নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম - এম. জুবের রহমান। পেশায় একজন প্রকৌশলী। এ পর্যন্ত বাসা পরিবর্তন করেছি ২৪ বার , বাংলাদেশের পাড়া গাঁ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত । জেলা শহর, রাজধানী সব জায়গাতেই বসবাস করেছি ,বস্তিবাসী থেকে মিলিওনেয়ার সবার সাথেই মিশেছি।

পথ হতে পথে

‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদবো সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব অনাহারির মুখে।’

পথ হতে পথে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তন

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

জন্ম হয়েছে গ্রামে, ছোট বেলা কেটেছে গ্রামে , কিন্তু ঠিক যেন গ্রামে বড় হই নি -হাতে কখনো লাঙ্গল ধরা হয়নি , জোঁক দেখলে ভয় পাই আরো কত কিছু , বলতে গেলে বই পুস্তক নিয়ে নাড়াচাড়া করেই কাটিয়েছি অনেকটা । মহাসড়কের এক পাশে আমাদের গ্রাম , অন্য পাশে যাবতীয় প্রতিষ্ঠান - স্কুল, শপিং সেন্টার, হাসপাতাল , সিএন্ডবি বাংলো ইত্যাদি । এমন ই এক সরকারি কোয়ার্টার এ কেটেছে আমাদের ছোট বেলা । গ্রামে শিক্ষার হার তখন খুব নিম্নে , হাতে গোনা দুইজন গ্রাজুয়েট এর একজন আমার আব্বা , এর বাইরে স্কুলের গন্ডি পার হওয়া মানুষ ও তেমন নেই । দেশে তখনো সেভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় নি , যে দু চার জন মানুষ রাজনীতি করতেন তারা ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচন পর্যন্ত ই সীমাবদ্ধ ছিলেন । রাজনীতি করতে গিয়ে তারা হারিয়েছেন সব , ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো । স্থানীয় পর্যায়ে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে তখনো রাজনীতি করার চিন্তা ও সুযোগ ছিলোনা ।

মা -বাবা দুই জন ই সরকারি চাকুরীজীবি , আমরা ভাইবোনেরা ও পড়া শুনায় ছিলাম ভালো , সব মিলিয়ে গ্রামের মানুষ অত্যন্ত সমীহের চোখে দেখতো । তো গ্রামে শিক্ষার হার ছিল কম, দারিদ্রের হার ছিল বেশি , কিন্তু মানুষের মধ্যে মিল -মহব্বত ছিল । গ্রামের সবাইকে ভাই , চাচা , দাদা কিছু একটা সম্বোধন করতাম । লোকজন ও একেবারে আপন জনের মতো আদর করতো , কে যে রক্ত সম্পর্কীয় আর কে যে জাস্ট পাড়াতো চাচা বুঝে উঠতে পারতাম না ।

তার পর দেশে এলো গণতান্ত্রিক জোয়ার , স্থানীয় পর্যায়ে গজিয়ে উঠলো নেতা -পাতি নেতা আর তাদের চামচা বাহিনী । তারা সরকারি জল-মহল , পাথর কোয়ারি , বালু মহল দখল করে কাচা পয়সা রোজগার করা শুরু করলো । পয়সা আর লাঠির জোরে ভার্সিটি তো দূরের কথা কলেজ পাশ না করেও কেউ হলো ছাত্র লীগ , কেউ বা ছাত্র দলের সভাপতি , সেক্রেটারি । তার ও পরে এলো ইন্টারনেট , সবার হাতে মোবাইল ফোন , শুরু হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের ছোট খাটো কর্মকান্ড আর ছবি শেয়ার এর প্রতিযোগিতা , পাতি নেতাকে পুটি নেতা শুভেচ্ছা জানানোর প্রতিযোগিতা ।

গ্রামে এখন দারিদ্রের হার কমেছে , অনেকেই দলে পদ পাওয়ার আশায় ছেলে মেয়েকে স্কুল মুখী করছে , কিন্তু কোথায় যেন সুর কেটে গেছে , এখন গ্রামে গেলে কি মনে হয় জানেন, মানুষের সেই ক্লিন হার্ট আর নেই , চোখের দিকে তাকালে দেখি হিংসা আর বিদ্বেষের ছায়া । সবার মধ্যে হাঁমসে বড়ো কৌন হায় ভাব , কেমন যেন সংশপ্তক উপন্যাস রচিত হচ্ছে নতুন করে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.