন আবার পড়তাম শরৎচন্দ্র, নীহাররঞ্জন গুপ্ত, সমরেশ। এরপর আবার যখন নানী আসতেন, তখন নানীর বইগুলা পড়াতম যুক্তি দিয়ে। নানী যুক্তি পছন্দ করতেন না। সাথে সাথে আমারেও অপছন্দ করা শুরু করলেন।
অবশ্য নানী আজকে বেঁচে থাকলে বলতাম, নানী বেহেশতী জেওর থেকে কয়েকটা লাইন তোমার নাত-বউরে শোনায়ে যাও। স্পিকারে গান শোনলে বলে, ঘরটারে'তো চায়ের দোকান বানায়ে ফেললা। হেডফোন দিয়ে গান শোনলে বলে, কী বলি শোন না? ঘরে কিছুক্ষণ থাকো, তাও কানে এইসব দিয়া রাখতে হবে! অথচ বেহেশতি জেওরে স্পস্ট লেখা ছিলো -
"দুনিয়াতে যখন কোন স্ত্রী তাহার স্বামীকে বিরক্ত করে অথবা কোনরুপ কষ্ট দেয়, তখন বেহেশতের যে হূর কিয়ামতের দিন তাহার স্ত্রী হইবে, তাহারা ঔ স্ত্রীকে লক্ষ্য করিয়া বলে, ওহে হতভাগিনী! আল্লাহ তোর সর্বনাশ করুন। তুই আর তাহাকে কস্ট দিসনা, তিনি কয়েকদিন মাত্র তোর নিকট মেহমান স্বরুপ আছেন, অল্পদিন পরেই তিনি তোকে ছাড়িয়া আমাদের নিকট চলিয়া আসিবেন।"
নানী তুমি কই? স্বপ্নে এসে দেখা দাও তোমার নাত-বউয়ের। এসে বলে যাও, মেহমানের সাথে ভালো ব্যাবহার করতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নানী তুমি কই? স্বপ্নে এসে দেখা দাও তোমার নাত-বউয়ের। এসে বলে যাও, মেহমানের সাথে ভালো ব্যাবহার করতে হয়।
++