নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

skalam71

Sayed Kaisr Alam

সৈয়দ কায়সার আলম,

Sayed Kaisr Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

জমিদার রবীন্দ্রনাথ ও ঠকুর পরিবার

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৮

১) “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার
ছিলেন। তার দফায় দফায় খাজনা বৃদ্ধি এবং জোর-
জবরদস্তি করে তা আদায়ের বিরুদ্ধে ইসমাইল মোল্লার
নেতৃত্বে শিলাইদহে প্রজাবিদ্রোহ হয়েছিল। (সূত্র:
অধ্যাপক অমিতাভ চৌধুরী, জমিদার রবীন্দ্রনাথ, দেশ
১৪৮২ শারদীয় সংখ্যা)
২) চারিদিকে নিষ্ঠুরতা ও দুর্নামের প্রতিকূল বাতাসকে
অনুকূল করতে “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাইভেট
সেক্রেটারী অমিয় চক্রবর্তী একবার বিশাল জমিদারীর
একটি ক্ষুদ্র অংশ দরিদ্র প্রজাসাধারণের জন্য দান করার
প্রস্তাব করেছিলেন। ঠাকুরমশাই ইজিচেয়ারে
আধাশোয়া অবস্থা থেকে সোজা হয়ে বলেছিলেন, “বল
কিহে অমিয়। আমার রথীন (কবির একমাত্র পুত্রের নাম)
তাহলে খাবে কী? (দ্রষ্টব্য: অন্নদাশঙ্কর রায়ের রচনা
থেকে উদ্ধৃত পুস্তক ‘রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক
চিন্তাধারা: আবু জাফর)
৩) অধ্যাপক অরবিন্দ পোদ্দার লিখেছে, “জমিদার
জমিদারই। রাজস্ব আদায় ও বৃদ্ধি, প্রজা নির্যাতন ও
যথেচ্ছ আচরণের যে সব অস্ত্র, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
বাংলার জমিদার শ্রেণীর হাতে তুলে দিয়েছিল, ঠাকুর
পরিবার তার সদব্যবহারে কোন দ্বিধা করেনি। এমনকি
জাতীয়তাবাদী হৃদয়াবেগ ঔপনিষদিক ঋষিমন্ত্রের
পুনরাবৃত্তি এবং হিন্দুমেলার উদাত্ত আহবানও জমিদার
রবীন্দ্রনাথকে তার শ্রেণীস্বার্থ থেকে বিচ্যুত করতে
পারেনি। (দ্রষ্টব্য অরবিন্দ পোদ্দার: রবীন্দ্রনাথ ও
রাজনৈতিক প্রবন্ধ)
৪) সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়ও বলেছে,
“শান্তিনিকেতনে একটি চাকরি পেয়ে তার আধা-
সরকারি চাকরি ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু
রবীন্দ্রনাথ হলেন জমিদার মর্জির, ঠিক নেই, কখনো
আবার চাকরি নষ্ট করে দিলে তার খাবার অভাব হবে।
রবীন্দ্রনাথ ইন্টরালেন্ট (অসহিষ্ণু) ছিলেন। যে মাস্টার
রবীন্দ্রনাথের কথার প্রতিবাদ করতেন তার চাকরি
থাকতো না।”
৫) অন্নদাশঙ্কর রায় আরও বলে, “জমিদার হিসেবে ঠাকুর
পরিবার ছিল অত্যাচারী। গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল, বুট
পরে প্রজাকে লাথি মেরেছেন, পায়ে দলেছেন দেবেন
ঠাকুর। এটাই রেকর্ড করেছিল হরিনাথ মজুমদার। যিনি
মহর্ষি বলে পরিচিত, তিনি একইরকমভাবে মানুষকে
পদাঘাতে দলিত করেন। গ্রাম জ্বালাবার কথাও আছে।
আবুল আহসান চৌধুরীর কাছে এর সমস্ত ডকুমেন্ট আছে।
সমগ্র ঠাকুর পরিবার কখনো প্রজার কোন উপকার করে
নাই। স্কুল করা, দীঘি কাটানো এসব কখনো করে নাই।
মুসলমান প্রজাদের টিট করার জন্য নমশূদ্র প্রজা এনে
বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি রবীন্দ্রনাথের মাথা
থেকেই এসেছিল। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার তার
‘গ্রাম্যবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকায় ঠাকুর পরিবারের
প্রজাপীড়নের কথা লিখে ঠাকুর পরিবারের বিরাগভাজন
হয়েছিলেন।” (দ্রষ্টব্য দৈনিক বাংলাবাজার, ১৪.০৪.১৯৯৭
এবং ১.৫.১৯৯৭ সংখ্যা)
৬) স্বামী বিবেকানন্দের ঘনিষ্ঠ ভ্রাতা ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত
তার জন্য লিখেছে, “রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত সামন্ততান্ত্রিক
।”
৭) জমিদারদের বড়দেবতা হলো অর্থ আর স্বার্থ। অর্থ আর
স্বার্থলাভ করতে ঠাকুর পরিবারের জমিদার হিসেবে
দুর্নামের কালো দিক আড়াল করে রাখলেও প্রকৃত
ইতিহাসের পাতা থেকে তা মোছা যাবে না। “ঠাকুর
পরিবারের এই মহর্ষি জমিদারদের প্রতি কটাক্ষ করে
হরিনাথ লিখেছেন, “ধর্মমন্দিরে ধর্মালোচনা আর
বাহিরে আসিয়া মনুষ্যশরীরে পাদুকাপ্রহার, একথা আর
গোপন করিতে পারি না।” (অশোক চট্টোপাধ্যায়: প্রাক
বৃটিশ ভারতীয় সমাজ, পৃষ্ঠা ১২৭, ১৯৮৮)
৮) সিরাজগঞ্জে প্রজা নির্যাতনের দলিলও ইতিহাসে
পাওয়া যায়। “এর প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের ডেপুটি
ম্যাজিস্ট্রেটের বদলির আদেশ হয়েছিল এবং যে যে
জমিদার উপরের আবরণের গুণে তপস্বী বলিয়া
গভর্নমেন্টে পরিচিত ছিলেন, তাহারা যে বিড়াল তপস্বী
তা প্রমাণিত হয়েছিল। এসবের ফলশ্রুতিতে হরিনাথকে ঐ
জমিদারের বিষনজনে পড়তে হয়েছিল।” (অশোক
চট্টোপাধ্যায়, ঐ, পৃ ১২৮)
৯) কয়েক পুরুষ ধরে প্রজাদের উপর পীড়ন চালিয়েছে
জোড়াসাকোর এই ঠাকুর পরিবারটি। রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর
ব্যতিক্রম ছিলো না। "১৮৯৪ সনে রবীন্দ্রনাথ চাষীদের
খাজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলো,খাজনা আদায়ও
করেছিলো [ তথ্যসূত্র: শচীন্দ্র অধিকারি, শিলাইদহ ও
রবীন্দ্রনাথ পৃঃ ১৮, ১১৭]।"
“সব জমিদারা খাজনা আদায় করত একবার,কিন্তু
রবীন্দ্রনাথ এলাকার কৃষকদের থেকে খাজনা আদায় করত
দুইবার। একবার জমির খাজনা দ্বিতীয় বার কালী পূজার
সময় চাদার নামে খাজনা। ”
(তথ্যসূত্র: ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিত,
লেখক - সরকার শাহাবুদ্দীন আহমেদ )
আজকে সেই প্রজানিপীড়ক জমিদার রবীন্দ্রনাথকে
বানানো হয়েছে প্রজাপ্রেমী জমিদার। ইতিহাসকে যে
কতোটা বিকৃত করা হয়েছে
মাধ্যম- উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৪

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: ভাল বলেছেন। সহমত।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: “ধর্মমন্দিরে ধর্মালোচনা আর
বাহিরে আসিয়া মনুষ্যশরীরে পাদুকাপ্রহার, একথা আর
গোপন করিতে পারি না।”
ইতিহাসের অচর্চিত কালো সত্য
তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোষ্ট
অনেক ধন্যবাদ

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

থিওরি বলেছেন: নতুন তথ্য। কিছু যাচাই ব্ছাই করতে হবে । আমি তো জানি রবীন্দ্রনাথ তার নোবেলপুরস্কারের সমস্ত টাকা আর্যলখখি ভান্ডারের মাধ্যমে কৃষককুলের উপকারে দিয়ে গেছেন...................।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মানুষের কামই এইটা| সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথকে রেখে জমিদার রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে টানাটানি করছে

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

নিজাম বলেছেন: সত্য বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.