![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
শিরোনামেই স্পষ্ট: আমরা শিল্পকে সম্মান করি, কিন্তু কেবল শোরগোলের জন্য।
দশ লাখ মানুষের মহাসম্মান vs এক অদৃশ্য শ্রদ্ধা
জুবিন মারা গেলে দশ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমেছে। সবাই নিজের ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বিশ্বাস না থাকা শিল্পীকে সম্মান জানানো—ধর্ম ও সংস্কৃতির সরলীকৃত মেলবন্ধন। আমাদের দেশের মানুষ কি সত্যিই ‘অ্যাপ্রিশিয়েট’ করতে জানে, তা দেখলেই বোঝা যায়।
অন্যদিকে, সনজীদা খাতুন—ক্ষমতাবিমুখ, নীরব, সৎ—শুধু ছায়নাটের ভেতরে শ্রদ্ধা পেতে গেলে পুরো দেশ রিরি করে ওঠে। চোখের জল নেই, মুখের ব্যথা নেই। যেন বলতে চায়, “এরা তো কোনো পোস্টে ট্রেন্ড করছে না, তাই কেন কাঁদব?”
সরকার ও জনগণের শিল্প দৃষ্টিভঙ্গি: হিসাব-নিকাশে মৃত্যু
সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, “এদেশের কোনো সরকারই শিল্পীদের পাত্তা দেয় না।”
কনকচাঁপা বলেন, “শিল্পী মারা গেলে কয় নম্বর দোজখে যাবে, সেই হিসাব কষে জনগণ।”
অর্থাৎ, দেশের মানুষের ‘শিল্পপ্রেম’ হলো শুধু মৃত্যু-উৎসব। বাকি সময়? নিঃশব্দ। শিল্পীর জীবনে যত কষ্ট, ততই কমপ্লিমেন্ট নেই। কিন্তু মরলে সবাই জান্নাত-বিসমিল্লাহ।
শিল্পীদের নীরবতা: ক্ষুধার টাকায় জীবন চলাচল
শিল্পী জানেন, গান থেকে পাওয়া টাকায় খাওয়া যাবে না। বাড়ি হবে, কিন্তু জীবন চলবে না।
** একজন শিল্পী সতর্কবার্তা দেন—প্রতিবাদ নেই।
** স্কুলে গান শেখানোর আন্দোলন হয়—শিল্পী পাশে দাঁড়ায় না।
** বাউলের চুল কেটে দিলে বা লোকশিল্পীর বাদ্যযন্ত্র ভাঙলে—নীরবতা।
অর্থাৎ, শিখলাম যে শিল্পীরা শুধু শোকের দিনকে ভালোবাসে, জীবনেও নয়।
ভণ্ডদের রাজত্ব: শিল্পের আড়ালে কুৎসিত খেলা
ভণ্ডদের দল, যারা সারাজীবন শিল্পকে রোজগারের সরঞ্জামে পরিণত করেছে, দিন গেলে তাকেই অস্বীকার করে। তারা নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য কেবল কঠিন পথ তৈরি করে।
এক কথায়—“আজ তোমার গান বিক্রি, কাল তোমার অস্তিত্ব বাতিল।”
ক্ষমতাবিমুখ সৎ শিল্পী বনাম আধুনিক শিল্পীর ভণ্ডামি
সনজীদা খাতুনের মতো সৎ শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব। আধুনিক শিল্পীর জন্য? না, নেই সেই যোগ্যতা।
ভণ্ডামি কী? সেটা হলো—শিল্পী মারা গেলে আমরা সবাই ‘বিপুল সম্মান’ দেখাই, বাকি জীবন চুপচাপ থাকি।
সনজীদা যেমন নীরব ছিলেন, আমরা তেমন ভণ্ড।
যদি দেশের শিল্পীরা একত্রিত হতো এবং সত্যিকারের সম্মান দেখাতো, তাহলে হয়তো জুবিনের মৃত্যুর দশ লাখের বদলে এক লাখ মানুষও যথেষ্ট হতো। কিন্তু ভণ্ড দেশবাসী? শোকের দিনে সবাই লাইভ, বাকি ৩৬৪ দিন নীরব।
©somewhere in net ltd.