নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগে মধ্য রাতের শেষ প্রহরে ভূঁইদোলায় ভীত ছিলাম। কিছুটা সময়পর মসজিদ থেকে ফজরের আজান হলো। তখন বটমলির গীর্জার ঘন্টাও কয়েকবার কেঁপে কেঁপে দোলে ওঠছিল তার আওয়াজটা ঠিক ঠিক কানে বাজছিল। প্রতিদিন যে বাড়ির ছাদ দেখে ঘুম ভাঙ্গে আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু রক্ত রাঙা জবা আর সাদা শেফালী ছিলনা। দেবীর চরণতলে অর্পিত হয়ে গেছে ততক্ষণে এ কথা ভেবেই সকালের যাত্রা হলো।
আমার মনে হলো ১৯৯৮ সালের বন্যার কথা খুব বেশি করে। একটু উঁচু জায়গার শিয়াল, মুরগী, সাপ, বিড়াল, ইদুর আর লাল পিঁপড়ার কথাই বেশি বেশি মনে পড়ছিল। পানিতে দল বেধেঁ পিঁপড়াগুলোর ভেসে চলার মুহূর্তটা; স্রোতের সাথে দোলতে দোলতে তাদের পথচলা একটা বলের মতো গোল করে ভেসে যাচ্ছে একসাথে ব্যাপারটা এমন ছিল যে, সবগুলো পিঁপড়াই একটা চক্রের মাঝে চলমান সবাই পানির স্পর্শে আসছে আবার কিছুটা সময় পানির উপর। একতার একটা ব্যাপর ছিল; তা খুব ভালো করে তখন খেয়াল করতে পারিনি। সময় যখন গড়িয়ে গেল তখন বুঝতে পারলাম বিষয়টা।
আজ তেমনই একটা বিষয় আবার মনে হলো যখন আমরা দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে মিলিত হই তখন সবাই বাচাঁর তাগিদেই পরস্পর পরস্পরের সহযোগি হয়ে যাই। এখানে কোন ভেদাভেদ থাকেনা। কিন্তু দুযোর্গপূর্ণ পরিবেশটা শেষ হলে সেই অবস্থায় আর থাকতে পারিনা।
কেন এমন হয় আমি জানি না।
©somewhere in net ltd.