নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর ব্যার্থ সময়ের মুগুরে

সর্বভূক

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর কঠিন সময়ের মুগুরে।

সর্বভূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুগন্ধী রম্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

বাংলা শুদ্ধ উচ্চারন ও আবৃত্তি শেখার অভিপ্রায় লইয়া এবং আমার অলস বেকার সময়খানা কাজে লাগানোর নিমিত্তে সকালে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট দেখিবার মায়া বিসর্জন দিয়া শিল্প কলা একাডেমীতে গমন করিলাম।আজকে দ্বিতীয় ক্লাস।সবাই যে যার সঙ্গী জুটাইয়া নিয়াছে।আমিই পারিলাম না।একজন কাজিনকে বহুত কষ্টে পটাইয়া ভর্তি করিয়াছিলুম । কিন্তু উনি কি এক অজ্ঞাত কারনে আজ আসিলেন না।আমি একা পড়িয়া রইলুম।এক সুন্দরী ললনা তার এন্ড্রয়েড মোবাইলখানা লইয়া এস এম এস করিতেছে।আমি তার পাশে অভদ্রের মত বসিয়া গেলুম।আমাকে দেখিয়া সে এতই বিস্মিত হইল যেন পৃথিবীতে ডাইনাসোরের আমিই শেষ পিস।আমি মৃদু হাসিলাম।তিনি মুখ ঘুরাইয়া ফেলিলেন।

ললনার হাতে চুড়ির প্রাচুর্য্য।তার রিনিঝিনি শব্দ হৃদয় বিগলিত করিয়া ফেলিতে লাগিল।বাট তার শরীর থেকে আসা সুগন্ধী বড় বেশী তীব্র।মাছ বেপারীর মেয়ে হইতে পারে।কিন্তু এই একটা কারনে তাহাকে অপছন্দ করার জো নাই।এমন ললনার পাশে বসিতে একঘন্টা ডাস্টবিনের সামনেও ঠাঁয় দাড়িয়ে থাকা প্রতিটি ছেলের গুরুদায়িত্ব বলিয়া আমি মনে করি।আমাকে অবাক করিয়া তিনি ব্যাগ হইতে দুটো আমলকি বাইর করিয়া একটা আমাকে সাধলেন।আমি লইলাম কিন্তু ভয় পাইয়া মুখে দিলুম না।অজ্ঞান পার্টি-ফার্টি কিনা কে জানে?? শালা কোন স্হানে শান্তি নাই।বাংলা একাডেমীতে আসিয়াও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়িত হইবে নাকি??? ভাবতে ভাবতে মুখে পুড়িয়া গিলিয়া ফেলিলাম।রমনী বিমর্ষিত হইল।সম্ভবত ইতিপূর্বে সে কাউকে আমলকি গিলিয়া খাইতে দেখেনি।



যথারীতি ক্লাশ শুরু হইল।স্যার কি এক কঠিন কবিতা আবৃত্তি করিল।ইহার বুক,পিঠ কিংবা ঠ্যাং কিছুই খুঁজিয়া পাওয়া গেল না।এক সময় এই আবৃত্তিতে বিরক্ত হইয়া বিদুৎ চলিয়া গেল।একটা বড় ফ্যান ছাড়িয়া দেয়া হইল আইপি এসের সাহায্যে।কিন্তু এই ফ্যান সম্ভবত পূর্বজন্মে জেনারেটর ছিল তাই ঘরঘরঘর শব্দে নিজের উপস্হিতি জানান দিবার অভ্যাসটুকু ছাড়িতে পারে নাই।তবু সেই ললনার মায়ায় পড়িয়া রইলাম।



হঠাৎ ক্লাশের মধ্যগগনে এক পোলা আমার পাশে আসিয়া বসিল।ঐ ললনার শরীর হইতে আসা উৎকট সুগন্ধী ও নতুন আসা পাবলিকের কাপড় হইতে আসা তীব্র বিপরীতমুখী গন্ধ আমার শরীর আর মনে এক হৃদয় বিদারক ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্হিতিতির সৃষ্টি করিল।মনে হইল যেন আমার বংশে আমিই প্রথম হাতে-কলমে হার্ট-এটাক করিতে যাইতেছি।দ্রুত টয়লেটে যাইবার অজুহাতে বাইর হইয়া গেলুম।



শান্তি নাই কুনুখানে।আসলেই শান্তির মা মারা গেসে।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: প্রথম +

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো রম্য।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মশিকুর বলেছেন:
বেকার সময়টা শেষ পর্যন্ত নষ্টই হইল। ভবিষ্যতে বেকার সময় নিয়া বেশী নাড়াচাড়া করা ঠিক হইবে না, করিলে হয়তো আবারো হার্টের উপর চাপ বৃদ্ধি পাইতে পারে।

রম্য গন্ধ ছরাইছে... সুগন্ধ।।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

সর্বভূক বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.