নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদবো সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব অনাহারির মুখে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিদেশী হয়েও বৈষম্যের শিকার হতে হয়না । তাই তো বিশ্বের অধিকাংশ গুনীজন পাড়ি জমান মার্কিন দেশে। তবে সিভিল রাইটস মুভমেন্ট এর আগে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন । ষাটের দশকে বাংলাদেশে যখন চলছে পাকিস্তানী শাসন শোষণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঠিক সেই সময়ে মার্কিন রাজপথ উত্তাল ছিল সিভিল রাইটস মুভমেন্ট এর কারণে । আর এই আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র । রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল নাগরিকের সম- অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি এই আন্দোলন গড়ে তোলেন যার ফলশ্রুতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিভিল রাইটস একট পাস্ হয় । সকল অফিস আদালতে রচিত হয় নো -ডিসক্রিমিনেশন পলিসি , যার সারবত্তা হলো ধর্ম , বর্ণ , গায়ের রং , জন্মস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবেনা । এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানের কারণে জীবন দিতে হয় তাকে , ১৯৬৮ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন এই মানবাধিকার কর্মী । পরিসংখ্যানের অধ্যাপক মহোদয় পপ আপ কুইজে প্রশ্ন দিয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং কত বছর বয়সে নিহত হন ? এতো বড় আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তার বয়স ষাটোর্দ্ধ হবে ভেবেছিলাম , পরে জানলাম মাত্র উনচল্লিশ বছর । তিনি প্রেসিডেন্ট বা প্রধান মন্ত্রী ছিলেন না , রাষ্ট্রীয় কোনো বড় পদও ছিল না তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অতি অল্প সংখ্যক যেসব দিবসে ফেডারেল রাষ্ট্রীয় ছুটি পালন করা হয় , যার মধ্যে মার্টিন লুথার কিং দিবস অন্যতম ।
১৯২৯ সালের ১৫ ই জানুয়ারী তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এক যাজক দম্পতির ঘরে মার্টিন লুথার কিং জন্ম গ্রহণ করেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তখনো বর্ণ বৈষম্য চরমে , কালো মানুষদের ছিলোনা ভোটাধিকার , একই স্কুল বা ভার্সিটি তে পড়ার অধিকার , এমন কি একই বাসে সাদাদের পাশাপাশি বসার অধিকার । আশ্চর্য হলেও সত্য যে বাইরে থেকে কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করলে , সাদা চামড়া হলে তবেই সে নাগরিকত্ব পেত নতুবা নয় । বৈষম্য ও নিপীড়ণে ভরপুর সমাজ ব্যবস্থা দাগ কাটে মার্টিন এর মনে । বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর পারিবারিক প্রথা মতো ব্যাপটিস্ট মিনিস্টার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তার মনোযোগ নিবদ্ধ ছিল মানবাধিকার প্রতিষ্টার দিকে । ধর্ম , বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক যেন সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে সেজন্য তিনি গড়ে তুলেন একের পর এক আন্দোলন ।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্টায় তিনি চষে বেড়িয়েছেন সারা দেশ , একের পর এক সমাবেশ করেছেন , বিরোধিতা করেছেন ভিয়েতনাম যুদ্ধের । ' আই হ্যাভ এ ড্রিম ' নামে তার দেয়া ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসাবে আজও স্বীকৃত । ১৯৬৮ সালের ২৯ ই মার্চ এমন ই এক সমাবেশে যোগ দিতে তিনি যান টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে । সেখানে হোটেলে অবস্থান কালীন সময়ে একজন হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট এর খুব কাছে থেকে করা গুলিতে তিনি নিহত হন ।
বিশ্বের তাবৎ স্থানে দূর হোক হানাহানি ও বৈষম্য এই কামনা করি তার ৯০ তম জন্ম বার্ষিকীতে ।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭
পথ হতে পথে বলেছেন: সুন্দর অভিবাদনের জন্য একান্ত ধন্যবাদ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
পথ হতে পথে বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ও আমরা অনেক কিছু শিখি।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, যা আগে জানা ছিল না। কিন্তু একই লেখা দুইবার এসেছে, একটা মুছে দিলে ভালো হয়।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
পথ হতে পথে বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণের জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা সতত।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানা হলো।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পথ হতে পথে বলেছেন: জ্ঞানী মানুষ তাই শিখতে ভালোবাসেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুস্বাগতম মার্টিন লুথার কিং দিবস। শ্রদ্ধাঞ্জলি বিশ্ববরেণ্য নেতা মার্টিন লুথার কিং। ধন্যবাদ সুন্দর শেয়ারে।