নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূবালী বাতাসে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩১

আমাকে ফিরিয়ে দাও- দীঘির পাড়ের ঝির ঝির মৃদুমন্দ হাওয়া, ঘুড়ি ওড়ানো বিকেল বেলা, গোধূলি সন্ধ্যা, সাদাকালো রঙে বিটিভির ধারাবাহিক, চাকরিজীবী মায়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকা ছোট্ট কচি মন, গাঁয়ের বাড়ির দ্বিপ্রহর রাতে বাবার ফিরে আসায় ঘুম চোখে জেগে ওঠা, ধোঁয়া ওঠা শীতের সকালের গ্রাম্য খালার বানানো ভাপা পিঠার স্বাদ, শামছুল চাচার ধারালো চাকুতে কাটা আঙ্গিনায় বেড়ে ওঠা খেঁজুরের তাজা রস, আলী হুজুরের কাছে খালাত ভাই রিপন সহ ভোরে ওঠে সিপারা শেখা, বাবা আর আজম মামার সাথে বসে হারমোনিয়ামে ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, কত রাত আমার’ গানগুলো বার বার গাওয়া, এই সময়গুলো। তারপর অনেকগুলো বছর কেটেছে যেন শব্দহীন অথবা সযন্ত্রীয়।

একবার ফুটফুটে এক বাচ্চা কোলে তামান্নার আগমন। বলল- তোমার কোন আফসোস্? বললাম- কেন? প্রশ্নটা আমার কাছে বজ্রপাতের মতো মনে হলো। ও, এখন আর ভেবে কি হবে- এমন ভাব করে হেসে বাচ্চাটাকে আদর করতে থাকলো। তখন বিয়ে বা সংসার বা সন্তান এমন চিন্তার ধারে কাছেও নিজেকে ভাবতে পারিনি। কিন্তু কেউ হয়তো বেশি কিছু ভেবে বসে থাকে কখনো কখনো।

গানের আসর। জমজমাট শীতের মধ্যরাত। হারমোনিয়ামের মহোনীয় সুর যেন সারাগ্রামকে মাতিয়ে ছাপিয়ে বার বার প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। রাতে হারমোনিয়াম বাজালে মনে হয় এমনই শোনায়? তাই তো হঠাৎ-ই প্রিয়ার চুপিসারে কাছে এসে বসা। চাঁদ লুকিয়ে পড়া ঘুটঘুটে অন্ধকারে পাড়া গাঁয়ের এক সরল কামিনীর ত্রস্ত পায়ে সুরের টানে ছুটে আসা।

একবার এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করলাম। গ্রামের সব বন্ধু-বান্ধব-বান্ধবীরা মিলে টাকা পয়সা জোগাড় করে খোলা মাঠে রান্নার ব্যবস্থা করা হলো। মাইকও আনা হলো। সেই মাইকে ‘বনমালী গো তুমি’, ‘আইলো দারুণ ফাগুণ রে’, ‘মনটা যদি খোলা যেতো’ কতো কতো প্রাণ উদাস করা গান বাজতে থাকলো। গ্রামোফোনের গানের পর সবাই মিলে সবার লাইভ গান। সে কি হুলুস্থুল অবস্থা! প্রীতিভোজে যেন আনন্দ আর ধরে না। বাঁশের চাটি আর ধাড়াই বিছিয়ে শীতের চাঁদনী রাতে চলল নিজেদের পরিবেশনা। তবলা, খঞ্জরী, মন্দিরা, দোতরা, একতারা, পাখোয়াজ, ঝাঝর, বাঁশী, তুম্বা, ঢোল কি না ছিল সেই গানের আয়োজনে? একেক জনের কাছে একেক রকমের সঙ্গীত যন্ত্র। একসাথে এমন অনুরণন তুললাম যে পাগল হয়ে উঠলো সারা গাঁ। হঠাৎ ধাড়াইয়ের নিচে সাপের অস্তিত্ত্ব টের পেয়ে যে যার মতো দৌড়ে দে ছুট প্রাণ নিয়ে।

আমাকে সেই দিনগুলো ফিরিয়ে দাও হে সময়! ফিরিয়ে দাও আধো আধো মৌনতায় সেই প্রেমময় অনুভব। ফিরিয়ে দাও কচি কণ্ঠের বেসুরো স্বরে মায়াভরা সেই গাওয়া গান আর রক্তিম আভা ছড়ানো সুবহে সাদেকের পবিত্র আহ্বান। --- এস জে রতন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

মাহমুদ ৪৮৬৯ বলেছেন: nice post. সম্পুন্ন বিনামুল্যে নতুন নতুন বাংলা romantic video song,latest news পেতে নিচের link এ click করুন Click This Link গানগুলির quality hd,sound ফাটাফাটি | সবসময় নতুন নতুন গান পেতে অবশ্যসই এই channel এ subscribe করুন এবং LIKE,COMMENT,SHARE করে আপনারা উৎসাহিত হন এবং আমাকে নতুন নতুন গান upload করতে উৎসাহিত করুন | SUBSCRIBE করলে অপনারা সবসময় আমার সাথে থাকতে পারবেন এবং নতুন নতুন গান upload করা video গুলি দেখতে পারবেন

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

এস েজ রতন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.