![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বিতীয়-পর্ব
সকালের ঘুম ভেঙ্গে যায় ভরবেলা সে উঠে দেখে তার বন্ধু এখনো গভীর ঘুমে,তাই সে মুখ-হাত ধুয়ে চা খেতে যায় মামার বাড়ির সামনের দোকানে।কারণ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে চা খাওয়া তার অভ্যাস।সেখানে গিয়ে সে লোকদের কাছ থেকে জানতে পারে রাজবাড়ি কিছু অজানা কথা,রাজবাড়িতে নাকি কয়েকদিন ধরে মাঝে মাঝে নানা রকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে।কথাগুলো পাশে বসে শুনতে শুনতে সকালের মনে আগ্রহ সৃষ্টি হলো,তাই সকাল যে লোকটি কথাগুলো বলছিলেন তার সামনে গিয়ে বসলো এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলো আসল কাহিনীটা কি? লোকটা হলো রাজবাড়ির সবচেয়ে পুরানো লোক যে জমিদারের সেবায় নিয়োজিত। কোন এক ঘটনার কারণে শরীর খারাপ হয়াতে কিছুদিন যাবত তিনি কাজে যাচ্ছেন না।আমার মনে সন্দেহ জাগলো যে কি এমন হলো যার জন্য সে কাজে যেতে পারছে না,তাই আমি আমার সন্দেহ দূর করার জন্য তার কাছে গিয়ে মূল কাহিনী জানতে চাইলাম।কিন্তু কিছুই বলেন না,উঠে চলে গেলেন।আমার মনে আগ্রোহ আরও বেড়ে গেলো।আমি চা আর বন রুটি খালাম,তারপর মামার বাড়ি ফিরে গেলাম।বাড়ি ফিরে দেখি হিমু বসে নাস্তা করছে,আমাকে দেখতে পেয়ে রাগ গলায় বলো আমাকে ফেলে করি গিয়েছিলি রাজবাড়ি?আমি বলাম না আমি আরও অনেক আগে ঘুম থেকে উঠেছি,তুই ঘুমিয়ে ছিলি তাই তোকে আর উঠাইনি আমি একটু সামনে গিয়েছিলাম চা খেতে। তুই তাড়াতাড়ি নাস্তা খেয়ে নে, তোর সাথে আমার জরুরী কথা আছে।হিমালয়কে আমি ছোট করে হিমু বলে ডাকি।হিমু নাস্তা না শেষ করে আমার পিছনে আসতে লাগলো।আমার মনে হলো হিমু সাথে কথা বাড়িতে বলা যাবে না তাই আমি ওকে নিয়ে মামাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা পুকুর ঘাট আছে ওই-খানে গেলাম।হিমু আমাকে বলো এমন কি কথা যা বলতে তুই আমাকে বাড়ি থাকে এখানে নিয়ে এসেছিস?শুন বলছি আমি আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তুই ঘুমাছিস তাই তোকে আর বিরক্ত করলাম না খিদে পেয়েছিলো তাই মামাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে যে চায়ের দোকান আছে সেখানে নাস্তা করতে গিয়েছিলাম,ওইখানে বসে একজন থাকে জানতে পারলাম রাজবাড়িতে কিছু রহস্যজনক ঘটনা ঘটছে কিছুদিন ধরে,যিনি বলছিলেন তার কাছে ভাল করে জানতে চাইলাম কিন্তু তিনি কিছু না বলে তাড়াহুড়া করে উঠে চলে গেলেন।আমার মনে হয় আসলেও রাজবাড়িতে বড় ধরেন রহস্য লুকিয়ে আছে।হিমু আমার কথা শুনে ভয় পেলো,সে বলো মনে হয় রাজবাড়িতে কোন ভুত আছে সবচেয়ে ভাল হয় আমরা রাতে ওইখানে না যাই।আমার হিমুর কথা শুনে তার ভয় ভাঙ্গনর জন্য তাকে বকা দিয়র বললাম আমি পাগল তুই বাচ্চাদের মতো ভয় পাইতেছিস কেনো,আজ রাতেই আমার রাজবাড়িতে যাবো হিমুর ভয় কাটলো না, টাই আমি ঠিক করলাম আজ রাতে আমি একাই যাবো,হিমুকে বুঝালাম আমি রাতে রাজবাড়ি যাবো না।বিকেলে হাটতে বের হোলাম রাজবাড়ি পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে গেলো, আমি খেয়াল করে দেখতে পেলাম রাজবাড়ির পেছনের অংশে যেখানে কেউ যায় না সেখানে কিছু মানুষের ছায়া।আমি প্রথমে মনে করেছিলাম এটা আমার দেখার ভুল কিন্তু হিমুও যখন একই কথা আমাকে এসে বলতে লাগলো আমি sure হোলাম কিছু মানুষ আছে সেখানে,হিমুর ভয়ের কারণে আমি ওকে নিয়ে ওইখান থেকে চলে আসলাম,কিন্তু মনে মনে চিন্তা করে রাখলাম আজ রাতে মূল কাহিনীটা বের করতে হবে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর আমাকে একাই কাজটা করতে হবে।হিমু মনে হয় ওই ছায়াগুলকে ভুত মনে করেছে তাই বাড়ি ফিরে ভয়ে রুমের লাইট জ্বালিয়ে বসে আছে।আমি মনে মনে চিন্তা করছিলাম যদি কোন কারণ বসত এখন কারেন্ট চলে যায়,হিমু হইতো চিৎকার দিয়ে অজ্ঞেয়ান হয়ে যাবে। কিন্তু এমনটা হবার সুযোগ নেই কারণ এখন শীতকাল তাই কারেন্ট যাবার সভবনা খুবই কম।রাতে ভাত খাবার পর আমি আর হিমু ঘুমোতে গেলাম।অল্প কিছুক্ষণে মধ্যে হিমু এবং বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লো।আমি আসার সময় একটা দুরবিন ও একটা টর্চ লাইট নিয়ে আসেছিলাম,যেগুলো আমার দাদা ভাই আমার গোয়েন্দা সভাবের জন্য আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলো তাই যখনই কোথাও বেড়াতে যাই সবসময় এগুলো সাথে করে নিয়ে যাই। আজ দাদা ভাইয়ের দেয়া উপহারগুলো মনে হয় অনেক কাজে লাগবে।আমি জিনিস গুলো সাথে নিয়ে চুপচাপ বের হয়ে পরলাম রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে। রাজবাড়ির কাছাকাছি যাবার পর আমি টর্চ লাইট বন্ধ করে দিলাম এবং দূরবীনটা দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা কোরলাম।দেখতে দেখতে হঠাৎ দেখতে পেলাম দুজন দুজন করে বড় বড় বক্স নিয়ে ভিতরে ঢুকছে,দূরবীন যুম করে দেখতে গিয়ে বুঝতে পারলাম এরা ভুত নয় এরা মানুষ।এত রাতে মানুষগুলো এখানে কি করছে এবং বক্সগুলোতে কি আছে তার নিয়ে আমার মনে তীব্র সন্দেহ জাগলো, তাই আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন তারা চলে যাবে এবং আমি ভিতরে গিয়ে মূল কাহিনীটা জানতে পারবো,কিন্তু আমি ভর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম তারা গেলো না,এখন আমাকে নামাজের আযান দেয়ার আগে বাড়ি ফিরতে হবে না হলে ধরা খেয়ে যাবো, তাই আমি আর দেরি না করে মামাদের বাড়িতে ফিরে এলাম।বাড়ির কাছাকাছি এসে দেখি মামা বাথরুমে যাচ্ছেন,মামা বাথরুমে ঢুকলেন আমি ফাকে আমি তাড়াতাড়ি রুমে ঢুকে পরলাম। আল্লাহের অশেষ রহমত এই যাত্রায়ে বেঁচে গেলাম,আমি শার্ট খুলে ঘুমাতে শুয়ে পরলাম।
©somewhere in net ltd.