নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম - এম. জুবের রহমান। পেশায় একজন প্রকৌশলী। এ পর্যন্ত বাসা পরিবর্তন করেছি ২৪ বার , বাংলাদেশের পাড়া গাঁ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত । জেলা শহর, রাজধানী সব জায়গাতেই বসবাস করেছি ,বস্তিবাসী থেকে মিলিওনেয়ার সবার সাথেই মিশেছি।

পথ হতে পথে

‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদবো সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব অনাহারির মুখে।’

পথ হতে পথে › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে ও মরণে উন্নতির সোপান

২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৩


“গুণেতে হইলে বড়, বড় বলে সবে/বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।”
ভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমস অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক সভা/সেমিনার আয়োজন করে । বিশিষ্ট বিজ্ঞানী/প্রফেসরদের দাওয়াত করে নিয়ে আসা হয় , তারা নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় এবং লাঞ্চ করেন (আমেরিকা নো ফ্রি লাঞ্চ এর দেশ হলেও বিজ্ঞানীদের সমাদর আলাদা , তাদের সাহচর্য গ্রহণের সুবিধার্তে ফ্রি লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয় । ) কিছুদিন পূর্বে এসেছিলেন একজন বিশিষ্ট স্কটিশ বিজ্ঞানী ।
স্কটিশদের প্রতি আমার একধরণের দুর্বলতা আছে, আমাদের মতোই ওরাও যুগ যুগ ধরে ব্রিটিশদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে । তো লাঞ্চের টেবিলে বসে তার সাথে নানা বিষয়ে আলোচনা হলো । বিজ্ঞানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রসঙ্গ উঠে আসলো , বিশেষত ব্রেক্সিট ইস্যু । লাঞ্চের পর আমাদের পার্সিয়ান সহপাঠী বাবাক নুরুজি অনুরোধ জানালো "আমরা কি আপনার সাথে একটি ছবি তুলতে পারি ?" অপূর্ব বিনয় মাখা উত্তর "অবশ্যই , পরে যখন তোমরা বড়ো বিজ্ঞানী হয়ে বিশ্ববিখ্যাত হবে, আমি এই ছবি দেখিয়ে বলবো , ওদের সাথে একদিন লাঞ্চ করেছিলাম "। মনে মনে ভাবছি পিএইচডি শেষ হয় কিনা তাই সন্দেহ, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা , বিশ্ববিখ্যাত হওয়া তো দূর অস্ত । অথচ উনি নিজে এখনই বিশ্ববিখ্যাত , তার পিএইচডি সুপারভাইজার ইতিমধ্যে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন , উনি নিজে নোবেল পাওয়ার দৌড়ে আছেন , ইতিমধ্যে তার লেখা বৈজ্ঞানিক জার্নাল এর সাইটেশন কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেছে ।
হযরত ওমর (রা.) বলেন - হে মানব সকল! তোমরা বিনয়ী হও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, যে আল্লাহর জন্যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ পাক তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। সে নিজের কাছে তুচ্ছ এবং মানুষের দৃষ্টিতে সম্মানি। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অহংকার করে আল্লাহ পাক তাকে হেয় করে দেন। সে মানুষের দৃষ্টিতে অসম্মানি ব্যক্তিতে পরিণত হয় এবং নিজেকে অনেক বড় মনে করে। পরিশেষে সে মানুষের কাছে কুকুর অথবা শুকরের চেয়েও ঘৃণিত ও তুচ্ছে পরিণত হয়।’(শু‘য়াবুল ঈমান ৬/২৭৬)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রভু আপনার মঙ্গল করুক। প্রভু আপনার মঙ্গল করুক। প্রভু আপনার মঙ্গল করুক।

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩০

পথ হতে পথে বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। আপনার অভিবাদনে অভিভূত।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩১

পথ হতে পথে বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখার শেষভাগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

পথ হতে পথে বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: অহংকার হইতে মুক্ত থাকা সহজ নহে। এমনকি বিনয়ী মানুষকেও অহংকার হইতে মুক্ত বলা যায় না ! কারণ বিনয় একটা সংস্কৃতি হইতে পারে ! নিজের সীমাবদ্ধতার উপর যাহার নজর থাকে তাহার জন্য অহংকার মুক্ত হওয়া, বিনয়ী হওয়া সহজ হয় ! আল্লাহর রাসূল স. সত্য বলিয়াছেন। সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ !

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

পথ হতে পথে বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ভাই। তবু বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা তো করতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.