নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর ব্যার্থ সময়ের মুগুরে

সর্বভূক

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর কঠিন সময়ের মুগুরে।

সর্বভূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমতে চিনবেন??? আপনে কেডা??

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

*কিভাবে বুঝিবেন আপনি সাধারণ না দলীয় মানুষ ???



উত্তর: বঙ্গদেশে মানুষ মূলত দুই প্রকার।এক দলীয় মানুষ ও দুই সাধারন মানুষ।সাধারন মানুষকে রাজনীতিবিদরা আবার আদর করিয়া জনগন ডাকিয়া থাকে।দলীয় লোক ও সাধারন লোকের মধ্যে বহিসাদৃশ্য বিদ্যমান থাকিলেও আসলে ঘটনা জটিল।দলীয় মানুষ আবার বিবিধ প্রকারের হইতে পারে।যথা: আওয়ামী,জাতীয়তাবাদী,জাতীয়,বাম,ডান,জামাত ইত্যাদি।নিম্নে দলীয় ও সাধারন মানুষের মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরা হইল।



১.দলীয় মানুষ হরতালে সহিংসতায় পুলিশের ডান্ডার বারি খাইলে প্রেস ব্রিফিংয়ে আহতের ফর্দে একখানা সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।আর নিহত হইলে গায়েবানা জানাজা পায়।অনেক সময় গুরত্বপূর্ণ কেউ নিহত হইলে হরতাল কিংবা অবরোধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতে পারে।অপরদিকে, সাধারন মানুষ আহত হইলে বার্ণ ইউনিটে কিংবা হাড়-ভাঙা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাইয়া থাকে।কিন্তু নিহত হইলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো উক্ত ব্যাক্তিকে তাদের দলের বলে দাবি করিয়া থাকে।এক্ষেত্রে নিহত ব্যাক্তির জবানবন্দী নেয়া সম্ভব হয় না বলে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায় না।তাই তাহাকে নিরপেক্ষ বলিয়া কবর দেয়া হইয়া থাকে।



২.দলীয় লোকদের বকবকানি আপনি টক-শো গুলোতে দেখিতে পারিবেন।এরা সুসজ্জিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গৃহে বসিয়া রাজনীতির গল্প করে।অন্যদিকে, সাধারন মানুষ বা জনগনের বকবকানি শুনবেন বাস-ট্রেন-স্টীমার স্টেশনে।টিভির একদল সাংবাদিক মাইক্রোফোন হাতে নিয়া তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে।



৩.দলীয় লোক গুলি খাইয়া মরলে তাদের মাঝে মধ্যে শহীদ বলিয়া আখ্যা দেয়া হয়।দল ক্ষমতায় আসলে তার নামে কোন সড়ক বা ব্রীজের নামকরন করা হয়।আর বাঁচলে গাজী।তারা দলে পদোন্নতিও পাইয়া থাকে।অন্যদিকে সাধারন নামক শ্রেণির কেউ মরিলে শহীদ কিংবা গাজী কোন উপাধিই মেলে না।মেলে তাম্বুড়া।



৪.দলীয় লোকরা ককটেল বানাইতে ও ছুড়িতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হয়।অন্যদিকে সাধারন জনগন উহার আঘাত পাইয়া আহত কিংবা নিহত হইতে অভ্যস্ত।



৫.দলীয় লোকরা হরতাল কিংবা অবরোধে কোন বিদেশী কূটনীতিকের গাড়িতে আগুন দিলে তার জন্য দল হইতে ক্ষতিপূরন দেয়া হয়।কিন্তু সাধারন পাবলিকের রিকশা,সিএনজি কিংবা লেগুনায় আগুন দিলে মালিককে ক্ষতিপূরন দেয়া হয় না।



৬.দলীয় লোকদের সন্তানদের o লেভেল কিংবা A লেভেল পরীক্ষা নেয়ার জন্য হরতাল শিথিল করা হয়।কিন্তু সাধারন জনগনের সন্তাদের psc,jsc,ssc বা hsc পরীক্ষার সময় হরতাল আরও গরম করা হয়।



৭.দলীয় লোকেরা ট্রেন লাইনের স্লিপার খুলে ফেলে আর সাধারন বোকা জনগন তাহাতে আহত হয়ে হাসপাতালে পঁচে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:

লেখাটা কি রম্য নাকি সিরিয়াস ধরণের বুঝতাছি না। ভালোই বিশ্লেষণ করেছেন।
শুভকামনা।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখন আর নিজেকে আমি মানুষ মনে করি না, কারণ রাজনীতিকরা তো আর অমানুষ হতে পারে না, ওরা সচেতন নাগরিক। তাই বলি আমি বা আমাদের মতো নিরীহরাই অমানুষ, পুড়ে মরাটাই আমাদের নিয়তি...............

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সাদা মনের মানুষের সাথে সহমত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.