নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ঢাকা এখন মেগাসিটি। ২ কোটি জন অধ্যুষিত রাজধানীতে বর্তমানে কিছুটা হলেও নিরাপত্তার বিঘ্ন হচ্ছে। পতিত সরকারের পর বর্তমানে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীকে ঢাকায় বসবাসরতদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এছাড়াও রাজধানীতে গত কয়েক দিনের ঘটনায় যা দেখা যাচ্ছে, নানান অপরাধ, হত্যা, সংঘর্ষ ইত্যাদি ঘটেই চলেছে। এগুলো বন্ধ হচ্ছে না খুব দ্রুত। আমরা সাধারণ জনগণ শান্তি প্রিয় মানুষ সংঘাত চাই না। আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যে সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর সবগুলো কি সচল আছে। যদি সচল না থাকে তবে তা অতি দ্রুত সচল করা প্রয়োজন। কোথাও কোথাও মেরামত করা প্রয়োজন হলে সেগুলা মেরামত করা প্রয়োজন। এমন যেন না হয় যে- রাজধানীর সকল রাস্তা, সুপার সপ, অফিস-আদালাত, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সিসি ক্যামেরা আওতাভুক্ত থাকার পর সেগুলো কাজ করছে না। ফলশ্রুতিতে কোনো ঘটনা ঘটে গেলে কে কে ঘটনার সম্পৃক্ত ছিল তাদের চেনা যায় না। তাদের ধরা যায় না। সঠিক বিচার করা যায় না। কোথাও কোথাও লেখা থাকে অত্র এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিসি ক্যামেররা দ্বারা সার্বক্ষণিক আপনার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে আপনি সিসি ক্যমেরা আওতাভুক্ত এলাকায় প্রবেশ করেছেন ইত্যাদি। এমন লেখা থাকলে যারা সাধারণ মানুষ যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা নেই তারা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু সর্তক হয়েই সেই সব এলাকায় চলাফেরা করেন। সেখানে কেউ অসর্তক হয়ে চলে না। যারা অপরাধী তাদের কথা ভিন্ন। এখানে যদি সবার মাঝে একটা সেন্স কাজ করে গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত তাহলে সহজেই অপরাধে জড়িত হবে না। মব জাস্টিসের যে প্রথা তৈরি হয়েছে তা তো বন্ধ করা যাবে। বিচার সঠিক সময়ে দ্রুততার সাথে করলেই সম্ভব। সচিবালয়ে আনসারদের আন্দোলনে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সকলকে নিহ্নিত করা যেত খুব সহজেই যদি সিসি ক্যামেরাগুলো সচল থাকতো। আমরা জানি না এমনই ভাবে বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরাগুলো শুধু অবকাঠামো গত উন্নয়নের চিহ্ন হিসেবে কাজ করছে না। প্রকৃত অর্থেই সচল আছে। কোথাও কোথাও কাগজে কলমে আছে বাস্তবে নেই। আমার কোথাও কোথাও সচলে দৃশ্যমান হলে ফুটেজ সংগ্রহের থাকে না। ফুটেজ না থাকলে সচল থেকে লাভ কি ??
আমরা সাধারণ জনগণ সব সময় বর্তমান খবরগুলো নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকি। পূর্বের ঘটনাগুলো ভুলে যাই। তার একটা বড় কারণ গলো খবরের কাগজগুলো ধারাবাহিক লেখার সুযোগ থাকে না। তাহলে তাদের পত্রিকার পাতা পূর্বের খবরের ধারাবাহিকতা রক্ষা গেলে নতুন খবর জায়গা পাবে না। যেমন- ২০২১ সালে পতিত সরকার রাজধানী শহরের অলিগলিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের প্রকল্প নিয়েছিল। গত তিন বছরে বাস্তবায়ন হয়েছে কি-না জানি না। নাকি প্রকল্পের নামে লুটপাত হয়েছে তাও জানা নাই। আমরা সাধারণ মানুষ চাই সিসি ক্যামেরাগুলো সচল হোক। অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়ুক।
আপনি জাহাঙ্গীর গেইট থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত যাওয়ার পথটা মনে করেন না কেন। সেখানে সিসি ক্যামেরা সচল থাকায় আপনি মোটর সাইকেলের গতি নির্দিষ্ট গতির বেশি হলেই অটো মামলা হয়ে যায়। আপনি তো দ্রুত গতিতে ঠিকই চলে গেলেন কিন্তু ঠিকই আপনার মোটরা বাইকের গতির জন্য মামলা অটো হয়ে গেছে। আমরা সাধারণ জনগণ আশা করতে পারি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা প্রায় অপরাধ শূন্য হয়ে পড়বে। তাতে জনগণ সরাসরি উপকৃত হবে।
সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে পুরো ঢাকা
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫১
সা-জ বলেছেন: হুম সব চুরি হয়ে যায়। ৩ কোটির বিনিময়ে ডিসি পদ টা চুরি হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে সব চুরী হয়ে যায়। ম্যানহলের ঢাকনা পর্যন্ত। সিসি ক্যামেরাও চুরী হয়ে যায়।