![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গীমার বিভূতির আছে কি গো! সীমা শেষ,
বারমাসে ষড় ঋতু,মাগো অপরূপ বেশ।
ব্যোম সম রূপী তুমি,অপূর্ব তব আকৃতি
অনন্ত রূপে সাজাও মাগো তোমার প্রকৃতি।
ভূবন মাজে জাগ্রত তব বিজয় মূরতি
রূপ লাবন্যে অজেয় মাগো তুমি বসুমতি।
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে-গ্রীষ্ম, মাগো হও তুমি রুদ্র
নির্মম উত্তাপে অঙ্গিমা চৌচির তবু ক্রুদ্ধ।
নীলাকাশে রবি ঝরে শুধু অগ্নিঝরা
অন্তর প্রান্তর সিন্ধু কম্পে খাঁ খাঁ খরা।
কখনো কালমেঘে ছেয়ে নীলাকাশ
প্রলয়ংকারী মহাকালে হও তুমি
প্রকাশ।
গ্রীষ্ম তুমি রুদ্র অতি ক্রুদ্ধ বঙ্গীমার অঙ্গ
ফুলে ফলে সাজাও তুমি সজীবতার সঙ্গ।
গ্রীষ্ম তুমি ফলের রাজা বঙ্গীমার পূর্ণ্য
ডালা
আম-জাম-কাঁঠাল-লিচু গ্রীষ্ম তোমার
পালা।
গ্রীষ্ম তব শিহরণে বেলী বকুল কাননে
কবরী-টগর-চাঁপা সৌরভ ওঠে গগনে।
বর্ষা তুমি আষাঢ়-শ্রাবণ ঝর অশ্রুধারা
সজল কাজল আঁখির মতই বর্জ্র
বারিধারা।
বঙ্গীমার অঙ্গের ধূলিকনা কুলষিত
হাওয়া
শুচিত সজীব বর্ষা তুমি ধুয়ে মুছে কর
খোয়া।
রাত-দিন একাকার অঝর বৃষ্টির ধারা
নদী-নালা বারিভরা বঙ্গীমার
কোটি সারা।
কত শাপলা ফোটে খাল-বিল-নদীর
জলে!
কদম ফুলে বঙ্গীমা রঞ্জিত বরষা ছলে।
কেতকী-কামেনী-কেয়া-কুন্দ-জুঁই ফুলে
ফুলে
বরষার সজল পরশে মুখ চায় তুলে।
বাতাবি নেবু-আমড়া-পেয়ারা ও
আনারস
বর্ষা তোমার ক্ষণে জাগিছে কোমল
পরশ।
শরৎ তুমি পত্রঝরা প্রকৃতি ভরা ভাদর
খোলা আকাশে সাদামেঘ এ
মোড়ানো চাদর।
শারদ তুমি আশ্বিনে প্রভাত ভরা
শিশির
সবুজ ধানের মাঠে বানে চাষীর
জিকির।
পাখ পাখালি -পায়রা সারি শুভ্র
বলাকার
কাশফুল-মল্লিকা-শেফালি শারদ
তোমার।
পাকা তাল-ঝুনা নাড়িকেল শারদ
বঙ্গীমা
শারদ তুমি বঙ্গীমাতার বদল ভঙ্গিমা।
হেমন্ত তুমি আমন ধানের মিষ্টি সৌরভ
বঙ্গীমাতার কার্তিকের নবান্ন উৎসব।
অঘ্রাণে বঙ্গীমার ধানকাটা মারাই
পর্ব
চাষিবৌ-চাষীরসোনালী ধানে
হেমন্ত গর্ব।
শিউলী-কামেনী ফুলে ফুলে হেমন্ত
পরশ
কলা-আমলকীর সূচনা আবেশে দরশ।
সোনালী রোদে ছরাছরি দ্বিপ্তমান
শিশির
হেমন্ত অন্তে কুহেলিকা সমাগম
নিশির।
কুহেলিকা শীতে বঙ্গীমা দেয় চাদর
মুড়ি
হার কাঁপানো নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী হিম
বুড়ি।
নির্মম রুক্ষ শীত তুমি পৌষের হর্ষ রব
পিঠা-পুলির রঙ্গে বঙ্গীমা আভাসে
সৌরভ।
মাঘ তুমি শীতের নির্দয় নিকৃষ্ট স্বভাব
বঙ্গীমা নিবারণে অতিষ্ঠ প্রকৃতি
প্রভাব।
শাক-সবজির রাজা সদায় অমল রূপ
খেজুর রসে প্রভাত অটল স্নিগ্ধ স্বরূপ।
তবক্ষণে ফোটে গাঁধা-সূর্যমূখী-গন্ধরাজ
রজনীগন্ধা-দোপাটি-ডালিয়া-
গোলাপ সাজ।
কুল-কামরাঙ্গা-পেঁপে-আঙ্গুর-ইক্ষু-
বাদাম
ডালিম ডালে ডালে, ফুলে ফুলে শীত
উদ্দাম।
ঋতুর রাজা বসন্ত স্পর্শে বঙ্গীমা জীবন্ত
শীতের শূন্য প্রকৃতি পূর্ণ্য সবুজ দীগন্ত।
রূপরস-গন্ধে বসন্ত বঙ্গে আনো ফাগুন
বঙ্গীমার রূপে বিশাল বিভূতির আগুন।
চৈতে রুদ্র রবির অগ্নিঝরা ক্রুদ্ধ উত্তাপ
ফুটি-তরমুজ-বেল-ডাবে জুড়ায় সন্তাপ।
নব যৌবনা পত্র পুষ্পের সচল বঙ্গীমা
সরস সজীব প্রকৃতির অপূর্ব ভঙ্গিমা।
শিমূল-অশোক-পলাশ-কৃষ্ণচূড়ায় রাঙ্গা
পিকের কুহু অলির গুঞ্জন বঙ্গীমা
চাঙ্গা।
বায়ূ বহে আম কাঁঠাল মুকুলের সুবাস
পুষ্পে মৌমাছি প্রজাপতির রঙ্গিন
আভাস।
*** "অন্তকীর্তি" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৯
সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদা আপনাকে। ভাল থাকবেন।এ শুভ কামনা রইল।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদা একট লিখা পোস্ট করে এমন নিখুঁজ হয়ে যান কেন , নতুন লিখা দেখতে ইচ্ছে করে ।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: আপনাকে কি আর বলব দাদা। পড়াশুনা নিয়ে এতই ব্যস্ত যে, এমন কি ফেসবুকেও আসা হয়না। ব্লগে আসা হয়না। আপনাদের আপনাদের অনেক মিস করছি। আপনার লেখা মিস করছি। ভাল থাকবেন। আবার দেখা হবে। কথা হবে। সুস্থ থাকবেন
।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য । কবিতার ছন্দ নিয়ে আপনি প্রবন্ধ লিখেছেন ও তার সাথে বেশ কিছু সুত্র দিয়েছেন সে গুলি পাঠ করতেছি । অনেক কিছু শিখছি আর দাদার কথা মনে করতেছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৯
সুমন কর বলেছেন: শুভ ব্লগিং...
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: ধন্যবাদ, এ ক্ষুদ্র সংকলনে আপনাকে স্বাগত।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭
নীলপরি বলেছেন: লেখা আর ছবি দুটোই ভালো লাগলো ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫২
সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, এ ক্ষুদ্র সংকলনে দৃষ্টিপাত করার জন্য। শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদার হাতের নিপুন ছোয়ায় পকৃতিকে
নিয়ে লিখা বারমাসী কবিতাটি
অপুর্ব হয়েছে । এমন একটি
বারমাসী কবিতা অনেক
দিন ধরে খুঁজছিলাম।
চাহিদাটি পুরণ
হল আজ ।
ধন্যবাদের সাথে ভাল লাগা
রেখে গেলাম ।