![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
তাসনিম জারা: সাহসী না সাহসের সেলফি?
আজকাল শহরে নতুন এক ফ্যাশন এসেছে—"সাহসী" ট্যাগ লাগানো। ফেসবুকে পোস্ট দিলেই মানুষ হাততালি দেয়, ইউটিউব ভিডিও করলেই করতালি পড়ে। আর সেই করতালির কেন্দ্রবিন্দু এখন তাসনিম জারা।
হ্যাঁ, সেই তাসনিম জারা! যাঁর নিঃস্বার্থ (!) উচ্চারণে আজ অনেকে মুগ্ধ হয়ে গুগল সার্চ দিচ্ছেন: “সাহসের সংজ্ঞা”।
আমরাও বলি—আপনি সাহসী। খুবই সাহসী। আপনার সেই সাহস আমরা দেখেছি আপনার এডাল্ট ডাক্তারি ভিডিওতে—ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বুলি আওড়ানোর বিরল প্রতিভা সত্যিই বিস্ময়কর। তবে প্রশ্ন হলো, আপনার সাহস কি কেবল মেকআপ-রেডি লাইট-অ্যাকশন-ক্যামেরার জন্য সংরক্ষিত? নাকি সেটা বাস্তব জীবনের রক্ত-মাংসের মানুষের কান্নার সময়ও কাজ করে?
নাগরিক কোয়ালিশনের নাট্যমঞ্চে
একদিনের কথা মনে আছে?
ডেইলি স্টার অফিসে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রোগ্রাম।
নীলা ইস্রাফিল তখন তুষারের ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা বলছিলেন—কান্নায় ভাঙা কণ্ঠে সাহায্যের আবেদন।
একজন নারী হিসেবে আপনার কাছে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন—“তাসনিম জারা তো নারীর পক্ষে দাঁড়াবেই”।
কিন্তু কী করলেন আপনি?
একটু নাটকীয় বিরতি দেই—
আপনি করলেন কিছুই না।
না, ভুল বললাম। আপনি করলেন—ঠাণ্ডা নীরবতা, ফাঁপা প্রতিশ্রুতি, আর চোখ ফেরানো।
যেন তাঁর কান্না আপনার কানে পৌঁছায়নি। যেন তাঁর ক্ষত আপনার কফি মাগে ঝরেনি।
এটাই কি আপনার নারীবাদ?
এটাই কি আপনার সহমর্মিতা?
নাকি এগুলো সবই শুধু মঞ্চের প্রপস?
আপনি কি সাহসী, নাকি শুধু ব্র্যান্ডেড সাহসী?
তাসনিম জারা, আপনাকে আমরা সাহসী বলছি না।
আপনি সাহসের মার্কেটিং ডিরেক্টর।
আপনার সাহস হলো—
** জনতার সামনে দাঁড়িয়ে ইমেজ তৈরির সাহস।
** ফেসবুকে ক্যাপশন দেয়ার সাহস
** টিভি টকশোতে চোখের ভ্রু কুঁচকে গম্ভীর হওয়ার সাহস।
**. এবং সবচেয়ে বড় সাহস—অন্যায়ের সময় চুপ থাকার সাহস।
রাজনীতির নতুন ফ্যাশন: নীরবতা
আপনার নীরবতা কোনো অজ্ঞতা নয়, এটা ক্যালকুলেটেড।
কারণ এটাই বর্তমান রাজনৈতিক চরিত্রের পরিচয়।
যেখানে—
** সত্য চাপা পড়ে সুবিধার নিচে,
** অন্যের কান্না চাপা পড়ে আপনার গ্ল্যামারাস নীরবতায়,
** আর একজন নারী হয়েও নারীর পাশে না দাঁড়ানো হয়ে ওঠে মূল দর্শন।
আপনি আসলে দুই দুনিয়ার শিল্পী।
কণ্ঠে সাহসী, কিন্তু হৃদয়ে কাপুরুষ।
মুখে আগুন, মনে বরফ।
ভবিষ্যতের ব্যঙ্গচিত্র
আজকে আপনাকে সাধুবাদ দিচ্ছে মানুষ।
কালকে সেই সাধুবাদই পরিণত হবে ব্যঙ্গচিত্রে।
মানুষ বলবে:
"তাসনিম জারা সাহসী ছিলেন, তবে সেই সাহস ছিল শুধু আলো-ঝলমলে মঞ্চের জন্য।
অন্যের কান্না, বেদনা, রক্তক্ষরণ—সবই তাঁর কাছে ছিল একধরনের ‘অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট’।"
শেষ কথা
তাসনিম জারা,
শুধু উচ্চ শিক্ষিত হলেই হয় না।
মানবিকও হতে হয়।
আপনি আধুনিকতার মুখোশ পরে যতই ক্যামেরা-ফ্রেন্ডলি বক্তৃতা দিন না কেন,
ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে এক নীরব, সুবিধাবাদী, মুখোশধারী নারী হিসেবে।
আপনার আজকের নীরবতা আপনার ভবিষ্যতের শিকল।
আর এই শিকল ভাঙার একটাই উপায় ছিল—সাহস দেখানো।
কিন্তু আপনি তো শুধু সাহসের সেলফি তুললেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কুতুব ভাই ধন্যবাদ, যতদিন এনসিপি আছে ততদিন তার রাজনীতি থাকবে বলে আমি মনে করি।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১০
বিজন রয় বলেছেন: তাসনিম জারা সাহসী হয় কিভাবে? সে তো সুযোগ সন্ধানী।
সে কি অনেক দিন ধরে রাজনীতি করছে, না।
তারা তো অনেক চুক্তি, লাভ এটা পেয়ে এসব করছে।
সেনাবহিনী আর আমেরিকার সমর্থন তুলে নেন দেখবেন সাহস কোথায় যায়!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তাসনিম জারা পলিটিক্সে নতুন । তাকে নিয়ে এতো আলোচনা কারন তিনি সেক্স এডুকেশন নিয়ে টিচিং দিতেন । বাংলাদেশে এগুলো টাবু হিসাব কাজ করে ।
তাসনিম জারা একজন সাধারন মানুষ । যদি পলিটিক্স করতেই চান তবে সব রকম কটু কথা শুনেই এগিয়ে যেতে হবে।