নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসছিল সজারু ... ব্যাকরণ মানিনা ... হয়ে গেল হাসজারু ... ক্যামনে তা জানিনা ...

শূণ্য মাত্রিক

বহু নিয়ম মেনেছি। লেখাপড়া করার নিয়ম... মেনেছি, পরীক্ষা দেবার নিয়ম... মেনেছি, চাকরী করবার নিয়ম... মানব। কিন্তু নিয়মটা কে মানা উচিৎ একথাটাও কি মানতে হবে ? 

শূণ্য মাত্রিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগে প্রেমটা হতো সমাজ কিংবা পরিবার থেকে লুকিয়ে। আর আজ দুটো মানুষ প্রেম করে পরষ্পরের থেকে লুকিয়ে !!!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩


আমরা কেন প্রেম করি বা প্রেমে পড়ি !!! সদ্য টিন এজ থেকে বেরিয়ে এসে এই অদ্ভুত প্রশ্নটার যে যৌক্তিক উত্তরটা প্রথমে মাথায় উকি দেয় সেটা হল ‘আমাদের বয়স’। প্রেম ভালোবাসা ঘটিত অকারেন্স গুলো এমন একটা বয়সে আমাদের মাথায় প্রথম চাড়া দেয় যে সময় আমরা ছোট থাকি কিন্তু সমাজ/পরিবার আমাদেরকে জোর করে প্রাপ্ত বয়ষ্ক দেখানোর একটা উদ্দ্যোগ নেয়। কিন্তু এটা ঠিক আমরা বড় হবার সাথে সাথে আমাদের সমস্যা আর সেগুলার আপেক্ষিক গুরুত্ত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে। কিন্তু একটা সময় আব্বু-আম্মুর সামনে দাড়ালেই যেমন সকল সমস্যার একটা সমাধান পাওয়া যেত- সেই সুযোগটা আর থাকে না। বয়সের নতুন মোড়, নতুন পরিস্থিতি, বিচিত্র ধরনের মানষিক পীড়া- এগুলোর সাথে মোকাবিলা নিজেকেই করা লাগে, পরিবারকে ঠিক তখন পাশে পাওয়া যায়না। তখন আমরা চিন্তা করি এমন একটা মানুষ পেলে যে আমার বয়েসের কাছাকাছি, আমার সমস্যাগুলো আমার মত করে বুঝতে পারবে। হয়ত সমস্যা গুলোর সমাধান দিতে পারবেনা, অন্তত বলবে “আমি পাশে আছি”। অবশ্য প্রেম ভালোবাসা এত্তসব লজিক মেনে হয়ও না, পাশের বেঞ্চের মেয়েটা লিখতে গিয়ে যখন ঝুকল ওমনি এক পশলা চুল তার চশমার পাশ দিয়ে মুখের সামনে এসে পড়ল কিংবা সমরেশ মজুমদারের মাধবীলতা চরিত্রটি কল্পনা করে রোজ চুল বেনি করে আসা মেয়েটার দিকে তাকানো - এমন এক একটা মুহুর্তও হয়ত প্রেমে পড়ে আবার জন্য যথেষ্ঠ। তবে সব রিলেশানেরই মোটামুটি উদ্দেশ্য থাকে যেটা আগেই বললাম আর কি, চলার পথকে সহজ করতে আরেকটা মানুষকে পাশে পাওয়া।

কিন্তু… কিন্তু যে দুটো মানুষ পরষ্পরের পাশে থাকবে বলে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়, কেমন পরিস্থিতি হবে তারা যদি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে ? যদি মধ্যে “ইগো” নামের কোন পর্দা এসে দাঁড়ায় ? কিন্তু একটা সময় প্রেম বোধহয় এমন ছিল না। একটা মেয়েকে ভালোবাসতে যতটা সময় লাগত তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যেত তাকে ভালোবাসার কথাটা বলে উঠতে। ডেটিং বলতে হয়ত একটা কাপল পার্কের বিশার লম্বা রাস্তা ধরে হেটে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে আর মুচকি হাসি দিচ্ছে। পরিবার, সমাজ, গুরুজনদের চোখ এড়িয়ে ওরা যখন নিজেদের মধ্যে দেখা করতে যেত, খুব কম সময়ই বরাদ্দ থাকত নিজেদের কথাগুলো তুলে ধরতে। তখন তো স্যোশাল মিডিয়া ছিলনা, না ছিল মোবাইল ফোনের সহজ লভ্যতা। তাই বিচ্ছিরি হাতের লেখা হলেও পরষ্পরের চিঠি জমিয়ে রাখত ওরা। হ্যা … ঐ সমাজে অনেক বাধা ছিল ওদের মেলামেশার পক্ষে। পরিবার, সমাজ, সময়, অনেক কিছুর বাধা… কিন্তু সেগুলা পরিস্থিতির বাধা, তারা নিজেদের মধ্যে নিজেরা কখনো কোন “পর্দা” দাড় করায়নি।

কিন্তু আজকে পরিবর্তনটা খুবই দৃশ্যমান। হ্যা, আজ সমাজের বাধাটা কিছু কম, পরিবার হয়ত কিছুটা আপোষ করছে কিন্তু আজ সবচে বড় পর্দাটা আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে দাড় করায়। দুজন মানুষ পরষ্পরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউ কারো অভিমান ভাংগাতে পারছে না। মাত্র দুটাই তো মানুষ আপনারা, মাত্র দুটা। দুটা দেহ হলেও হয়ত একটা মন। ইগোর পর্দাটা ছিড়ে বেরিয়ে এসে কেউ আগে সামান্য “সরি” টা বলতে পারছে না। এমন আজকাল হর হামেশাই দেখা যায় যে তৃতীয় কোন পক্ষ এসে দুজনের মধ্যে মিল করিয়ে দিচ্ছে। গত পরশু আপনি ফোন দিয়েছেন, গতকাল আপনি ফোন দিয়েছেন সুতরাং আজ অনেক মিস করলেও তাকে ফোন দিতে পারবেন না বিকজ অফ ইগো ! যেই মানুষটিকে পাশে রাখবেন কিংবা যার পাশে থাকবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন তার কাছে হারজিতের প্রশ্নটা কিভাবে আসে ? আপনার মনে হচ্ছে আপনাকে সে আর আগের মত ভালোবাসতেছে না? পাড়া সুদ্ধ মানুষকে জানিয়ে বেড়াচ্ছেন সে কথা। কিন্তু এই কথাটাই একটু অভিমানের সুরে আপনার ভালোবাসার মানুষটির কাছে বলে দেখুন না। সে “যাহহ পাগলী” বলে মুহুর্তের মধ্যে কেমন আপনার মনটা ভালো করে দেয়। আর ‘ব্রেক-আপ’ নামক শব্দটাকে তো আমদের এই প্রজন্ম একটা নতুন মাত্রা দিয়ে দিয়েছে। অনেক ব্রেক আপের পরেই দেখা যায় দুজনই দুজনকে ভালোবাসে, কিন্তু দুজনই অপেক্ষা করে কে আগে এগিয়ে আসবে। এটাই হল আমাদের প্রজন্মের যান্ত্রিক ভালোবাসা !! এখানে দুটো মানুষের মধ্যে শত্রু পরিবার কিংবা সমাজ নয়, কালপ্রিট হল পরষ্পরকে বুঝতে না পারার বিশাল দেয়াল টা।
প্রযুক্তি আমাদের থেকে যাকিছু কেড়ে নিয়েছে তার মধে অন্যতম হল আমাদের প্রকাশভংগি, আমরা নিজেদের এক্সপ্রেস করতে ভুলে গেছি। সময়ের মূল্য দিতে গিয়ে আজ আমরা নিজেদের আবেগ অনুভুতিকেই মূল্যহীন করে ফেলতে বসেছি প্রায়। দুটো মানুষ প্রেম করছে , বিয়ে করছে, শারীরিক চাহিদা পুরন করছে, বংশবৃদ্ধি করছে, মারা যাচ্ছে। জীবদ্দশায় এত গুলো বছর যে মানুষগুলো একসাথে থাকছে কিন্তু দুটো মানুষ মিলে “একটা মনের মানুষ” হতে পারছেনা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

গুরুর শিষ্য বলেছেন: আপনার দাদাজানে ব্লগ লিখেছেন? আসলে সময়ের সাথে সবই আপডেট হচ্ছে...তবে সহমত আপনার সাথে...

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: কল্পনা শক্তিটুকু কাজে লাগালেই দাদাকে প্রয়োজন পড়েনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

সুজন চন্দ্র পাল বলেছেন: আপনার শিরোনামের সাথে লেখাটাও বেশ ভালো লাগলো।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রযুক্তি আমাদের থেকে যাকিছু কেড়ে নিয়েছে তার মধে অন্যতম হল আমাদের প্রকাশভংগি, আমরা নিজেদের এক্সপ্রেস করতে ভুলে গেছি।
-ঠিক কথা।

জীবদ্দশায় এত গুলো বছর যে মানুষগুলো একসাথে থাকছে কিন্তু দুটো মানুষ মিলে “একটা মনের মানুষ” হতে পারছেনা।

সহমত আপনার সাথে।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

রাফা বলেছেন: সঠিক চিত্রই তুলে ধরেছেন...।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৬

সাব্বির আহমেদ ইমন বলেছেন: ভালো লাগলো।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

ক্রিবিণ বলেছেন: যান্ত্রিক মন মনুষত্ব বোঝেনা... ভলো লিখেছেন...

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেই মানুষটিকে পাশে রাখবেন কিংবা যার পাশে থাকবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন তার কাছে হারজিতের প্রশ্নটা কিভাবে আসে ?

এই বোধটা যে কৃত্তিমভাবে তৈরী হয়ে গেছে। কর্পোরেট চেতনার যে বিকাশ এবং চর্চা সমাজে চলছে সেটাইতো মৌলিক বোধের মোর্যাল টুকুকেও দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে!

তাই সেই বিশ্বাস নেই
সেই হৃদয় উজার করা অনুভব নেই
সেই আকুলতা কই
এখন কেবলই বাক্যে ঝনঝনানি!
আর নিরুত্তাপ হৃদয়ের স্বার্থের আহাজারি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.