নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য

মনিরুজ্জামান শুভ্র

মনিরুজ্জামান শুভ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ও জঙ্গিবাদ

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫২

নিরীহ কিছু মানুষ মেরে কি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা যায়? ধর্মের নামে যারা মানুষ মারে তারা আসলে ধর্মের মুখোশ পড়ে পৃথিবীকে অশান্ত এবং ধর্মী ভাবে উম্মাদনা ছড়ানোর গভীর ষড়যন্ত্রেলিপ্ত। প্রতিটা ধর্মই একই সুতোয় গাঁথা ... প্রতিটা ধর্মই বলে মানবতার কথা, যেখানে প্রতিটা ধর্মগ্রন্থেই বলা আছে মানবাতার মুক্তির কথা, আমি আজ শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ পবিত্র কোরানেরই কিছু আয়াত এর রেফারেন্স দিবো । পবিত্র কোরআন- এ বলা আছে,
“ তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিওনা’’
সুরা নিসা -আয়াত-১৭১
“ যদি কেউ কাউকে হত্যা করিলো বিনাকারণে(হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম) সে যেন পুরো মানব জাতিকে হত্যা করলো। আর কেউ যদি কাউকে বাঁচালো (হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম) সে যেন পুরো মানব জাতিকে বাঁচালো।’’
সুরা মায়েদা-আয়াত-৩২
আমি প্রায় একটা কথা শুনি তা হল আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য জিহাদ করা ফরজ।
আমি তাঁদের কাছে প্রশ্ন রাখি, যে আল্লাহ্‌ এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছে যে রব আমাকে, আপনাকে সবাই কে সৃষ্টি করেছে, এই আকাশ, গ্রহ, নক্ষত্র সব কিছু সৃষ্টি করেছে সেই আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এই দুনিয়ার মাটিতে জিহাদ করতে হবে? যে সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্‌ এই মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা সেই আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার কথা বলে আল্লাহু আকবর বলে মানুষের গলায় ছুড়ি চালানোটা কি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি উপহাস করা নয়?
হিন্দু পুরোহিত, খ্রিস্টান যাজক, বিদেশী নিরীহ মানুষদের এইভাবে হত্যা এটা কোন ধর্ম কোন কর্মই স্বীকার করে না। পবিত্র কোরআন বলেছে,
“দ্বীনের ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। নিশ্চয়ই সত্য ও হেদায়াত, ভ্রান্তি ও গোমরাহি থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছে।’’
সুরা বাকারা- আয়াত – ২৫৬
এই একটি মাত্র আয়াতই যথেষ্ঠ ইসলাম ধর্ম কাওর উপর জোর করে চাপায়ে দেওয়ার ধর্ম নয় । ধর্মের নামে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য অবশ্য আমদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে হবে। প্রতিটা মসজিদের ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের সচেতনার সাথে সাধারণ মুসুল্লি এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের ইসলামের শান্তির কথা বুঝাতে হবে, প্রয়োজনে সরকারকে বিষেশ ব্যবস্থা নিয়ে ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবিস্থা করতে হবে। প্রতিটা স্কুল কলেজে জঙ্গি বিরোধী প্রচারণা এবং এটি যে ধর্মের কোন অংশ না তা ছাত্র ছাত্রীদের কে বোঝাতে হবে। জঙ্গিরা যদি সাধারণ মানুষগুলোকে ব্রেনওয়াশ করতে পারে আমরা কেন তাঁদের সঠিক রাস্তা দেখিয়ে এই পৃস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব না। আমি পবিত্র কোরানের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করছি।
“ যখন সত্য এসেছে তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে কেননা মিথ্যাতো বলুপ্তি হওয়ার ই জন্য।”
সুরা ইসরা- আয়াত-৮১

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআনে যেমন মানবতার কথা আছে তেমন জঙ্গি হওয়ার কথা আছে। মানবরচিত কিতাব হওয়াই বহু সাংঘর্ষিক বক্তব্য রয়েছে। যিনি যেভাবে বোঝেন তিনি সেভাবে ব্যখ্যা করেন।
যাদেরকে জঙ্গি বানানো হয়েছে তাদের মাষ্টার মাইন্ডরা যদি তাদেরকে জঙ্গি হওয়ার পক্ষে কুরআন থেকে কোন নির্দেশনা না দেখাতে পারত, তাহলে তারা জঙ্গি হত না।
যতদিন মানুষ এ পুস্তক মানবে ততদিন এর অনুসারীদের একটি অংশ জঙ্গি হবে।
’মুসলিম আমি,সংগ্রামি আমি, আমি চির রনবীর’
এসব গান রনবীরের (জঙ্গিদের) জন্ম দিতে সহায়তা করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.