![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহু নিয়ম মেনেছি। লেখাপড়া করার নিয়ম... মেনেছি, পরীক্ষা দেবার নিয়ম... মেনেছি, চাকরী করবার নিয়ম... মানব। কিন্তু নিয়মটা কে মানা উচিৎ একথাটাও কি মানতে হবে ?
বয়েস কুড়ির কোঠা পেরিয়েছি এই বছর দুয়েক হলো, নিকোটিনের অভ্যেসটা করে ওঠা হয়নি। তবে কিছু নিকোটিন খোর বন্ধুদের থেকে শুনেছি এই ধূমপান নাকি তাদের মস্তিষ্কে অদ্ভুত এক ধরনের রিলিফ দেয়। এটাই যদি ওদের নিকোটিনের কার্যকারীতা হয় তবে আমার নিকোটিনের উৎস হল আমার ল্যাপটপের কিবোর্ড। লিখতে আমার খুব লাগে … কি লিখছি, কোন বিষয় নিয়ে লিখছি কিংবা আমার লেখা পড়ে পাচটা মানুষ কি ভাবছে এগুলো আমলে নেবার অভ্যেসটা আমার একদম নেই। আমি লিখি আমার দায়বদ্ধতা থেকে , আমি আমার জন্য লিখি। কোন একটা টপিক মাথার মধ্যে নাচানাচি করছে, যতক্ষন সেটা মাথা থেকে বের করে আক্ষরিক রূপ না দিচ্ছি ততক্ষন আমার কেমন একটা জানি অস্থিরতা কাজ করে। আমি ফেসবুকে প্রচুর লিখতাম… প্রতিদিনই নিজের মত করে নিজের কোন একটা পারসেপশান দাড় করাতাম। কিন্তু আইডিটা ডিলিট করে দেবার পর খুব একা হয়ে গেছিলাম… তখন মনে হলো সামহ্যোয়ার ইন ব্লগের কথা। এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে আমার মত সবাই লিখে… ফেসবুকের সস্তা কার্যকলাপ গুলো ওখানে স্থান পায়না। তারপর থেকে আমি ব্লগে … নতুনই বলতে গেলে। ফেসবুকে ছোট খাট সস্তা অনেক কিছুই হুট করে লিখে ফেললেই হতো, কিন্তু ব্লগে তো সেই সুযোগটা নেই। এখানে সবাই ট্যালেন্টেড, সবাই ক্রিয়েটিভ। সো সবার সাথে তাল রেখেই চলতে হয়। কোন বিষয়ে লিখতে গেলে নিজেকে আগে প্রচুর পড়াশোনা করে নিতে হয়। ফলে ব্লগে লেখাটাও একটু কম হয়।
আমার কোন দিন মনে হয়নি আমি লেখালেখি নিয়ে মাথা ঘামাব। চ্যাপ্টার টার শুরু হয় তখন বোধহয় আমি এইচ এস সি ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ি। আমার ফুফা আমাদের জেলার একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক। তিনিই প্রথম আমাকে জানান যে আমার বয়েস যখন বছর খানেক তখন থেকেই নাকি আমার নাম তথা “ঋকি ইসলাম” নামে স্থানীয় পত্রিকায় অনেক লেখা বের হয়েছে। আমি রীতিমত আশ্চর্য হয়েছিলাম শুনে… অবশ্য তিনি খুব বেশিক্ষন আমাকে অন্ধকারে রাখেন নি। ঋকি ইসলাম ছদ্মনামে তিনিই লিখতেন পত্রিকাতে এবং তখন আমার বয়েস ছিল মাত্র এক বছর। যাই হোক, মূলত তিনিই আমাকে লেখা লেখির জন্য ইন্সপায়ার করতেন। সাহস করে প্রথম রিস্কটা নিই আমি ২০১০ সালে… তখন একটা পত্রিকার সন্ধান পেলাম , নাম ‘দৈনিক ডেসটিনি’। ঐ পত্রিকার একটি পাতার নাম ছিল “অন্যরকম” … সেখানে লেখা পাঠালে সম্পাদকের বিবেচনা সাপেক্ষে সেটা ছাপা হতো ফিচার হিসেবে। একটা ফিচার রেডি করলাম আমাদের স্থানীয় একটা নদী নিয়ে , নাম ছিল “একটি যৌবনহারা নদীর গল্প”। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি হাতে লিখে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে লেখাটি পাঠিয়েছিলাম, আর ছবি তুলেছিলাম আমার অল্প দামের ফোনের ক্যামেরা দিয়ে… ঐটাই প্রিন্ট করে পাঠিয়েছিলাম। কখনো কল্পনাও করিনি আমার লেখাটা ছাপা হবে, কিন্তু হয়েছিল। তার কিছুদিন পর একটা ফিচারের তথ্যগত ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সম্পাদক নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন আর বলেছিলেন আমার নাকি লেখার হাত ভালো, এটা চালিয়ে যেতে। ব্যাস … আর কি লাগে। আরেকটা সফলতা ছিল আমি একটা প্রতিবন্ধী ছেলের ব্যাপারে ফিচার লিখেছিলাম। সেটা ছাপার পরে র্যাবের একটা দল ছেলেটির বাড়িতে যায় এবং সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে একটা হুইল চেয়ার অনুদান দেয়। এটা পত্রিকা অফিসে জানানোর পর আমাকে বলা হয়েছিল র্যাবের দপ্তরে গিয়ে মহাপরিচালকের মন্তব্য নিতে। এখনো গর্ব হয় ঐ দিন র্যাবের অফিসারের সাথে আমি কথা বলেছিলাম ঐ আর্টিকেলটির লেখক হিসেবে। তার পরেও অনেক লিখেছি… তার মধ্যে একটি স্থানীয় পত্রিকাও ছিল।
কিন্ত আমার এটা কখনো মনে হয়নি যে আমি একজন সাংবাদিক কিংবা আমি একজন লেখক। এটা কখনো মাথায়ই আসেনি … আসলে নিজেকে লেখব বলে মনে করবার মত যথেষ্ঠ সাহস বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নাই। তবে অবাক হয়েছি ব্লগে লিখতে এসে। এখানে যখন আমি কারো মন্তব্যের উত্তর দিই তখন আমার নিকের পরিবর্তে আমাকে “লেখক” বলে সম্বোধন করা হয়। ব্যাপারটা আমার খুব মজার লাগে এবং সেই সাথে গর্বও হয়। অনেকের কাছে এটা সাধারন লাগতে পারে বাট আমি খুবই ইনজয় করি ব্যাপারটা। আর তাছাড়া লেখক আমি বটেই; কারন কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্টদের লেখক হইতেই হয়। প্রাগ্রামিং কিংবা প্রোজেক্ট এ কাজ করতে গেলে কত হাজার লাইন লিখছি তার আসলে ইয়ত্তা থাকে না। তবে মাঝে মাঝে নিজেকে কৌতুক করে বলিঃ কেউ স্বীকৃতি দিক বা না দিক , অন্তত সামু তো আমাকে “লেখক” উপাধি দিল !!!!
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লিখতে লিখতে একদিন হয়েও যেতে পারেন| লিখতে লিখতে স্টিভেন কিং!
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ব্লগ থেকে কত ভালো লেখকের জন্ম হয়েছে! শুভ লেখালেখি।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
সুমন কর বলেছেন: লিখতে থাকুন। +।
শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: দারুণ আবিষ্কার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সামুর লেখক বলে উপাধি দেওয়ার কারণে কিন্তু সামুতে লেখকও অনেক বেশি।
আপনার মত আমারও লেখক শোনার সাধটা সামুই মিটিয়েছে।