![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাস্তবতা এমন একটি শব্দ যারা এর সাথে পরিচিত বা এটাকে মেনে নিতে পারে তাদের জীবনে আবেগ নামক জিনিসটার খুব কমই বহিপ্রকাশ ঘটে ৷ নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে তারা এগিয়ে যায় জীবন যাত্রায় ৷
অনেকে বাস্তবতার চেয়ে নিজের আবেগ, অনুভূতি গুলোকেই প্রাধান্য দেয় ৷ সেক্ষেত্রে না পাওয়ার বা ব্যর্থতার কষ্টগুলো একটু বেশিই হয় ৷
বাস্তবিক লোকদের ক্ষেত্রে তা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম ৷
তারা নিজেই নিজের ব্যর্থতার সলুশন খোজার চেষ্টা করে ৷ যেকেনো অভাবগুলোই সহজেই মেনে নেয়ার চেষ্টা করে এবং মেনে নেয় ৷
সেক্ষেত্রে অনুভূতিগুলো থাকে বন্দি ঘরের মাঝে আবদ্ধ ৷
অনুভূতিহীন মানুষ হয় না ৷
অনেকেই আমরা অন্যকে বলতে দেখি তোমার মনটা পাথরের মত, কোনো মায়া-দয়া নাই ৷
সেক্ষেত্রে কথা একটাই, যেকোনো কারনে অনুভূতি গুলো মলিন হয়ে গেছে অথবা আবদ্ধ হয়ে আছে কোনো কোনে ৷
এবার আসি পাওয়া না পাওয়ার সমীকরনে :
অনুভুতি এবং বাস্তবতার উর্ধে একটা জিনিস নিয়ে আমরা কমই ভাবি ৷
হয় কেউ আমরা প্রেম করে ব্যর্থ ৷ হয়তো রিলেশনটা অনেক সাকসেসফুল ছিলো দুই পক্ষেই ৷ যেকেনো কারনে সেই রিলেশনে যদি কোন প্রবলেমের সম্মখিন হয় বা রিলেশনটা নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে এতটা ফ্রাস্টেটেড হয় যা বলার উর্দ্ধে ৷
এমনকি নিজের জীবনের হুমকি মূলক অনেক কাজই করে ৷ শেষমেস হয়তো সৃষ্টিকর্তা দেয়া মূল্যবান জীবনটার প্রতিই অসম্মান করে ফেলে, ওপারে পারি জমায় ৷
নিজেকে এক্ষেত্রে একটু হলেও বাস্তবিক করে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করি ৷
জীবনটা আপনার, তা কাজে লাগানোর দায়িত্বটাও নিজের ৷
ব্যর্থতাগুলোই চিরন্তন না |
চেষ্টায় অর্জিত সাফল্য, ব্যর্থতার গ্লানিগুলো কে মুছে দেবেই একসময় |
পজিটিভ চিন্তা করুন, কি কারনে আপনি ব্যর্থ, খুজে বের করুন কারনগুলো ৷
"সেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান যে নিজের দুর্বলতাগুলো, নিজের ব্যর্থতার কারনগুলো খুজে বের করতে পারে, বুঝতে পারে ৷"
নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন, সেই সাথে অন্যকেও ৷
আপনার সব পসিিটভ চিন্তাভাবনা যদি কাজে নাইই লাগে, সেক্ষেত্রে সিচুয়েশনটাকে মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন ৷
কোনো ব্যর্থতার ক্রোধ বা হিংসা কখনই লাইফে সুখ শান্তি আনতে পারে না ৷ হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য সাফল্য লাভ কার যায়, কিন্তু দিন শেষে নিজের কাছেই নিজেকে ছোটো হয়ে থাকতে হয় ৷
বিধাতা আমাদের অনেক কিছুই দিয়েছেন ৷
আমি মনে করি পৃথিবীর লাখো মানুষের চেয়ে আমি অনেক ভাগ্যবান ৷
কিছু বাস্তবিক উদাহরণ দেয়া যায় এক্ষেত্রে :
প্রতিদিন অনেক মানুষ দুর্ঘটনা মারা যাচ্ছে ৷ বিনা কারনে অনেকে তাদের জীবন হারাচ্ছে ৷যুদ্ধ, দাঙা-ফ্যসাদে অনেকেরই জীবনটা ধ্বংসই হয়ে যাচ্ছে ৷ অনেকে হয় মারা যাচ্ছে অথবা মৃতের মতই বেচে থাকছে ৷
সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান অবশ্যই ৷
অনেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতায় আছে ৷ অনেকেরিই অনেক শারীরিক প্রিবন্ধকতায আছে ৷ কেউ
হয়তো জীবনকেড়ে নেওয়া মারাত্বক ব্যধিতে আক্রান্ত ৷ সে ক্ষেত্রে তারাও যুদ্ধ করে যাচ্ছে বেচে থাকার জন্য ৷
আমার অসুস্থতা কেবল জ্বর বা শরীর ব্যথা মাঝে মাধ্যে ৷ হয়তো অনেকের এর চেয়ে খানিকটা বেশি ৷ আল্লাহর দয়ায় আমি অনেক ভালো আছি |
সেক্ষেত্রে যারা মরন ব্যধিতে আক্রান্ত তাদের সাথে নিজেকে কিভাবে তুলনা করবো ৷
আমরা ভাগ্যবান এবং অনেক সুখেই আছি ৷
তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারছি ৷ অনেকে হয়তো দু বেলা ৷
কিন্ত একবার চিন্তা করে দেখুন বিশ্বের কত হাজার হাজার মানুষ ভালো ভাবে খাওয়া তো দুরের কথা বেচে থাকার জন্য একবেলা খাবারই পায় না ঠিকমত ৷ আমাদের দেশেও এমন হাজারো মানুষ আছে ৷
কিভাবে নিজেদেরকে ঐ মানুষগুলোর সাথে তুলনা করবো, বলবো সুখী নেই ?
পায়ের নিচে মাটি আর মাথার উপর ছাদ, এক নির্ভরযোগ্য বাসস্থান ৷
অনেকেরিই তেমনটা নেই ৷ বিভিন্ন রেলস্টেষ্টন, এমনকি কারনবাজারের রাস্তার পাশে খেয়াল করলেই উত্তরটা সহজে পাওয়া যায় ৷
এমনও আরো অনেক জায়গায় অনেক মানুষ আছে দেশে এবং সারা বিশ্ব জুড়েই ৷
তাদের সাথে তুলনা করে কিভাবে বলবো আমরা সুখে নেই ?
আরো এমন অনেক বাস্তবিক উদাহরন আছে যেগুলো নিজের কাছেই সুখ-দুঃখের সমীকরনটা পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলে ৷
ভালোবাসার ক্ষেত্রে অথবা নিজস্ব কার্জক্ষেত্রে আমাদের উচিত নিজের ভেতর কিছুটা বাস্তবিক বিশ্বাস স্থাপন করা, যাতে কোনো ব্যর্থতায় বা দুঃখের মাঝেও নিজেরা কিছুটা হলেও সুখী হতে পারি | সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুখের অনুভূতি পাবো যা সঠিক কাজটা করার জন্য এবং নিজেকে এগিয়ে নেবার প্রেরণা যোগাবে ৷
সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রত্যেককেই কোনো না কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ৷ কেনো আমরা এই হিংসা-বিদ্বেস, ক্রোধ, ব্যথ্যতার গ্লানি, না পা পাবার আর্তনাদের মাঝে ডুবে রবো ৷
নিজেকে সুখী ভাবার বিশ্বাস হোক তা তুলনা করে বা মিথ্যে অভিনয়ে, নিজেকে সুখী ভাবার এবং থাকার চেষ্টা করুন ৷
হয়তো জীবন চলার পথটা আরো একটু সহজ হয়ে যাবে ৷
অনেক কথা বলে ফেললাম ৷
পরিশেষে বলবো আমি অনেক সুখী এবং অনেক ভাগ্যবান ৷
নিজেরা নিজেদের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো চিন্তা করে দেখুন ৷
মনে শান্তি পাবেন এবং দিন শেষে আপনিও অন্তত নিজের কাছে একজন সুখী মানুষ হতে পারবেন ৷
পাওয়া না পাওয়ার সমীকরনে এগিয়ে থাকবেন ৷
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন।