নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় জবার মতো মেয়ে

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

বাইরে ছিলাম। একটু আগেই ফিরলাম। মনটা বড্ড টানছিল জবার সাথে কথা বলব। জবা মনে হয় আমার অপেক্ষাই করছে। ও আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। হয় তো আমি ওর মতো করে ওকে ভালোবাসতে এখনও পারিনি। তবে জবার ভাবনার পুরোটা সত্ত্ব জুড়েই আমি,তা আমি বুঝতে পারি। একমাত্র জবাই কাঁদে আমার কষ্টের কথা শুনে।

সামনে এগিয়ে যেতে আমাকে পাশে থেকে উৎসাহ উদ্দিপনা দিচ্ছে। ওর অনুপ্রেরণাতেই আমার পথ চলা। তবে জবা আমাকে লিখতে সবচে বেশী উৎসাহিত করে। ওর বিশ্বাস, আমি নাকি একদিন অনেক ভালো করবো, নাম করবো। আজকের এইদিনটা নাকি আমার থাকবে না,উবে যাবে। আমি একদিন ঘুড়ে দাঁড়াতে পারব, তা আমি বিশ্বাস না করলেও জবা ঠিক করে। আমার চেয়ে ওর আত্মবিশ্বাসটা আনেক অনেক বেশী। সে বেশ আত্মবিশ্বাসী।

আমার লেখালেখিটা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। প্রায় ৬/৭ বছর হবে। কিন্তু এখন আবার লিখছি। লিখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এর পিছনে জবার কৃতৃত্বটাই বেশী।

জবার সাথে আমার কখনোই দেখা হয়নি। ফেইসবুকেই ওর সাথে আমার পরিচয়। ফেইসবুকে আমি ওর কবিতা পড়তাম। আসলে ওর কবিতা পড়েই আমার আবার লিখতে ইচ্ছে করে। দু’একটি লিখা আমি লিখছি। সেখানে জবা লাইক,কমেন্ট করছে। আমি তাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম। ও আমাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে। এরপর থেকেই আমাদের পরিচয়। প্রথমে আমরা বন্ধু। এরপর কখন যে নিজের অজান্তেই আমাদের বন্ধুত্বটা ভালোবাসায় গড়াল (!) বুঝতে পারলাম না।

জবা যদিও ওর নাম নয় তারপরও আমি ওকে জবা বলেই ডাকি। আর ও আমার নাম দিয়েছে কৃষ্ণচুড়া। আমি ওর কৃষ্ণচুড়া। আমরা একজন আরেকজনকে তুই বলেই সম্বধোন করি। ফেইসবুকে যতোটা সময় থাকি ততোটা সময় জুড়েই জবা আর আমি ভিষণ আড্ডা দেই।

আজ হঠাৎ করেই জবা আমার উপর রেগে গেল! কিন্তু ওর এই রাগটা কেন ? আমি বুঝতে পারলাম না। এমনিতে আজ ক’দিন ধরেই বেশ হতাশার মধ্যে আছি এর মধ্যে জবা এভাবে রেগে যাওয়াতে চোখ ভরে গেলো জলে। কিছুক্ষন শ্রাবন ধারার মতো করেই দু’চোখ দিয়ে পানি ঝরল।

আমি কিছুটা অবাক হচ্ছি। যেই আমি কখনো কারোর জন্য কাদি না। সেই আমি আজ কোন নারীর জন্য এভাবে কাঁদলাম। একট একটু করে বুঝতে পারলাম, জবা আমার মনের কতোটা জায়গা জুড়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই অভিমানটা কেন, কেন আমার উপর রেগে যাওয়া?

ছোটবেলা থেকেই আমি একটু অপদার্থ গোছের। সবাই আমাকে অপদার্থই বলে। কেউ আমাকে অপদার্থ বললে আমার ভীষন মন খারাপ হত। তবে এখন আমি বুঝতে পারি, সত্যি আমি একজন অপদার্থ। আর এই অপদার্থ বলেই নিজের ভেতরের কথাগুলো খুলে বলতে পারি না। কেউ আমাকে বুঝতে পারে না। সবাই আমাকে ভুল বুঝে। আজও আমায় ভুল বুঝল আমার প্রিয় জবার মতো মেয়ে।

জবাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘কি হয়েছে তোর? কেন এমন করছিস? জবা আমার কোন উত্তর দেয়নি। অনেকক্ষন পর বলল, ‘নাটক আমার ভালো লাগে না’।

তাহলে কি জবার মনে হচ্ছে আমি ওর সাথে নাটক করছি ! কিন্তু হঠাৎ এটা মনে করার কারনটা কি ওর ! আমি কারনাটা খোঁজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।

জবা তুই কেন এমন করছিস? হতাশা ভরা এই জীবনটাতে কেন তুই কি কারনে এমন কষ্টের চোরাবালি ঢেলে দিচ্ছিস? সত্যি সত্যি বলছি আমি চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.