নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেখ নজরুল, কবি

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল, কবি

শেখ নজরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার টিপস

১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২২

কথায় আছে প্রয়োজন কোন বাধা মানে না। কিন্তু জীবন না বাঁচলে প্রয়োজন কী কাজে আসবে? দেশের সড়ক চলাচলের পরিস্থিতি এখন এমন যে, নিজের নিরাপত্তা নিজেই নিশ্চয়তা বিধান ছাড়া উপায়টি নেই। যদিও এটি ভীষণ কঠিন ব্যাপার, বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে আত্মজীবনকে রক্ষা করা। একজন চালকে কিংবা অপরিকল্পিত সড়কব্যবস্থার হাতে বন্দী যেন অসংখ্য জীবনের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি। তাই ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত নিরাপদ প্রত্যার্পন বিশ্বাস করা কঠিন; বরং অবিশ্বাস্য।



সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সভা-সেমিনার, বিবৃতি, বক্তব্য, নির্দেশনার কখনই অভাব ছিলো না, এখনও নেই। কিন্তু দুর্ঘটনা তো কমেইনি বরং বেড়েছে বাড়বে ব্যস্তানুপাতিক হারে, এবং এর থেকে মুক্তি প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছে; সত্যিই কী অসম্ভব? বিশেষজ্ঞমহল বলছেন, এর থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়, তবে আশানুরুপ কমিয়ে আনা সম্ভব। দরকার সচেতনতা আর কার্যকর পদক্ষেপ।

আপাতত কটি বিষয় মানলেই অকালে প্রাণ হারানোর বিষয়টি কমে আসতে বাধ্য-



১। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তের লাখ গাড়িচালক আছে, যার মধ্যে মাত্র ৬ লাখ চালকের বৈধ লাইসেন্স আছে। ৩ লাখ ব্যবহার করে অবৈধ লাইসেন্স। বাকি চালকরা স্বীকৃত চালক নয়, কেউ হেলপার, কেউ আবার সখের চালক।

গবেষণামতে, বৈধ চালকের চেয়ে অবৈধ অনেক চালক অনেকক্ষেত্রে গাড়ি চালনায় একটু বেশি দ্ক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছে। কারণ বৈধ লাইসেন্স প্রাপ্তি একটি প্রক্রিয়া মাত্র। যা যথাযত নিয়ম না মেনেও অর্থের বিনিময়ে পাওয়া খুবই সম্ভব। এবং সচারচার তাই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক যোগ্য চালক লাইসেন্স পান না। লাইসেন্স প্রদান বা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আরও কী পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিষয়টি কার্যকর হয়, তার পদক্ষেপ দরকার। তবে সকল চালককে হিসাবের আওতায় এনে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করাটা খুবই জরুরি।



২। বৈধ-অবৈধ চালকগণের অধিকাংশই রোড সাইন সম্পর্কে জানে না। এ বিষয়ে তাদের পর্যায়ক্রমে দ্রুত কার্যকর ধারণা দান করা।



৩। দূরপাল্লার গাড়িসমূহের গন্তব্যে পৌছানোর বিষয়ে মালিক কর্তৃক সময় নির্ধারণ না করা।



৪। আমাদের দেশের সড়কগুলো চলাচলের যথাপোযোগি করে নির্মিত নয়। সড়কে ব্যবহৃত কার্ভ বা বাঁকগুলো নিয়মগতভাবে তৈরী নয়। বাঁকে যে পরিমান সারফেস বিস্তৃত থাকার কথা সে নিয়মে প্রায়শ সড়ক তৈরী হয় না। ফলে চলন্তাবস্থায় গাড়ি বাঁক নেবার সময় রাস্তার বাইরে কিংবা উল্টিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।



৫। সড়ক, মহাসড়কে স্থাপিত ব্রীজ-কালভার্টের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য পরিলক্ষিত। কোনটির রেলিং নেই, কোনটির গাইডওয়াল নেই। কোনটির এ্যাপ্রোচরোড যথামানের নয়। তার সঙ্গে যোগ হয়-চালকের ব্যস্ততা, অদক্ষতা, ওভারটেকিং মনবৃত্তি, এ সব নানা কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে ব্যাপক হারে।



৫। অতিরিক্ত যাত্রি বহন- দুর্ঘনার আর একটি বড় কারণ। এর ফলে সাধারণত দুটি অসুবিধার সৃষ্টি হয়। ক. গাড়ির টায়ার ব্রাস্ট, খ. বাঁক নেবার সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো।



৬। দুরপাল্লার পরিবহনের ক্ষেত্রে, দিনে রাতে অবিরামভাবে একই চালক দিয়ে গাড়ি চালনার ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। যা একটু সচেতন হলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।



৭। চলন্ত গাড়িতে মেবাইল ফোন ব্যবহার, সড়ক দুর্ঘনার অন্যতম কারণ হিসেবে অনেক গবেষক মনে করছেন। এ বিষয়ে চালকদের সচেতনা সৃষ্টি এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।



৮। কার্যকর হাইওয়ে পুলিশিং ব্যবস্থা ভীষণ জরুরি। যারা নিয়মিত এবং কঠোরভাবে চালকদের গাড়িচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করবে।



৯। তবে আমাদের সবার ব্যক্তিগত সাবধানতা অবলম্বন করাটাও ভীষণ জরুরি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩

রাজীব বলেছেন: সচেতনতা প্রয়োজন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.