নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আছে অধীনতা তোমার কাছে

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

গাঁয়ের ছেলে বলে কথা। নদী, নালা, খাল, জল আর শালুকের সাথে সখ্যতা
থাকবে না তা কি হয়? কুচকুচে কালো জোঁকের রক্ত চুষে নেবার পর তার যন্ত্রণা
বোঝার অভ্যাসও নিশ্চয়ই আছে নিলয়ের। না, নেই। গাঁয়ের আর দশটা ছেলের
চেয়ে কেন যেন একটু তুলু তুলু করে বড় হয়েছে সে। নিরন্তর খোলা সবুজ মাঠ
আর প্রকৃতির গোছানো বাস্তব দৃশ্যগুলোতে হেঁটে বেড়ানোতেও যেন কিসের নিয়-
ন্ত্রণ। এটা পরাধীনতা কি না বলা মুশকিল, তবে অধীনতা তো বটেই।

হঠাৎ রঙ-অন্ধ হয়ে গেল নিলয়। সবুজ কে আর সবুজ দেখতে পেল না সে।
যা কিছুই দেখছে সবই প্রায় রক্তিম লালের কাছাকাছি। স্বপ্নেও কখনো কোন কিছু
এতো বৃহত্তর করে রক্তিমতায় দেখেছে কি না, মনে করতে পারছে না। অস্থির হয়ে
উঠলো সে। কিছুক্ষণ না হয় সহ্য করা যায় কিন্তু মহাকালের জন্য এটা কোনভাবেই
মনের সাথে মানাচ্ছে না। চোখ দু’টো বন্ধ করে, তারপর চোখ দু’টোকে ঢেকে
দেয়া চোখের পাতার ভেতরটা দেখতে চেষ্টা করলে শুধু অন্ধকার আর লাল রঙটা
কে দেখা যায়। যা অত্যন্ত ভয়ংকর। এখন চোখ মেললেও শুধু লাল আর লাল।

কোনভাবেই এটা আর সইতে পারছে না নিলয়। ঘেমে উঠছে সে। অস্থিরতা
বাড়ছে। নিঃশ্বাসও বন্ধ হয়ে আসছে। গোঙ্গানীর শব্দে আর বাসের হঠাৎ ব্রেকে
সম্বিৎ ফিরে পায় নিলয়। কোথায় সে? শব্দ করে বলে উঠতে যেয়েও থেমে যায়।
সিঙ্গেল সীটে বসে নিজেকে আবিষ্কার করে বাসে। হ্যাঁ তার তো বাসেই থাকার কথা।
দূরের পথ, এসি করা শুনশান শব্দহীন বাসের সীটে বসে কখন যে রাজ্যের ঘুম
এসে চোখ বুঁজিয়ে দিয়েছে, বুঝতেই পারেনি। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে,
তা হলো কোন একজনের কাছে আমরা সবাই শক্ত করে বাঁধা। আর সেটা শুনতে
কঠিন হলেও প্রকৃতপক্ষে এটা ‘অধীনতা’। যা নিতান্তই কাম্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.