![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বদলি খেলোয়ার, যে একজন star player'এর injury'র সুবাদে খেলা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে মাঠে নেমে ২টি গোল করে খেলার ফলাফল ঘুরিয়ে দেয়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী স্লোগান হওয়া উচিৎ - "এখানে সুলভ মূল্যে খাঁটি মানের ফরমালিন মুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রয় করা হয়!"
আপনি ৪২ বছর ধারাবাহিক ভাবে কুকর্ম করে (বা সহায়তা করে) মানুষকে নিজের ঘাড়ত্যাড়ামী দিয়ে খ্যেপাবেন আর নির্বাচনে ভোট চাইবেন ৪২ বছর আগে করা একটি ভালো কাজের দোহাই দিয়ে - নতুন প্রজন্ম কি মগের মুল্লুকের মগ নাকি?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: নানাভাই বলেছেন: "আওয়ামীরা মদ, মেয়ে নিয়া ফুর্তি কোলকাতায়"
এ ব্যাপারে জাতির ভাগিনার মত আমার কাছে তথ্য নেই, তবে হ্যাঁ - ১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত মুজিব শাসনামলের যতটুকু ব্যর্থতা তার পেছনে তাঁর লীগার-রাই দায়ী। শেখ মুজিবর রহমান দেশের জন্যে অনেক আন্তরিক হলেও তাঁর স্বজন প্রীতি আর লীগারদের অপকর্ম ঢেকে রাখার কারণেই মূলত ৭৪-৭৫ এ এসে বাঙালির Demi-God-এর পতন। আর এমন সুযোগ প্রতিপক্ষ কখনও হাত ছাড়া করে না, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন আর্মি।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
ছৈয়দ সালাহউদ্দীন বলেছেন: @ নানাভাই আামার মনে হয় আপনি ভুল বলেছেন, যুদ্ধ করেছিল জামাত শিবির ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: নানাভাইয়ের পুরো কথার সাথে এক মত না হলেও এই কথা ঠিক যে লীগ যুদ্ধ করে নি। করেছে সেনা অফিসারদের নেতৃত্বে অরাজনৈতিক মুক্তিবাহিনী।
তার মানে এই নয় যে মুক্তিযুদ্ধে লীগের কোনো অবদান নেই। প্রবাসী সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা, ভারত-রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ, মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক বৈধতা ও সহানুভূতি আদায়, এবং শরণার্থী শিবির ব্যবস্থাপনার কাজ ভালোভাবেই করেছে।
কিন্তু মাঠে বন্দুক আর ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, নিজ দেশে পর্যন্ত সরকার রাখার প্রয়াস করে নি (যে কারণেই হোক)। এমনকি ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন তথা পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর ও ভীত সন্ত্রস্ত সরকার দেশে ফিরে আসতে দেরি করে ফেলে যার ফলে দেশে অরাজকতা, সম্পদ পাচার থেকে শুরু করে অনেক ঘটনাই ঘটে যায়।
পরবর্তীতে শেখ মুজিবের ২টি পলিসি লীগারদের কে মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের থেকে পৃথক করে দেয়ার জন্যে দায়ী যার ফলশ্রুতিতে আজ জাতি ২ শিবিরে বিভক্ত -
১) পাকিস্তান ফেরত অ-মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও প্রশাসনিক অফিসারদের আত্তীকরণ ও
২) মুক্তিযোদ্ধাদের ২ বছরের সিনিওরিটি দান।
উচিৎ ছিল হয়
> মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি প্যারা-মিলিটারি ফোর্স গঠন করা (যেমন বিজিবি) আর পাকিস্তান ফেরত অফিসাররা যেহেতু দুর্ভাগ্যক্রমে আটকা পরে গিয়েছিল তাই তাদের নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চেইন অফ কমান্ড মেইনটেন করা। অপর দিকে মুক্তিযোদ্ধা আমলাদের রাজনীতিতে নিয়ে আসা।
অথবা
> পুরো প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ঢেলে সাজানো আর পাকিস্তান-ফেরতদের প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা। (যা এক অবাস্তব কল্পনা - যা মুজিব ও জানতেন)
কিন্তু তিনি দুই নায়ের মাঝি হতে গিয়ে এক গোলক-ধাঁধাঁয় পড়ে গেলেন।
অপর দিকে তিনি যখন যুদ্ধোত্তর ভাঙ্গা দেশ গড়ার কাজে ব্যাস্ত তখন তাঁর দল সম্পদ পাচার আর লুট-পাটে ব্যাস্ত। তিনি এ লুটপাট বন্ধের জন্যে একদিকে প্রশাসনকে (পরে সেনাবাহীনিকে) আদেশ দিতেন তো অপর দিকে তাঁর প্রিয় লীগারা ধারা পরলে তাদের ছেড়ে দেতে বলতেন।
এই হল মোটা দাগে শেখ মুজিবের সমালোচনা - আমার কাছে।
তবে আমরা কেবল খারাপের দিকেই নজর দেই। তিনি তাঁর ৫ বছরে দেশের জন্যে যা করেছেন তার ২৫% ও ১৯৯০ পরবর্তি সরকার গুলো সম্মিলিতভাবেও করতে পারে নি। একটা উদাহরণ দেই - মুক্তি যুদ্ধে প্রায় সকল বৃজ ভেঙ্গেফেলা হয়েছিল (কিছু পাকিস্তানিরা আর কিছু মুক্তিবাহীনি)। মুজিব এই ভাঙ্গা দেশের ভাঙ্গা অর্থিনীতি নিয়ে, যেখানে কোনো দেশ আমাদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না, নেই ওয়ার্ড ব্যাংক-আই.এম.এফ এর ঋণ, নেই এডিবির অনুদান, সেই সময়ে প্রায় ২৫০টির মত বৃজ পূণঃ নির্মাণ তাকে করতে হয়েছে। ১৯৯০-২০১৩ দেশে কয়টা বৃজ হয়েছে তা দেখার বিষয়।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগেই মঞ্চের সামনের জায়গা দখলে নিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। শিবির সভাপতিসহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত নিজামি-মোজাহেদের মুক্তি দাবি করে ব্যানার বহন করতে দেখা যায় তাঁদের। এখন পর্যন্ত মুলদল বিএনপি বা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সেভাবে দেখা যায়নি।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: বিএনপি আসলে নেতৃত্বের সংকটে ভুগছে। তাদের ম্যাডামের অবসরের সময় হয়েছে মনে হয়। আর বাঘা বাঘা নেতারা হয় মারা গেছে, বা দল ত্যাগ করেছে বা নোয়াখালী কোটা আগ্রাসনের শিকার হয়ে গৌণ ভূমিকায় আছে। তাদের রাজনীতির পুঁজি বলতে আওয়ামী লীগ ও ভারত বিরোধী জনগোষ্ঠী।
অপরদিকে জামাত-শিবিরের আছে শক্ত ডিসিপ্লিন, চেইন অফ কমান্ড আর প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক ভিত্তি। তাদের আছে সুপরিকল্পিত আদর্শ। ফলে অন্য দু দলের মত দূর্নীতির রেকর্ড তাদের নামে তেমন নেই।
আপনি যদি শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ডিসিপ্লিন চান, তাহলে আপনার উচিত জামাতের রাজনীতি করে। আর যদি আপনার মাঝে বিবেকের প্রভাব বেশী থাকে, তবে জামাত থেকে দূরেই থাকতে হবে।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
শিবিরকে আম্বালীগে যোগদানের আহবান হানিফের : Click This Link
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: যে দিন জামাত-শিবির লীগে যোগদান করবে, সে দিন থেকে দেশে আর জাতিগত বিভেদ থাকবে না, জাতিগঠণে কোনো সমস্যাও থাকবে না। রাজনীতি তার স্বাভাবীক গতি লাভ করবে।
আমার Analysis.
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
স্বাধীকার বলেছেন:
বেশী ভালো লাগলো কমেন্টের প্রেক্ষিতে আপনার দেওয়া জবাব গুলো।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: শুভ কামনা আপনাকেও, ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করে চলার জন্যে।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৪
এই আমি সেই আমি বলেছেন: এখানে সুলভ মূল্যে খাঁটি মানের ফরমালিন মুক্ত রাজাকার পাওয়া যায় ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: এখনও কিছু বাকি আছে নাকি। আমি তো জানি সব জেলে। লীগ তাহলে সবার বিচার করতে পারে নি, গুণে গুণে বিশেষ কয় জনেরটা করেছে।
... চিন্তার বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
নানাভাই বলেছেন: ৪২ বছর ধারাবাহিক ভাবে কুকর্ম করে (বা সহায়তা করে) মানুষকে নিজের ঘাড়ত্যাড়ামী দিয়ে খ্যেপাবেন আর নির্বাচনে ভোট চাইবেন ৪২ বছর আগে করা একটি ভালো কাজের দোহাই দিয়ে - নতুন প্রজন্ম কি মগের মুল্লুকের মগ নাকি?
মুক্তিযুদ্ধে কোন আওয়ামী ছিল না, আওয়ামীরা মদ, মেয়ে নিয়া ফুর্তি করছে কোলকাতায়; আর যুদ্ধ করছে সাধারন মানুষ।