নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ জাহেদ হোসেন

সৈয়দ জাহেদ হোসেন

শত দুঃখ কষ্টের মাঝে যে হাসতে পারে, সেই সামনে এগিয়ে যায়।

সৈয়দ জাহেদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬

ধর্ষিত এক শহরের গল্প

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন

তোমাদের এই শহর আজ ধর্ষণের শিকার,

চাঁদের আলোয় ওঁত পেতে থাকা একদল কুৎসিত,

দিনভর দখল করেছে রাস্তা, অলি, গলি, হোটেল, ফুটপাত।

শহরে রমরমা ধর্ষণ বাণিজ্য চলছে

শহরের অলিগলিতে,

ফেসবুকে,

ইউটিউবে,

কবিতায়,

গদ্যে,

গানে,

কিংবা

ধর্মজীবীর মুনাজাতে।

ধর্ষণের মহড়া চলছে মহানগর নাট্যমঞ্চে,

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে,

স্কুল কলেজ গুলোর ভর্তি পরীক্ষায়,

কোচিং সেন্টারে,

রাস্তার পাশে রাজনীতির ব্যানারে,

বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে,

গজিয়ে উঠা নিত্য নতুন টিভি চ্যানেলের রিয়্যালিটি শোতে,

গভীর রাতের টক শোতে,

চাকুরী প্রার্থীর সাক্ষাৎকারে,

পবিত্র শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে অপবিত্র রাজনীতিবিদের ভাষণে,

নারী বিদ্বেষীর নারী জাগরণ রেলিতে,

ভোগবাদী লালসার পেষণে,

নব চেতনা নামধারী নতুন ধর্ষক।

নিস্প্রভ প্রস্তরে কংক্রিটের শহর তাকিয়ে রয় অবাক হয়ে,

কোটি কোটি জনতার সামনে তার গনধর্ষণ কেউ ঠেকায় না।

কামনার ভয়াল গ্রাসে নির্বিচারে দখল তার শরীর,

কান্ডজ্ঞানহীন ছুটে চলা তার রক্ষক।

কোটি কোটি জনতা শুধুই দর্শক।

ধর্ষিতা শহরের ধর্ষণের পরীক্ষা হবে,

এইবার নতুন ধর্ষক তার রক্ষক, যে দিনে রাতে তার ধর্ষক।

ইতিহাস সারাজীবন শুধু ধর্ষণের সাক্ষী দিয়ে গেল,

ধর্ষককে শিক্ষা দিল না।

------------------------

হিসেব নিবে?

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন



কিসের হিসেব নিবে?

পার হল এক শতাব্দী।

কয়টা চুল হল সাদা,

কতটুকু দূরত্বে শুনতে পায় দুই কান,

কিংবা মুখের মাঝে হয়েছে কত ভাঁজ?

চামড়ায় কি আছে আজো টান টান?



কিসের হিসেব নিবে?

পার হল এক শতাব্দী।

খালি চোখে দেখতে পায় আজো অবধি?

স্মরণ শক্তি কি আছে ভালো?

এখনো কি মনে পড়ে তোমায়

যখন নিভে যায় সন্ধাকাশের আলো।



কিসের হিসেব চাও?

কেমন পার করলাম গত শতাব্দী?

পরিনত শাশ্বত জীবন গত শতাব্দী জুড়ে

নিস্পলক আঁখির ক্রন্দন বেদনা বিদূরে।

অদম্য পিপাসায় পিপাসার্ত

নিয়তির আকূতি কামনার্ত,

হাতটুকু ছুঁয়ে দেখতে খুব ইচ্ছে প্রবল,

আছে কি আগের মত নরম কোমল?

আজ সবিনয়ে বিনীত নিবেদন,

এই শতাব্দীতে তোমাকে আমার বড়ই প্রয়োজন।













ধর্ম,নয় কারো সম্পত্তি

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন



দুর্ভেদ্য আকাশ আজ খোলা জানালার বাইরে,

ঘন কালো মেঘের দল ছুয়েছে পৃথিবীর ছাদ,

বিনিদ্র প্রহর গুলো রাতের নিশ্চুপ মোহে বিচ্যুত,

অনিয়মিত শব্দক্ষরণে দেবের জন্য অসুরের ফাঁদ।



দেবতার দেববাণী,মর্মে মর্মে শুনি,যেন অমৃত

পরিমিতি,নিশ্চয়ক,পরিসংখ্যান,সম্পাদ্য,উপপাদ্য,

সেখানেও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব,মাওলানা,পুরোহিত,

এখনো আস্তিক নাস্তিকের দ্বন্দ্ব,থামায় কার সাধ্য?



মন্দির,মসজিদ,গির্জা,প্যাগোডা নাকি ঈশ্বরের বসত,

অবশিষ্ট, কার পৃথিবী? যেথা জুড়ে অসুরের প্রতিপত্তি,

ধর্মজীবী,বকধার্মিকের মেলায়,মানুষেরা অসহায় সবায়,

ধর্মের মর্মকথা,সবারই হৃদয় গাঁথা,নয় কারো সম্পত্তি।



------------------------------------------------





ভালোবাসার অনুপাত সমানুপাত

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন

===================

কেন এত আছি, কত কাছাকাছি,

কিইবা ছিল দরকার,

প্রয়োজন অপ্রয়োজন বুঝিনা কভু,

ছুটে আসি বারবার?

ভালবাসতে, চোখের হব আড়াল,

যেতে হবে অনেক দূরে,

সবুজের দেশে পাখী ডাকে যেথা

রাখালিয়া গানের সুরে।

সোনালী স্মৃতি উল্টে পাল্টে

পার করি সময় অসময়,

কাছে থাকার বাসনায় মনে

কাটুক মৌনতা ও ভয়।

ভালোবাসার ইচ্ছে হোক প্রবল

খুলে দিয়ে বাতায়ন,

দূরত্বের কাছাকাছি দূরত্বই থাকুক,

নিকটকে করি নবায়ন।

আজ শুধু ভালোবাসা প্রেম হবে

ফিরে নাহি যেতে চাই মন,

প্রানের খেলায় হিয়ার টানে

শুদ্ধ যত আলিঙ্গন।

শুদ্ধ প্রেমের শুদ্ধ আশায়

পার করি দিন রাত,

তোমার তৃষ্ণা আমার ক্ষুধা

অনুপাত সমানুপাত।













শুদ্ধতার শুভ্র, শুভ্রতার শুদ্ধ

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন



শুদ্ধতার আছে কি বহুবচন, আছে কি শুভ্রতার?

বচন, প্রবচন আর লিঙ্গের দহনে পুড়ছি বারবার।

‘দুঃসাহস’ আজ প্রিয় শব্দ, উচ্চারণ অবলীলায়,

নিঃশ্বাস অবিশ্বাসের ছোঁয়ায় প্রতিশ্রুতি মুছে যায়।

জিভের গর্ভে গর্ভধারন অহংকারী বিপরীত শব্দ,

তোমার বিনষ্ট মুখগহ্বরে তুমিই তো হবে জদ্ধ।

বেড়ে উঠা মিথ্যা অহংকারে আজ অসুস্থ বর্ণমালা,

তোমার শব্দে পাহারা বসায় নিশি প্রমোদবালা।

তোমার অস্পষ্টতাই শুভ্রতায় বুঝে কিসের ইন্ধন?

শুদ্ধতা শুভ্রতার অস্তিত্বে চাবুকের আর কত প্রহসন?

ঝড়ে অন্ধকার সব, মুখ লুকিয়ে আছে অবাক বুদ্ধ,

বাক বিতণ্ডার গ্যাঁড়াকলে শুদ্ধতার শুভ্র, শুভ্রতার শুদ্ধ।



সিনামন আইল্যান্ড

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন



এভাবেই যুগ যুগ, সমুদ্রের জলে সঞ্চিত সুখ,

দূরত্বের দূরত্ব পেরিয়ে শুধু আসি বার বার,

অদ্ভুদ মায়ায়, শীতল ছায়ায়, কিসের আবেশ?

সবুজ পাহাড়, সমুদ্রের কোলে প্রিয় ‘ডোভার’।

তোমার কাজল চোখে স্বপ্নের অসম্ভব নীল,

প্রাসাদের পিছুটান,কিছুটা আবহমান পদক্ষেপ

ইতিহাসের হাতছানি, পার করি দিন রজনী,

উপসংহারে প্রশান্তি, তাহলে কিসের আক্ষেপ?

বসে আছি খোলা সুবিশাল জানালার ধারে,

বাতাসের দু’চোখে নীল আকাশ সমুদ্র প্রাণমন,

অলিখিত চুক্তিনামায়, কাছে টেনে নিয়ে যায়,

হে ‘ডোভার’ তোমার অহংকার ‘আইল্যান্ড সিনামন’।



========================

পবিত্র হোক গয়া কাশী

- সৈয়দ জাহেদ হোসেন



নিদ্রাভ্রম অতীত অন্ধকারে রেখে গেছে

ইতিহাসের প্রনয়ের ঋন,

বুক ভরা স্বপ্নরা তৃষ্ণার্ত গাংচিল

জলের অমমতায় ঘরহীন।

ফেরি করে মৃত্যুরা নির্মম শ্মশান,

ভালোবাসা যেথা বানবাসি,

দেবতার সীমারেখায় অস্পষ্ট ক্রন্দন

নগ্ন নৃত্যে অপবিত্র গয়া কাশী।

শব্দের বলিদানে ধর্ষিত পুজার গান,

রাবনের হাতে খুন মানবতা,

পৌরনিক দেব-দেবী অর্থহীন সৃষ্টি

যদি ভাঙ্গেনা তাদের নীরবতা।

চাঁদের আলো পথ দেখাবে কভে?

সূর্যের আর ইচ্ছে নেই ,

অতৃপ্ত সুখে অসুখী মানুষের দল

অন্ধকারে হারিয়েছে খেই।

একটুকু ভালোবাসা মানবের তরে,

সব ধূসর করে ম্লান,

অরণ্যের মরকে বেঁচে যাক শিমুলেরা

সবুজেরা ফিরে পাক প্রাণ।

অতলস্পর্শী যত ফাঁটল ভরে যাক

মাঠের নিস্ফলা বুকে,

আবার পবিত্র হোক গয়া কাশী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.