![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপজেলা সাদুল্যাপুর, জেলা গাইবান্ধা। ভাতগ্রাম গ্রামের তরুণ কান্তি সরকারের বাড়িতে ঘটনা। মা ছাগলটি একসাথে চারটি বাচ্চা প্রসব করেছে। এতোগুলো বাচ্চা মায়ের দুধ পাচ্ছিলনা। ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করছিল ক’দিন ধরে। মা ছাগল ও বাড়ির মালিক বিপাকে পড়েছিল বাচ্চাগুলোকে নিয়ে। ক্ষুধাতুর বাচ্চাগুলো ছুটাছুটি আর ম্যাঁ ম্যাঁ করে কাঁদচ্ছিল। কান্না সহ্য করতে পারলো না ওই বাড়ির মেদী কুকুরটি। নিজের বুকটি বাচ্চাদের মুখে ধরে দিল। কুকুরের ইশারা বুঝতে পারল ছাগলের বাচ্চারা। পেল মাতৃস্নেহের শীতল পরশ । ছাগলের বাচ্চারা অনেক মজা আর তৃপ্তি নিয়ে কুকুরের দুগ্ধ পান করতে লাগলো। সেই থেকে কুকুরকে মা জেনে বাচ্চাগুলো কুকুরের পিছে পিছে ছুটে বেড়াচ্ছে, খেলা করছে আর যখন খুশি দুধ খাচ্ছে। গত একমাস যাবত এভাবে ক্ষুধার্ত বাচ্চাগুলোকে মাতৃত্ব দিয়ে ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল হিংস্রতায় ভরা ক্ষয়প্রাপ্ত মানব সমাজে।
আছে কি এমনভাবে ভালোবাসার মতো মানুষ ! মানুষ যখন মানুষের সন্তানকে আপহরণ করছে, হত্যা করছে টাকার দাবীতে তখন একটি কুকুর উদারভাবে নিজের বুকের দুগ্ধ দিয়ে প্রাণ বাঁচাচ্ছে অপর প্রজাতির সন্তানদের। কুকুর শুধু পশুই নয়, পশুদের মধ্যে অত্যন্ত নিকৃষ্ট শ্রেণী বলে আমরা মানুষরা বিবেচনা করে থাকি। সেই নিকৃষ্ট পশুটিই কিভাবে সৃষ্টি সেরা বলে দাবিদার মানুষকে ভালোবাসার যোগ্যতায় পিছনে ফেলেছে- তা বিচারের সময় এসেছে আজ। কে শ্রেষ্ট কুকুর নাকি মানুষ ? মানুষ যেখানে মানুষের সদ্যজাত সন্তান চুরি করে বিক্রি করে, স্কুলগামী শিশুদের অপহরণ করে বিদেশে পাচার করে, পাচারকৃত শিশুদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে মেধাবী মানুষ বলে খ্যাত ডাক্তাররা, এতিম সন্তানদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা চুরি করে নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়াচ্ছে সমাজের এলিট বলে খ্যাত মানুষরা, নিজ ঔরষজাত সন্তান হত্যা করছে মা-বাবাকে; ঠিক তখনই এই কুকুরটি স¤প্রদান করল নিজেকে অপরের জন্য।
আমরা মানুষ হয়েও কি মানুষকে একটু ভালোবাসতে পারি না ?
[খবরটি প্রকাশিত হয়েছে আজ রবিবার আজকালের খবর দৈনিকে]
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৯
শুভ্রতা বলেছেন: মানুষ রূপি কুকুরদের কাছে এই পোষ্ট কোন মর্যাদা বহন করবে না।
ভালো লাগলো খুব।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০০
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: আপনি মন্তব্য করতে গিয়ে বোধ করি নিজের অজান্তেই কুকুরের সাথে তুলনা করে এক শ্রেণীর মানুষের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। আজ যেন সময় এসেছে মানুষকে কুকুর বলে গালি না দিয়ে অন্য কোন পন্থায় গালি দেয়ার। কেননা সমাজে অনকে মানুষ আছে যাদের কুকুরের সমান গুন অর্জন করতে পারেনাই। তাই মানুষকে কুকুরের সাথে তুলনা করলে বে-খেয়ালে এক অর্থে মানুষকে সম্মান করা হয়ে যায়। কুকুরের মতো বিশ্বাসী হওয়া অনেক মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। আর যে কুকুর নিজের দুগ্ধ দিয়ে ছাগলের বাচ্চাকে বড় করার মহান কর্মে ব্রত তার কথা তো বলাই যাবে না।
আমরা যদি ওই কুকুরের সমান হতে পারতাম, তবে সমাজটা না জানি কতই না শান্তিময় হতো।
ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
টিপু বলেছেন: যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ লজ্জা কি তুমি পাবে না ও বন্ধু......
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৭
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: মানুষের লজ্জাবোধ দিন দিন লোপ পাচ্ছে। আস্তে আস্তে শুন্যের কোটার এসে গেছে। মানুষ পাপ করতে পারতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, অনেক বড় বড় পাপকেও মানুষ আর পাপ মনে করে না। প্রত্যেক পাপ কর্মের পিছনে বুদ্ধি খাটিয়ে নিজেদের পক্ষে এনে সেটাকে নিষ্পাপ কর্ম হিসেবে সমাজে জায়গা করে দিয়েছে। আর লজ্জা এমন একটা গুন যে, তা একবার হারিয়ে গেলে আজনম ফেরে পাওয়া সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
মোঃ আবদুর রহিম বলেছেন: "বৃক্ষ তোর নাম কি?"
ফলে পরিচয়।
কুকুর তার কাজের মাধ্যমে নিজের পরিচয় দিল! সে ও পারে শ্রেষ্ঠ হতে।
আমরা চাইলে নিজেদের কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণরতে পারি।
সামান্য ত্যাগের বিনিময়ে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪০
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: মানুষ নামক বৃক্ষটির নাম খুব সুন্দর। কিন্তুর এর ফলটা বড়ই তিতা। এখন এ বৃক্ষকে আপনি কী নামে ডাকবেন ?
ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
রেডসিগনাল বলেছেন: সত্যিই আশ্চার্য হলাম, তবে এখানে একটা কথা রয়েছে কুকুরের দুধ সেবনে বাচ্চাদের কোন সমস্যা হবে কি না তা জানা নাই ।
আবার সেই সব ছাগল বড় হওয়ার পর যদি মানুষ ভহ্মণ করে ,তাদের মধ্যে কোন ইনফেকশন হবে কিনা তা জানা বড়ই জরুরী ।
যদিও আমাদের দেশে এ্যানিমেল গবেষণাগার নাই এবং হাসপাতাল বিরল ।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৭
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: বায়োলজির একজন ছাত্র হিসেবে মনে করি কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মানুষের বাচ্চা তো গরু, মহিষ বা ছাগলের দুধ পান করে বড় হয়। তাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ঠিক তেমনি ব্যাপার। এ সমাজে অনেক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা কুকুর সহ যে কোন প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করে। তাতে বিশেষ কোন সমস্যা হচ্ছে না। আর কুকুর কোন বিষাক্ত প্রাণী নয়। প্রকৃত ঘটনা হলো কোন জীবে দুগ্ধ বা মাংস অন্য কোন জীব খেলে সে দুগ্ধ বা মাংসের বিভিন্ন খাদ্য উপাদান যেমন প্রোটিন, লিপিড প্রভূতি তাদের ক্ষুদ্রতম একক অণুতে বিশ্লিষ্ট হয়। অর্থাৎ প্রোটিন থেকে অ্যামাইনো এসিড, লিপিড থেকে জৈব এসিড সৃষ্টি হয়। এ সকল একক অণুগুলোকে আবার নিজের জিনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজিয়ে নিজের দেহের উপযোগী প্রোটিন ও লিপিড তৈরী করে। ফলে ওই দুগ্ধের সকল উপাদান যে জীব দুগ্ধ পান করে তার দেহের উপযোগী হয়ে উঠে। পুরো ঘটনাটা জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার ব্যাপার।
কাজেই কুকুরের দুধ ছাগলের বাচ্চা পান করলে কোন সমস্য হওয়ার কথা নয়। আর ওই ছাগলের মাংস বা দুগ্ধও মানুষের জন্য মোটেও বিষাক্ত বা ক্ষতিকারক হবে না।
আপনার এরূপ চিন্তা আসার কারণে পাঠক বন্ধুদের বিষয়টি জানাবার সুযোগ পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহর ভালোবাসা আপনার নসিব হোক।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৪
লুকোচুরি বলেছেন: কুকুরের প্রভু ভক্তির কথা আমরা সবাই জানি-কিন্তু মানুষের মধ্যে তেমনটি দেখা যায়না।
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫
বীলজেবাব বলেছেন: কুকুর সংক্রান্ত আমার একটি লেখা আছে। পড়ে দেখলে খুশি হব । publicity নয় জনসচেতনতা বাড়াতে চাই... Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২২
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: এমন সুন্দর পোষ্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।