![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিক্সা যাচ্ছে। রিক্সাতে বসে আপনি সিগারেট টানছেন। ধোঁয়া গিলছেন-আর নাক দিয়ে বের করে দিচ্ছেন। এই ধোঁয়া ঢুকছে পিছনের রিক্সায় আসা কোন এক মানুষের নাকে-মুখে-ফুসফুসে। উচিত হচ্ছে ? একজনের নাক থেকে বেরুনো কোন কিছু অন্যের পেটে যাওয়া কতটা কু-রুচির পরিচায়ক একটু কি ভেবে দেখেছেন ? হয়ত বিবেচনা করছেন-আপনি ভদ্রলোক। এমন মানুষকে কি ভদ্রলোক বলা যায় ? যারা অন্যের অপছন্দনীয় কাজ হরহামেশা করে-মানুষকে কষ্ট দেয়-তাদের কি মনুষ্যত্বভোধ আছে ? আপনি সিগারেট খান-আপনাকে সিগারেটের দুর্গন্ধও সুগন্ধ মনে হবে। কিন্তু যিনি খান না তার কথা একটু ভাবুন। তার কি কষ্ট হয় না, যখন আপনি সিগারেট টেনে তার নাকে মুখে ছেড়ে দেন ?
আমাদের সমাজে সিগারেটখেকো মানুষদের বিবেচনা বোধ যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আপনি সিগারেট খাবেন খান। কোন মানা নেই। একটু দেখে শুনে খান। অন্যকে কষ্ট দেন না-প্লিজ। অন্যের ক্ষতি করেন না। তাই কিভাবে কোথায় সিগারেট খাবেন একটু ঠিক করে নিন।
যে যে অবস্থায় খাবেন না :
১। রিক্সা, বাস, মটোরসাইকেল, সাইকেল, ট্রেন প্রভূতি যানবাহনে থাকা অবস্থায়।
২। পাক, রেলওয়ে প্লাটফর্ম, বাসস্ট্যান্ড, হাট-বাজার, হোটেল প্রভূতি স্থানে।
৩। অফিস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল প্রভূতি প্রতিষ্ঠানর কক্ষে ও ক্যাম্পাসে।
৪। যে কোনো খোলা স্থান-যেখানে শিশুরা ও সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে।
যেভাবে খাবনে :
যদি সিগারেটের নেশা লাগে, তবে যেখানে লোকজন থাকে সেখান থেকে একটু সরে গিয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থানে স্থির দাঁড়িয়ে বা বসে মনের সুখে টানুন। রিক্সা বা বাস-মোটরে কোথাও যাওয়ার সময় নেশা লাগলে, যানবাহনে ওঠার আগেই টেনে নিন। তারপর উঠুন। অথবা ওঠার পর নেশা লাগলে, রিক্সা বা বাস থেকে নামার পর খান। অফিসে থাকলে একটু অড়ালে গিয়ে টানুন। থিওরী একটাই, সেটা হলো-অন্য কোন মানুষ যেন কষ্ট না পায় বা নিকটের বাতাস সিগারেটের ধোঁয়ায় দূষিত না হয়।
সিগারেটখেকো শ্রদ্ধেয় ভাইয়েরা-একটু বিবেচনা করবেন প্লিজ ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৫
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: আপনার দেখি অনেক কষ্ট। আপনার মতো হয়ত অনেকেরই কষ্ট হয় সিগারেট না খেতে পারলে। সমবেদনা রইল। আপনি যে অনেক চেষ্টা করেন নন্ স্মোকারদের কষ্ট না দেয়ার জন্য, এটাই অনেক কিছু। এজন্য সত্যিই আপনি ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার।
রইল অশেষ ধন্যবাদ।।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩০
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: চেষ্টা তো করতেই হবে। আমার ফ্যামিলিতে আমি ছাড়া আর কেউ স্মোক করে না। তাদেরকে যদি এভাবে অস্বস্তি ভোগ করতে হতো তাহলে কেমন লাগতো সেটা চিন্তা করেই অন্যদের অস্বস্তির বিষয়টা বুঝতে পারি। আর তাই চেষ্টা করি।
আর এখানে কষ্টের কিছু নাই। একটু চেষ্টা করলেই স্মোকাররা একটি প্লেস খুঁজে নিয়ে স্মোক করতে পারে। কিন্তু মেজাজ তখনই খারাপ হয় যখন অন্যের সমস্যার কথা চিন্তা করে আমি প্লেস খুঁজে নেই অথচ তারপরও নন-স্মোকাররা সেখানে এসে অস্বস্তি দেখাতে থাকে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৪
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: আপনি স্মোকার তবে মনুষ্যত্ব বোধ আছে। আপনার মতো স্মোকারই তো আমরা প্রত্যাশা করি। আর আমার লেখার মধ্যে এই দর্শণটুকুই তুলে ধরতে চেয়েছি। কারো প্রতি জোর করছিনা যে স্মোক করতে দেব না। শুধু বলতে চেষ্টা করছি যে, কিভাবে স্মোক করলে মন্দ কাজটিও সৌন্দয্যময় হয়ে উঠতে পারে। আপনি লেখাটির দর্শণ বুঝতে পেরেছে। সেজন্য সত্যই ভালো লাগছে। কিন্তু দেখুন না ভাই ! "অপ্রিয় সত্য ৭০০" নামক একজন পাঠক আমার লেখার মধ্যেও মৌলবাদীতা খুঁজে পেয়েছে। মেজাজটা কিভাবে ঠিক থাকে বলুন তো। অনেক চেষ্ট করেছি কিন্তু পারলাম না। একটু ঝাঁঝালো সেন্ট দিয়ে মৌলবাদ সূচিবাইয়ে আক্রান্ত পাঠকের মন্তব্যের জবাব দিতে হলো। ওই মহামানবের মন্তব্যটা একটু পড়েই দেখুন না। আপনার মন্তব্যের একটু নিচেই আছে "অপ্রিয় সত্য ৭০০"।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন:
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৫
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪১
একাকী বালক বলেছেন: পোষ্টটা স্টিকি করা হোক।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৭
আমি মাসুদ বলেছেন: সচেতন হওয়ার এখনি সমায় ।
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০
দুষ্ট_ছেলে বলেছেন:
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১২
এস. সাইফ বলেছেন: সহমত
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৭
অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন: যানবাহন-কলকারখানা ধোঁয়ার চাইতে ও ঐ সিগারেটের ধোঁয়া অনেক ভালো-মৌলবাদীতা ঝেড়ে মূল নিয়ে লিখেন...
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৭
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: আপনার মতো মানুষরা সব কিছুর মধ্যেই ওই মৌলবাদীতা খোঁজেন। আপনাকে যদি মানুষের মল খেতে বারন করা হয় সেখানেও হয়ত আপনি মৌলবাদীতা খুঁজে পাবেন। কারণ-আপনারা হলেন আর এক ধরনের মৌলবাদী। সেটা হলো বাম মৌলবাদ। সিগারেটের সাথে মৌলবাদীতার সম্পর্ক কী ? সীমিত জ্ঞান নিয়ে এ ধরনের ওয়েব সাইডে লেখালেখি করা ঠিক নয়। তাতে আপনার মতো অনেকেই একদিন পশু পাখির নোংরাকেও অমৃত ভেবে ভক্ষণ করতে পারে। আপনার কাছে-নিশ্চয় হিরোইন বা ভাং বা গাঁজাও হয়ত অমৃত হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য অনেক সুন্দর জিনিসের মধ্যেও নোংরা জিনিস খুঁজে পান। তা না হলে এ ধরনের লেখাতে মৌলবাদীতা খুঁজে পাওয়ার কথা নয়। সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাহলে সরকার যে আইন করে দিয়েছে যে এই বাক্যটি প্যাকেটে লেখতে হবে। তাহলে সরকার বা জাতীয় সংসদও তো আপনার ভাষায় মৌলবাদী হয়ে যায়। আর সিগারেট খেতে কি আমার লেখায় বারন করা হয়েছে ? শুধু বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, যারা সিগারেট খান তারা যেন অন্য সমস্যার কথা বিবেচনা করেন। সমাজে অনেক মানুষই তো আছেন যারা স্মোক করেন না। যারা স্মোক করেন না তাদের জন্য সিগারেট খেকো মানুষের গায়ের, জামাকাপড়ের গন্ধও যে বিরক্তিকর সেটা বোঝার বোধ কি আপনার হয়েছে ? নাকি এখনও ফিডার টানছেন। ভাত-তরকারি মাছ মাংস খাওয়ার বয়স কি আপনার হয়েছে ? নাকি মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় সিগারেট আর হিরোইন বা গাঁজা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন।
দুঃখিত আপনাকে এতো কড়া ভাষায় জবাব দেয়া আমার খুব একটা উচিত হলো না।
ধন্যবাদ।।
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৪
সিগমাক্রিল বলেছেন: ভাই আমার রুম পাটনার রোজ দুই প্যাকেট স্মোক করেন,
তাহাকে না করলেও শুনেন না, উনার বেপার কি করনিয়
বলবেন কি? (উনি মুরুব্বী শ্রেণীর লোক) জোর গলায় কিছু বলতেও পারছিনা।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৮
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: ভাই সিগমাক্রিল,
যারা মুরব্বি হয়ে গেছে তাদের বুঝানো সম্ভব নয়। আপনি যেভাবেই তাকে বলেন না কেন ওনি সিগারেট ছাড়বেন না। কারণ- যারা ছোট-কিচ্ছু বোঝে না তাদের বুঝানো সহজ। কিন্তু যারা আগে থেকেই বোঝে তাদের বুঝানো অসম্ভব।
ছোট্ট একটি উদাহরণ দিলেই আপনার কাছে হয়ত বিষয়টি পরিষ্কার হবে। কোন শিশুকে আপনি শিখিয়ে দেন যে ৩ গুণ ২ সমান ৬ হয়। সে একবার শুনেই শিখে যাবে । কিন্তু একজন ম্যাচুয়র মানুষ বা বড় মানুষ সে সারা জীবণ একটা কিছু ভুল হিসেবে শিখে আসছে, ধরুন সে শিখে আসছে যে ৩ গুণ ২ সমান ৫ । এই মানুষটি কি আপনার ওই সত্য সঠিক গুণফলটা সহজে মেনে নেবেন ? ইনি প্রথমে আপনার কথা নাকোচ করবেন। আর যদি ভালো স্বভাবের মানুষও হন তবে বিষটি নিয়ে নিজে নিজে চিন্তা ও গবেষণা করবেন। তারপর বিচার বিশ্লেষণ করে মেনে নেবেন যে ওনি আগে যেটা জানতেন সেটা ভুল এবং আপনি যেটা বললেন সেটা ঠিক। তবুও এক কথায় ওই শিশুর মতো স্বীকার করবেন না যে ৩ গুণ ২ সমান ৬ হয়।
এইখানেই শিশুদের থেকে বয়স্ক মানুষরা আলাদা।
তাই বলছি, আপনি ওই মুরব্বিকে কোন ভাবেই বুঝাতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।
আরে একটা ব্যাপার হলো যারা স্মোক করেন তারা ওই কাজে এতোটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে অন্যের সুবিধা অসুবিধা বোধ করার অ্যান্টেনা তাদের নষ্ট হয়ে যায়। আর তার সাথে দুর্ব্যবহার করলে আপনার সাথে তার সম্পর্কের হানি হবে। এবং কোন অঘটন ঘটলে সবাই এসে আপনাকেই দোষী সাব্যস্ত করবেন। সবাই দোষ দেবেন যে, আপনি মুরব্বিদের সম্মান করতে জানেন না।
যাহোক, আপনার জন্য ভালো হবে ওই রুম চেঞ্জ করা। অন্য কোন কারণ দেখিয়ে আপনি রুম চেঞ্জ করলে ওই বুঝতে পারবেন না যে ওনার অত্যাচারেই আপনি রুম বদল করেছেন। তাতে সম্পর্কটাও ভালো থাকবে।
ধন্যবাদ।।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৫
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: কিছুই না দরকার শুধু একটু সচেতনতার।
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৪
আর.হক বলেছেন: খাইও না পানও করি না.... গুড বয়
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৪
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: সবচেয়ে ভালো। জানি না ওইটার ভিতর কি আছে। অনেকেই এমন নেশাগ্রস্ত হয় যেন ওটা না টানলে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রস্রাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে যাবে।
আমিও ওটার টেস্ট নিয়ে দেখেছি। কিচছু খুঁজে পাইনি। আমার এক বন্ধু ওটাতে আমাকে নেশাগ্রস্ত করার জন্য অনেক চেষ্টাও করেছে। কিন্তু পারেনি। আজ থেকে ১৭ বছর আগের কথা। আমি তখন অনার্স থার্ড ইয়ারের ছাত্র। কি যেন একটা কারণে রাগে এক প্যাকেট সিগারেট একাই টেনে শেষ করেছিলাম। হাত-মুখ না ধুয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে জাগা পেয়ে দেখি ভীষণ দূর্গন্ধ আমার শরীরে। যেন বমি হবে-এমন অবস্থা। বহু চেষ্টা করেও পরিষ্কার করে হাতকে দূর্গন্ধমুক্ত করতে পারিনি সেদিন।
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৮
পটল বলেছেন:
চারিদিকে দূষিত বাতাস, কালো ধূয়া, গাড়ির দোয়া, সীসা, কার্বন। ঘরে ও বাইরেও। মানুষ অজস্র, জায়গা কম। আলাদা জায়গা এতো পাইবেন কৈ! সিগারেটের কিছু ধূয়া ওইসব ধূয়ার সাথে আর যাইব কতো!!
তবে আমি কিন্তু আপনার সাথে পুরাই একমত
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৫
শিপু ভাই বলেছেন:
যেইসব জায়গায় ধুমপান করতে না করলেন সেইসব জায়গায়ই সিগারেটের টেস্ট বেশি পাওয়া যায়!!! হাহাহাহ
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। গলাবাজী করে লাভ নাই। আসলেই আমাদের ধুমপায়িদের একটু সচেতন হতে হবে।
+++++++++++
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০১
বিষন্ন পথিক বলেছেন: এরাম করেন ক্যান আমরা ইট্টু বিড়ি খাইলে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪১
জামিলা শফী সিদ্দীকি বলেছেন: একজন মুখ ভরে ধোঁয়া নিয়ে আপনার মুখে ঢুকিয়ে দিলে আপনি কি খুশি হবেন। আপনারা বিড়ি খেয়ে ধোঁয়া অধূমপায়ীর মুখের সামনে ছেড়ে দিলে তাদের ওই রকমই কষ্ট বোধ হয়। তাছাড়া-স্বাস্থ্যগত কারণ তো আছেই। আপনি ধূমপান করছেন, আপনার ক্ষতি হোক। কিন্তু যিনি ধূমপান করছেন না, তার ক্ষতি হবে আপনার ধূমপানের কারণে-এটা কি উচিত ?
১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৩
চানাচুর বলেছেন: অনেকে তার বাড়িতেও বসেও ধুমপান করে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এতে অসুবিধা হয়। বাড়িতে ধুমপান করা উচিত না।
১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬
একজন আরমান বলেছেন: যদি সিগারেটের নেশা লাগে, তবে যেখানে লোকজন থাকে সেখান থেকে একটু সরে গিয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থানে স্থির দাঁড়িয়ে বা বসে মনের সুখে টানুন।
(সহমত)
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৭
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: কথা গুলো ঠিকই বলেছেন। রিক্সার ব্যাপারটা গুরত্বপূর্ণ। যদিও রিকশাতে আরোহী একাই থাকেন কিন্তু ধোঁয়া যেয়ে পেছনের রিক্সার যাত্রীর নাকে লাগে। স্মোক আমিও করি, কিন্ত অন্যের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই করি।
ট্রেন জার্ণি অনেক লম্বা হয়। আর এতটা সময় স্মোক না করে থাকাটা অবশ্যই কষ্টকর। আইন হবার পর থেকে স্মোকারদের দেখেছি (এবং নিজেও) ট্রেনের দরজার কাছে যেয়ে স্মোক করতে যাতে বগির ভেতরের লোকজনের সমস্যা না হয়। সেখানেও যখন কেই টয়লেটে আসে, বিশেষ করে মহিলা যাত্রী, তখন সিগারেট ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এত কিছু করার পরও কিছু নন-স্মোকারদের মন ভরানো যায় না। কোন কারণ নেই কিছু নেই, তারা উঠে এসে দরজার কাছে দাঁড়ায় আর বলে যে সমস্যা আছে। এটার কোন মানে হয়, বলুন? অন্যের সমস্যার জন্য নিজে জায়গা ছেড়ে এসে দাঁড়িয়ে স্মোক করছি তারপরও হচ্ছে না।
আবার অনেককে দেখি (বিশেষ করে বয়স্ক) চা-সিগারেটের দোকানে ঢুকে সিগারেটের ধোঁয়ায় অস্বস্তি বোধ করার অভিব্যাক্তি দেখান। অনেকেতো বলেই বসে, ধোঁয়াটা ওদিকে ছাড়ুন। তা বাবজান, চা-সিগারেটের দোকানে ঢুকছ ক্যান? বারে আইসা কও যে মদের কি উৎকট গন্ধ। নন-স্মোকারদের কথা মাথায় রেখেই যেখানে সেখানে সিগারেট না খেয়ে চা-সিগারেটের দোকানে বসি, খেতে ইচ্ছা করে সিগারেট, কিন্তু দোকানে শুধু সিগারেট খাওয়া যায় না, সাথে চা-ও খাওয়া লাগে। এত কিছু করেও শান্তি নাই, দোকানের মধ্যে ঢুকে বলে, ধোঁয়াটা ওদিকে ছাড়ুন।
এরকম বেশ কিছু সমস্যা হয়। স্মোকিংটা স্মোকারদের প্রবলেম, আমার প্রবলেম, আর আমি কখনোই সেই প্রবলেমের জন্য অন্যকে কষ্ট দিতেও চাই না, ক্ষতিও করতে চাই না। অন্যের সমস্যা করে যারা স্মোক করে তাদের উচিত এটা থেকে বিরত থাকা।