নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওঙ্কার..............

কতো কী করার আছে বাকি..................

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র

সব কিছু খর লাগে

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানি নিয়ে যে আলোচনাটি হতে পারত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৯

মুসলমানদের উৎসব কোরবানি নিয়ে সাম্প্রতিক একটি আলোচনায় অংশ নিয়েছিলাম ভালো-মানুষের একটি পুরোনো পোষ্টে। পোষ্টটি অনেকদিন পর চোখে পড়লেও অনেক আগ্রহ নিয়ে কথাবার্তা শুরু করতে চেয়েছিলাম। সেজন্য কৌশলে লেখকের সামনে কিছু প্রশ্নও তুলেছিলাম। আমি চাইছিলাম লেখক আর আমার মধ্যে আলোচনা হলে আমার না জানা বিষয়গুলো জেনে নিতাম এবং এরপর আমার আলোচনাটা তুলে ধরতাম। কিন্তু পোষ্টে অন্যান্য ব্লগারদের জোর উপস্থিতি আমার আলোচনা দানা বাধতে দেয়নি।



আসলে কোরবানির ইতিহাস কিংবা এর তাৎপর্য সম্পর্কে আমার জানা বোঝা তেমন একটা নেই। বা এর নিয়ম কানুনও জানি না। কিংবা সময়কাল এবং সেই সময়কার আরবের সামাজিক ও সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও ধারণা নেই। ফলে এই উৎসব সম্পর্কিত আলোচনার আরো একটা উদ্দশ্য বিষয়টি জানতে ব্লগারদের সহযোগীতা। এই ইতিহাস এবং তাৎপর্যটুকু জানলে আমি ভাবনাগতভাবে ঋদ্ধ হতে পারতাম। রোজার ঈদ যেভাবে সেই সময়কার আরব প্রতিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেয় কোরবানি সেরকম কোন ধারণা আমার মধ্যে তৈরি করতে পারেনি। বা অন্যান্য যেসব উৎসব মুসলমানরা পালন করে সেগুলোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট কিংবা সমাজবাস্তবতা অথবা সামজিক দ্বন্দ কিংবা শৃঙ্খলাহীনতা তৎকালীন আরবের প্রেক্ষাপটে যুতসই মনে হয়। কোরবানির বিষয়টি সেই অর্থে পরিষ্কার হতে পারছিনা বলেই এই পোষ্টের আয়োজন। এখানে যে বিষয়টি পরিষ্কার করা জরুরি তা হলো স্রেফ বিতর্ক বা বিরোধীতা নয়-সাম্প্রতিক কিছু অধ্যয়ন থেকে এবং ব্লগের আলোচনা দেখে এই পোষ্ট, যার উদ্দেশ্য আলোচনা এবং জানতে চাওয়া।





ওই পোষ্টটিতে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম যে, অন্যান্য কিছু ধর্মীয় বা সামাজিক গোষ্ঠিও পশু হত্যা করে। বা বলি দেয়ার বিধানও আছে, মজার একটি তথ্য পেলাম যে ভারতবর্ষে স্ত্রী পশু বলি দেয়ার বিধান নেই। যাইহোক, কিন্তু বলি বা উৎসর্গ এতো ব্যাপকহারে হয় না-কোরবানি যেমনটা হয়। সারা বিশ্ব মিলিয়ে অজস্র-অসংখ্য গরু কিংবা উট কোথাও ছাগল বা ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেয়া হয়। এরপর সেই পশুর মাংস নিয়মমত বিলি-বন্টন বা নিজেরা মিলে খাওয়ার মধ্য দিয়ে

উৎসবের দিনটি পালিত হয় আরো কিছু ব্রত পালনের মাধ্যমে। কিন্তু যে বিষয়টি আমার খটকার কারণ-শুধু ইসলাম কেন অন্যান্য যে কোন ধর্মেই উৎসব পালনের যে সামাজিকতা থাকে তাতে সকলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা থাকে-মুল বিষয়ে না হোক অন্তত চৌহদ্দিতে বা ছোটখাটো পরিসরে হলেও নিম্নবিত্তের মানুষেরা তা পালনে সমর্থ্য হয়। যেমন রোজার ঈদে অন্তত সেমাই-চিনি অনেকেই কিনতে পারেন বা ফুটপাথ থেকে জামাকাপড়। ফলে এই ঈদ যে উৎসব বা স্বস্থ্য একটা পরিবেশ তৈরি করে কোরবানি তা পারে না। কারণ ফুটপাথের জামার দরে গরু কিনতে পাওয়া যায় না। অনেকেই যারা নিজেরা কোরবানি দিতে পারে না তারা অন্যের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকে-ফলে তার জন্যে এটা উৎসব হয়ে দেখা দেয় না। কারণ তার শুন্য হাতের কাঙ্ক্ষা সবসময়েরই, এর জন্যে ঈদ বা উৎসব উপলক্ষ্য হিসেবে প্রয়োজন হয় না। অথবা রোজার ঈদের পূর্বে রমযান যে গাম্ভীর্য্য এবং সংযমের পরিবেশ তৈরি করে কোরবানিতে তেমন পরিবেশতো দেখি না। রোজার ঈদ বা নামাজ পড়া কিংবা নামাজ পড়ার পূর্বে পবিত্রতার বোধ থেকে অজু করা অথবা অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব যেগুলো আছে সবগুলোতেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি বন্দনা বা আরাধনা-একাগ্রতা-ধ্যানমগ্নতা আছে, এটা বোঝাই যায়। কোরবানিতে কেন যেন সেই আমেজটা দেখিনি। যে কেউ নামাজ পড়লে বা অজু করলে যে পবিত্রতা বোধ করে, গরু জাবইয়ের পর সেই পবিত্রতার বোধ কখনোই তার মধ্যে তৈরি হতে শুনিনি। অনেক শিশু বা বয়েস সন্ধিকালের কিশোরদের এই সংক্রান্ত মনস্তাত্ত্বিক বোধটাও আমাকে অনেক সময় সংশয়ে ফেলেছে। এটা যদি তার মধ্যে খুনে মানসিকতা তৈরি নাও করে তথাপি গরুকে সে জবাইয়ের পশু বৈ অন্য কিছু হিসেবে ভাবতে পারে না।



তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষকে নিয়ে যে উৎসব তাই অনেক বেশি উৎসব বা পালনীয় হয়ে উঠে। যেমন নামাজ, যে কোন পরিষ্কার জায়গাতেই তা পড়া যায়। এবং এর অনেক মনোদৈহিক তাৎপর্য অবশ্যই আছে-অজুও তাই। শব-ই-বরাত কিংবা এই সমস্ত ধর্মীয় আচারিরা সারারাত এবাদত করার মাধ্যমে মানসিক স্থৈত্য অর্জন করে। [এগুলো সম্তই আমার নিজস্ব ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ-বিরোধীদের মতকে গুরুত্ব দিবো।] কোরাবানি অনেকটাই তাড়াহুড়োর মাধ্যমে পালন করা হয়। কেউ ঠিক ঈদের আগের দিন বা তার আগের দিন অনেকেই ঈদের দিনও পশু কিনে তা জবাই করে। এটা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার মতো করে পালন করা হয়। তাছাড়া এখানে সাম্য থাকে না। কারণ অনেকেরই সামর্থ্য থাকে না কোরবানি দেয়ার। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই বঞ্চিত হয় এই উৎসব পালন থেকে। অন্য কোন ধর্মীয় রীতিতে এমনটা দেখা যায় না। এবং অন্যান্য ঈদ বা উৎসবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করলেও এই উৎসবে তারা দূরেই থাকে।





সেই পোষ্টে আমি আরো যা বলেছি যে, তাইলে কি বিষয়টা এমন হলে ভালো হয়-কোন এলাকায় বা গ্রামে-পাড়ায়-মহল্লায় যতো মানুষ থাকে সবাই মিলে সমান ভাগের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গরু কোরবানি দিবে। যাদের সামর্থ্য নেই পাড়ার লোকেরা মিলে তাদেরও যুক্ত করবে সেই কোরাবানিতে। এটা একটা পন্থা কি হতে পারে। কোরবানির পশুর চামড়া নিয়েও এক দক্ষযজ্ঞ বেধে যায়-এবং যারা কোরবানির পশু কেনে তারা চামড়া বিক্রির দরদামে বেশ উৎসাহী থাকেন। সাধারণত এতিমখানার লোকেরাই এইসব চামড়া কিনে নিয়ে যায়। এতিমখানাগুলোর জন্য এটা একটা বড়ো অর্থ আয়ের উৎস। কিন্তু মৃত পশুর চামড়া বিক্রি করে এতিমখানার বাচ্চারা ভাত কিনে খাবে বিষয়টা কেমন যেন-অন্তত একটা ধর্মীয় উৎসবের দিনে। তাদের যখন দেখি চামড়ার জন্যে দাঁড়িয়ে থাকতে, তখন কেবলই মনে হয় কোরবানি তবে সবার জন্যে আসে না। এই এতিমখানার লোকেরা সবার সাথে মিলে একদিন গরুর মাংস খাবে-সেই দিনটি কি কোরবানির ঈদ হতে পারে। জানতে চাইছি।



অনেকেই প্রাত্যহিক মাছ-মাংস খাওয়ার সাথে কোরবানির তুলনা করেছেন সেই পোষ্টে। আমি মনে করি দুটো সম্পূর্ণই ভিন্ন বিষয়।



আসলে প্রশ্নগুলো মাথায় কেমন ছুটোছুটি করছে। তাই এই পোষ্ট। আশা করছি আলোচনায় আপনারা উৎসাহ পাবেন।

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১৩/-২

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আমি একটু ব্যস্ত-এই পোষ্টটা দেয়ার একটা মানসিক তাড়া ছিল। তাই দিয়ে গেলাম। আলোচনায় অংশ নিতে দু'একদিন দেরি হবে। আর যাদের পোষ্ট পড়তে পারিছি না, জমিয়ে রাখুন শীঘ্রই পড়বো।

ভালো থাকুন সকলেই।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৫

রুবেল শাহ বলেছেন: ভাল লাগা রইল...................

ভাল থাকা হউক অনেক অনেক ভাল.............

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: নিরন্তর ভালো থাকুন।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৫৩

নাজিম উদদীন বলেছেন: একটা মিথকে ফলো করতে গিয়ে একদিনে হাজার হাজার পশু মারা হয়, এছাড়া সবি ঠিক আছে। ভারতে হিন্দুরা একসময় গরু খেত, কৃষির উপর চাপ পড়বে দেখে ধর্মবেত্তারা গরু খাওয়া নিষেধ করে দেয়, এখন তারা খায়ই না উল্টে পূজো করে, একই কারণে বাংলাদেশে পশুবধের উতসব সম্ভব হয়।

০১ লা মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: দুঃখিত আপনার জবাবটি কিভাবে মুছে গেল বুঝতেই পারিনি-এতোদিন পরে খেয়াল হল। বা হয়তো খেয়াল করিনি।

হ্যাঁ মিথ একটা আছে-কিন্তু সে অনেক পুরোনো প্রায় হাজার তিন সাড়ে তিন বছর পূর্বের কিন্তু ওই সময়ে আরব বা যে অঞ্চল নিয়ে মিথ তার অন্য কোন ইতিহাস জানা যায় না। এবং মহানবীর জিবনীতেও কোরবানকে খুব আড়ম্বরভাবে পালনের ঘটনা জানা যায় না। হজ্জ্ব উপলক্ষে কোরবান হত-সবাই মিলে।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৫৫

তনুজা বলেছেন: ভাল পোস্ট শুভ্র

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৩৩

সোজা কথা বলেছেন: নাজিম উদদীন বলেছেন: ভারতে হিন্দুরা একসময় গরু খেত, কৃষির উপর চাপ পড়বে দেখে ধর্মবেত্তারা গরু খাওয়া নিষেধ করে দেয়, এখন তারা খায়ই না উল্টে পূজো করে,

অনলাইনে এটা কোথাও জানা যাবে?

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ভারতে একসময় গরুতো খেতই-এখনও খঅয়, অনেকেই। অনেকেই খায় না। এখানকার মটিতে পশু বলি বা জবাই নিয়ে অনেক কান্ডই ঘটে গেছে। বৌদ্ধ ধর্মের আবির্ভাবের সময় এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তখন সাকি ব্রাহ্মণরা গরু খেতেন-ফলে কৃষির ওপর চাপ বাড়ছিল এবং এর একটা মানবিক দিকও তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু আমাদের দেশে কোরবানির প্রচলন এবং কোরবানির মূল দর্শনের বিষয়টাই আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম।

আমি লিংক পেলে জানাবো। ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৩৫

তনুজা বলেছেন: @ সোজা কথা , 'গোমেধ যজ্ঞ' দিয়ে সার্চ দিলে পাবেন , এখানে দুটো ব্লগ টাইপ দেখলাম , পড়ে দেখেন দুটো দুই মত

Click This Link


Click This Link




তবে ঐতিহাসিক ভাবে এটা খুবই যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয় যে গোমাংস ভক্ষণের রীতি ছিল। নিম্নবর্গের মধ্যে মৃতগরু খাওয়ার অনেক প্রবাদ, মহিষবলি ইত্যাদি ইত্যাদি গল্প সাহিত্যের উপাদান হিসেবে এসেছে অনেক জায়গায় ।

কৃষিনির্ভর ভারতীয় সভ্যতায় কৃষ্ণের সখাত্বের উদাহরণ দিয়ে গরুকে যে ভক্তি আরোপ করা হয়েছে সেটাই এধরণের তথ্যের মনস্তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করে । দ্বিতীয়ত বরাবরই নিরামিশাষী একটি অংশ থাকায় গরুর দুধের উপর একটা বড় নির্ভরতা ছিল। ঋষিদের নিয়ে , তপোবন/আশ্রমগুলোতে মৃগয়া নিয়ে এরকম অনেক গল্প আছে, (মহাভারতেও এসেছে নানা সূত্রে ) একটু গভীরভাবে দেখলে এগুলোকে এক সূত্রে গেথে ফেলা যায়।


বাংলায় সম্ভবত রাজা বল্লাল সেন এর সময় হিন্দুধর্মের
অনেক গুলো প্রচলিত রীতি রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পায়, যেমন জাতিভেদ , প্রাণীহত্যা/ গোহত্যার উপর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি । সারাভারত এত বিশাল যে কিছু বলার নেই, এর কোন অংশে কখন কোন সামাজিক সংকটের প্রেক্ষিতে কি রীতি এসেছে তা বলা মুস্কিল । আজ যেটা হিন্দু ধর্ম, সেটা ইতিহাসের পাতায় একটা বড় ভূখন্ডের নিজস্ব সভ্যতা ছাড়া কিছুই নয়।

তবে আমাদের ছোটবেলা থেকে যতদূর পড়েছি বা জেনেছি, তাতে এটাই প্রশ্নাতীত ভাবে উপলব্ধি হয় যে ভারতীয় সভ্যতায় একসময় গোমাংসকে আর্থসামাজিক কারণে রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
এটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ মৃত সৎকার, ভূমিবন্টন ব্যবস্থা এগুলো নিয়ে আজ আমরা যতই ধর্ম ধর্ম করি না কেন এর উৎপত্তি নিজস্ব ভৌগোলিক প্রয়োজনে।

প্রাচ্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মীয় রীতিতে পার্থক্যের সকল কারণই তৎকালীন জলবায়ু, অর্থনীতি, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের মাঝে নিহিত।



২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আপনার মতামতটি অনেক কাজে দিলো। কিছুই বলার নেই এই বিষয়ে। আমার পাঠের এমন অনেক বিষয় দেখেছি যেখানে পশু মাংস ভক্ষণের রীতি ছিল।

সেন আমলে আসলে হিন্দু ধর্মের এক ধরনের পুনরজ্জীবন ঘটেছে। কারণ এর পূর্বের বিশাল অংশ জুড়েই বৌদ্ধ শাসন এবং দর্শনগত দিক দিয়েও প্রচুর মানুষ বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হয়েছিল। ফলে সেনদের আমলে অনেক কিছুই এসেছে যা হিন্দু ধর্মকে অনেক গোঁড়াা করে তুলেছে। এবং তার পরবর্তীতে ইসলাম এবং তারো পরে ইংরেজদের সময়ে দুই ধর্মই ধর্মের ক্ষমতা প্রকাশের অর্থে সংহত হয়েছে।


আমি আসলে কোরবানির দর্শন এবং এর প্রেক্ষাপট জানতে চাইছিলাম।

কৃতজ্ঞতা।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:০৯

মামুন (শ।কিল) বলেছেন: কুরবানি আমাদের ত্যাগ আর মহানুভবতার শিক্ষা দেয়।এ ব্যাপারে আপনি কুরবানি শর্ত ও কাদের উপর ফরজ তা ঠিকভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন।
Click This Link
Click This Link

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আপনার লিংকগুলে পড়েছি-কিন্তু আমার জানার বিষয়ে এগুলো অপ্রতুল ভূমিকা রেখেছে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:০১

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: না বুঝে কুরবানীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা ঠিক নয়। কুরবানী ত্যাগ ও মহানুভবতা শিখায় (যেমনটি মামুন(শাকিল) বলেছেন। তাছাড়াও কুরবানীর পেছনে আরও একটি লক্ষ্য হলো দরিদ্র লোকদের জন্য বছরের একটি সময়ের জন্য হলেও ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা। তাইতো কুরবানীর মাংসের এক তৃতীয়াংশ দরিদ্রদের মধ্যে বিলি করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এ ছাড়াও কুরবানীর মধ্যে বড় ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জড়িত রয়েছে। যা বর্ণনার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন। একটি কথাই ধরুন, কুরবানীর পশুর দাম সাধারন পশুর চেয়ে অনেক বেশী থাকে । এই অর্থ ধনীর পকেট থেকে কৃষকের পকেটে যায়। অনেক কৃষক একটি বা দুইটি গরু বিক্রির টাকা দিয়ে একটি ঘর তুলতে পারে বা মেয়ে বিয়ে দিতে পারে। .......

কুরবানী শুধু মিথই নয় । এর পেছনে অনেক হেকমত রয়েছে। বরকত রয়েছে। তাইতো প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পশু কুরবানী করার পরও পশুর অভাব হয় না!

অনেক ব্লগারকে দেখা যাচ্ছে, তারা ইসলামী বিধিবিধানের ফিলসফি না বুঝে, ইসলামের শত্রুদের কথাকেই সরাসরি চালিয়ে দেন। এমনটি করলে অন্যায় করা হবে।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে লিখার ইচ্ছা রইল।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: না বুঝে কুরবানীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা ঠিক নয়।
_আমি বলেইছি বিতর্ক নয়-জানতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট।

তাছাড়াও কুরবানীর পেছনে আরও একটি লক্ষ্য হলো দরিদ্র লোকদের জন্য বছরের একটি সময়ের জন্য হলেও ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা। তাইতো কুরবানীর মাংসের এক তৃতীয়াংশ দরিদ্রদের মধ্যে বিলি করার রীতি প্রচলিত রয়েছে।
_ এটা হয়তো কোরবানির নিয়ম। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল রোজার ঈদ যে অর্থে সবার জন্যে সেই অর্থে কোরবানির ঈদ নয়। আর বিলি কারই মূল উদ্দেশ্য নাকি কোরবানি দেয়া মূল উদ্দেশ্য। যার সামর্থ্য নেই সে বিলানো মাংস নিবে-আর যার সামর্থ্য আছে সে বিলাবে। এটা কি কোরবানির মূল তাৎপর্য। এটাতো প্রাত্যহিকতার বিষয়-এটা কেন উৎসব হবে।

একটি কথাই ধরুন, কুরবানীর পশুর দাম সাধারন পশুর চেয়ে অনেক বেশী থাকে । এই অর্থ ধনীর পকেট থেকে কৃষকের পকেটে যায়। অনেক কৃষক একটি বা দুইটি গরু বিক্রির টাকা দিয়ে একটি ঘর তুলতে পারে বা মেয়ে বিয়ে দিতে পারে। .......
_পরিস্থিতি মোটেই এমন নয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে-কোরবানির উদ্দেশ্যই কি এমন যে গরু বা চামড়া বিক্রি করে কৃষক যেন তার মেয়ের বিয়ে দিতে বা ঘর তুলতে পারে। কোরবানির দর্শনে এটা আছে কি-না।

বরকত রয়েছে। তাইতো প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পশু কুরবানী করার পরও পশুর অভাব হয় না!
_কোরবানিতে যে কোন গরু হলেই কি হয়। যেমন আমাদের দেশে কোরবানি মানেই ভারতীয় গরু। দেশি গরু পাওয়া যায় না। এর অর্থনৈতিক দুঃখ বাদ দেই। দার্শনিকভাবেও কি এটাই ঠিক যে বাজার থেকে যে কোন গরু কিনে আনলেই হলো। রোজার ঈদে যেমন মিষ্টি কিছু খাওয়ার একটা রীতি আছে-এবং সেটা সেমাই।


আমাকে কি আপনার ইসলাম বিরোধী মনে হয়েছে। জানাবেন। যেমন জানাবেন কোরবানির দার্শনিক দিকটি। আর আপনার লিখাটি যেন আমার চোখ না এড়ায়-এটুকু বিবেচনায় রাখবেন।

ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: আপনার ব্লগে বারবার এসে ফিরে যাই। তবে না পড়ে নয়, পড়ে। পড়ার পর মন্তব্য করার জন্য যে মনোযোগ দাবি করে ব্যস্ততার জন্য অনেক সময় সেটি হয়ে উঠে না। আপনার লেখার বিষয় ও ভাবনা চমৎকৃত করে। সে জন্য একটা বাড়তি ধন্যবাদ।
.............................................................................................
কুরবানী নিয়ে যে ভাবনাটির অবতারণা করেছেন সেটি আমাকেও ভাবায়। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে বাংলাদেশে এ সময় সব চেয়ে বেশি একই ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান শ্রেণী বৈষম্যটা স্পস্ট হয়ে উঠে।
আবারও শুভেচ্ছা.............................
একটি ভ্রমণ কাহিনী শুরু করেছি। সময় পেলে একবার ঢু মারবার আমন্ত্রণ রইলো
Click This Link

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: কেমন আছেন। আপনার সাথে যোগাযোগ কিছুতেই করা যাচ্ছে না। সময় করে উঠতে পারছি না। লিখাগুলো পড়েছি। পড়েই মনে হয়েছে মুখ থেকে শুনলে অনেক মজা পেতাম।


আসবো কোনদিন অপেক্ষায় থাকুন।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: Eid-ul Azha ('Id-ul Adha) also known as Eid al-Kurban or Eid al-Nahr is one of the two main Muslim religious festivals. In Bangladesh it is popularly known as Kurbanir Eid or Bakra Eid. Eid and Azha are arabic words meaning festival and sacrifice respectively.

Eid-ul Azha commemorates the sacrifice of Hazrat Ibrahim (A), who had been asked by Almighty Allah to sacrifice his dearest son Hazrat Ismail (A) and with the consent of his son Hazrat Ibrahim (A) arranged everything to implement Allah's order at a place called Mina near Mokka in solar year 3800. Allah was satisfied by Hazrat Ibraim's sincere intent and ordered him to sacrifice an animal in place of his son.

Following this event that symbolises highest loyalty and submission to Allah Muslims at Mina and all parts of the world sacrifice animals on the day of Eid-ul Azha as a symbol of sacrifice for Him. Animal sacrifice in the name of Allah is a major feature of Eid-ul Azha. From the sacrifice and through the distribution of sacrificial meat to the poor and distressed, one gets a spiritual satisfaction and pleasure, which obtains a socially festive character.

Kurbani or sacrifice of animals by following the example of sacrifice by Hazrat Ibrahim (A) at Mina is wadib or obligatory (according to many, sunna Muaqqada) for not only those Muslims who perform hajj but also for all solvent Muslims of the world.

Eid-ul Azha is observed on the 10th of Jhu-l-Hijjah and on this day, Muslims who perform the Hajj sacrifice animals on the field of Mina. Sacrifice can also be offered on the following day and according to some, on the third day, too (Ainial Tashriq). Animals offered for sacrifice must be of specific age and are required to be free from certain defects. They should not be blind, have broken legs or horns or ears separated either partially or in full. The time of sacrifice begins following the namaz of Eid-ul Azha and continues up to the sunset of the next two/three days. A camel, cow or buffalo can be sacrificed in the names of seven persons, while a lamb or a goat in the name of one person only. Usually cows, goats and buffaloes are sacrificed in Bangladesh. Some people are also seen to import camels for the purpose of sacrifice.

It is a sunnah on the part of person who to jabah (slaughter) the animal by himself. However, any Muslim can slaughter the animal on his behalf. Two ayats (verses) from the Holy quran (ayats 80 and 163 of surah An'am) are read at the time of jabah. The first of these ayats read: "here I stand with my face towards Allah, who created the Universe and the Earth and I am not one who is a disbeliever in His oneness". The second ayat goes: sure, my salat (prayer), qurbani (sacrifice), and my life and death are all for Allah who is the protector of the whole Universe and He is the one who has no partner". Then it is said generally: "Oh Allah, it is you who have given this animal and it is to you we are sacrificing it, and therefore, please accept the sacrifice". Then the jabah is done by uttering 'Bismillahi Allahu Akbar'. The Holy Quran clearly mentions (22t37): "the blood of the sacrificed animal does not reach Allah, neither its meat; what reaches Him is only your takwa".

In the era of Jahiliya or Dark Age idols were smeared with blood of the sacrificed animals and the meat of the animal was distributed as propitiatory offering. There had been instances of human sacrifice, too. Qurbani eliminated the gruesome practice of human sacrifice forever and also rooted out the custom of smearing idols with the blood of the sacrificed animal and of distribution of the propitiatory offering. At the same time, it had clearly let everybody know that the ultimate meaning of taqwa is that if needd a faithful Muslim can sacrifice all what he possesses, even his own life to Allah. Because "Allah bought the life and possessions of all faithful Muslims in exchange of paradise" (9t100). This is why there is the instruction in the Quran that " and from now you perform namaz and the sacrifice for the Creator, who is your constant protector" (108t2).

One-third of the meat of the sacrificed animal is kept for the owner, one third is given to his relatives and the rest is distributed among the poor. This gives an opportunity to the rich to discharge a responsibility to the poor and also helps in development of cordiality between the rich and the poor. The hide of the sacrificial animal can be used by the owner and donated to others. But it is not jaiz (allowed) to sell its hide, meat, fat or bones and to use the money for one's own consumption (Hidiya, Alamgiri, Shami). The hide or the money received after its sale should be given to the poor or to the poor students of madrasahs and orphanages.

Like all other Muslims of the world, Muslims of Bangladesh celebrate Eid-ul Azha in an appropriate manner of religious fervour and enthusiasm. New clothes and accessories are bought on the occasion. People, dressed in new clothes, visit houses of neighbours and relatives to exchange greetings and partake of the special foods prepared on the occasion. Sometimes, people of other religions also take part in the celebrations as invited guests. A few days are declared government holidays on the occasion. Many go to their country homes and celebrate the Eid together with relatives. The Eid congregational prayer is held in large mosques and open fields. Radio and television broadcast special programmes and newspapers publish special features highlighting the significance of the occasion.

The unique sacrifice of Hazrat Ibrahim Khalilullah (A) and Hazrat Ismail Jabiullah (A) and their firm loyalty to Allah's instructions had a tremendous impact on the world literature. This influence is observed on the literature of the Muslim countries such as those of the Middle-East or Spain and Turkey and also on the non-Muslim literature of Europe. This event of sacrifice had also an impact on the Great Poet Homer of the far away Greece, too. The epic Illiad describes that Agamemnon, who was confined in Aulis took the decision to sacrifice her daughter Iphigenia to please goddess Diana and later, Diana replaced Iphigenia by lamb and Diana was pleased to see the lamb sacrificed etc. only prove that Homer was greatly influenced by the event of qurbani on the field of Mina. The Bengali literature is also significantly influenced by Eid-ul Azha and the most prominent evidence is Qurbani, the classic poem of National Poet Kazi Nazrul Islam.


বাংলাপিডিয়া থেকে। বাংলা ফন্টটা আসে না-তাই ইংরেজীটাই দিলাম। আপনাদের আগ্রহ থাকলে আপাতত এই রেফারেন্স ধরে আলোচনা করতে পারেন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪৯

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: এই লিখায়ও সময়টা পাওয়া যায় না। ৩৮০০ সৌর বছর বিষয়টি পরিষ্কার না(বাংলায় আছে ৩০০০ হাজার সৌর বছর পুরোনো)। ঠিক কোন সময়কালের কথা বলা হচ্ছে। আরব কিংবা আশপাশের এলাকার ইতিহাস বলতে মেসোপটেমিয় সভ্যতার কথা জানা যায়। যা প্রায় ছয় হাজার বছর প্রাচীন। এছাড়া মিশরীয় সভ্যতার কথাও আসতে পারে পরবর্তী ইতিহাসে। কিন্তু আরবের ইতিহাস ওই সময়ে জানাই যায় না। ফলে কোরবানি আসলে কোন সময়কাল থেকে যাত্র শুরু করল এবং মহানবীর সময়ে তা কিভাবে পালিত হল বিসয়গুলো কারুর জানা থাকলে যদি উল্লেখ করতেন, উপকৃত হতাম।

এর বাইরে কোরবানি সংক্রান্ত অন্যান্য আলোচনা পরবর্তীতে করবার আশা রাখছি।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩২

রাজন রুহানি বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্টের জন্য রইল আমার প্রণতি...

মঙ্গলময় হোক প্রতিদিন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। কেমন আছেন।

মঙ্গল কামনায়।

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫২

ভালো-মানুষ বলেছেন: আপাতত লিঙ্কে নিলাম পরে এসে আলোচনায় যোগ দেব। ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫৪

সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
তাইলে কি বিষয়টা এমন হলে ভালো হয়
-----
বিষয়টা একেবারে না থাকলে কেমন হয়?

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: একেবারে না থাকতে বলবে আসলে কারা, যারা পালন করে তারা। কিংবা এটা আসলে ব্যাপক কোন জনমতের বিষয়। তাছাড় এটা ধর্মও বটে। ধর্মকে আর যাই হোক ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

আমি বলতে চাইছিলাম-যারা এর বিপক্ষে তার কারণ অনেক। যারা পক্ষে তারা কি বলেন-সেটাই তালাশ করার চেষ্টা করছি। এবং এমন হওয়ার বিষয়টি বলছি এই জন্য যে, সমাজবাস্তবতা মাথায় রাখতে হয়। তাছাড়া সবকিছু না জেনে সরাসরি বিপক্ষে যাওয়া ঠিক মনে করছি না।

আপনার আপত্তির কারণগুলো যদি বুঝে থাকতে পারি তাইলেও বলবো বিষয়টিকে সামাজিক করার চেষ্টা করাই শ্রেয়।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪২

সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
আমি নিজে একটা মাথা মোটা ধারনা নিয়ে চলি। সেটা হলো ভালো খারাপের কোন পারটিকুলার ডেফিনেশন হয় না। আমরা নিজেরা নিজেদের মত করে ভালো খারাপ ডিফাই করি। খুব বড় পরিসরে চিন্তা করলে ব্যাপারটা আঁচ করতে পারবেন। স্হান কাল সবই এখানে চলক।

সমাজ যা বলবে তাই ধ্রুব সত্য এমন ভাববার কোন অবকাশ নেই আর কী। তাই এই সমাজের একজন হয়ে মধ্যযুগীয় বলি দেওয়ার বিষয়টা সামাজিক করে তোলার কিংবা সেই দিকে চেষ্টা করার কোন কারন খুঁজে পাই না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:১৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আমরা যে নিজেরা নিজেদের মতো ভালো খারাপ ডিফাইন করি সেটাই আমাদের ভালো খারাপ। এই দেশে যারা যুদ্ধ করেছে তারাই ভালো আর যারা সরে ছিলো তারা খারাপই। ইতিহাসই আসলে নির্ধারক-বর্তমান অনেক বেশি ঘোলাটে। আমাদের সমাজের রুচিবোধ-সংস্কৃতির গ্রহণ বা বর্জন খারাপ ভালো নির্ধারণ করে। সেই আমাদের রুচি আর সংস্কৃতির তালাশটা তাই জরুরি, এবং একে মানবিক করে তোলা আরো জরুরি।

আমিও বলি দেয়ার পক্ষে না। কিন্তু সেটা যদি কোন বিশ্বাস থেকে আসে তাকে আমি নাকচ করতে পারি না। বৌদ্ধরা সমস্ত রকম পশু হত্যার বিপক্ষে। বাস্তবিক খেয়াল করলে দেখবেন এক প্রাণী অন্য প্রাণীকে খেয়ে বেঁচে থাকে। এখন মানুষ উন্নত প্রাণী বিধায় পশু হত্যার মচ্ছব করবে আমিও তা সমর্থন করি না। সে জন্যেই কোরবানির ইতিহাসটা জরুরি-কেন এমন একটা উৎসব চালু হল-আমাদের দেশে এর প্রচলন শুরু হল-এটা না জানলে কোন মন্তব্য করতে আমি অন্তত রাজ না। তাছাড়া পশু বলি অন্য ধর্মেও আছে-আমাদের ইতিহাসের আছে-কিন্তু এতো ব্যাপকহারে নেই-পৃথিবীর কোথাও নেই।

আগে বিষয়গুলো জানা জরুরি-আমি সেই চেষ্টাই করছি।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: যে সকল তথ্য সম্প্রতি জানতে পেরেছি- হযরত ইব্রাহিমের বেঁচে থাকার সময়কাল মোটামুটি ২১০০খ্রিঃ পূঃ। ওই সময়ে পূজা চালু থাকলেও-নর বলির নিদর্শন নেই বলেই জানা যায়। ফলে কেন তিনি গরু কোরবানির প্রচলন শুরু করলেন এটা একটা প্রশ্ন।

আর মহানবীর সময়েও কেবল হজ্জ্বের সময়টাতেই কোরবানির প্রচলন ছিল। এবং প্রতি সাত জনে একটা কেরাবানি দেয়ার নিয়ম কবে থেকে কে প্রচলন করেন তা জানা যায় না।



১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬

রাজন রুহানি বলেছেন: রোবটিক চোখে যেন দেখে যাচ্ছি সব;
আনন্দ হাসি গান আর মিছে কলরব

জীবনের চৌহদ্দিতে বসে
কেউ বা সুর ধরে অনায়াসে

আর দিনান্তে আমার মুখে থেমে যায় রব...

(এভাবেই আছি ভাই;
এই জেগে আছি তবু যেন জেগে নাই)

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: এভাবেই থাকি হয়তো
বয়ে চলে বাতাস, উড়েউড়ে ধুলো
ঘুরঘুর ঘড়িরকাটা
সময় একটা আস্ত চাঁড়াল
বেড়েই চলে বিরামহীন
মরে নেই
এটুকু ভাবলেই ভালো আছি।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

খারেজি বলেছেন:


শুভ্র, আপনার মূল পয়েন্টগুলোর সাথে আমি একমত।
কোরবানী উচ্ছেদ করাটা বাস্তবিকই অসম্ভব, চেনা অদূরভবিষ্যতে অন্তত।
কিন্তু এর ফর্মটা পাল্টালে ধর্মীয় কাঠামোর মাঝেই তাকে অনেকটা সহনশীল করা যায়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০১

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ০১ লা মে, ২০০৯ রাত ১২:৩২

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল । বিষয়টি বেশ জটিল ও স্পর্শ কাতর। ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০০৯ দুপুর ১:২২

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: পড়লেন, আপনাকে ধন্যবাদ।

খেয়াল রাখবেন পোষ্টটির প্রতি আরো কিছু আলোচনা যুক্ত হবে।

১৯| ০২ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩

আিমওআমরা বলেছেন: ভাল আছেন?

০২ রা মে, ২০০৯ রাত ৯:১৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আছি। কেমন আছি বুঝতে পারছি না।

২০| ০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:০১

আন্দালীব বলেছেন: লেখক বলেছেন: একেবারে না থাকতে বলবে আসলে কারা, যারা পালন করে তারা। কিংবা এটা আসলে ব্যাপক কোন জনমতের বিষয়। তাছাড় এটা ধর্মও বটে। ধর্মকে আর যাই হোক ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
--------------

এইটা কি ধর্ম? এইটা তো একটা রিচুয়াল বা ধর্মাচরন মাত্র। তবে বিষয়গুলো যখন মানি তখন ভাবনা আসে যে - আসলে কি কারনে এগুলো মানি। এগুলো ধর্মের সাথে জড়িত বলেই? নাকি সামাজিকতার সাথে জড়িয়ে গেছে বলে?

যাইহোক, বিবিধ কারনেই কুরবানীপ্রথা ভালো লাগে না।
কবি মাহবুব কবির (সম্ভবত) বলেছিলেন - "ছুরি উৎসব" এরকম কিছু...

তার সাথে দ্বিমত নেই।

প্রথাটি অপ্রয়োজনীয় বলেও মনে হয় কখনো।

০৩ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ধর্ম অবশ্যই সামাজিক-ধর্মবিরোধীরাই সবসময় সমাজ বিচ্ছিন্ন থেকেছে। সে আলোচনা ভিন্ন, কারণ এতে তাদের ব্যর্থতা এবং বিরুদ্ধ শক্তির স্বৈরতান্ত্রিকতা এবং আরো অনেক বিষয় যুক্ত আছে।

কোরবানি কেন যেন অন্য সব ধর্মীয় আচারের সাথে মেলে না। এটাই আমার আলোচ্য বিষয়। আমার মনে হয়েছে কোরবানিকে পরিসরে কমিয়ে আনা যায় এবং তাকে অনেক বেশি সামাজিক করে তোলা যায়।

ধন্যবাদ।

২১| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: এই বিষয়ে নাস্তিকের ধর্মকথার একটি লিংক-

Click This Link

০৪ ঠা মে, ২০০৯ দুপুর ২:২৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: সাদিক মোহাম্মদ্ আলমের একটি লিংক-


Click This Link

২২| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯

প্রতিধ্বনি, তুমিতো বলেছেন:

শুধু ধর্মিয় কারনে পশু হত্যা প্রহনযোগ্য নয় আমার কাছে। এর অর্থ এই নয় যে আমি নিরামিষাশি। কিন্তু পশু হত্যা করে ত্যাগের মহিমা প্রকাশ হাস্যকরই বটে।

আমার মনে আছে, চাঁদপুরে মেহের নামক একটি যায়গায় বেশ আড়ম্বর করে কালী পুজা হয়, সেই সাথে চলে পাঁঠা বলি। সারাদিন চলে। ঐটা দেখে আমি রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। নারকীয় বিষয় ছিল সেটা।

০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ধর্মতো একটা কারণ বটেই-একে উপেক্ষা কে করতে পেরেছে। যে কোন কারণেই হোক পশু বলির রেওয়াজ নানা ধর্মেই আছে। এটা আসলে পশু হত্যা না হয়ে উৎসর্গ হিসেবেই প্রচলিত। যেমন মান্দিদের দেবতা মহিষ আবার উৎসবে তারা মহিষ বলি দেয়। তাদের ভাষ্যে উৎসর্গ।

কিন্তু কোরবানিতে এটা এতো অধিকমাত্রায় হয় যে তা অমানবিক হয়ে ওঠে। এবং এই ব্লগেই অনেকে আছেন-যারা লিখেছেন-রক্ত ধারা বইয়ে দিলে পবিত্রতা জেগে ওঠে-এমন কিছু একটা। আমি আসলে সেই মতামতগুলোর বিরোধীতা করতে চাই।

যতদূর জানা যায় মহানবীও কেবলমাত্র হজ্জ্ব উপলক্ষেই কোরবানি দিতেন। এতো অসংখ্য গরু কুরবানির কি মানে আছে। এটাই আমার জিজ্ঞাসা।

২৩| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬

কানা বাবা বলেছেন:
আমার্কাচে তো এইসব মূলত আজাইরা খুনাখুনি মুনয়...
এর 'তথাকথিতো' পজিটিব দিকগুলাও বিচরায়া বিচরায়া বাইর কোর্তে অয়...
ওবিশ্যি আমার এলেমে কুলায় না- ইরামেরও হৈতারে...

০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: নেগেটিভ পজিটিভ আমি নির্ধারণ করবো না-আপনারাই করবেন।

২৪| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩

শয়তান বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম ।

০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আশা করছি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারবো।

২৫| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৫:০৫

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম ।

০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আশা করছি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারবো।

২৬| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: তৌরাত শরীফ থেকে-রচনা কাল ১৪৪৫-১৪০৫ খ্রিঃ পূঃ

এখানে উল্লেখ আছে ইব্রহিমের প্রথম স্ত্রী সারা ছিলেন নিঃসন্তান। সন্তানের আশায় সারার নির্দেশে ইব্রাহিম হাজেরাকে বিয়ে করেন। এখানে কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে-ইব্রাহিমের প্রাক্তন নাম ছিল ইব্রাম-যার অর্থ মহান পিতা। মাবুদ তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ইব্রাহিম যার অর্থ অনেক জাতির পিতা। এবং আল্লাহর নির্দেশে বংশের পর বংশ ধরে ইব্রাহিমের পিতৃত্ব বজায় রাখা ও আল্লাহ্ যেন সকলের আল্লাহ হয়ে উঠতে পারেন সে জন্যে আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম তাঁর প্রথম সন্তান ইসমাইলের পুরুষাঙ্গের আগ্রভাগের চামড়া কর্তনের নির্দেশ পালন করেন। এরপর তিনি ইব্রাহিম তার বাড়ির কাজের পুরুষদেরও এই বিধান পালন করান বলে উল্লেখ আছে। এই বিধানের বিষয়ে আল্লাহ কঠোর ছিলেন বলেই তৌরাত শরিফে উল্লেখ আছে। এবং জন্মের আট দিনের মধ্যে এই কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। ইসমাইলের জন্ম হয় ইব্রাহিমের ছিয়াশি বছর বয়েসে।

খৎনার নিয়ম পালনের জন্য আল্লা ইব্রাহিমকে আরো একটি পুত্র সন্তানের আশ্বাস দেন। এবং তা হবে বিবি সারার গর্ভে। তখন ইব্রাহিমের বয়েস একশো এবং সারার বয়স নব্বই-বলে উল্লেখ আছে।

হাজেরার গর্ভে ইসমাইল জন্ম নেয়ার পর হাজেরার অহংকারে টিকতে না পেরে সারা ইব্রাহিমকে নালিশ করে এবং সারার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে হাজেরা ইসমাইলকে নিয়ে গৃহত্যাগী হয়। এই অংশটুকু পরবর্তী আলোচনায় আসবে বা প্রচলিত ইসলাম ধর্মে এই গল্প অনেকেই জানে।

কিন্তু তৌরাত শরীফ মতে ইসমাইল নয়-ইসহাককে কোরবানির নির্দেশ দেয়া হয়-যার আরেক নাম-সম্ভবত জাওহিদ (ভুলও হতে পারে-তবে নামটা এমনই। এই বিষয় নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। যে কাকে কোরবানির জন্যে নেয়া হয় ইসমাইল না ইসহাক।) এই সংক্রান্ত বর্ণানার কিছু অংশ তুলে দিলাম-

যে জায়গার কথা আল্লাহ ইব্রাহিমকে বলে দিয়েছিলেন তাঁরা সেখানে গিয়ে পৌঁছাালেন। সেখানে পৌঁছে ইব্রাহিম একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করে তার উপর কাঠ সাজালেন। এরপর ইসহাকের হাত-পা বেঁধে তাঁকে সেই কোরবানগাহের কাঠের উপর রাখলেন। তারপর ইব্রাহিম ছেলেটিকে মেরে ফেলবার জন্য ছোরা হাতে নিলেন। এমন সময় মাবুদের ফেরেশতা বেহেশত থেকে তাঁকে ডাকলেন, ‘‘ইব্রাহিম, ইব্রাহিম!’’

এরপর ইব্রাহিম জবাব দিলে ফেরেশতা বললেন ইব্রাহিম যে আল্লাহ ভক্ত তা প্রমাণ হয়েছে, কারণ আল্লাহর নির্দেশে অদ্বিতীয় ছেলেকে কেরাবান দিতেও সে পিছপা হয়নি। পরবর্তীতে উল্লেখ আছে-

ইব্রাহিম তখন চারদিকে তাকালেন এবং দেখলেন তাঁর পিছনে একটা ভেড়া রয়েছে আর তার শিং ঝোপে আটকে আছে। তখন ইব্রাহিম গিয়ে ভেড়াটা নিলেন এবং ছেলের বদলে সেই ভেড়াটা তিনি পোড়ানো-কোরবানীর জন্য ব্যবহার করলেন।

এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংযোজন করা যায় যে, ওই সময়ে দেবদেবীদের তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে প্রথম সন্তান বলি দেয়া হত। সে হিসেবে ইসহাক না হয়ে ইসমাইলের পক্ষেই কোরবানীর ঘটনার সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা বেশি। যদিও এই সংক্রান্ত তথ্য বর্তমানে আমার হাতে নেই। তৌরাত শরীফে সেই সময়কার ব্যাভিচারের জন্য সাদুম ও আমুরা নামক শহর আল্লাহ কর্তৃক ধ্বংসের উল্লেখ আছে।

তৌরাত শরীফের লেবীয় নামক তৃতীয় সিপারায় বিভিন্ন কোরবানের উল্লেখ আছে। বনি-ইসরায়েলদের পাকপবিত্র হওয়ার বিষয়ে এখানে নির্দেশ আছে।
যে সমস্ত কোরবানীর উল্লেখ আছে সেগুলো হল-
১.পোড়ানো-কোরবানী
২. শস্য-কোরবানী
৩.যোগাযোগ-কোরবানী
৪. গুনাহের জন্য কোরবানী
৫.দোষের কোরবানী

এছাড়ও এই সমস্ত কোরবানীর নিয়ম কানুন উল্লেখ আছে। আগ্রহীরা জানতে চাইলে সংক্ষেপে উল্লেখ করবো। তবে সময়কাল বেধে দেয়া যাবে না।

০৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১:২০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: কোরআন-

তবে কোরআনে ইব্রাহিমের বহু জাতির পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে-ইহুদিরা বলিত ইব্রাহিম ইহুদি ছিলেন, নাছারারা বলিত নাছারা ছিলেন। আল্লাহ বলেন, তাওরাত ও ইঞ্জিল ইব্রাহিমের (আঃ) অনেক পরে নাযিল হইয়াছে। অতএব তিনি পরবর্তী নবীদের ধর্মাবলম্বী কেমন করিয়া হইবেন। (শানে নুযুল)

সুরা ছাফ্ফাতে উল্লেখ আছে-ইহারা কি লক্ষ্য করে নাই যে, আমি তাহাদের জন্য আমার (কুদরতের) হাতে বস্তুসমূহের মধ্যে চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করিয়াছি, অতঃপর ইহারা এই সমস্তের মালিক হইতেছে। এবং আমি সেই চতুষ্পদ জন্তুগুলিকে তাহাদের বশীভূত করিয়া দিয়াছি, অনন্তর উহাদের কতক ত তাহাদের বাহন, আর কতিপয় কে তাহারা খায়। (৭১-৭২)



আপাতত..বোখারি শরীফে এই সংক্রান্ত উল্লেখ পরবর্তীতে সংযোজিত হবে।

২৭| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১১:০১

নাজিম উদদীন বলেছেন: রাহুল সাংকৃত্যায়নের 'ভলগা থেকে গঙ্গা' সংগ্রহ করতে পারেন, অনলাইনে আছে কি না জানি না। @সোজা কথা

২৮| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: বোখারি শরিফে কোরবান সম্পর্কিত উল্লেখ এখানে তুলে ধরার সময় এবং একাগ্রতা নেই। তাছাড়া আমি ভেবেছিলাম আপনারা কিছু লিংকা বা তথ্য বা আলোচনা করবেন-কিন্তু তা হলো না-আবার আমারও সামনে সময় নেই। ফলে আমার একটা বিশ্লেষণ নিম্নে উল্লেখ করলাম।


...................বোখারি শরীফে কোরবান সম্পর্কিত যে সমস্ত ঘটনার উল্লেখ আছে সেগুলেঅতে সাধারণ কিছু বিষয় আছে। যেমন হজ্জ্ব, মূলত হজ্জ্ব উপলক্ষেই কোরবানী দেয়া হচ্ছে এবং কয়েকজন মিলে সেই মাংস ভেঅগ এবেং বন্টন হচ্ছে। আবার এর মধ্যেই মহানবী বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ বা নিয়ম থৈরি করছেন। যেমন পশূটিকে নিজ হাতে কোরবানি দেয়া বা এর পিঠে চড়ে বসা কিংবা এমন কিছু পালনীয় নিয়ম তিনি বাতলে দিচ্ছেন। যার পক্ষে কোরবানি করা সম্ভব না তার জন্য হজ্জ্ব চলাকালীন তিনটি এবং বাড়ি ফিরে সাতটি মোট দশটি রোযা রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন। এছাড়াও কোরবানী যে মূলত হজ্জ্বের সময়কার তা সমস্তরকম আয়োজনেই উল্লেখ আছে। কিন্তু যে বিষয়টি খেয়াল করবার মতো তা হলো জবাইকৃত পশূর সাথে একটা সম্পর্ক স্থাপন। বোখারি শরীফেই দেখা যায় মহানবী বলছেন-পর্শর পিঠে চড়তে, কোরবানির পূর্বে তাকে আলাদা কাপড়ে জড়াতে, মাথা মুন্ডনের পূর্বে কোরবানী দিতে। এমন অনেক নিয়মগুলো বিশ্লেষণ করলে এটুকু অন্তত বোঝা যায় পশু এবং তার সাথে একধরণের সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলঅ হচ্ছে। যার নিজের কোন পশু নেই অর্থাৎ যে পরিচিত নয় বা অভ্যস্ত নয় সে কোরবানীর অনেক নিয়মই পালন করতে পারবে না। কারণ-
১. উটকে কিবলামুখী করিয়া বসাইয়া বড় ছুরি দ্বারা কুঁজের ডান পাশে আগাত করিতেন। অন্য পশুর ক্ষেত্রে কি নিয়ম।

২.নিজ হাতে কুবানী করা। এটা কয়জনের পক্ষে সম্ভব হবে।

৩.কোরবানীর পশূর কিছুই কসাইকে দেয়া যাবে না। তাহলে আমাদের দেশে কোরবানী হবে কিভাবে।

আবার রোযা পালনের যে উৎসব বা আয়োজন কোরবানীতে তা দেখা যায় না। ফলে বিষয়টি আসলেই আলোচনার জরুরি যে আমাদের দেশে কোরবানী পালনের নিয়ম কি। আমরা কেন এতো অধিক পরিমাণ পশু কোরবানী দেই।


আর যে বিতর্কটি রয়েছে তাওরাত এবং কোরআনের মধ্যকার সেই বিতর্কটি বর্তমানে আমার হাতে নেই। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক এবং বইগুলো খুব একটা পাওয়া যায় না। পেলে আপনাদের জানাবো।



আমার আলোচনা শেষ-আগ্রহীদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করবো।

২৯| ১০ ই মে, ২০০৯ সকাল ৮:১৬

ভালো-মানুষ বলেছেন: দু:খিত শুভ্র, আমি ভুলে গিয়েছিলাম এই লেখাটির কথা। আজ আপনার ব্লগে ঢু মারতে এসে চোখে পড়ল।

আপনি আসলে ঠিক কোন দিকে আলোচনাটি নিতে চাচ্ছেন আমি ঠিকঠাক মত বুঝতে পারছি কিনা কে জানে! আমার মনে হচ্ছে, আপনি কুরবাণীর যথাসম্ভব তথ্যনির্ভর ইতিহাস ও এর সামাজিক বিবর্তন বিশেষত উপমহাদেশে এর লোকালাইজেশনের ব্যাপারে আগ্রহী।

ভেট, বলি, নৈবেদ্য ইত্যাদির কনসেপ্টে মানুষ প্রথম কবে অভ্যস্ত হয়েছে সেটা ঠিকভাবে জানা হয়তো আসলেই সম্ভব নয়। তবে ধারণা করা হয় যে কৃষিজীবি সমাজেই প্রথম বলি প্রচলিত হয়। এর মূল প্রেরণা ছিল বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন খরা, মারী, মড়ক, ফলনে আকাল ইত্যাদিতে মুক্তির একটা রাস্তা খুঁজে বের করা। বলাই বাহুল্য, মুক্তিটি ছিল কার্যত মানসিক। কিন্তু কালক্রমে এর সামাজিক মূল্য সে সকল সমাজের অনেক গভীরে প্রোথিত হয়ে পড়ে। সভ্যতা যেখানেই গড়ে উঠত, সেখানেই সভ্যতার অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবেই যজ্ঞ-বলি এবং এ ধরণের আরো অনেক সামাজিক আচার চালু হয়ে যেত।

ইব্রাহিমের জীবনকাল মোটামুটিভাবে খ্রীষ্টের জন্মের ২০০০-১৫০০ বছর আগে। সেই সময়টাতে প্রায় সব সভ্যতাতেই বলি প্রচলিত ছিল। নীল নদের কাছে আফ্রিকার মিশরে কিংবা টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদের কাছে এশিয়ায় ইরাক-ইরান-তুরস্কে যেমন ছিল তেমনি ল্যাটিন আমেরিকার সভ্যতায়ও (যেমন ইনকা সভ্যতার মাচুপিচুতেও) ছিল। সিন্ধু নদের তীরবর্তী ইন্দুস সভ্যতায় বা হিন্দুস্থানেও যে বলি-ভেট ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল সেটা বলাই বাহুল্য।

জিয়োগ্রাফিক্যালি ইব্রাহিমের বিচরণক্ষেত্র মোটামুটিভাবে আধুনিক তুরস্ক-সিরিয়া-ইরাক(?)-ইস্রায়েল-সৌদিআরব পর্যন্ত বিস্তৃত। সেক্ষেত্রে মক্কায় কা'বা নির্মানে বা পুনঃনির্মাণে তার অবদান থাকতে পারে। ইব্রাহিমের গল্পের সাথে জমজমের উল্লেখ থাকা এই যোগসূত্রকে আরো সমর্থন দেয়।

ইসমাইল বা ইসহাক যাকেই বলি দেওয়ার চেষ্টা ইব্রাহিম করে থাকুক না কেন, অথবা এর ঐতিহাসিক সত্যাসত্য থাকুক বা না-ই থাকুক, এই ঘটনাটি যে ঘটা সম্ভব সেটা সহজেই অনুমেয়। তখনকার ঐ অঞ্চলের সামাজিকতায় এটি মোটেই অস্বাভাবিক ছিল না। এই প্রথাই একসময় ঐ সভ্যতার মানুষের ধর্মীয় রীতিতে রূপ নেয়। যার কারণে দেখা যায় যে, প্রি-ইসলামিক যুগেও মক্কায় কুরবাণী বা বলির প্রচলন ছিল। বলির পশুর (কখনও কখনও মানুষও!) রক্ত দেব-দেবীর গায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হত। মক্কায় বাৎসরিক মেলার সময়ই মূলত বলি দেওয়া হত। কারণ এই সময়টাতেই সকল গোত্র-বংশের আরবরা একত্র হত। অনেক ঐতিহাসিকের মতে কা'বার মত আরো ঘর ছিল, যেগুলোতে নানা রকমের দেব-দেবীর মূর্তি রাখা হত। কা'বায় যেমন ৩৬০ টি মূর্তি ছিল যার প্রধান দেবতা ছিলেন চন্দ্র দেবতা 'হুবাল'। প্রতি বছরই মেলায় আগত ভক্তরা দেবতা'র উদ্দেশ্যে পশু বলি দিত এবং 'হজ্ব' করত। মূলত হজ্ব আর মেলা মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত।

ইসলামের উত্থানের সাথে সাথে মক্কার অনেক ট্র্যাডিশন পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। মূর্তিপূজা এর মধ্যে একটি। ইসলামের একত্ববাদের কারণেই মুহাম্মদকে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। মক্কা বিজয়ের পর ভাঙতে হয়েছে সকল মূর্তি। কিন্তু একটা সমজের সকল প্রকার আচার এক লহমায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না; কোন মতেই সম্ভব নয়। তাই মুহাম্মদকেও খানিকটা আপোষ করতে হয়েছিল। হজ্ব এবং কুরবাণি এই আপোষের সবচেয়ে বড় দু'টি নমুনা। এই দুই রীতি ইসলামের আগেও ছিল, ইসলাম এদু'টোকে বাতিল করতে পারেনি বা দরকার হয়নি; বরং এ্যাডপ্ট করেছে। এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় হজ্বের মৌসুমের অর্থনৈতিক গুরুত্বকে। তবে মুহাম্মদ রীতিগুলোকে একেবারে ইন্ট্যাক্ট গ্রহন করেননি - ইসলামি ফ্রেমওয়ার্কে ফেলে প্রয়োজনীয় ঘষা-মাজা করেছেন। আগে বলি কেবল আল্লা বা হুবালের তুষ্টির জন্য দেয়া হত, এখন তার সাথে যোগ হল ইব্রাহীমের স্মৃতি স্মরণ করে ত্যাগের মহিমা গাওয়া এবং বঞ্চিতদের একটা ভাগের ব্যবস্থা করা। সত্যি বলতে কি এই বঞ্চিতদের যে-ই মূল্যায়ন করেছে, সে-ই ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। ইসলামের দ্রুত বিস্তারের পেছনেও এর বিরাট ভূমিকা আছে।

উপমহাদেশেও বলি-কুরবাণির ট্র্যাডিশন নতুন কিছু নয়। যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তারাও আগে থেকেই এর সাথে পরিচিত। তাই নতুন করে শিখতে হয়নি। তবে স্বাভাবিক কারণেই পূর্বের পদ্ধতির কিছুটা রেশ রয়ে গেছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমাদের এদিকটাতে অনেক রকম ইসলামি রেওয়াজ চালু আছে, যা আদতেই ইসলামী নয়। যেমনঃ মিলাদ পড়া, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা, পীর ধরা ইত্যাদি। এগুলো তাহলে এল কোত্থেকে? এসেছে ইসলামপূর্ব ধর্ম ও সামাজিক আচার থেকে। সুতরাং মক্কার কুরবাণী আর ভারতীয় কুরবাণীর মাঝে যে সকল তফাৎ চোখে পড়ে সেগুলোর উৎস আর কিছুই নয়, ইসলামের আগে এখানকার মানুষজন যেসকল ধর্ম ও সামাজিক রীতিনীতি পালন করত তার প্রভাব।

তবে একটা কথা সবাইকে স্বীকার করতেই হবে, কুরবাণী-ভেট-নৈবেদ্য যে নামেই ডাকি না কেন এর দ্বারা আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের আদিম আচারের স্মৃতিকেই বহন করে চলেছি।

১০ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আমি আসলে আপনার পোষ্টে আলোচনাটি করতে চেয়েছিলাম-কা হলো না। পরে ভাবলাম যারা ব্লগে ইসলাম ধর্মের পক্ষে অনেক কথা বলেন মন খারাপ করেন তাদের সাথে কোরবানী বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি। তাও হল না। তারা কেউই এলেন না। ফলে নিজের মতো করেই বিভিন্ন তথ্যের সংযোজন করেছি।

বাস্তবিক কোরবানী পালনীয় বিষয় হিসেবে অণ্য ধর্মেও আছে। এবং ইহুদিদের সাথে এই নিয়ে ঐতিহাসিক বিরোধও আছে-অন্য অনেক অঞ্চল বা ধর্মেও এই বিষয়টি পালন করা হয়। তবে কেউই এতো ব্যাপকহারে কোরবানী দেয় না। এটই আমার আলেঅচনার বিষয়-আপনার আনেক মতের সাথেই আমি একমত। মূল আলোচনার বিষয় আসলে আমাদের দেশে এটা পালনের বিষয়ে কি ভাবনা কাজ করে।


এই আলোচনাটা আপনার সাথে না হয়ে যিনি পালনে আগ্রহী তার সাথেই অনেক তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে হতে পারতো। আমাদের ভূখন্ডে ইসলামের নিজস্বতা বা স্বরুপ আলোচনার অংশ হিসেবেই এই পোস্টের আয়োজন।

কৃতজ্ঞতা-ভালো থাকুন।

৩০| ১০ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩১

ভালো-মানুষ বলেছেন: মূল আলোচনার বিষয় আসলে আমাদের দেশে এটা পালনের বিষয়ে কি ভাবনা কাজ করে।


আসলে ঐতিহাসিকভাবে এটাই সত্য যে আমাদের দেশে ধর্মপালন সবসময়ই চাপিয়া দেয়া একটা জিনিস। মূলত পৃথীবির অন্যান্য এলাকার তুলনায় বলতে গেলে এই ব-দ্বীপের মানুষের ধর্মের প্রতি বিশেষ আকর্ষণই নেই। যখনই শাসক চাপিয়ে দিয়েছে তখনই কেবলমাত্র মানুষ ধর্মের দিকে গিয়েছে। বৌদ্ধ-হিন্দু-ইসলাম এই তিনের সংমিশ্রণে এদেশের মানুষের কখনোই কোন অসুবিধা হয়নি, হয়েছে কেবল ধর্মবেত্তা বা ধর্মের পৃষ্ঠপোষক শাসকদের।

তাই বাঙালি যখন কুরবাণী দেয় বিশেষ কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেয় না। দেয় চাপিয়ে দেয়া নিয়ম রক্ষার্থে, গড়ে ওঠা একটা অভ্যাসের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে। ইসলামের আওতায় রাজদন্ড থেকে অনেক কয়েক শতাব্দী ধরে যে রীতিটি প্রচলিত হয়ে গেছে, সেটি এখন বহুলাংশেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আচারে রূপ নিয়েছে মাত্র।

১০ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: কথায় কথা বাড়ে। আপনার এই মতামতের আলোচনা অন্যকোন পোস্টে করবো। ব্যস্ততার কারণেই পারবো না। তবে কুরবাণী যেভাবে পালিত হয় তা নিয়ে আমি সংশয়ী-এটা আসলে যারা পালন করেন তাদের সাথেই আলোচনা হলে ভালো হত। পক্ষ বিপক্ষ না থাকলে তো নতুন কিছু তৈরি হয় না।

ধন্যবাদ।

৩১| ১০ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: তারপরও কুরবাণী পালনের সাথে হজ্জ্বের সম্পকূ অঙ্গাঙ্গীভাবেই যুক্ত। আমাদের দেশে কুরবাণীর নিয়ম এটা না। এখানে পরিবার এমনকি ব্যাক্তিই কুরবাণী দিয়ে থাকে। আপনি যে বিষয়েকে তুলে ধরেছেন মেলা এবং হজ্জ্ব একই তথ্য আমিও পেয়েছি-মানে আলোচনায় শুনেছি-এবং যিনি ধর্ম মানেন তার কাছ থেকেই। তিনিও এমন যথেচ্ছ পশু জবাইয়ের পক্ষে না।


কিন্তু যে বিষয়টি জানা হয়নি তা হল আমাদের দেশে কখন থেকে কুরবাণীর প্রচলন শুরু হয়-তাকি মধ্যযুগ থেকে নাকি আরো পরে। এবং সুফিবাদ নিয়ে আরো কিছু পড়াশোনা কার জরুরি-এরপর হয়তো আমাদের ভূখন্ডে কোরবানীর প্রচলনের সময় বা দার্শনিক দিকগুলো জানা যাবে। তবে সুপিদের মধ্যেও কোরবাণী বিষয়ে এতো আলাপ বা একাগ্রতা দেখা যায় না বলেই জানি। তাহলে হতে পারে মুঘলরা এদশে এর ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন-বিষয়গুলো জানতে হবে।

আবার আমাদের দেশের ইতিহাসে ইংরেজ আমলেই দেখা যায় গরু জবাই নিয়ে হিন্দু মুসলমান বিরোধ বা এলাকা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বঙিকমের সময়কার এমন কিছু ঘটনা পাওয়া যায়। এবং এটা অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে উঠছে যে গরু যারা জবাই করে তারা একপক্ষ এবং বাকিরা আরেক পক্ষ। এক পক্ষ মুসলিম আরেক পক্ষ হিন্দু। কিন্তু রোজার ঈদ নিয়ে এমনটা দেখা যায় না। মুঘলদের সময়েও কুরবাণীকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের ওপর সামাজিক নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়-তবে কোন রেফারেন্স এই মুহূর্তে দিতে পারবো না।

বখতিয়ার খিলজির দখলের কাহিনী অনেক তাৎপর্যপূর্ণ সেই সময়ের ইতিহাসে হয়তো কুরবাণীর প্রচলন সম্পর্কে কিছু থাকতে পারে।


কিন্তু এটা বেশ সত্যি যে রোযার ঈদ যেভাবে আমাদের ইতিহাসে গৃহীত হয়েছে। কুরবাণী কিন্তু নিপীড়ন আর রক্তপাত বিচ্ছিন্ন থাকেনি। ইতিহাসে অন্তত এটুকু পাওয়া যায়।

৩২| ১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

ভবদহ বলেছেন: কোরবানি নিয়ে লেখাটা আপনি ভালো করে পড়ে দেখবেন বেনজীণ খানের বইয়ে..... তারপর আলোচনা করলে ভালো হয়

৩৩| ১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৬

ভবদহ বলেছেন: পশু কোরবানি এবং একটি বিকল্প প্রস্তাব - বেনজীন খান

২৫ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ধন্যবাদ। বইটি কোথায় পাবো বা কোন প্রকাশনা বললে সুবিধা হত।

৩৪| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:৫৮

খারেজি বলেছেন: তনুজা,
আপনার দেয়া লিংক দুটো মোটামুটি ঘেটে দেখলাম।
দুটো দুই মত-- এটা খুবই সত্যি।

তবে একটা মত (বেদে গোমাংস বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই)- কে দুই চোখ একেবারে বন্ধ না করলে গূরুত্ব দেয়া যায় না।

আমি কোন বেদ বিশেষজ্ঞ নই, তারপরও ওনার বেদকে উদ্ধৃত করার ধরণটার ফাঁকি ধরতে পারছি। কিন্তু এত পুরনো একটা পোস্টে সেটা নিয়ে দীর্ঘ আলাপ না করে সংক্ষেপে কয়েকটি কথা সারি:

অগ্নিবীর দাবি করেছেন যে বেদে গোমাংস আবিষ্কারকরা সকরেই ম্যাক্সমুলার, গ্রিফিস উইলসন আর উইলিয়ামস এর কথা কোট করছে। এটা একদম ঠিক না। ম্যাক্সমুলার আর উইলিয়ামসদের পর প্রাচীন আর্যভাষা চর্চা অনেকদূর এগিয়েছে, এবং তাদের একটা বিরাট অংশই ভারতীয় পন্ডিতদের হাতে।

দ্বিতীয়ত, প্রামান্য সবগুলো অনুবাদে মাংস (এবং বিশেষকরে গোমাংস) ভক্ষণের উল্লেখ পাওয়া যায়।

তৃতীয়ত, বেদে সত্যি সত্যিই গোহত্যা এবং সাধারণভাবে হ্ত্যার বিরুদ্ধে কথাবার্তা আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সুক্তগুলোর ভাষা, শব্দচয়ন এবং রাজনৈতিক আবহ থেকে নিশ্চিত যে সেগুলো পরবর্তীকালের সংযোজন।

চতুর্থত, বলিতে প্রচুর পরিমান পশুউৎসর্গ করাটা প্রায় সকল আদিম পশুপালক গোষ্ঠীর মাঝেই প্রচলিত। এর একটা বড় লক্ষ্য বাড়িত সম্পদ দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দিয়ে পারলৌকিক মঙ্গল কামনা (বাস্তবত এটা গোত্রের চারণক্ষমতার সাথে পশুর ভারসাম্য বজায় রাখত, গোত্রের সাম্যও বজায় রাখতো। দেখুন : রোমিলা থাপার, ফ্রম লাইনেজ টু স্টেট)। এমনকি এই প্রথা সেমিটিক পশুপালক জাতিগুলোর মাঝেও প্রচলিত ছিল।

পঞ্চমত: কৃষিসভ্যতায় উত্তীর্ণ হবার পরই এই বলি ও যাগ যজ্ঞের দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে, সেই প্রশ্ন উত্থিত হয়। কেননা, কৃষিসভ্যতাতেই উদ্দ্বত্ত সম্পদ সংগ্রহ, সংরক্ষণ সম্ভবপর হলো। গোত্রমালিকানার বদলে ক্রমশ জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা বৃদ্ধি পেতে থাকল। যাযাবার ব্যক্তিগত পশুপালের সংখ্যাও বাড়ল সঙ্গতকারণেই। অচিরেই এল রাজতন্ত্র।

ফলে এইবার প্রশ্ন দাড়াল: আগে গোত্রের পক্ষে যে বৃহদারকার বলি দেয়া হত, তা এখন হয় রাজার পক্ষ থেকে। কিন্তু রাজার মঙ্গলের দায় গোষ্ঠী কতখানি নেবে।

যজ্ঞ ও বলির প্রথা অন্য সব সংস্কৃতির তুলনায় ভারতে প্রবলতর হওয়াতে এর প্রতিরোধও হয়েছে প্রবলতমভাবে।

তাই অহিংসার মত অসাধারণ একটা আন্দোলন ভারতে সূচিত হতে পেরেছিল, যারা বলল: দেবতা কেন রক্ত আর চর্বি চান? তিনি তো পুষ্প আর ঘৃতেই তুষ্ট হতে পারেন?

৩৫| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:১৭

খারেজি বলেছেন:
স্যরি রেফারেন্স দিতে ভুলে গিয়েছিলাম শেষ কথাটার।
সুবীরা জয়সাবাল, বইটার নাম ওরিজিন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অব বৈষ্ণবিজম।

এটা একটা ক্লাসিক, সম্প্রতি বাংলা অনুবাদও হয়েছে। ভারতে গোমাংস বিতর্কের পুরোটারই নিরসন এতে হতে পারে, যদিও গ্রন্থের বিষয় এটা না।

৩৬| ২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:২৪

মনজুরুল হক বলেছেন:

লেখক তার মূল পোস্টে, বিভিন্ন কমেন্টে মোটামুটি কুরবানীকে আর একটু সামাজিক প্রেক্ষাপটে সহনীয় করে চল করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এবং প্রায় সেই মতের সাথেই সহমত প্রকাশ করেছেন খারেজি। খারেজি বলেছেন--

"শুভ্র, আপনার মূলপয়েন্টগুলোর সাথে আমি একমত।
কোরবানী উচ্ছেদ করাটা বাস্তবিকই অসম্ভব, চেনা অদূরভবিষ্যতে অন্তত।
কিন্তু এর ফর্মটা পাল্টালে ধর্মীয় কাঠামোর মাঝেই তাকে অনেকটা সহনশীল করাযায়।"

ধর্মীয় কাঠামোটাই যেখানে কুরবানী নামক একটি "সামাজিক যুথবদ্ধ হত্যাকান্ডজনিত ভোগানন্দ"কে জায়েজ এবং ফরজ করেছে, সেখানে খারেজি কি করে "অনেকটা সহনশীল" করবেন ! "অনেকটা সহনশীল" হলে বোধ হয় এটাকে সমর্থন করা যায় ! বিস্মিত হলাম। একটি ইউটোপীয় ধারণার কথা বলি (আজ যা ইউটোপীয় কাল তা বাস্তব হয়ে উঠতে পারে, (প্রমান জুলে ভার্ণ) তাই আদিবিদ্যক ধারণাবলি বা ইল্যুশনকে একেবারে খারিজ করা যায় না) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যা যে কোন সময়েই শুরু হয়ে যেতে পারে, প্রকারন্তরে দ্বিতীয়'র পর থেকেই যার সম্ভবনা জিইয়ে রয়েছে। সেই যুদ্ধে অবসম্ভাবিভাবে নিউক্লিয়ার্স ইউপনের ব্যবহার হবে। এর পরে আবার মানব জাতিকে সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। তখন কলের লাঙ্গলের বদলে গরু-মোষ দিয়েই চাষাবাদ করতে হতে পারে !

এই কথাটিকে ইউটোপীয় বলছি। আবার একেবারে ফেলনা ভাবছিরা, কারণ দু'জন মনিষীর দু'টি মন্তব্য এমন---

"তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কি অস্ত্র ব্যবহার হবে তা বলতে পারব না, তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ করার জন্য মানুষ বেঁচে থাকলে তারা লাঠি-সোটা আর ঢাল-সড়ুক ব্যবহার করবে"-- বার্ট্রান্ড রাসেল।

"আজ থেকে ৫০/১০০ বছর পরের প্রজন্ম কি বলবে জানিনা, তবে আরো পরের প্রজন্ম বিস্মিত হয়ে বলবে...কমিউনিজমের মত এমন একটা সহজ ব্যাপার প্রবর্তন করতে সে কালের মানুষ এতো কসরৎ করেছিল!
কী বোকা ছিল তারা !!" --মাও সে তুং।

৩৭| ৩০ শে মে, ২০০৯ রাত ২:১৯

খারেজি বলেছেন:


মনজু ভাই,

আমি সমর্থন বা অসমর্থন করার কথা বলছি না। আমি বিপুল সংখ্যক মানুষের একটা সামাজিক চর্চাকে আপাতত উচ্ছেদ করার সম্ভাবনা দেখছি না। কাজেই আমার প্রস্তাব কেবল এই যে কোরবানীর বিরুদ্ধে জেহাদে বামপন্থীরা কেবল কোনঠাসাই হয়; কিন্তু কোরবানীর শ্রেণীবৈষম্য তুলে ধরতে পারলে এটাও মানুষের মুক্তির আর সাম্যের আকাঙ্খার একটা অস্ত্রেই পরিণত হতে পারে।

আর সহনশীল পর্যায়ে নামিয়ে আনার কথা তো ভাবাই যেতে পারে। কৃষিপ্রধন দেশে এবং দুগ্ধ ঘাটতির দেশে প্রতিটা গোবাদি পশুর একটা নির্দিষ্ট বয়সের আগে কসাইখানায় বিক্রির ওপর কর অনেক বাড়িয়ে দেয়া উচিত, বাধ্যমূলক সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে একটা মাত্র পশু কোরবানীর ব্যবস্থা করা উচিত। ঠিকমত জনমত তৈরি করা গেলে বেশিরভাগ মানুষই তা মেনে নেবে। ধর্মীয় যুক্তিও এমনকি এর পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব।

কিন্তু প্রথাটাকে আক্রমণ করলে বিচ্ছিন্ন অভিজাত মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন নিয়তি নাই।


(আর আপনি নিশ্চয়ই চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের কথাটা ঠাট্টা করে বলেছেন। জ্ঞানীদের কথা মত চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধে যদি পাথর আর লাঠি ছাড়া ব্যবহার করার মত আর কোন অস্ত্র নাই থাকে, পশু দিয়ে চাষ করার মত কোন প্রয়োজন সেই সমাজে থাকবে না।)

৩৮| ৩০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৮:০৮

তনুজা বলেছেন: ধন্যবাদ খারেজি , অনেক ধন্যবাদ
পঞ্চম ধাপে এসে একটা অসম্পূর্ণতা মনে হল--কিছু কি বাদ গেছে? ঐ অংশের বক্তব্যটা ঠিক শেষ হল না

৩৯| ০৬ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটা আগে চোখে পড়ে নি কেন বুঝলাম না। পড়লে নিজের মতামত সবার সাথে শেয়ার করা যেত।

আপনার পোস্টের একটা দিক ভাল লেগেছে যে অন্যান্য ব্লগারের মত কোরবানীর দিনে পশুর না, বরং গরীব মানুষের কথা ভেবেছেন। আমি নিজের মত করে বলি, আশা করি, আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

আমরা যখন আগোরা থেকে মাংস কিনি, তখনও কিন্তু পশু ঠিকই জবাই করা হয়। কিন্তু, শুধু যদি কেউ কোরবানীর দোষ দেয়, যে এই দিন কীভাবে এত এত পশু জবাই দেয়া হয়, এটা পাশবিক আচরণ,--সেটা নিতান্তই হাস্যকর হবে। কারণ, শুধু কুরবানীর দিন না, সব দিনই পশু জবাই হয়।
এখানে একটা প্রশ্ন থাকে, যে এত পশু জবাই অন্যদিন হয় না। এটা হয়ত ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

এটাকে ব্যাখ্যা করি এভাবে।

আচ্ছা, মুরগীর ব্যাপারটা খেয়াল করেন। দেশের যে কোন মাঝারি সাইজের ব্রয়লারের মুরগীর দোকানে যান, দিনে ৩০টা মুরগী বিক্রী হয়। সারা পৃথিবীতে দিনে কয়টা মুরগী খাওয়া হয়? কেএফসি কী করে? এতে কী ভারসাম্য নষ্ট হয়?
সেখানে, কুরবানীর সময় জবাই দেয়ার জন্য গরু, উট, দুম্বা কত কিছু আছে।আর, তাছাড়া, একটা গরু কয়দিন খাওয়া যায়, আর একটা মুরগী কয়দিন খাওয়া যায়? সপ্তাহে দুনিয়ায় যত মুরগী জবাই হয়, সেই তুলনায় কুরবানীর পুরা মাসে অত গরু জবাই হয় না।

তাই মুখের ভাষায় ঐ একদিন অজস্র পশু জবাই আদৌ কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।

যাক, এরপরে আরেকটা ব্যাপার। সবাই ত কুরবানী দিতে পারে না। তাদের জন্য ঈদের খুশি কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

এটার ব্যখ্যা আমি দেই এভাবে।
পহেলা বৈশাখে কী হয় ভাই? আমরা ইলিশ পান্তা খাই। কয়জন ভাই সেদিন ইলিশ খায়? কিনতে পারে? টিএসসি তে যারা আসে, তারা সবাই কী ধনী? এমনও ছাত্র ওখানে যায়, যার বাবা তাকে জমি বিক্রী করে পড়াচ্ছে। আনন্দ মিছিলে তারও ত ফূর্তি থাকে। এই ব্যাপারটাও এমন। একটা চেতনা। আজকে ঈদ। আজকে খুশির দিন। আজকে নামাজ পড়া হবে। সবাই মুখ হাসি রাখবে। এটাই চেতনা। এই খুশিটা সবাইকে স্পর্শ করে। কুরবানী ফ্যাক্ট না।ঈদ আজকে, এই চেতনাটাই ব্যাপার।যেমন ভাবে, আজকে কী খেলাম সেটা পড়ে, আজকে পহেলা বৈশাখ সেটাই আগে।আনুষ্ঠানিক একটা খুশির দিন, এটার প্রয়োজনেই ঈদ।(মুখ জোর করে হাসি হাসি রাখার কথা বলতেছিনা। আমি নিজেও পারিনা। কিন্তু, সবার বাসায় হয়ত যাওয়া হল।ঈদের নামে কুশল মিনিময়,এই আনুষ্ঠানিকতাটুকুই সব।)

এরপরও কথা থেকে যায়। রাস্তায় ময়লা কুড়ায় যে ছেলেটা, চামড়ার টাকা বিক্রী করে ভাত খায় যারা, আদৌ তার খুশি হয় কতটুকু?

এটা ত ভাই চিরকালীন সত্য। ওরা অবহেলিত। ওদের কাছে সব দিনই সমান। সব দিন আধাপেটা। সারা বছর মাংস না খাওয়ায়, শুধু ঐ একদিনে মাংস তাদের কাছে গন্ধ লাগে। শুধু ঈদ না, বিজয় দিবসও ওদের কাছে একই।

আমরা ধর্মের কোন নির্দেশ মানিনা। যাকাত দেই না। মানবতা দেখাই না। আর, যদি শেষে বলি কুরবানী সবাইকে খুশি করতে পারে না,সেটা ত আমাদের সমস্যা। ঠিক না?


এখনও পরিষ্কার না হলে, যদি এরপরে স্পেসিফিক প্রশ্ন করেন, তাহলে হয়ত অন্যভাবে উদাহরণ দিতে পারব।
শুভকামনা রইল।

০৮ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:১৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: দুঃখিত দেরি হওয়ার জন্য।

আমার আলোচনার মূল বিষয় ছিল ধর্মীয় উৎসব হিসেবে কুরবানিকে নিয়ে আলোচনা। এর ইতিহাস-এবং ইতিহাস সংক্রান্ত বিরোধ। সমস্তই। আমাদের দেশে কোরবানির আগমন এবং এর চর্চা।

আমি কখন-ই কোরাবানির বিপক্ষে বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি আমাদের দেশে কোরবানি যেভাবে চর্চিত হয় তা পরিবর্তিত কি-না।

গরীব মানুষ অভিধাটি যে জটিলতা তৈরি করে তার চাইতে যদি বলি বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে কোরবানি দেয়া সম্ভব হয় কি-না তাহলে বোধ হয় প্রশ্নটা সুনির্দিষ্ট হয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন প্রাণী হত্যা সম্পর্কিত। খুব পরিষ্কার করে বললে বলতে হয় যেদিনে থেকে প্রাণী পণ্য হয়ে গেছে সেদিন থেকেই প্রাণী মানুষের স্পর্শ বহ্চিত হয়েছে। কোরাবনেও এমন মানুষেরাই প্রাণী জবাই করে যাদের প্রাণী সংক্রান্ত ধারণা দুর্বল। বিষয়টি কি পরিষ্কার করতে হবে?

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

৪০| ১৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:০৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমি কখন-ই কোরাবানির বিপক্ষে বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি আমাদের দেশে কোরবানি যেভাবে চর্চিত হয় তা পরিবর্তিত কি-না।


আসলে কুরবানীর ইতিহাস সম্পর্কে এস এস সি তে ধর্ম বইয়ে যা পড়েছি তার বেশি কিছু জানি না। সে সময় সেটুকুই যথেষ্ট লেগেছিল।

""আমি বলতে চেয়েছি আমাদের দেশে কোরবানি যেভাবে চর্চিত হয় তা পরিবর্তিত কি-না।""

আমার ধারণা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু আচার আচরণে না। মন মানসিকতায়। এখন বড় গরু দেখানোর জন্য কোরবানী দেয় অনেকেই।

তবে, আপনার প্রশ্নের আসল উত্তর হল এরকম, যে, একটা উতসবের কোন নির্দিষ্ট রেওয়াজ থাকে না। পহেলা বৈশাখ প্রতি বছর একই রকম হবে, তবুও সব বারের টা মিলবে না। কিছু ট্রেডিশন ত থাকেই। ছায়ানটের গান, রমনা বটমূল, ইলিশ পান্তা। এরপরেও ব্যক্তিগত ভাবে আমার বা আপনার প্রতি বছর এই উৎসব একই রকম যায় না।

কুরবানীর ব্যাপারটাও ত তাই। একটা উৎসব। নির্দিষ্ট কিছু রেওয়াজ মেনে বাকি টুকু পরিবর্তন হবেই। সামাজিকতা অনুসারে। ধরম ত শুধু আরব দের জন্য না। দেশের সামাজিকতার সাথ মিল রেখে যতটুকু সম্ভব পরিবর্তন এমনিই হবে।কখনও ভাল, কখনও খারাপ।


""গরীব মানুষ অভিধাটি যে জটিলতা তৈরি করে তার চাইতে যদি বলি বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে কোরবানি দেয়া সম্ভব হয় কি-না তাহলে বোধ হয় প্রশ্নটা সুনির্দিষ্ট হয়।""

আমার ধারণা কষ্ট করে হলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ কুরবাণী দেয়। যারা দেয় না, তারাও একটা উৎসবে উপলক্ষ্য পায়(সত্যি বলতে কী শেষের কথাটা আমিও ভাবি। আমাদের সামাজিকতাটা আসলে তাদের উৎসবের পক্ষে যায় না। সবাই না, তবে অনেক গরীবই সম্ভবত হতাশাবোধ করেন। এটা আমাদের সামাজিকতার দোষ।এখনও ধনী গরীবের মাঝে মনুষত্যবোধ এসে দাঁড়াতে পারেনি।)।


""কোরাবনেও এমন মানুষেরাই প্রাণী জবাই করে যাদের প্রাণী সংক্রান্ত ধারণা দুর্বল। বিষয়টি কি পরিষ্কার করতে হবে?""

শুধু কী কোরবানী? দেশের কসাই রাই বা কতটুকু জানে পশু সম্পর্কে। তপবে, আমার ব্যক্তিগত ধারণা, গাড়ি কীভাবে বানানো হয়, তা গাড়ির ড্রাইভারের না জানলেও চলে।


সবই আমার ব্যক্তিগত মতামত।

অঃটঃ
আর, প্রাণি পণ্য হওয়ার পরেই কিন্তু সভ্যতা এগিয়েছে। শুধু তাই না, পণ্য বানানর অনেক ধরণ আছে। এরোসোল এখন পণ্য। লক্ষ্য মশা মারা। হা হা হা।

যাক, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.