![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই ফিল্টার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফিল্টার এটা, দেশের উন্নয়নে মানবিকতার ও মুক্ত চিন্তার আদর্শের সৈনিক।
সম্প্রদায়িক সন্ত্রাস:
ক) সম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ক'টি উদাহরণ;
খ) সম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের দু/চারটি রিপোর্ট, মতামত ও স্কিন সর্ট ।
গ) সম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ভার্চূয়াল প্রতিক্রিয়ার মতামত, পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত (গ) প্যারটি আপনাদের/ প্রিয় পাঠকের জন্য উম্মুক্ত । আশা করি মতামত প্রদান করে ধন্য করবেন। দু/চারটি স্কিনসর্ট সংউক্ত করছি।
ক) সম্প্রদায়িকত সন্ত্রাসের ক'টি উদাহরণ:
১৯৪৭ সালে ধর্মিয় উম্মাদনা - ধর্ম অনুযায়ী ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের ভয়ঙ্কর রূপ:
ধর্মের নামের বিভাজনের রাজনীতি এই ভূখনে বহুকাল ধরেই চলে আসছে। '৪৭ এর দেশ ভাগের পর থেকেই এই দেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে হিন্দু জনগোষ্ঠীর উপর নেমে এসেছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের করালঘাত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে শোষক গোষ্ঠী বরাবরই সাম্প্রদায়িকতা উষ্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন অন্যায় অবিচার শোষণ বঞ্চনার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অত্যাচার সন্ত্রাস নির্যাতনের শিকারও হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।
Hyderabad to escape severe backlash retribution from Hindus after Nizam’s surrender at Hyderabad on 17th Sept 1948.
আজ ও আমরা দেখছি বাঙ্গালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের কালোহাত। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধ শক্তি বরাবরই তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বেছে নেয় অমুসলিম সম্প্রদায়কে অত্যাচার শোষন নির্যাতন করার পথ। তাদের হত্যা করা হয়, তাদের ধর্ষন করা হয়, তাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়, লুট করা হয় তাদের সহায়-সম্পত্তি, উচ্ছেদ করা হয় তাদের ভিটা থেকে। ঠিক যেভাবে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা হত্যা, ধর্ষন, অগ্নি সংযোগ, লুন্ঠন এর মাধ্যমে নিরীহ বাঙ্গালির উপর ভয়াবহ অত্যাচার নির্যাতন করেছিল।
১৯৭১ এ ধর্মকে পুজি পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী ও তার সহযোগীরা গঠন করে- শান্তি কমিটিঃ রাজারকার বাহিনী, আলবদর বাহিনীঃ
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে গণতন্ত্রের নামে দেশের দেশ ব্যাপী বাংলাদেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক জামাত শিবির গোষ্ঠী রাজনৈতিক সন্ত্রাস, অগ্নি সংযোগ, নিরীহ মানুষ হত্যা করে আসছে।এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে দেশের সাধরণ মানুষ। গত ৫ জানুয়ারী রাত থেকে এই সন্ত্রাসী জামাত শিবির শুধু মাত্র হিন্দু বলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম সন্ত্রাস চালিয়েছে দেশের ৪ জেলায়। তাদের তান্ডব লীলায় ধ্বংস হয়ে গেঁদেরগ্রাম, পুকুরে ঝাপিয়ে পড়ে বাচতে হয়েছে ছোট্ট শিশুটিকেও। এই সাম্প্রদায়িকতার কারন এই ভূখন্ডের গত ৭ দশকের ইতিহাস থেকেই বোঝা যায়।
আপনাদের নিশ্চই স্বরণ আছে যে, সাম্প্রতিক সময়ের সম্প্রাদায়ীক হামলার ফিরিস্তিগুলি?
কক্সবাজার এর রামুতে বৌদ্ধ বসতি আক্রান্ত: বাড়ি-মন্দিরে আগুন, ৪ টি ঐতিহ্যবাহী মন্দির পুড়ে ছাই।, বিস্তারিত...
৫ই ফেব্রয়ারী ২০১৩-তে হেফাজত ইসরাম ধর্মের নামে ফিরিয়ে এনেছিল ১৯৭১
বাংলাদেশে ধর্মের নামে ব্লগার, লিখক ও মসজিদের ইমাম সহ খুন/ঘুম/ হত্যা:
রোকেয়া চৌধুরী লিখেছেন: ‘সবই দেখি তা না না না …’
বাংলাদেশে কোন ব্যাক্তিকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার সবচেয়ে সহজ উপায় তাকে নাস্তিক আখ্যা দেয়া। সহজ কোথায় নাস্তিক তারাই যারা কোন স্রষ্টার অস্তিত্ব এবং পরকালে বিশ্বাসী না। বিস্তারিত...
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌল চেতনার পরিপন্থী এই সাম্প্রদায়িকতাকে মেনে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে প্রতিবাদ, এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের সামনে আজ সন্ধ্যা ৬ টা প্রতিবাদ মিছিল ও সভা হবে। সেখান থেকে এর বিরুদ্ধে পরবর্তী করনীয় নির্ধারন করা হবে।
খ) সম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের দু/চারটি স্ব-বিরোধী প্রচারণা, রিপোর্ট, মতামত ও স্কিন সর্ট ।
সম্প্রতিক ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সম্প্রদায়িক হামলায় উস্কানি দাতাদের স্ববিরোধী প্রচারণার স্কিনসর্ট দেখি- স্ববিরোধী এই জন্য বলছি যে, তারা পবিত্র কাবার উস্কানিমুল ছবি প্রচারের জন্য বিচার চায়, কিন্তু নিজেরাই ঐ দৃশ্য যত্রতত্র প্রচার করতে মরিয়া হইয়া উঠিয়াছেন।
=> প্রসঙ্গত অভিযুক্ত রাসরাজ দাস দাবী করেছে যে, তার ফেইবুক আইডি হ্যাক করে কে বা কাহারা পবিত্র কাবা শরিফে অবমানাকর পোষ্ট করেছেন তাহা তিনি জানেন না। গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই রাসবাজ দাস কাবা শরীরিফের ছবিটি মুছে ফেলেছেন। এখানে উল্লখ্য এই যে, রাজবাস একবার পোষ্ট করেছিলেন মাত্র, কিন্তু ইসলামের নামে ধর্মিয সৈনকগণ ঐ ছবিটি সর্বত্র অহরহ পোষ্ট করছেন? ইহাতে কি ধর্মিয় অনুভূতি ক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা সবিনয় জানতে চাই।
মিডিয়ার রিপোর্ট-
=> বিবিসি বাংলা বিবিসি-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে ইসলাম-বিদ্বেষী ছবির জেরে হিন্দুদের বহু বাড়ি-ঘর, মন্দির, দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মঙ্গলবারের সহিংসতায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়া হয়েছে।
=> সিলেট-টুডে : ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দির-বাড়িঘরে ভাংচুর-লুটপাট
=> সময়ের কন্ঠস্বর : ফেসবুকে ইসলাম বিদ্বেষী ছবির জেরে মন্দিরে হামলা, হিন্দু বাড়িঘরে ভাঙচুর-লুটপাট
গ) সম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ভার্চূয়াল প্রতিক্রিয়ার মতামত পক্ষে ও বিপক্ষে:
সাম্প্রদায়ীক হামলার প্রতিবাদে জানিয়ে ভার্চুয়াল বন্ধুদের মতামত-
ডা. ইমরান এইচ সরকার নাসিরনগরে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস; হিন্দুদের শত শত ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর-লুটপাট, অন্তত ১৫টি মন্দির তছনছ, নৃশংস হামলায় শতাধিক হিন্দু নারী-পুরুষ রক্তাক্ত ও আহত! কয়েকদিন আগে পূজা নামের ৫ বছরের একটি অবুঝ শিশু ও আরেক গৃহবধূকে ধর্ষণ। এটা পরিষ্কার, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু তাড়ানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন। আর নির্বিকার সরকার ও প্রশাসন এই মাস্টারপ্ল্যানের সহযোগী। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবেনা।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।shared Dr. Imran H Sarker's post.
6 hrs · ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
লাল সবুজ পলাশ ফেইসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভয়াবহ তান্ডব চালিয়ে ৩০০ হিন্দু বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ...... প্রতিবাদ যেহেতু করতে শিখলি না , তা হলে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিস কেন ?
নাসিরনগরে ভয়াবহতার তান্ডবের তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদকারীদের স্কিনসর্ট:
প্রিয় বন্ধু- যুবরাজ Gazi Manjurul Alam Zuboraz, Anik Bhoumik Pranotosh Das Choton, Niloy Sobhan
Akramul Haque
-ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে 'খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের’ নামে একদল ‘নাসিরনগর আপামর তৌহিদি জনতার’ নামে একটি দল এবং ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের’ ব্যানারে সমবেত হয়ে, সনাতন ধর্মাবলাম্বী সম্প্রদায়ের পাড়াগুলোতে হামলে পড়েছে। যথারীতি ধর্ম অবমাননার অভিযোগের আঙুল সনাতন ধর্মাবলাম্বী একজনের দিকে।
প্রকাশ্য দিবালোকে দিনের ১১ থেকে ৩টা পর্যন্ত এদেশে লুটপাট করা যায় অবিশ্বাস্য ! মাল এ গণিমাত'এর লুটপাট ভাগাভাগি চলছে প্রকাশ্য দিবালোকে। আইনের শাসনকে বৃব্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখন ধর্মের নামে যা কিছুই করা যায়।শাসনকার্যের গাফিলতি যখন ধর্মের আলখাল্লা গায়ে চাপিয়ে ঢাকতে হয়, তখন এ রকমের নানান ঘটনারই জন্ম নেবে বাংলাদেশে। উন্নয়নের রাজনীতিতে ধর্মীয় রাজনীতিকে তোষন এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা দুটোই জায়েজ।উন্নয়নের রাজনীতি বলে কথা
বাংলাদেশ বিরোধী এই গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আপনার সচেতন উপস্থিতিই পারে এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে, একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত শিবিরকে নির্মূল করতে এই দেশে থেকে।
এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হোন, রুখে দাড়ান এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে ।
Facebook শেখ মিজান
https://twitter.com/skmizan
অন্যান্য লিখা সমুহ: ব্লগ লিষ্ট- বিস্তারিত
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৮
শেখ মিজান বলেছেন: সঠিক, মুর্খরা এমনই হওয়ার কথা, কিন্তু সেই গর্তে নিজেদে দেহ ডুবাচ্ছে, তাতে কেন তাদের বিরুদ্ধ্যে মামলা হবে না? কেন তার একই ছবি প্রচারনার জন্য অভিযুক্ত হবে না? সাধারন মানুষ হিসবে খুব বুঝতে ইচ্ছে করে।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ সোসিও- এডু-অর্থনীতির কারণে পেছনে পড়ে হিংস্র হয়ে গেছে; ধর্ম তাদের মাথার শেষ মগজটুকুও কেড়ে নিয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
সজীব মোহন্ত বলেছেন: ধার্মিকরা এমনই হয়!