নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি তাহাদের উদ্দ্যেশ...?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১০

আমারা প্রত্যেকেই ধর্মীয় পরিবারে জন্ম নিয়েছি। আমরাও ধার্মিক ছিলাম। উল্লাসের সাথে পূজা-অর্চনা, ইবাদত করেছি। বায়না ধরে মসজিদ-মন্দিরে গিয়েছি বড়দের সাথে।

আজ আমরা ধর্ম মানি না। ধর্ম আমাদের কাছে গাঁজাখুরি গল্প-ছাড়া কিছু নয়। ঈশ্বর কল্পনা, মানুষের সৃষ্টি। আমরা বুঝতে শিখেছি। বুঝার চেষ্টা করছি।

ধর্মীয় কট্টরপন্থী কিছু লোক আছে সমাজে। এরা না থাকলে আমার নিয়ম করেই মসজিদ আর মন্দিরে যেতাম। তারা আছে বলেই আমরা এসব ত্যাগ করেছি।

সেদিন যদি ধর্মীয় কট্টরপন্থীরা মায়ের ছবি তোলা নিয়ে ফতোয়া না দিতেন, তাহলে আজ আরজ আলী মাতুব্বর জন্মাতেন না। কট্টরপন্থীদের মনোভাবের কারণেই ধর্মের কল্পকাহিনী ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, ধার্মিকেরা ধর্মত্যাগ করে মানুষ হতে চলেছে।

কথা হচ্ছে কট্টরপন্থী মনোভাব ভালো নয়। এতে সুফল কিছুই আসে না। বরং বিপরীতগামীর জন্ম হয়।

আজকাল মুক্তমনাদের মধ্যেও কট্টরপন্থী মনোভাবের মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে তসলিমা নাসরিন পক্ষ আর হুমায়ূন আজাদ পক্ষ! এরা একপক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করতে সদা ব্যস্ত। এটা কি কাম্য?

সম্প্রতি একজন (নারী) আমার বন্ধুত্ব গ্রহণ করার পরই আমাকে ইনবক্স করলেন। জানতে চাইলেন ‘তসলিমা পক্ষ’ কিনা? উত্তরে বললাম-‘মানবতার পক্ষ’। সেই তিনি এরপর থেকেই উধাও! যাকে আমার মনে হয়েছে একজন কট্টরপন্থী। যা কাম্য নয়।

কট্টরপন্থী মনোভাবের মানুষেরা আর যাই হোক মুক্তমনা কিনা তা নিয়ে প্রচণ্ড রকম ঘোরের মধ্যে আছি আমি। মাঝে মাঝে মনে হয়-এরা মৌলবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ট নয় তো?

হুমায়ূন আজাদ দেবতা নয়। তসলিমা নাসরিনও দেবী নন। তারা যদি কল্পলোকের গল্প হতো, তাহলে তারা কেউ রাবণ হতেন নয় রাম। সুতরাং তারা তা নন। তারা মানুষ।

একজন মানুষের ভালো-মন্দ দু’টো দিকই থাকবে। থাকবে তাদের নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা। কিন্তু তাদের প্রতি অন্ধত্ব বরণ করা মুক্তমনা-নাস্তিকদের কি মানায়?

হুমায়ূন আজাদ কিংবা তসলিমা নাসরিন, তারা কেউ কি সমালোচনার ঊর্ধ্বে? না। কিন্তু তাই বলে যা ইচ্ছে তাই! না। গঠনমূলক সমালোচনা ছাড়া কাউকে নিয়েই সমালোচনা করা উচিৎ নয়।

তর্কের খাতিরে অনেক তর্ক করা যায়। বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা যায়। এসব মূর্খ, অন্ধজনের কর্ম। নিশ্চয় তর্কের খাতিরে তর্ক মুক্তমনা-নাস্তিকরা করেন না। তাহলে আপনারা? কেনো অযথা বিভেদ ছড়াচ্ছেন?

আসুন, আমরা সকলেই সমস্বরে বলি জয় হোক মানবতার। জয় মানবতার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.