নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসছিল সজারু ... ব্যাকরণ মানিনা ... হয়ে গেল হাসজারু ... ক্যামনে তা জানিনা ...

শূণ্য মাত্রিক

বহু নিয়ম মেনেছি। লেখাপড়া করার নিয়ম... মেনেছি, পরীক্ষা দেবার নিয়ম... মেনেছি, চাকরী করবার নিয়ম... মানব। কিন্তু নিয়মটা কে মানা উচিৎ একথাটাও কি মানতে হবে ? 

শূণ্য মাত্রিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

“আমি তোমাকে ভালোবাসি”- বাক্যটি আমাকে কখনো সন্তুষ্ট করতে পারেনি । আর সেকারনেই তোকে কখনো বলা হয়নি !!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

জানিস পাগলী … ভালোবাসা একটা আর্ট, আর আমরা প্রতিটা মানুষ এক একজন আর্টিষ্ট। জানিনা পাগলী তুই মানবি কিনা, আমি কিন্তু তোর রবি ঠাকুরের থেকে প্রেম করতে শিখিনি। তোর শরৎচন্দ্র কিভাবে ভালোবাসতে বলেছিল, সমরেশের কোন কথাটা উর্দ্ধৃতি করে বললে তোর নিউরন গুলো উত্তেজিত হয়ে যাবে কিংবা তোর হিমু, শুভ্র – এগুলো কখনোই তোকে ইমপ্রেস করবার জন্য পড়িনি। ওদের থেকে খানিকটা জ়ীবনবোধ শিখেছি তবে কিভাবে ভালোবাসতে হয় এটা শিখব ভেবে কখনো ঐ বই গুলো ঘেটে দেখিনি। বারবার মনে হয়েছে আমার মানুষটাকে আমি আমার মত করে, আমার জীবনদর্শন দিয়ে ভালোবাসব। আর আমার ব্যাকরণে “আমি তোমাকে ভালোবাসি” বাক্যটির অর্থ খুবই অপ্রতুল।

তুই জানিস তোকে কখনো কেন বলিনি যে আমি তোকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি ? অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু … কিন্তু কি মনে হয়েছিল জানিস ? মনে হয়েছিল এই ৩টি শব্দের বাক্যটি দিয়ে আমি কখনোই তোকে বোঝাতে পারব না যে আমি তোকে কতটা ভালোবাসি। এক রাতে খুব জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল, আমি দরজাটা চাপিয়ে দিচ্ছিলাম। কেন জানিনা তোর কথা মনে হল, তুই বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক ভালোবাসিস। আমি সেদিন রাতে আমি ভিজেছিলাম রে, হয়ত তুই সর্দির ভয়ে জানালা আটকে বসে ছিলি কিন্তু আমি ভিজেছিলাম। খুব মিস করছিলাম তোকে … তোর অনুমতি না নিয়েই তোকে নিয়ে একটু সপ্ন দেখেফেলেছিলাম, একটা লাল শাড়ী, খোলা চুলে তুমি মাথাটা নিচু করে তাকিয়ে আছিস মাটির দিকে, বৃষ্টির ফোটাগুলো অদ্ভুত ভাবে গড়িয়ে পড়ছিল তোর নাক, চুল আর শাড়ীর আচল বেয়ে। আমাকে মাফ করিস, খুব ইচ্ছা হচ্ছিল তোকে যদি জড়িয়ে ধরতে পারতাম। কেননা এতগুলো বৃষ্টির ফোটা আমার মনটাকে একটুও ভিজিয়ে দিয়ে পারছিল না, আমার তোকে দরকার ছিল। না পাগলী… তুমি কামনার অনেক উর্ধে, তোকে যে আমি আমার নিজের অদেখা আত্তার চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা করি। সেদিন সপ্নের মধ্যেই ইচ্ছে হয়েছিল তোকে বলে দিই যে আমি তোকে ভালোবাসি। কিন্তু পারিনি। খুব অভিমান হচ্ছিল বাংলা ভাষাটার উপরে, বারবার মনে হচ্ছিল তোকে বুঝিয়ে বলবার মত ভাষাজ্ঞান আমার নেই। তারপরো যদি তোকে ঐ সস্তা প্রেম নিবেদন করতাম তাহলে সত্যিই আমার ভালোবাসার অশ্রদ্ধা হতো।

তোর জন্য কত কি করব বলে ভেবে রেখেছিলাম জানিস ? ভেবেছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে গিয়ে সূর্যের নামে অভিযোগ জানিয়ে আসব, বলব তোর জানালায় যেন বেশি রোদ না দেয়। ভেবেছিলাম তোর মন খারাপ থাকলে মেঘের বাড়ি ছুটে গিয়ে বৃষ্টিনামাতে বলব। তুই যেদিন চাইবি সেদিনই কুয়াশা থাকবে,আবার তুমি চাইলেই মিষ্টি রোদের আকাশ ভাসবে। আর তোর সামনের কার্লি চুল গুলোকেও অনেক বকা দিয়ে দেব ভেবেছিলাম, ওগুলো বার বার তোর চোখের সামনে চলে আসলে তোর খুব বিরক্ত লাগত আমি খেয়াল করেছি। তুই জানতিস না, আরো কতকিছু করব বলে ভেবে রেখেছিলাম তোর জন্য !!! কিন্তু ততদিনে কে নাকি তোকে বলে ফেলেছে “আমি তোমাকে ভালোবাসি”। তুইও নাকি দুম করে ওর ডাকে সাড়া দিয়েছিলি। আচ্ছা ও কি তোকে সত্যিই ভালোবাসে ? আমি জানিনা, তবে এটুকু জানি তুই ওকে অনেক ভালোবাসিস। কিন্তু ওর আর আমার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে কি জানিস ? তোর রাজপুত্রটা তোকে কতটা ভালবাসে এর সীমানা নির্ধারন করতে পেরেছে, তাই বলেছে “আমি তোমাকে ভালোবাসি” … কিন্তু আমি আজও ভালোবাসার সংগাটিকে সীমানাবদ্ধ করতে পারিনি বুঝে উঠতে পারিনি যে আমি তোকে আসলে কতটা ভালোবাসি। আর নিজেই যখন বুঝিনি, তখন তোকে কিভাবে বোঝাব !!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

মিথ্যে বল না বলেছেন: কি লিখব, কি কমেন্ট করব বুঝে উঠতে পারছি না। যার জীবনে ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’ শব্দটির সীমানা নির্ধারণ হয় নি তার ভালবাসাটা কেন ফিকে হয়ে যায়? কেন যে ভালবাসার মানুষটা বুঝতে পারে না যে এত ভালবাসে তাকে ছাড়া অন্য কারো নির্ধারিত ভালবাসা পরিপূর্ণ নয়...

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হয়ত লেখাটা প্রতীকি, তবে আমার বিশ্বাস অনেকেই এমন 'অসংগায়িত' ভালোবাসার শিকার হয়ে সপ্ন দেখতে ভলে গেছেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.