![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বদলি খেলোয়ার, যে একজন star player'এর injury'র সুবাদে খেলা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে মাঠে নেমে ২টি গোল করে খেলার ফলাফল ঘুরিয়ে দেয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" (১৯৬৭) থেকে আমার ভাল লাগা কিছু উদ্ধৃতি -
"আমি অনেকের মধ্যে একটা জিনিস দেখেছি, কোন কাজ করতে গেলে শুধু চিন্তাই করে। চিন্তা করতে করতে সময় পার হয়ে যায়, কাজ আর হয়ে ওঠে না। অনেক সময় করব কি করব না, এইভাবে সময় নষ্ট করে এবং জীবনে কোন কাজই করতে পারে না। আমি চিন্তাভাবনা করে যে কাজটা করব টিক করি, তা করেই ফেলি। যদি ভুল হয়, সংশোধন করে নেই। কারণ, যারা কাজ করে তাদেরই ভুল হতে পারে, যারা কাজ করে না তাদের ভুলও হয় না।" - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ৮০
"বিদেশে না গেলে নিজের দেশকে ভালভাবে চেনা কষ্টকর।" - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ২৩৪
"আমি নিজে কমিউনিস্ট নই। তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না। একে আমি শোষণের যন্ত্র হিসাবে মনে করি। এই পুঁজিপতি সৃষ্টির অর্থনীতি যতদিন দুনিয়ায় থাকবে ততদিন দুনিয়ার মানুষের উপর থেকে শোষণ বন্ধ হতে পারে না। পুঁজিপতিরা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বযুদ্ধ লাগাতে বদ্ধপরিকর।" - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ২৩৪
"পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিরাট প্রভেদ রয়েছে। সেখানে রাজনীতি করে সময় নষ্ট করার জন্য জমিদার, জায়গিরদার ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আর পূর্ব পাকিস্তানে রাজনীতি করে মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়। পশ্চিম পাকিস্তানে শক্তিশালী মধ্যবিত্ত না থাকার জন্যে জনগণ রাজনীতি সম্বন্ধে বা দেশ সম্বন্ধে কোনো চিন্তাও করে না। জমিদার বা জায়গিরদার অথবা তাদের পীর সাহেবরা যা বলেন, সাধারণ মানুষ তাই বিশ্বাস করে।" - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ২৩৯
"বহুকাল থেকে বাংলাদেশে কৃষক আন্দোলন হওয়াতে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের চেয়ে অনেকটা বেশি। এছাড়াও স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাঙালিরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে দীর্ঘকাল যাবৎ গ্রাম্য পঞ্চায়েত প্রথা, তারপর ইউনিয়ন বোর্ড, লোকাল বোর্ড ও ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড থাকাতে জনগণের মধ্যেও রাজনৈতিক শিক্ষা অনেক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল। শিক্ষিতের সংখ্যা বেশি না থাকলেও বাঙালিরা অজ্ঞ বা অসচেতন ছিল না। ভালমন্দ বিচার করার ক্ষমতা তাদের ছিল এবং এর প্রমাণও করেছিল ১৯৪৬ সালে পাকিস্তান দাবির উপরে সাধারণ নির্বাচনের সময়।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠানকে জনগণ ও শিক্ষিত সমাজ সমর্থন দিল। মুসলিম লীগের ভিতরে তখন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চরম আকার ধারণ করেছিল। ব্রিটিশ আমলের আমলাদের রাজনীতিতে স্থান দিয়ে তারা ষড়যন্ত্রের জালে আটকে পড়েছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের ভিতর আত্মকলহ দেখা দিল প্রবলভাবে। ছোট ছোট উপদলে ভাগ হয়ে পড়েছিল দলটি। নীতির কোন বালাই ছিল না, একমাত্র আদর্শ ছিল ক্ষমতা আঁকড়িয়ে থাকা। জেলায় ও মহকুমার পুরানা নেতাদের কোন সংগ্রামী ঐতিহ্য যেমন ছিল না, তেমনি দুনিয়া যে এগিয়ে চলেছে সেদিকে খেয়াল ছিল না কারও। শুধু ক্ষমতায় থাকা যায় কি করে সেই একই চিন্তা।" - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ২৪০
"মওলানা ভাসানীর দরকারের সময় এই আত্মগোপনের মনোভাব কোনোদিন পরিবর্তন হয় নাই। ভবিষ্যতে অনেক ঘটনায় তার প্রমাণ হয়েছে।" - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ২৫৫
"তিনি (তৎকালীন গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মাদ) আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে বসালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, 'লোকে বলে, আপনি কমিউনিস্ট, একথা সত্য কি না?' আমি তাঁকে বললাম, 'যদি শহীদ (সোহরাওয়ার্দী) সাহেব কমিউনিস্ট হন, তাহলে আমিও কমিউনিস্ট।
আর যদি তিনি অন্য কিছু হন তবে আমিও তাই।'..." - শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৬৭। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা নং - ২৬৮
©somewhere in net ltd.