![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহু নিয়ম মেনেছি। লেখাপড়া করার নিয়ম... মেনেছি, পরীক্ষা দেবার নিয়ম... মেনেছি, চাকরী করবার নিয়ম... মানব। কিন্তু নিয়মটা কে মানা উচিৎ একথাটাও কি মানতে হবে ?
“তোমরা কনসার্ট নামে কোটি টাকার বিদেশী শিল্পী আনো/রবিশংকর নেই কেন সেথা, নেই জর্জ হ্যারিসন ও…”- তখন বোধহয় ক্লাস সিক্স কি সেভেনে পড়ি, বাংলাদেশের খ্যাতনামা সুরকার প্রিন্স মাহমুদের একটা গানে প্রথম এই আফসোস টা শুনি। জর্জ হ্যারিসনের কথা তুললেই আরেকটা শব্দ যেটা চলে আসে সেটা হল “বিটলস” !! আমার মত হাজারো তরুন আছে যারা বিটলস শুনে বড় হয়েছে…যাদের প্রথম বার গিটারে কাভার করা কোন ইংরেজি গান, প্রথম প্রেম, প্রথম বার সিগ্রেট, প্রথম বার ভালোবাসাটাকে হারানো -সবকিছুর সাথে বিটলস যেমন আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে গেছে তেমনি জড়িয়ে আছে জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, এরিক ক্লাপটন, বব ডেলান প্রমুখ কিছু ব্যাক্তির নাম যারা সারা পৃথিবীর তরুনদের একটা আলাদা জীবন দর্শন দিয়েছেন, দিয়েছেন পৃথিবীটাকে কিছুটা আলাদা ভাবে দেখার একটা দৃষ্টি ভঙ্গি। কিন্তু আজ তাদের অন্য একটা গল্প বলব যার সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ, ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন ও আমাদের চরম অকৃতজ্ঞতার নমুনা।
১৯৭১ সাল, তখনো বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রটির জন্ম হয়নি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে, হাজারো মানুষ শুধু মাত্র দেশের জন্য প্রাণ বিলিয়ে দিচ্ছে। খুবই ভংগুর অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা… অধিকাংশ মানুষ আধপেটা আবার তার সাথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অকথিত নির্যাতন। আর ঐ নির্বিকার গনহত্যা ও নির্যাতনের ফলে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়। আবার এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের ভরণপোষন করতে গিয়ে দেখা দেয় ত্রান সমগ্রীর অভাব। ঠিক ঐ একই বছরের পহেলা আগস্ট… দিনটি ছিল রবিবার। নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে উপস্থিত ছিল প্রায় ৪০,০০০ এর মত দর্শক শ্রোতা। উপলক্ষ ছিল দুটি বেনিফিট কনসার্ট, আর এই বিনিফিট কন্সার্টের উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টি ও তাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য ত্রাণ-তহবিল গঠন করা। এই প্রোগ্রামটির মূল আয়োজক ছিলেন বিটলস ব্যান্ডের লীড গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন এবং ‘ভারতরত্ন’ মুকুটধারী সেতারবাদক ও আমাদের ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জামাইবাবু রবিশংকর। ঐ কন্সার্টটির নাম দেওয়া হয়েছিল “Concert For Bangladesh”.
রবিশংকর ছিলেন একজন ভারতীয় সুতরাং তার পাশের দেশে কি হচ্ছে এটা তার আমলে থাকরই কথা। এবং এই নির্মমতা তার মনকেও কাদিয়েছিল নিঃসন্দেহে। আর তাছাড়াও ছিলেন তিনি জর্জ হ্যারিসনের অত্যন্ত অত্যন্ত একজন ভাল বন্ধু। তিনি জর্জ হ্যারিসনকে একবার অনুরোধ করতেই হ্যারিসন রাজি হয়ে যান, সুতরাং তিনি হ্যারিসনের কতটা ভালো বন্ধু ছিলেন এতে সন্দেহের অবকাশ থাকেনা। রবি শংকর লিখেছেন, I was in a very sad mood, having read all this news, and I said, “George, this is the situation, I know it doesn’t concern you, I know you cant possibly identify.” But while I talked to George he was very deeply moved… and he said”yes, I think I’ll be able to do something”। হ্যারিসন একটি দাতব্য সংগীতানুষ্টান করতে রাজী হন এবং তার দলের সদস্য বন্ধুদের ম্যডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রন জানান। মাত্র পাচ সপ্তাহের মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। জর্জ হ্যারিসন প্রথমে তার প্রাক্তন ব্যান্ড বিটলস সদস্যদের যোগদানের জন্য আমন্ত্রন জানান। কিন্তু পল ম্যাকার্টনি সরাসরি “না” করে দেন,কারন তখন মূলত দলের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। জন লেনন আসতে রাজী ছিলেন কিন্তু তখন আদালতে তার স্ত্রী ওনোর সাথে সন্তানের ব্যাপারে তার আইনি লড়াই চলছিল বলে শেষমেশ আসতে পারেননি। মিক জ্যাগার আটকে গেছিলেন ভিসা সম্পর্কিত ঝামেলায়। শেষ পর্যন্ত একমাত্র রিংগো স্টার তাদের সাথে যোগ দিতে সক্ষম হন। তাদের সাথে খ্যাতনামা শিল্পীদের মধ্যে আরো ছিলেনঃ বব ডেলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রিস্টন, হ্যারিসনের নতুন ব্যান্ড ব্যাড ফিংগারের যন্ত্রীদল সহ আরো অনেকে।
কন্সার্টের সূচনা হয় সেতার বাদক রবি শংকর ও বিখ্যাত সরোদ বাদক ওস্তাদ আলি আকবর খানের যন্ত্র সংগীতের মাধ্যমে। তাদের সাথে তবলায় ছিলেন ওস্তাদ আল্লা রাখা খান। তারা “বাংলা ধুন” নামে একটি ধুন পরিবেশন করেন। হ্যারিসন তার জনপ্রিয় All Things Must Pass এলবাম থেকে গান পরিবেশন করেন, তারপর তিনি তার সহশিল্পীদের সাথে পরিচয় করিইয়ে দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান। যন্ত্রীদের মধ্যে ড্রামসে ছিলেন রিংগো স্টার এবং জিম কেল্টনার। পিয়ানোতে লিয়ন রাসেল্ম অর্গানে বিলি প্রিস্টন, লিড গিটারে এরিক ক্ল্যাপটন এবং রিদম গিটারে ছিলেন হ্যারিসনের নিজের ব্যান্ড ব্যাড ফিংগার দলের চারজন সহ অনেক মিউজিশিয়ান। অন্যান্য আরো কিছু কারনে কনসার্ট ফর বাংলাদেশের একটা গুরুত্ত্ব ছিল। কেননা বিটলস ভেংগে যাবার পর এই অনুষ্ঠানই ছিলো হ্যারিসনের সরাসরি অংশগ্রহন করা প্রথম কোন অনুষ্ঠান। এরিক ক্ল্যাপটন নিজেও প্রায় পাচ মাস পর কোন সরাসরি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশান করলেন। তাছাড়াও লিজেন্ড বব ডেলান ১৯৬৯ সালের পর প্রথম বারের মত শ্রোতা দর্শকদের সামনে এলেন। এই প্রোগ্রামে পরিবেশিত কিছু গানঃ While my guitar gently weeps, Beware Of Darkness, Here Comes the sun, Blowing in the wind, Just like a woman, My sweet Lord, Youngblood, wah-wah … তবে আকর্ষনীয় গানটি ছিলে জর্জ হ্যারিসনের লেখা ও সুর করা যেটা দিয়ে তিনি অনুষ্ঠানটি শেষ করেছিলেন, সেই কাল জয়ী গানটির নাম ‘Bangladesh’. গানট গাওয়ার সময় হ্যারিসন নিজেও আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন, ছলছল করে উঠেছিল তার চোখ। আর তার সাথে আবেগ প্রবন হয়ে পড়েছিল পুরো ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন। বিশ্ববাসী সেদিন এই গানটির মাধ্যমে দেখতে পেয়েছিল বাংলাদেশে কি অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে আর সেই সাথে শরণার্থীদের দূর্দশা। কনসার্ট থেকে প্রায় ২৪৩,৪১৮.৫০ ইউএস ডলার সংগৃহীত হয় যার পুরোটাই ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। এর সিডি ডিভিডি হতে প্রাপ্ত অর্থও ফান্ডে জমা হয়। এই অনুষ্ঠানের গানের এলবামটি সে বছর গ্যামি পুরষ্কার লাভ করে। জর্জ হ্যারিসনকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, “পৃথিবীতে এত এত সমস্যা থাকতে আপনি কেন এ ব্যাপারে (বাংলাদেশের শরণার্থিদের সহায়তা) কিছু করার জন্য আগ্রহী হলেন?” জবাবে হ্যারিসন বলেছিলেন “কারন আমার এক বন্ধু এ ব্যাপারে আমার সহায়তা চেয়েছেন। ”
বিখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে গানের আসর আয়োজন করে মানবকল্যানমূলক কাজের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজটি প্রথম জর্জ হ্যারিসনই সূচনা করেন। ইভেন মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে এ ধরনের কোন কনসার্ট খোদ আমেরিকাতেও প্রথম। আর্থিক ছাড়াও এই কন্সার্টটির ঐতিহাসিক গুরুত্ত্ব অপরিসীম। ২০০১ সালে মাত্র ৫৮ বছর বয়েসে হ্যারিসন মারা যান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। তার শোকে জন্মস্থান ব্রিটেনের লিভারপুলে অর্ধনমীত রাখা হয়েছিল জাতীয় পতাকা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন তিনি বাল্যকালে বিটলস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি করেছি ??? জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা তো দূরের কথা আমাদের রেডিও টেলিভিশানে আর দশটা সাধারন নিউজের মতই প্রকাশিত হয় হ্যারিসনের মৃত্যুর সংবাদ টি। সেখানে বিবিসি ও সিএনএন তার স্মুরণে সারাটি দিন বাজিয়েছিলেন “বাংলাদেশ বাংলাদেশ ” গানটি। আমরা যে কতটা অকৃতজ্ঞ জাতি সেটার একটা পূর্ণ প্রমান দিয়েছিলাম আমরা সেদিন । আচ্ছা আমরা কি পারতাম না ??? আমরা কি পারতাম না আমাদের কোন একটা রোডের নাম হ্যারিসনের নামে নামকরন করে তার নামটি অমর করে রাখতে, তার ভাষ্কর্য কি আমাদের দেশে স্থান পাবার যোগ্যতা রাখে না ? স্বাধীনতার পর জর্জ হ্যারিসন কতবার ভারতে এসেছে, আমরা কি পারতাম না তাকে আমাদের দেশে এনে যোগ্য সম্মানতা টুকু দিতে ? লজ্জা ঢাকতে দিলাম আমরা সম্মানতা, ২০১২ সালে … তার মৃত্যুর প্রায় দশ বছর পরে । আমরা যারা হ্যারিসানকে চিনি অচিরেই বলতে পারব যে যুদ্ধ পরবর্তী গরীব একটা দেশের থেকে সম্মাননা নেবার কোন প্রয়োজন ছিলনা তার। সারা জীবদ্দশায় সে জিনিসটা ঢের পেয়েছেন তিনি বিশ্ববাসীর কাছ থেকে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা সারাজীবন ঋণী থেকে গেলাম ওনার ম্যাডিসন স্কোয়ারের পহেলা আগষ্ট দিন টির কাছে। While My Guitar Gently Weeps বাজানোর সময় বাংলাদেশি হিসেবে এখনো আমার সেই লজ্জা কিছুটা লাগে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=cRZtxYnoJS0
বিটলস প্রেমি হিসেবে আপনার জন্য মিতা !!!
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই কনসার্ট সম্পর্কে অনেক লেখা পড়েছি। তবে কী কী গান গাওয়া হয়েছিলো সেসব এই প্রথম জানা হলো। জর্জ হ্যারিসনকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা এবং তার এই মহানুভবতার কথা অনুজদের জানিয়ে দেয়া আমাদের কর্তব্য।
শুভেচ্ছা।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। একটা প্রজন্ম এই ভুল টা করে গেছে, আমরা করব না ইনশাল্লাহ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
ডাঃ মারজান বলেছেন: এ লজ্জা আমাদেরই। অনেক কিছু জানলাম। অনেক শুভেচ্ছা।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা ও হয়েছিল, কিন্তু আস্তে আস্তে মাটি চাপা পড়ে যায় আর দশটা নিউজের মত। সত্যিই আমরা লজ্জিত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
দরবেশমুসাফির বলেছেন: জর্জ হারিসন আমার অন্যতম প্রিয় গায়ক। উনার "মাই সুইট লর্ড" গানটা খুব ভালো লাগে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আমার আইডল উনি রীতিমত, চুলটা ওনার থেকে বেশি অথবা ওনার সমান লম্বা আমার আর ঐ গানটিও আমার ফেভারিট লিস্টের একটি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
ধমনী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
আব্দুল্যাহ বলেছেন: দেশে দলীয় ব্যাক্তি ছাড়া সবাই তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ। কোন সরকারই তার জন্য কিছু করেনি।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: একমত ভাই। কিন্তু কোন সরকারই এটা কল্পনা করেনি যে তাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলে বিশ্বের দরবারে কতটা উচু হতো সরকারের কার্যক্রম। এরা নিজের ভালোটাও ঠিক মত বুঝেনা।
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮
এস কাজী বলেছেন: আসলেই ভেবে দেখার মত একটা বিষয়। বাংলাদেশের এরকম একজন বন্ধুর স্মরণে আমরা কিছুই করিনি। হ্যাঁ একটা রাস্তা বা একটা সরকারী হলের নাম করেও তো সম্মাননা জানানো যেত।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অসাধারণ একটা আইডিয়া দিছেন ভাই। ঠিকই তো, এত্তগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের, কত্তগুলা হল তার ইয়ত্তা নাই। " জর্জ হ্যারিসন হল" নামকরণ হলে খারাপ কি! !!!!
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য
৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৩
প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনুপ্রাণিত হলাম
৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৭
শুভ৭১ বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল একটি লেখা,অজানা অনেক জিনিস'ই জানলাম।।।। ☺☺☺ আর সাথে ইউ টিউব থেকে আপনার করা কয়েকটা কাভারড ও দেখে ফেল্লাম।ভালো লাগছে।।।।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৩
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হা হা হা ..... লজ্জা পাইলাম ভাই। ওগুলো ছেলে মানুষী করে ইউটিউবে দিছিলাম । অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য,,,, ভালো থাকবেন
১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
আহসানের ব্লগ বলেছেন: +++
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: অকৃতজ্ঞতা রক্তে ঢুকে গেছে!
রবিশঙ্কর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামাইয়ের আগে যশোরের ছেলে। তিনি এপারের লোক ছিলেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: উনি যশোরের ছেলে এটা তো জানা ছিল না,,, অসংখ্য ধন্যবাদ ব্যাপারটা জানাবার জন্য। আমি নিজেও যশোরের পাশের জেলার।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: দুঃখিত!
তিনি বৃহত্তর যশোরের অর্থাৎ বর্তমানের নড়াইলের (পূর্বে যশোরই বলা হত, পরবর্তীতে বিভক্ত হয়ে যায়) ছেলে।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: নিজেরই লজ্জা লাগছে, এত দিনে এটা জানতাম না বলে। ধন্যবাদ ভাই,,,
১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
বিপরীত বাক বলেছেন: এরা ( বাঙালা) তো নিজ বাড়ী র আপন ভাই ( মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিভিন্ন দেশীয় ব্যক্তিবর্গ) দেরই মনে রাখেনি, মূল্যায়ণ করেনি।। উঠতে বসতে গালিগালাজ করে।
কাউকে গালি দিয়ে বলে পাকিস্তানে গিয়ে আরামে দিন কাটিয়েছে বউ বাচ্চা কে পাকবাহিনীর জিম্মায় রেখে ,, কাউকে আরও গালি দিয়ে বলে ওই ব্যাটা মুক্তিযোদ্ধাই ছিল না, ছিল পাক এজেন্ট, আবার বউটারে রাখছে ক্যান্টনমেন্ট _*_ র জন্যে,, আর গুলোকে বলে ক্ষমতার লোভ বেশি তাই যুদ্ধ করেছিস এখন আবার দেশ চোদাস,, ৭২,৭৫,৭৬,৭৭,৮১,৮৩ তো ওগুলোরে মাইরা সাফ কইরা দিছে এই অকৃতজ্ঞ ___*র বাচ্চা জাতি।।
আবার পাশের বাড়ীর পরোপকারী নিঃস্বার্থ বন্ধুর জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে মনমানসিকতায় এত বড়লোক নয় এই __জন্মা জাতি।।
জর্জ হ্যারিসন বরং সৃষ্টিকর্তা র কাছে গিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মনে হয় তাকে স্বাভাবিক মৃত্যু দেয়ার জন্যে।। ওনাকে যে বাঙাল জাতেরা ক্যু করে, গুপ্তঘাতক পাঠিয়ে, গণপিটুনি দিয়ে, জেলে রেখে পচিয়ে মারেনি এটাই ওনার বড়ভাগ্য।।
যারাই এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিঃস্বার্থ দেশপ্রেম, মায়ের মুক্তির জন্যে এসব মনে করে অংশ নিয়েছিল সবকটা অপঘাতে অকালে করুণ মৃত্যু বরণ করেছিল।। নয়তো গুম হয়ে গিয়েছিল।। নয়তো বাকী জীবন রাস্তায় ভিক্ষে করে অভুক্ত থেকে মারা গিয়েছিল।।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আমাদের সব বাংগালীদের মধ্যেই মোটামুটি কম বেশি ক্ষোভ আছে অনেক কিছু নিয়ে। কেউ আমরা চুপ করে দেখি, কেউ আবার আপনার মত নিজেকে এক্সপ্রেস করে ফেলি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের আপোষ করতেই হয় অনেক কিছুর সাথে ভাই। এটাই বাস্তবতা।
আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ এক লেখা| জর্জ হ্যারিসন যা করেছেন তার জন্য অনেক কিছুই করতে পারতাম আমরা, যেখানে মার্কিন সরকার পর্যন্ত বিপক্ষে আমাদের| ২০০১ এ মারা যান, তাই হয়ত রেডিওতে টেলিভিশনে উচ্চারিত হয়নি সেভাবে, কারণ তখন তো মুক্তিযুদ্ধ ট্যাবু| অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
রিকি বলেছেন: অসাধারণ মিতা
