নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের বিভাজনে বিভাজিত সমূদ্র সৈকতের বালুতে লুকানো আমি এক টুকরো মানবী

শাহিদা খানম তানিয়া

একজন ক্ষুদ্র কবি ও লেখিকা

শাহিদা খানম তানিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প \'আশান্বিতা\'

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫


চৈতালীর বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর। কোন সন্তান হয়নি। বরের সঙ্গে ওর সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো। সে চৈতালীকে অনেক ভালোবাসে। যদিও বাচ্চা না হওয়ার শূন্যতাটি চৈতালীরই বেশি। ওর বর কিষান যথেষ্ট বাস্তববাদী মানুষ। আবদার পূরণ করতে কিষান বাড়ীর কাছের এক ইয়াতিম খানা থেকে একটি ৯ বছরের মেয়ে শিশু এনে দিয়েছে। চৈতালী এখন ওকে নিয়েই ব্যস্ত। ক’দিন হলো এই মেয়েটিকে পেয়ে তার প্রতি প্রগাঢ় মায়া হয়ে গেছে। মেয়ের নাম রেখেছে আশান্বিতা। খুব স্বাভাবিকভাবে মাত্র একটি বছর হয়েছে মা হারানো মেয়েটিও মা হিসেবে চৈতালীকে পেয়ে দারুন খুশি। এভাবে কেটে গেল ৬টি বছর। চৈতালী আশান্বিতাকে মায়ের মমতার পুরোটা দিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করছে। সে কি খাবে, কি পরবে, কি পড়বে সব সে ঠিক করে দিচ্ছে। যেহেতু আশান্বিতা এই এলাকায় বড় হয়েছে অনেক খেলার সাথী তার আগে থেকেই ছিল। মেয়েটি খুব বন্ধু প্রিয় হয়েছে। তবে ইদানিং রাতে সে কম ঘুমাচ্ছে এবং সকালে দেরী করে উঠছে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময় আর টাকার প্রয়োজন আজকাল বেড়ে যাচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে চৈতালী বেশ চিন্তিত।
চৈতালী চেষ্টা করছে এদের মধ্য থেকে যারা ভাল তাদের সাথেই মেয়েকে শুধু মিশতে দিবে। এটা সে আশান্বিতাকে বুঝিয়ে বলেছে। কিন্তু অবাক বিষয় এটা বলার পর থেকেই মেয়ে কেমন দূরে সরে যাচ্ছে। চৈতালীকে আগের মত আর জড়িয়ে ধরে না, গল্প করেনা। মা যেন তার খুব অপছন্দের কেউ। চৈতালী একদিন কৌতুহল বসত প্রশ্ন করল, আশান্বিতা! মায়ের উপর রাগ করেছিস? আশান্বিতা নিতান্ত বিরক্ত হয়ে উত্তর দিল, তোমার উপর রাগ কেন করব। কথাটি বলতে বলতে প্রায় সরে যেতেই চৈতালী ওকে কাছে টেনে বলল, কি হয়েছে আমাকে বল, আমি তোর মা। মাকে কিছু লুকোতে আছে? আশান্বিতা চৈতালীকে অবাক করে হাতটি জোর করে ছাড়িয়ে নিল। বলল, আমার মা মরে গেছে। যদি মা ই হতে তবে প্রিয় বন্ধুদের সাথে মিশতে বাড়ন করতে? চৈতালী মেয়ের উত্তরে হতভম্ব হয়ে গেল।
আশান্বিতা নিজের মত আপন মনে সব কিছু করছে সব সময়। চৈতালী মনে মনে ভাবলো হয়ত সে নিজেই ভুল ছিল। সে নিজেকে বোঝাতে লাগলো, তুমি মা হতে চাও এত কম ধৈর্য্য হলে কি চলবে। সে এখন আর আশান্বিতাকে কিছু বাড়ন করছেনা। নিজের মত চলতে দিচ্ছে।
একদিন একটি মেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে চৈতালীকে বলল, আন্টি আন্টি! আশান্বিতাকে কে যেন আটকে রেখেছে। আপনি চলেন। চৈতালী কি করবে? কিষান অফিসে ফোন দিবে? নাহ সে ফোন না দিয়ে ছুটে গেল। আশান্বিতার এক বান্ধবী একটি সেল ফোনে এগিয়ে দিল। আন্টি একজন কথা বলবে আপনার সাথে। কাপা হাতে চৈতালী ফোন কানে চেপে হ্যালো বলতেই, অপাশ থেকে একটি পুরুষ কন্ঠ বলে উঠলো, আপনি আশান্বিতার মা? ও এখন আমাদের কাছে। খুব ভাল আছে। ওকে আপনি আপনার কাছে নিতে চাইলে ১ লক্ষ টাকা চৌরাস্তা পেরুলে যে ভাঙ্গা মন্দির সেখানে রেখে যান। আর হ্যা আাপনার স্বামী বা পুলিশে ফোন দিলে কিন্তু মেয়েকে জীবিত ফিরে পাবেন না। চৈতালী হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। শুধু বিরবির করে বলল, আচ্ছা। আমার মেয়েরে কোন ক্ষতি করোনা। প্লিজ! করোনা।
আজ রবিবার এখনও ব্যাংক আওয়ার পার হয়নি। চৈতালী চেক বই নিয়ে ছুটলো ব্যাংকে। ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ভাঙ্গা মন্দিরে গিয়ে দাড়ালো। কোথাও কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। হঠাৎ আশান্বিতা বের হয়ে এল হাত দুটো বাঁধা। পেছন থেকে সেই পুরুষ কন্ঠ বলল, টাকাটা ঠিক মত এনেছেন তো? ছুড়ে দেন আমার দিকে। চৈতালী ছুড়ে দিল।
আশান্বিতাকে জাড়িয়ে নিল বুকে। চুমু দিল অজস্র। মন্দিরের সীমানা পেড়িয়ে যত দ্রুত পারলো বাড়ির পথে চলে এলো। মা মেয়ে কেউ কথা বলছে না। চৈতালী কাদছে। আশান্বিতা মুখ মলিন করে আছে। চৈতালী শুধু জানতে চাইল, তোমার কোন ক্ষতি হয়নি তো? আশান্বিতা মাথা নেড়ে বলল, না।
অনেক গভীর রাত কিষান ঘুমাচ্ছে। চৈতালীর কানে ফিসফিস করে বলা কথা ভেসে আসলো। সে নিঃশ্বব্দে এগিয়ে গিয়ে দূর থেকে দেখলো আশান্বিতা ল্যান্ড ফোনে কারো সাথে কথা বলছে। চৈতালী অবাক হলেও আরো এগিয়ে গেল কথা শোনার জন্য। সে স্পষ্ট শুনতে পেল, আশান্বিতা বলছে, যা একটা অভিনয় আজ করলাম যাই বলিস একটা পুরস্কার প্রাপ্য। মহিলা এত বোকা! এ যুগে মানুষ এত বোকা হয়। সে তো কল্পনাও করতে পারেনি এটা সম্পূর্ণ আমারই পরিকল্পনা। এই টাকা টা কত জরুরী ছিল বল। এবার শুধু নিজেদের খাওয়ার ব্যবস্থাই না বাবা ট্যাবলেটগুলো বিক্রিও করব। দারুন ব্যবসা হবে। লেখাপড়া ভাল লাগে না। এসব বিক্রি করেই অনেক টাকার মালিক হব।
চৈতালী নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছেনা। আশান্বিতা! ওর মেয়ে। ওর মা ডাক শুনতে যে কিনা সব দিতে রাজি। সেই মেয়ে এটা কি করেছে? হাউমাউ করে বুকের মাঝ থেকে উঠে আসা কান্না চৈতালী আচল চাপা দিয়ে বিছানায় আছরে পরল। এখন সে ঠিক বুঝতে পারছে মেয়ে কেন তাকে সব কিছু তে আড়াল করে চলছিল। ওর কান্নায় কিষানের ঘুম ভেঙ্গে গেল। কি হয়েছে চৈতালী? কাঁদছো কেন?
চৈতালী নিজেকে সামলে নিল। ঠিক করল কিষানকে সব বলবে। তবে আজ নয়।
পরদিন সকাল।
আশান্বিতা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে। স্কুলে চলে গেল। চৈতালী আশান্বিতার ঘর তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করল। জামা কাপরের একটি ভাজে সে গত কাল তোলা টাকার নোট দেখতে পেল। আর ড্রয়ারে পেল ইয়াবা ট্যাবলেট। সে এসব আবার জায়গা মত রেখে দিল।
কিষানকে সব খুলে বলল। কিষান প্রথমে চৈতালীকে বেশ কড়া করে বকলেও। যখন বুঝলো চৈতালী যা করেছে মায়ের মমতা থেকে করেছে। সে চিন্তা করতে বসল, কি করতে হবে এখন তার।
চৈতালী বারবার বলছে, চলো ওকে দরকারী সব কিছু দিয়ে আমরা দু’জন চলে যাই দূরে কোথাও। একদিন হয়ত ভুল ভাবে আর শুধরে গিয়ে আমাদের খুজে বের করবে। এত ভালবাসা, মায়া, আদর দিলাম। সবই কি ও ভুলে যাবে?
কিষান ওর একজন ডাক্তার বন্ধুকে কল করলো। সে পরামর্শ দিল। আশান্বিতা যেহেতু ক্রাইম করে হলেও টাকা যোগাড় করছে। পুলিশে কল কর, তাকে এই ধারনা দিতে হবে যে অপরাধ করলে শাস্তি ধার্য করা হয় এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অসংলগ্ন আচরন বা মাদকাশক্তি থেকে মুক্ত করার কোন ভালো সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে সেখানে দিয়ে দাও ওকে। ডাক্তার এবং সাইক্রিয়েটিস্ট তাকে সুস্থ করে তুলবে। অসুস্থ বা মাদকাশক্ত মেয়ে কখনও স্বাভাবিক আচরণ করবেনা, বরং তার এই অপরাধ প্রবণতার কাছে তোমাদের জীবনও ঝুকির মধ্যে।
চৈতালী ও কিষান এটাই করল। হয়ত মেয়েটি এবার সত্যি ওদের জীবেনে আবার সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। হয়ত সুস্থ হয়ে ওদেরকে আর প্রয়োজন হবে না মেয়ের। তবুও নিঃশ্বার্থ ভাবেই ওরা চায় আশান্বিতা সুস্থ জীবন ফিরে পাক। মা ও বাবার সত্যিকারের দায়িত্ব পালন করে নিজেদের বিবেকের কাছে পরিশুদ্ধ থাকতে চায় ওরা।
আশান্বিতাকে চৈতালী শরীরে ধারন করে জন্ম না দিতে পেরেও হৃদয়ে জন্ম দিয়েছে অপরিমেয় ভালোবাসায় লক্ষ বার।

তানিয়া
১২/১১

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সমাজের এক টুকরো কালো অংশ তুলে ধরেছেন। সচেতনতা মূলক পোস্ট। ভালো লাগলো।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা পড়তে শুরু করলাম আপ্নার কথামতো। পুর্নাঙ্গ মন্তব্য পড়ার পর করবো।
ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আচ্ছা! তুমিই তবে সে। ব্লগে চিনলাম তোমাকে। সুস্বাগতম আমার আঙিনায়। তোমাকেও ধন্যবাদ :)

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এমন ঘটে, ঐ বয়সটাই খারাপ। কোনটা সঠিক, আর কোনটা ভুল বোঝবার বুদ্ধি কম থাকে।

গল্পের প্লট ভালো ছিলো। উপস্থাপনও সহজসরল!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার লেখা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সমাজ সচেতনতামূলক গল্প!
সুখপাঠ্য হযেছে। শুভেচ্ছা জানবেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ :)

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

নুরহোসেন নুর বলেছেন: সন্তানদের সব সময় সঠিক খোঁজ খবর রাখা প্রয়োজন,
শুধু ভালবাসা নয় প্রয়োজনে কঠিন শাসনও করতে হবে।
-ছোট গল্প বড় ভাল লেগেছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: নুরহোসেন নুর আপনাকে বড় ধন্যবাদ

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: সঙ্গদোষে লোহাও ভাসে। অসৎ সঙ্গ যে, কাউকে নষ্ট করে ফেলতে পারে এই গল্পটা সেটার প্রমাণ।
চৈতালী নিজের ভালোবাসা দিয়ে প্রমাণ করে দিল, শুধু জন্ম নয় কাউকে বুকের ভালোবাসা দিয়েও জয় করে মা হওয়া যায়।
অনন্তর শুভ কামনা রইল।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: নীল আকাশ তোমার উপলব্ধি ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করল। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে :)

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

ফয়সাল রকি বলেছেন: সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়া কি খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে ইদানিং? জীবন গুলো কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে.... মাদক একটা সামাজিক ব্যাধী, একে রোধ করা খুব জরুরী।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: ফয়সাল রকি আমিও চাই সব স্তর থেকে মাদক নির্মূল হোক। আপনাকে ধন্যবাদ

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার আজকাল কেন যেন মনে হয়, বাচ্চা-কাচ্চাকে মানুষের মতো মানুষ করা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর একটা। শাসন করলে সমস্যা, আদর করলে সমস্যা, ছেড়ে দিলে সমস্যা, ধরে রাখলেও সমস্যা। এ'সবগুলোর মধ্যে ব্যালেন্স করা আসলেই একটা দূরুহ ব্যাপার। এর সাথে আবার ভাগ্য, পরিবেশ, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান.....আরো কতোকিছু জড়িত।

একটা দেশ যদি ওয়েলফেয়ার স্টেট ধারণার বাহক হয়, তাহলে বাবা-মায়ের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। গল্পে সামাজিক বার্তা ডেলিভার করাটা ভালো লাগলো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণধর্মী কমেন্ট ভাল লেগেছে।
সামাজিক বার্তা পৌছে দিয়ে সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।
আপনাকে খুব ধন্যবাদ

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১০

মা.হাসান বলেছেন: সুন্দর প্লট, বড় দূর্বল বর্ননা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: মা. হাসান আমি ছোট গল্পের বর্ণনা আমি দূর্বল ভাবে লিখতে পারি। সুন্দর প্লট আপনাকে দিলাম খুব শক্তিশালী করে বর্ণনা করে গল্প লিখে আমাকে উপহার দেন।
মজা করলাম
শুভ ব্লগিং

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: ভাই, আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখিত। আপনার লেখার বর্ননা সরল, তবে আবেগ কম মনে হয়েছে। আমার ধারণা, গল্প লেখা এমন হওয়া দরকার যেন পাঠক নিজেকে গল্পের চরিত্রগুলোর একজনের সাথে রিলেট করতে পারে। আপনি যখন কোন সাধারণ লেখা লিখবেন, যেমন মাদক সমস্যা ইত্যাদি, তখন তথ্যই বড় বিষয়, ভাষা সাধারণ, আবেগ কম থাকলে সমস্যা নেই বলে মনে করি। আমি নিজে লেখক না। ব্লগে লেখেন এমন কয়েকজনের নাম দিলাম, এদের লেখা গল্প পড়ে দেখতে পারেন--

সাদিয়া স্বাতী

রবাহূত

জাহিদুল হক সুবন (শুধু প্রেমের গল্প লেখেন)

মেহরাব হাসান খান

(শেষের জন নিয়মিত লেখেন, বাকিরা অনিয়মিত)
আরো অনেকেই আছেন, সময়ে সবার সাথে পরিচয় হবে আশা করি। নিরন্তর শুভ কামনা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: মা. হাসান এত সহজে মনে কষ্ট পাইনা। মনটা নরম কিন্তু ভঙ্গুর না।
যাই হোক আমি সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করি। আত্মসম্মান বোধ আমার একটি মূল্যবান জায়গা ভাবনার।
প্রথম কমেন্টে আমি মজা করলেও এই কমেন্টে সিরিয়াস হলাম।
আমি যা আমি তাই। আমি কাউকে অনুসরন করে লিখি না, এটা আমার কাছে অপছন্দের কাজ।
যেহেতু আমরা সবাই সহব্লগার সামনে লেখা যখন আসবে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেব।
আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

বলেছেন: গল্পে চরম বাস্তবতা খেলা করছে .............. ...।

সবুজ বাতিটাতে টিপ দিলে ভালো হতো........

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ব্লগে আমি আসি আনন্দ পেতে। ব্লগ কারো স্টাইল অনুসরণ করে আত্মস্থ জায়গা কি? আমার মন্তব্যের কোথাও আপনাকে বলিনি ঐ লেখকদের স্টাইল অনুসরণ করতে। আপনি উদাহরণ চেয়েছিলেন, দিয়েছি। আমি ভালো লিখি না, এর অর্থ এই না আরেক জনের ভালো লেখার অ্যাপ্রসিয়েশন করতে জানি না।
আপনার যে রকম আত্মসম্মান বোধ আছে, অন্য সহ ব্লগারেরও তেমনি সম্মানের বিষয় আছে। মন গড়া অভিযোগ করলে অভিযুক্তের সম্মান বাড়ে না, তবে হয়তো আপনার আত্ম সম্মান বৃদ্ধি পায়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আপনার এ্যাপ্রেসিয়েশনের ধরন টা ঠিক মেনে নেয়া আমার জন্য কঠিন ছিল।
মনগড়া কি আর কি না বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজ পাতা।
আমি যেহেতু তুলনা দেই নাই কারো সাথে নিজেকে তাই আমার সম্মান তার জায়গাতেই আছে।
আপনার সম্মান ক্ষুন্ন হয় নাই।
ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: সমাজের দুষ্ট ক্ষতে আলো ফেলেছেন আপনার লিখায়। অভিবাদন আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর হয়েছে আপি।
আমি তো গল্প লিখতেপারি না

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনা মেয়ে :)
আমিও পারিনা চেষ্টা করি শুধু :)

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লক্ষ লক্ষ দম্পতির বাচ্চা হয় না। তাদের ভীষন কষ্ট।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আসলেই কষ্ট! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জমিদার বাড়ির মানুষ দেখি সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা খুব ভালো করে গল্পে বলেছেন ! সুন্দর ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: হা হা হা

জামিদার বউ সেতো কল্পনা এক!
বাস্তবতা আমার চারপাশ ঘিরে রাখে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.