নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসছিল সজারু ... ব্যাকরণ মানিনা ... হয়ে গেল হাসজারু ... ক্যামনে তা জানিনা ...

শূণ্য মাত্রিক

বহু নিয়ম মেনেছি। লেখাপড়া করার নিয়ম... মেনেছি, পরীক্ষা দেবার নিয়ম... মেনেছি, চাকরী করবার নিয়ম... মানব। কিন্তু নিয়মটা কে মানা উচিৎ একথাটাও কি মানতে হবে ? 

শূণ্য মাত্রিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাধবীলতা !!! অনিমেষের মাধবীলতা ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০


একটা বয়েস গেছে, যেসময়ে সাহিত্যের কিছু চরিত্রের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম। প্রেম, ভালোবাসা, না পাওয়ারও যে একটা চাপা কষ্ট থাকে, কিংবা থাকে পাওয়া জিনিসটাকে হারিয়ে ফেলার ভয় … এগুলো ভিজ্যুয়ালাইজ করা শুরু করি এই চরিত্র গুলোর মধ্য দিয়েই। যদি বলেন প্রেমের কথা, হ্যা … নিঃসন্দেহে প্রেমে পড়েছি। প্রেমে পড়েছি অঞ্জন দত্তের বেলা বোস,জয়িতা, রমা, মালা কিংবা নচিকেতার নীলাঞ্জনার। বেলা বোসের টেলিফোনের ওপাশ থেকে ফুপিয়ে কেদে ওঠাটা সেদিন আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছিল। আজ যে চরিত্রটিকে নিয়ে লিখব সে ‘মাধবীলতা’… অনিমেষের মাধবীলতা। আমার কাছে সমরেশ মজুমদারের সবচে অদ্ভুত সৃষ্টি এটাই মনে হয়, ইভেন পুরো বাংলা সাহিত্যেও এজ ওয়েল, যদি আমি সাহিত্যে খুব একটা ডুবে থাকি না।তবে যতগুলো পড়েছি আমাকে মাধবীলতাই সবচেয়ে বেশি আকর্ষন করেছে।

আপনি চিন্তা করতে পারছেন একটা মেয়ে আপনার সাথে তর্ক করছে আপনার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে, আবার সেটা যদি হয় কম্যুনিজমের মত গভীর একটা বিষয় …এবং রীতিমত আপনি থতমত খাচ্ছেন আপনার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে !!! সে আপ্নাকে জিজ্ঞসা করছে ভিয়েতনামের যুদ্ধে ব্যাপারে, আপ্নার সাথে তর্ক করছে যে প্রেসিডেন্সি কলেজে বসে বিপ্লব মিছিল করলে ভিয়েতনাম বাসী আদৌ উপকৃত হবে কিনা। মেয়েটা একজন পোড়া কমিউনিষ্টকে প্রশ্ন করছে “আপ্নারা তো রামমোহ, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথদের reactionaris বলে মনে করেন… না? ”। আমি জোড়হাত করে বলছি ভাই, ব্যাপারটাকে বাস্তবে আমি কখনো শেপ দিতেই পারিনি। হতে পারে কারনটা আমার মফস্বল কেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত দৃষ্টিভংগির জন্য তবে ভেতর থেকে বলছি মাইরি, আমার কেন জানি মনে হয় বুদ্ধি-বৃত্তির ব্যাপারটা মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে কেমন জানি লোপ পেয়ে যায়। জানি অনেকে মনে মনে গাল-মন্দ দিবে, হয়ত নিজেও বুঝছি কথাটার কোন ভিত্তি নেই, ফাজলামির সুরেই বললাম। তবুও ব্যাপারটা কেন জানি এমনি দাড়িয়েছে। মেয়েদের ঝগড়ার ব্যাপারটা আমার বেশ ভাললাগে, ইভেন একবার আমার এক বিজ্ঞ সহপাঠিনী ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমাকে পুরো ব্যাচের ভিতরে ঝগড়ুটে উপাধিও দিয়ে দিয়েছিল। যাই হোক আপু সমাজের এই ঝগড়া কিংবা তর্কের কৌশলে আমি কন্ঠের কম্পাংক আর অবেগ-অনুভূতির চাপাচাপিই বেশি দেখেছি, বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োগ সেখানে নেহাৎ কম থাকে। হ্যা বলা হতে পারে, টিভির টকশো বা বিভিন্ন রিয়েলিটি শো এর যে সকল মেয়েরা অংশ নেন তাদের কথা, আমি মনে করিয়ে দিই মাধবীলতা কিন্তু সেলেব্রেটি টাইপের কেউ নন, কলকাতার পাশ্ববর্তী কোন অর্ধ-নগরী থেকে রোজ ট্রেনে চেপে আসা খুব সাধারন একটা মেয়ে। যদি সেই চরিত্রটিকে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে যায় তবে মেয়েটির চুল গুলো থাকবে বেনি করা, খোপা নয়, হাতে সস্তা চিকন কাচের চুড়ি কপালে লাল টিপ । লম্বা স্লিভের ব্লাউজ, ঘাড়ে সাদামাটা একটা ভ্যানিট ব্যাগ, পরনে একটা মাড় দেওয়া শাড়ী … সেটা আয়রন করা থাকেনা। পায়ের সেন্ডের টা দিয়ে অযত্নের কিছু পায়ের আংগুল উকি মারে, মুখে কেমন জানি একটা মলিনতা সবসময় ভর করে থাকে। না … মেয়েটির ভিতরে নিজেকে উপস্থাপনের কোন তাড়া নেই, নেই স্বচ্ছ কাপড়ের মধ্য দিয়ে শরীর কিংবা অন্তর্বাস প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা।

আমাদের টিপিক্যাল চিন্তা ভাবনার বাইরে আরো যে আরেকটা ব্যাপার লক্ষনীয় সেটা হল অনিমেষ-মাধবীলতার প্রেমের শুরুটা। ধরুন আপনি রাজনীতি করেন না, তবুও দেশ নিয়ে আপ্নার একটা ইউনিক চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক তেমনি প্রেম করুন বা না করুন , দু-একটা মতামত আপনার থেকেই যায়। সেই জায়গা থেকেই বলছি প্রেমের রেজিষ্ট্রি “প্রথাটার” আমি একদম বিপক্ষে, আচ্ছা “ভালোবাসি” বলতেই হবে ?? এটা কোন কথা !! এটা যেন একটা স্টাম্প পেপার দিয়ে দখল নিশ্চিত করা হল একেবারে। আর তাছাড়া এই জিনিসটা একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে বলে কিভাবে আমি ভেবেই উঠতে পারিনা :D । তবে এই ব্যাপারটার প্রয়োগ দেখলাম অনিমেষদের স্টোরিতে। কোন প্রপোজাল ছাড়াই কেমন দুজন দুজনকে বুঝে ফেলল, ব্যাতিক্রম গুলা দেখতে আসলেই ভাল লাগে। কালবেলা উপন্যাসে দেখা যায় অনিমেষ প্রথমে বাম রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও পরে দলের মতাদর্শে সে একমত হতে পারেন না। পরে অনিমেষ জড়িয়ে পরে নক্সাল রাজনীতির সাথে … যারা বিশ্বাস করত বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস। কিন্তু সেই মুহূর্তেও অনিমেষকে ছেড়ে যায়নি মাধবীলতা, তার সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ভবিষ্যত জেনেও সে সাথে ছিল অনিমেষের। এমনকি যখন অনিমেষ জেলে অসহায়ের মত ছিল তখনো তাকে স্বান্তনা দিয়ে এই বলে যে “তুমি তো কখনো তোমার আদর্শ থেকে একটুও নড়নি। এটাই আমার প্রাপ্তি”


অনিমেষকে মাধবীলতা তাদের সম্পর্ক শুরুর আগে থেকেই প্রশ্ন করত “আপনি কি নিজেকে কমিউনিস্ট মনে করেন ? ”। এখানে তার সুচারু একটা পর্যবেক্ষন ক্ষমতার নমুনা পাওয়া যায়। কারন অনিমেষ মাধবীলতার গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ও ভালোবাসত আবার শ্রেণীসংগ্রাম, সাম্রাজ্যবাদ ইত্যাদি নিয়ে ভারী লেকচারও দিত। পরে অনিমেষকে মাধবীলতা উপাধি দিয়েছিল ‘রোমান্টিক বিপ্লবী’। আবার এই স্পষ্টভাষী জেদি মেয়েটাই একসময় লক্ষীটাইপের হয়ে গেল, সে ভালোবাসল অনিমেষকে… শুধু মন দিয়েই নয়, শরীর দিয়েও। কোথাও যেন পড়েছিলাম যে মেয়েটা একটা ছেলেকে মন দিতে পারে, তাকে খুব সহজেই শরীর টাও দিতে পারে। সমরেশ মজুমদার ঐ বাক্যটার একটা ছাপ রেখেছেন কালবেলাতে। বিবাহ বহির্ভূত ভাবে তাদের একটা শারিরীক সম্পর্ক ও তৈরী হয়, যার ফসল ছিল তাদের সন্তান অর্ক। পরে নক্সাল সন্ত্রাসী হিসেবে ধরা পড়ে অনিমেষ, আর অন্তসত্তা অবস্থায় জীবন যাপনের চরম একটা লড়াই করে মাধবীলতা। একসময় অনিমেষ মুক্তি পেল… পংগু অবস্থায়। আর সেই প্রতিবন্ধী অনিমেষ আর অর্ককে নিয়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিল বেলঘোরিয়া থেকে ট্রেনে চেপে আসা এম.এ পাশ সাদাসিদা মাধবীলতা নামের মেয়েটি।

না… আমি ভুলে যায়নি আমি উপন্যাসের একটি চরিত্রকে নিয়ে লিখছি। কিন্তু স্বপ্ন কিংবা কল্পনার কি কোন সীমা থাকে বলুন ? কোন রশি থাকে তাকে লাগাম দেবার জন্য ? তেমনি সমরেশ মজুমদারের চিত্রায়িত এই চরিত্রটিও আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। হয়ত খুজে বেড়িয়েছি স্বপ্নের মাধবীলতাকে… হাতড়ে বেড়িয়েছি ঐ গুনগুলোকে। না পায়নি, মাধবীলতারা বোধহয় উপন্যাসেই সীমাবদ্ধ। তাদেরকে নিয়ে বোধহয় স্বপ্নই দেখা যায়, স্বপ্ন দেখাবার জন্যই তাদেরকে জন্ম দেন সমরেশ মজুমদাররা।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: মাধবীলতারা বোধহয় উপন্যাসেই সীমাবদ্ধ। তাদেরকে নিয়ে বোধহয় স্বপ্নই দেখা যায়, স্বপ্ন দেখাবার জন্যই তাদেরকে জন্ম দেন সমরেশ মজুমদাররা। সহমত কমিউনিজাম ব্যাপারটাই ব্রেন ওয়াস।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আমিও বেশ খানিকটা সহমত আপনার শেষ লাইন টার সাথে। কিছু জিনিসকেই তত্ত্বেই ভালো মানাই, বাস্তবে আনতে গেলে বিপদ হয়। কম্যুনিজমও খানিকটা সেমনই।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: Awesome writing...

(From mobile)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকে কিন্তু বেশ মিস করছি … খুব ব্যাস্ত নাকি ভাই ইদানিং ??

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখছেন। ভালো লেগেছে খুব!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আপ্নি ফেসবুকের সময়কাল থেকেই আমার কাছে স্পেশাল একটা মানুষ ভাইয়া। আপ্নার মন্তব্য পেলে কতটা ভালো লাগে বলে বোঝাতে পারব না। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

আলোরিকা বলেছেন: উত্তরাধিকার , কালবেলা , কালপুরুষ পড়ার সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল ! কি ঘোরলাগা একেক টি দিন । চমৎকার লিখেছেন ।

' মাধবীলতারা বোধহয় উপন্যাসেই সীমাবদ্ধ। তাদেরকে নিয়ে বোধহয় স্বপ্নই দেখা যায়, স্বপ্ন দেখাবার জন্যই তাদেরকে জন্ম দেন সমরেশ মজুমদাররা। ' :D

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন একদম। আমি সেই ঘোরের মধ্যেই লিখতে বসেছিলাম … খুব মিস করছিলাম মাধবীলতাকে। তাই দুম করে লিখেই ফেললাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

শায়মা বলেছেন: মাধবীলতা স্বপ্নকন্যা বটে তবে খুঁজে পাওয়াও যেতে পারে এমন মাধবীলতা। একদম ১০০% না হলেও ৯০% পাওয়া যাবেই।:)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
হা হা হা … আপনার সাথে দ্বিমত করব না আপু। তবে এটুকু বলব কেউ যদি এই মাধবীলতাকে খুজে পায় সে কতটা সৌভাগ্যবান হয়ত সে নিজেও বুঝতে পারবে না। কালবেলার প্রথমদিক কার মাধবীলতার সাথে অনেক মেয়েকেই মেলে, কিন্তু মাধবীলতা যেসময় খুব লক্ষী টাইপের হয়ে যায় সে সময়কালটাতে অনেকেই পারেনা তার মত হতে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অদ্ভুত ভালো লাগছিল যখন পড়েছি

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: । যাই হোক আপু সমাজের এই ঝগড়া কিংবা তর্কের কৌশলে আমি কন্ঠের কম্পাংক আর অবেগ-অনুভূতির চাপাচাপিই বেশি দেখেছি, বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োগ সেখানে নেহাৎ কম থাকে। আমিও একমত।
এই বইটা অনেক আগে পড়েছিলাম, তাই খুব বেশি এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা। এর তিন জেনারেশনের তিনটি বইই পড়েছিলাম।
ভালবাসার কথা না বলে কিভাবে পারা যায় "এই ব্যাপারটা আমি ফিল করেছি শীর্ষেন্দু র "পারাপার "পড়ে! অনেক দিন আমিও স্বপ্ন দেখতাম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের শেষের কিছু লাইন সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছিল আমাকে। বেশ খানিকটা মিলে যায় আমার চিন্তার সাথে। কিন্তু ভালোবাসি না বলে ভালোবাসাটা এই জামানায় খুবই বিপদজনক। মেয়ে পল্টি খেলে কিচ্ছু করার থাকবে না … হা হা হা । তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভালোবাসি বলে দেওয়াই শ্রেয়। আমি পারিনি সেটা আমার ব্যার্থতা আর কি । খুব সুন্দর লেগেছে শেষের লাইনগুলো, আবার বললাম।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০

কিরমানী লিটন বলেছেন: স্বপ্নকন্যা মাধবীলতা ফিরে আসুক বাস্তবে- তার স্নিগ্ধতা নিয়ে...।
মন ছুঁয়ে যাওয়া লিখনি - চমৎকার ভালোলাগা ...। সতত শুভকামনা ...

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাইয়া। অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম আপনার কথাগুলো থেকে।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার পড়া সেরা উপন্যাস গুলোর মধ্যে একটা হলো সমরেশ মজুমদারের 'কালবেলা'! আর উক্ত উপন্যাসের সেরা চরিত্র হলো মাধবিলতা!

তবে আপনার মত আমারও মনে হয়, মাধবিলতরা মূলত গল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে! বাস্তবে তাদের কে পাওয়া, আর সাপের মাথার মণি পাওয়া প্রায় সমান কথা!


শুভ কামনা জানবেন!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
সহমত আপনার সাথ, মাধবীলতা আছে কি নেই সে নিয়ে সন্দিহান। তবে তাকে পাওয়াটা সাপের মনির সাথে অবশ্যই তুলনীয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

জনম দাসী বলেছেন: অনিমেষ পঙ্গু হলেও ছিল মাধবীর পাশে তার সন্তান অর্কর পাশে। তেমনি মাধবীও, অনিমেষ পঙ্গু হোক যাই হোক, তবু সেই পরম ভালবাসার মানুষটি ছিল তো পাশে, ছিল বলেইনা ছিলও...। আর যাদের ভালোবাসার মানুষটি পাশে থাকেনা, তবু সেই মানুষের সন্তান বুকে নিয়ে আজীবন পথ চেয়ে থাকে, পাশে নেই তাতে কি স্মৃতি তো আছে। নিজের সমস্ত রূপ যৌবন কে বিসর্জন দিয়ে যায় আঁধারে মুখে বালিশ চাঁপা বোবা কান্না কেঁদে, তবু কাউকে আর গ্রহন করেনা। না থাকা মানুষ টাকেই থাকা ভেবে কাটিয়ে দেয় সারাটা জীবন। সেই নারীরা উপন্যাসের মাধবীলতার চেয়ে কম না বেশী ?? বাস্তব জীবনে এর চেয়েও অনেক বড় বড় মাধবীলতা আছে ... শুধু দেখার মত চোখ নেই বলে মানুষ দেখতে পায়না।

যেমন জীবন বাবুর বনলতা সেন,

মাঝে মাঝে অবাক হই, সাড়া পৃথিবী জোড়া এত জ্ঞানী গুনি জন, অথচ জীবন বাবুর স্পষ্ট ভাবে লেখা, একটি কবিতার একটি লাইনের উত্তর খুজে দেখলনা। কে সেই বনলতা!!! বা কোন শতাব্দীর!!!

লাইনটি... '' কুড়ি কুড়ি বছর পারে...''

সে কিন্তুু ''পরে'' লেখেনি, লিখেছে ''পারে''
আর এখানেই রয়ে গেছে সেই গুরু রহস্য ।।

বাস্তবে এখনও মাধবীলতা কিংবা হয়তো বনলতাও আছে শুধু আমাদের দেখার চোখ নেই বলে আমরা দেখতে পারিনা। বা সময় খুইয়ে দেখতে চাইনা, জানতে চাইনা।

লেখাটির জন্য ভালো লাগা রেখে গেলাম। ভাল থাকুন সব সময় কবি।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
আপনার মন্তব্যটা কয়েকবার পড়ে ফেললাম, কি দিয়ে প্রতিত্তুর লেখা শুরু করব বুঝতে পারছি না একদম। আপ্নার মন্তব্যের ঐ লেভেলে গিয়ে চিন্তা করে প্রতিত্তুর লেখার যোগ্যতা আমার নেই। শুধু একটু বলতে পারি আমি সামান্য একটা উপন্যাস নিয়ে চিন্তা করে তার সাথে আমার ছোট্ট এই জীবনে দেখা কিছু ছবির সাথে মিলিইয়ে দুম করে পোষ্ট লিখতে বসে গেছি। আপনার মন্তব্য পড়ে এটুকু সত্যিই ফিল করলাম আপনি বাস্তব যে নারীর ত্যাগের কথাটা লিখেছেন তারা কিছু ক্ষেত্রে মাধবীলতাদের থেকেও অনেক সাহসী। আমি স্বীকার করতে বাধ্য হলাম “দেখার মত চোখ আমাদের নেই”। মাধবীলতা মানে আমি হয়ত একটা প্রমিকা চরিত্রকেই বেশি জোর দিয়েছি। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার এই সুচিন্তিত মন্তব্যটুকুর জন্য।

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাধবিলতারা উপন্যাসেই থাকেন কেবল- এই উক্তি হয়তো সম্পূর্ণ সত্যের কাছাকাছি নয়। বাস্তবের মাধবিলতারা একটু হয়তো অন্য রকম হন, হয়তো একটু বাস্তববাদী, একটু হতাশাবাদি, কিন্তু আছেন।

আমারও খুব প্রিয় চরিত্র ইনি। ধন্যবাদ তাকে নিয়ে লেখার জন্যে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
আমার বয়েস খুব বেশি না… এই অল্প বয়েসে কাচা দৃষ্টি দিয়ে মাধবীলতাকে পায়নি। হয়ত মাধবীলতা আছে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে চিন্তার এই খোরাক টুকু জোগাড় করে দেবার জন্য।

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

সকাল রয় বলেছেন: অসাধারণ

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সকাল রয়।

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২

তানজির খান বলেছেন: খুব চমৎকার লিখছেন। তবে বাস্তবে মাধবীলতাদের খুজে পাওয়া মুশকিল। ভাল লাগল লেখা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানজির খান… ভালো থাকবেন।

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা সাক্ষাতকার পড়েছিলাম সমরেশ মজুমদারের| সেখানে তিনি বলেন, হুবহু মনে নেই, ভাবার্থটা বলছি, ছেলেরা মাধবীলতাকে পছন্দ করে এজন্য যে তারা যা চায় মাধবীর মধ্যে তার সবটুকু আছে| শান্ত, সুন্দরী আবার রাজনীতি সচেতন| অর্থ্যাৎ সে রাঁধে, চুল বাঁধে আবার রাজনৈতিক আলোচনাতেও পিছপা নয়| একেবারে পার্ফক্ট যাকে বলে| ছেলেরা তো এমন মেয়েই পছন্দ করে|
সত্যি বলছি, ওর প্রেমে আমিও পড়েছিলাম|
কালপুরুষ তাই মেনে নিতে পারিনি| অর্ক যদিও অসাধারণ এক ক্যারেকটার| তবুও লতার মাতৃরুপ আমার কাছে অসহ্য লেগেছে| তাকে প্রেমিকা হিসেবে ভাবতে, দেখতে চাই|
চমৎকার লিখেছেন

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
ভাই … পিডানী খাওয়ার ভয়তে এই কথাটা অনেকের কাছেই বলিনি। কিন্তু আপনি কত সাবলীল ভাবে বলে দিলেন। হা হা হা । সত্যিই লতার মাতৃরূপ টা ভালো লাগেনা, কালবেলার আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই… খুবই সুন্দর।

১৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

আমি ইহতিব বলেছেন: দারুণ লিখেছেন, বিকেলে অফিস থেকে বের হবার সময় চোখে পড়েছিল আপনার লেখা। সময় স্বল্পতায় পড়া হয়নি। এখন খুঁজে বের করে পড়লাম।
নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছিলাম। সমরেশের বইগুলো নিয়ে কত কত দিন কাটিয়েছি ঘোরের মধ্যে। একটা বই পড়া শুরু করলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি লাগতোনা। মাধবিলতার চারিত্রিক দৃঢ়তা ছিল মুগ্ধ করার মত, তবে সমরেশের লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র দীপাবলি।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে দেখে খুবই ভালো লাগল। কিন্তু আপনার দীপাবলির ব্যাপারে আমি ভাই অজ্ঞ। আচ্ছে, এটাকে এসাইন্মেন্ট নিলাম … আপনার মন্তব্য পড়ে কৌতুহল হচ্ছে খুব। ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

১৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

রিকি বলেছেন: কালবেলা আর কালপুরুষ পড়ে কষ্ট পেয়েছিলাম, উত্তরাধিকার বিরক্ত লেগেছে (আমার অনিমেষকে ভালো লাগে না), মৌষলকাল পড়িনি এখনও। মাধবীলতা এমন একটা চরিত্র যার সাথে কেমন যেন একটা মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিলো (কল্পনায় ভেবেছিলাম কখনও না কখনও লেখকবাবু একে সুখের মুখ তো দেখাবে, যা হয়নি)। অনিমেষ প্রচণ্ড পরিমাণে মেজাজ খারাপ করা চরিত্র লেগেছে (আমার কাছে, আমার এই ধরণের ভাবের মানুষ/ চরিত্র ভালো লাগে না কখনও)...সমরেশ মজুমদারের নক্সাল আর বামফ্রন্ট প্রবলেম আছে, অনিমেষকে নায়ক ভাবলে কেন জানি রাগ সংবরণ করতে পারিনা।

মাধবীলতারা বাস্তব না কল্পনা বলতে পারবো না----তবে মাধবীলতার অনিমেষরা বাস্তব । B:-/ পোস্ট দেখে মিতা নষ্টালজিক হয়ে পড়লুম তাই কথাগুলো বললুম !!!!! :) অনেক অনেক ভালোলাগা রইল পোস্টে :) :)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হা হা হা … অনিমেষের উপর আপনার রাগ দেখে হো হো করে হেসেছি। প্রথমে বলি মিতা, আমরা বিজ্ঞানে কিছু থিওরী পড়েছি … এই ধরুন Newton’s Law Of Motion কিংবা রসায়নের দিকে গেছে অজশ্র পাওয়া যাবে । এই থিওরী গুলোর বিশেষত্ত্ব হল বাস্তবে এদেরকে কখনো পরীক্ষা করা যায়না, এই যেমন পরম শূণ্য তাপমাত্র। এরা আদর্শ অবস্থা, বাস্তবে অন্যভাবে এদেরকে পরীক্ষা করা হয়। তেমনি কম্যিউনিজম আমার কাছে খানিকটা থিওরীর মতই লাগে… বাস্তবে ফলাতে গিয়ে খেয়াল করুন চীনে মাও সে তুং কি অবস্থা করেছেন… কত লক্ষ মানুষ মরেছে। এই মানে এই না সাম্যবাদ খারাপ, এটা খুবই সত্যি যে আপনি আমি মাত্রাতিরিক্ত ভালো আছি বলে পৃথিবীতে অনেক মানুষ খারাপ আছে। তাদের মৌলিক নীতি গুলোতে আমার আপত্তি নেই, তবে উপরে দিকে গেলে যেমন বস্তুবাদ কিংবা মেটেরিলিয়াজম। একদম মানা যায় না, তখন এগুলোকে খুব ঠুনকো অবাস্তব থিওরীর পাতা বলে লাগে। আর নক্সাল কিন্তু সরাসরি মার্ক্সবাদে না যেয়ে বরং মাও সে তুং এর বিপ্লব গুলোর দিকে বেশি ফোকাস করে ফেলেছিল। আর ভুলে গিয়েছিল ভারতবর্ষ চীন না, আর বিপ্লব করতে জন সম্পৃক্ততা লাগে। উপন্যাসে অনিমেষের যে পরিচয় পাওয়া যায় তাতে সে মার্ক্সবাদ বা লেনিনবাদ খুবই ভালো জানত। কিন্তু তারপরও সে বামফ্রন্ট ছেলে নক্সালে যোগ দেয় … এটাই তার আদর্শের পরিচয় ছিল। সে পারত আধা সামন্ততান্ত্রিক আধা ওপনিবেশিক শাসনব্যাবস্থাকে মেনে নিতে… কিন্তু সে তা করেনি। হয়ত নক্সালরা সমাজের খারাপ চেয়েছিল এমন কিন্তু মোটেও না, কিন্তু তাদের চাওয়ার পদ্ধতিটা ভুল ছিল। আর অনিমেষ সেখানে আপোষ করেনি। মন্তব্য একটু বড় হয়ে গেল বলে দুঃখিত, অনিমেষ আমার আরেকটা ফেভারিট চরিত্র বৈকি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি … অনিমেষ ভালো ছেলে ( হা হা হা হা ) । অনেক ধন্যবাদ মিতা মন্তব্যের জন্য মিতা।

১৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নস্টালজিক উপন্যাসের নাম কালবেলা কালপুরুষ উত্তরাধিকার সিরিজ। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এইসব উপন্যাস যেভাবে গোগ্রাসে গিলতাম কলেজলাইফে সেরকম করে আবার পড়া শুরু করে দেই।
ভালো লেগেছে আপনার লেখা, বিশ্লেষণ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা মন্ময়। আপনার মন্তব্য পড়ে আমারো কলেজ লাইফে সেই গোগ্রাসে বই গেলার দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল।

১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: উত্তরাধিকার পড়েছিলাম ক্লাস টেনে থাকতে। এ সময়ের অনিমেষের সাথে অনেক কিছুই মিলে যেত। অনিমেষ কে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছিলাম, বড় কিছু করবে জীবনে। প্রেমে পড়েছিলাম মুভিং ক্যাসেলের মেঝো মেয়ে উর্বশীর। রম্ভার মতন মেয়ে অনেক মিস করেছি সেই বয়সে! কালবেলা ভালো লেগেছে একমাত্র মাধুবীলতার কারণে। সবসময় মনে হতো, ইশ! আমার যদি একটা মাধুবীলতা থাকতো! আমার প্রথম গার্লফ্রেন্ডকে তাই আমি মাঝে মাঝে মাধুবীলতা বলে ডাকতাম। কিন্তু কথা সত্য, মাধুবীলতা কেবল গল্প উপন্যাসেই পাওয়া যায়। মাধুবীলতার মত নিস্বার্থ ভালবাসা কেবল অনন্ত জলিলের সিনেমাতেই পাওয়া যায়!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
পড়ছিলাম আপনার মন্তব্য আর মিটিমিটি হাসছিলাম, তবে লাস্টের লাইনটাতে আচমকা পাঞ্চ পেয়ে চমকে উঠেছি… হা হা হা । আচ্ছে এখন কি অবস্থা ভাই ??? কাউকে কি মাধবীলতা ডাকছেন ?? আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: চমৎকার!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি। ভালো থাকবেন ।

২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বইটা পড়া হয়নি । এই লেখাটা পড়ে বইটাও পড়তে ইচ্ছা হলো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন:
ফিলিং প্রাউড ম্যাম … যে লেখাটি পড়ে আপনার বইটি পড়তে ইচ্ছা করছে। অবশ্যই পড়ে নিবেন, আমি গ্যারেন্টি দিচ্ছি আপনার সময় বৃথা যাবেনা, এবং অনেক ভালো কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হবে ঐ বইটি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সমরেশ মজুমদারের কালবেলা, কালপুরুষ ও উত্তরাধিকার বই ৩ টা শেষ করেছিলাম সম্ভবত ১৫ দিনের কম সময়ে। হিরোইনে আসক্তরা হিরোইন না পেলে যেমন পাগল হয়ে যায় আমার অবস্থা হয়েছিল ঠিক তেমনি। একটা বই শেষ করে অন্যটার জন্য। নিজের আর্থিক সেই সামর্থ্য ছিল না যে ৩ টা বই এক সাথে কিনে ফেলি। ফলে বন্ধুদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছিল।

এই সিরিজটা পড়ার সময় তরুণ বয়সে ছেলেদের মধ্যে ১% ও পাওয়া যাবে না যে কিনা কিছু সময়ের জন্যও অনিমেষ হতে চায় নি আর মাধবীলতার মতো একজনকে প্রেয়সী হিসাবে পেতে চায় নি। মেয়ে পাঠকদের মাঝে খুব কমই পাওয়া যাবে যে হতে চায় নি মাধবীলতার মতো পারসোনালিটি সম্পন্ন একজন তরুণী।

কালবেলা, কালপুরুষ ও উত্তরাধিকার, প্রথম আলো, মানবজমিন, গর্ভধারনী, পূর্ব-পশ্চিম, দূরবীন বই গুলো আর একবার পড়ার ইচ্ছে আছে নিজের একাডেমিক পড়ালেখার পাট চুকিয়ে। জানিনা প্রথম বারের মতো অনুভূতি পাবো কি না। মানুষের আবেগটা সবসময়ই বয়সের সাথে সম্পর্ক যুক্ত।

২২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৮

চাঁনপুইরা বলেছেন: " মানুষের আবেগটা সবসময়ই বয়সের সাথে সম্পর্ক যুক্ত" অনেকাংশেই সত্যি , তবে মাঝে মধ্যে পারিপার্শ্বিকতার ও কিছুটা প্রভাব আছে। আর সে কারনেই হয়তো সমরেসের অনবদ্য সৃষ্টির একটি ' মাধবীলতা' নিয়ে উপরোক্ত লেখাটি দেখার পর কিছু বলতে গিয়েও তা হয়ে উঠেনি।

২৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: হা হা হা.... ভাই, বিয়ের জন্য খুঁজি মাধুবীলতা, প্রেম করার জন্য রম্ভা হলে বেশি ভালো হয়! একজন আছে, তাকে মাধুবীলতা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি, উনি চেষ্টা চালাচ্ছেন সেরকম হবার!

আপনি আমার পুরোনো প্রেম মনে করিয়ে দিলেন , তাই উপহার হিসেবে শেষ লাইনে একটু পাঞ্চ দিলাম আরকি!
ভালো থাকবেন।

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মৌষলকাল সংগ্রহ করে রেখেছি| পড়ার আগ্রহ হচ্ছে না| ফ্লাপে দেখেছি, রিভিউয়ে পড়েছি, মাধবী সমরেশ এখানে বুড়া বুড়ি| ক্যামনে পড়ি!

২৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

জেন রসি বলেছেন: কালবেলা আমার খুব প্রিয় একটি উপন্যাস। পড়ার সময় মনে হচ্ছিল সেই সময়টাকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। উপন্যাসের শেষে এসে পেয়েছি বিপ্লবের আরেক না মাধবীলতা! সমরেশ হয়তো এভাবেই ভাবতে চেয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.