![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহু নিয়ম মেনেছি। লেখাপড়া করার নিয়ম... মেনেছি, পরীক্ষা দেবার নিয়ম... মেনেছি, চাকরী করবার নিয়ম... মানব। কিন্তু নিয়মটা কে মানা উচিৎ একথাটাও কি মানতে হবে ?
প্রথমে কিছুটা ইতস্থত লাগছিল লিখব কিনা… পরে চিন্তা করে দেখলাম যে ব্লগ লিখতে এসেছি, বাড়ির উঠানে কুতকুত খেলতে নয়। তাছাড়া বিষয়টা বেশ কিছু দিন ধরেই মাথার মধ্যে খোচাচ্ছিল … জানিনা কতটুকু ঠিক, কতটুকু বেঠিক কিংবা কতটুকু নীতি সম্মত। ‘ঠিক’ ই লিখতে হবে এমন কোন কমিটমেন্ট নেই আমার, কিন্তু আমার কমিটমেন্ট আছে আমাকে লিখতে হবে। নিজের চিন্তাগুলোকে কিবোর্ডের উপরে সাজিয়ে ধরতে হবে। ব্যাস… সেই দায়বদ্ধতা থেকেই লিখছি।
স্বপ্ন দেখার জানালা আমাদের সবার জন্যই খোলা… সেই জানালা দিয়ে উকি দিতে হয়ত কারো বারন নেই। কিন্তু একটা অদ্ভুত সত্যি হল একটা মধ্যবিত্ত ছেলের নিজের স্বপ্ন পূরনের জন্য সম্পূর্ণ নিজের উপরেই ডিপেন্ড করতে হয়। যদি সে সফল হয় তবে পারবে আর না হলে না, মধ্যবিত্ত হবার কারনে পরিবারের ফিনান্সিয়াল আপোর্ট আসেনা বললেই চলে। কিন্তু একটা মেয়ের কিন্তু সেখানে নিজে প্রতিষ্ঠিত হবার ছাড়াও আরো একটা সুযোগ থেকে যায় তার স্বপ্নকে পূরন করার। আর সেই সুযোগটা পেতে পারে তার স্বামীর মাধ্যমে।
আমরা বিয়ে করি কেন ??? নিজেকেই প্রশ্নটা করেছিলাম। উত্তর হিসেবে যা পেয়েছি তার কিছু কিছু হলোঃ জৈবিক চাহিদা পূরণ, বংশগতির ধারাটা বৈধ উপায়ে বহাল রাখা, সামাজিকতা রক্ষা করা…ইত্যাদি ইত্যাদি। এর ভিতরে একটা মোটা দাগে রাখার বিষয় হলো জৈবিক চাহিদা পূরন, সেটাও বৈধ উপায়ে। প্রেমের সূচনাও কিন্তু সেই একই গন্তব্য বা পরিনতির দিকে যাবার জন্য … অর্থাৎ বিয়ে। কিন্তু হরহামেশাই দেখা যায় গন্তব্য, পরিনতির পথে বাধা পড়তে। যদিও আমার কাছে সেমন কোন পরিসংখ্যান নেই যে কতগুলো প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়, তবে বর্তমানের একটা উল্লেখযোগ্য খেয়াল করবার মত বিষয় আছে। অতীতের মত সম্পর্কগুলোতে এখন পরিবার ততটা বাধ সাধেনা। কারন যুগের সাথে সাথে আমাদের চিন্তা ধারনাও বেশ পাল্টাচ্ছে। কোন মেয়ে প্রোপোজ পেলে ভেবে নিচ্ছে ছেলেটাকে তার পরিবার মেনে নিবে কিনা, কিংবা তার ক্যারিয়ার কতটুকু সম্ভবনাময় আর ছেলেটাও রিলেশানে জড়ানোর আগে এমন কিছু লজিক্যাল চিন্তা করে নেয় … হয়ত এর বিকল্পও আছে, হুট করে দুটো মানুষ প্রেমে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যেই তিক্ত সত্যিটার কথাটা লিখেছি সেটাও অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
কিন্তু এমন বিয়েও হরহামেশা দেখা যায় যেখানে ছেলেটা ঠিক সময় মত প্রতিষ্ঠিত না হতে পারবার কারনে তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র বড় পরিবারে, যেখানে মেয়ের বাবা মা মনে করে মেয়ের ভবিষ্যত অনেক সিকিউরড । অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েটা স্বেচ্ছায় এই বিয়ের জন্য রাজী হয়ে যায় কোন ক্ষেত্রে পরিবারের চাপে। এখানে কিছু কথা আছে ঐ হতাশ ছেলেটার জন্যঃ একটা মেয়ের জৈবিক চাহিদা সব ছেলেই মেটাতে পারবে, আর সুখ টুকু কতসময়ই বা স্থায়ী হয় ? ৮ ? ১০ ?? ১৫ ??? মদ্দাকথা আমি বোঝাতে চাচ্ছি আপনি বাদেও আপনার প্রেমিকার খুব একটা কষ্ট হবেনা বিয়ের পর, নিঃসন্দেহে সে জৈবিক চাহিদার অভাবে ভুগবে না। কিন্তু কিছু চাহিদা আছে যেগুলো সব ছেলেরা বিশেষ করে যারা আপনার আমার মত মধ্যবিত্ত তারা মেটাতে পারবে না। ধরুন আপনার রাজকন্যার একটা পাজেরো গাড়ির শখ আছে, লেটেস্ট আইফোনের শখ আছে… কিংবা শখ আছে প্লাটিনাম কার্ডে শপিং করবার। এই চাহিদা গুলো সবাই মেটাতে পারবে ??? না, পারবে না। একটা সিকিউরড ভবিষ্যত সবাই চায়, আপনি চান আমিও চাই। তাহলে আপনার রাজকন্যাটা চাইলে দোষ কোথায় ?? হ্যা, একটা ছেলে হিসেবে আমি এটুকু বলতে পারি যে একটা ছেলের জন্য পৃথিবীর সবচে কঠিন কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম হলো নিজের প্রমিকাকে অন্যের বিছানায় কল্পনা করা। কিন্তু আপনার প্রিন্সেস কি খারাপ থাকবে সেই বাড়িটাতে গিয়ে যেখানে প্রিন্সেসের বাবা মা ঠিক করেছে যে সেখানের তাদের মেয়ে বেশি সিকিউরড। আপনি ভালোবাসার অজুহাত দিতে পারেন… কিন্তু সেটার ভিত্তি নেই। কারন পৃথিবীতে অসংখ্য এরেঞ্জড ম্যারিজ হচ্ছে, তারা কি নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী করে নিতে পারছে না ?? একটু দেরিতে হলেও আপনার প্রেমিকা নতুন বরের ভালোবাসার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবে … পাজারো গাড়ির আভিজাত্য, আইফোনের চাকচিক্য আর প্লাটিনাম কার্ডে শপিং করার মুহূর্ত গুলোর সাথে ধূসর হতে থাকবে আপনার স্মৃতি গুলো। এক সময় আপ্নিও স্ত্রী হিসেবে একটা মেয়ের দায়িত্ত্ব নিবেন, তাকেও ভালোবেসে ফেলেবেন। বাস্তব এটাই যে পৃথিবীর কিছুই থেমে নেই, না আপনি না আমি না আমাদের আবেগ। হ্যা… থেমে যায়না বটে, তবে থমকে ঠিকিই যায় আমাদের জীবন এই সব পর্যায়গুলোতে।
তবে অনেক পাগলীই দেখেছি যারা বাবা মায়ের পছন্দ করা বড়লোক ছেলেকে তীব্রভাবে প্রত্যাক্ষাণ করে দিব্যি মধ্যবিত্ত চালে জীবন যাপন করছে। যেই মেয়েটা একটা তেলাপোকা দেখে স্থীর থাকতে পারেনা সেই মেয়েটার কতটা মানষিক জোর যে তার নিজের ভালোবাসার জন্য বাবা মার দিক থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটা ভালো কি মন্দ আমি জানিনা, যে বিচার বোধ আমার নেই। কিন্তু আপনার রাজকন্যাটা যদি এই পাগলীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয় তাহলে আফসোস করে নিজের জীবনটা নষ্ট করবেন না। তাকে ভালো রাখার জন্য পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে। ধরে নিবেন আপনার রাজকন্যা ভালোবাসা আর ৮ মিনিটের সুখকেই নিজের জীবনের চূড়ান্ত মানে হিসেবে ধরে নেয়নি… বরং মা বাবার পছন্দের বিয়ের পরবর্তী ৫৮ বছরের আর্থিক নিরাপত্তাই সে বেছে নিয়েছে। অন্যের বৈধ বিছানায় প্রথম রাতের চোখের জলটুকুর অন্য মানে থাকলেও সে জল এক সময় মুছে যাবে, সেখানে স্থান করে নিবে তীব্র আনুগত্য আর জৈবিক চাহিদা। আপনার রাজকন্যা ভালই থাকবে … আপনি ভালো থেকেন, অন্তত আপনি ভবিষ্যতে যে রাজকন্যাটির দায়িত্ত্ব নিতে যাচ্ছেন তার জন্য হলেও।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: কি বলব বলুন,,,, এই কথা গুলো আমি নিজেকেই বুঝাতে পারিনাই। তবে বিবেক অনর্গল এই কথাগুলো বলতে থাকে।
হয়ত যেদিন থেকে আমরা বুঝতে শিখব অনেক দেরি হয়ে যাবে। অনেক কিছু হারিয়ে তারপর তারপর বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখব হয়ত।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮
ফুয়াদ আল আবীর বলেছেন: অর্থনৈতিক সিকিউরিটি বলে কিচ্ছু নেই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি...! আর বস্তুনির্ভর শখগুলো কখনই মানুষের সুখের কারণ হতে পারে না। সুখের সংগায়ন আইফোন বা পাজেরো দিয়ে করা যায় না, ব্রাদার...!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হা হা হা। বলেন কি ব্রাদার .... সকল শখ, ইচ্ছে গুলো একবার ফেলে দিয়ে দেখুন তো কিভাবে সুখী থাকেন ! মহা জাগতিক চিন্তা নিয়ে লিখিনি, কোন মুনি-ঋষি কেও আদর্শ মানিনি যাদের বস্তুগত চাহিদা নাই।
জাস্ট কিছু বাস্তবতা তুলে এনেছি এবং সেগুলো যথেষ্ট কটু।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
ফুয়াদ আল আবীর বলেছেন: শখ আর ইচ্ছেগুলো শুধুই কি বস্তু নির্ভর?? তাহলে সৃষ্টি সুখের আনন্দ আপনি জানেন না...
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১০
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: দেখুন ভাইয়া,,,, আমি একজন মিউজিশিয়ান। আমার কাছে একটা দামী গিবসন গিটার ব্যাবহারের যেমন চাহিদা, শখ বা ইচ্ছে আছে ঠিক তেমনি গিটারটার টিউন থেকেও আমার আলাদা প্রত্যাশা আছে যেটা অবস্তুগত।
আপ্নি আপ্নাকে কোথাও বলিনি যে সুখ শুধুমাত্র বস্তুগত হয়। একটা পোষ্ট পুরো জীবনের প্রতিফলন হতে পারেনা। আমিও একটা সাইড তুলে ধরেছি আমার লেখায়।
আপনি আমার সাথে দ্বিমত করেতেই পারেন, তবে ভুল ব্যাখ্যা করবেন না প্লিজ
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: প্রিয় পোস্টে দিয়ে রাখলাম। কখনো কখনো পড়তে হবে বারংবার.....
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯
জাহিদ মজুমদার বলেছেন: বাস্তব এটাই যে পৃথিবীর কিছুই থেমে নেই, না আপনি না আমি না আমাদের আবেগ। হ্যা…
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: কথাগুলো সত্যই মনে হচ্ছে । এইতো বাস্তবতা ! কিন্তু মানুষের মন যে এতোকিছু বুঝেনা । তাকে বুঝাই কী দিয়ে? সে তো অবুঝ । প্রেমরোগ মহারোগ । এই রোগের মহৌষধ অাজও অাবিষ্কৃত হয়েছে বলে মনে হয় না । তবু মানুষ জেনে শুনে প্রেমে ডুব দেয় । প্রেম এমনই অমৃত খেলে পস্তাতে হয়, না খেলেও পস্তাতে হয় ।
অাপনার কথাগুলো শেষের দিকে পড়তে পড়তে অাপনাকে শত্রু মনে হচ্ছিলো ! একেবারে প্রেম ঘাতক ! অামরা সবই বুঝি রে ভাই । ঐ একটাই কথা ! মনকে বুঝাতে পারিনা । নিজের প্রেমিকা একসময় অন্য কারো হয়ে যাবে, এটা ভাবতেই বুকের ভেতর ছ্যাৎ করে উঠে । অার ছ্যাৎ করাই মানুষকে কেমনে জানি অাত্মহত্যা, মাদকাসক্তে নিক্ষেপ করে ।
প্রেমের কাছে মানুষ কতটা অসহায় !