![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব অধ্যায় শেষ — ঘোষণা দিলেন এক ‘অধ্যায়হীন’ ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা নামের সাথে লাখো স্বপ্ন, কোটি আবেগ জড়িয়ে আছে—সাকিব আল হাসান।
যে ছেলে মাগুরার মাটিতে জন্ম নিয়েও সারা বিশ্বের ক্রিকেট মাঠে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে বেড়িয়েছে, সেই ছেলেকে আজ বলা হচ্ছে,
“বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে তুলতে দেওয়া হবে না।”
এ কথাটা বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
শোনার পর মনে হলো না যেন কোনো রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা কথা বলছেন, মনে হলো মোড়ের চায়ের দোকানের মাইক হাতে দুলাভাই, যিনি প্রতিদিন নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকতে কোনো না কোনো খবর বানিয়ে দেন।
সাকিব বনাম সজীব: ম্যাচ শুরু হলো ফেসবুকে![/su
সাকিব একটা ফেসবুক পোস্ট করলেন, আর সেই পোস্ট দেখে সজীব ভুঁইয়ার রাগ এমনভাবে চড়ল, যেন তিনি হঠাৎ করে ভারতের সাথে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নেমেছেন।
দুই দিন ধরে ভার্চুয়াল কুস্তি — স্ট্যাটাসের পাল্টা স্ট্যাটাস, কমেন্টের পাল্টা কমেন্ট।
শেষে সজীব ভুঁইয়া নাটকীয় ভঙ্গিতে ঘোষণা দিলেন,
“আমার বোর্ডের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনো বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।”
এ যেন ক্রিকেট মাঠ নয়, পুরোপুরি রাজনৈতিক মঞ্চ। শুধু টসের জায়গায় ফেসবুকের ‘পোস্ট’ আর বলের জায়গায় কমেন্ট সেকশন!
কার প্রমাণ, কার অপমান
সজীব ভুঁইয়া দাবি করলেন,
“সাকিব আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা প্রমাণ পেয়েছি।”
প্রমাণ হিসেবে তিনি দেখালেন একটা ফেসবুক পোস্ট!
মানে, দেশের ক্রীড়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে এখন ফেসবুকের পোস্ট দেখে।
তাহলে তো কালকেই হয়তো কোনো ক্রিকেটার স্টোরিতে শুধু লাল গুলাপ দেবে, আর বোর্ড বলবে—
“ওহ, লাল মানে তো আওয়ামী লীগ! বাদ দাও!”
এই যুক্তিতে চললে বিসিবির পরের মিটিং হবে মিরপুরের মাঠে নয়, বরং মেটা হেডকোয়ার্টারে।
সাকিবের অপরাধ?
সাকিবের অপরাধ হলো, তিনি ক্রিকেটের বাইরেও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন।
তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, নৌকা প্রতীক নিয়েছিলেন।
কিন্তু এখনকার নতুন সরকার সেটা মেনে নিতে পারছে না।
তাদের যুক্তি হলো,
“সাকিব তো নৌকা নিয়েছে, মানে সে আওয়ামী!”
কিন্তু প্রশ্ন হলো—
তাহলে যারা গাছ প্রতীক, সাইকেল প্রতীক, কিংবা পাখি প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা কি প্রাণী অধিকার বা পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য?
ক্রিকেটে রাজনীতি ঢোকালেন কে?
সজীব ভুঁইয়া নিজেই রাজনীতির মাঠের খেলোয়াড়।
তিনি ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের রাজনৈতিক লাঠিখেলা চালানোর জায়গা বানাতে চান।
আজ তিনি সাকিবকে বাদ দিলেন, কাল হয়তো তামিমের বিরুদ্ধে কড়া ভাষণ দেবেন, কারণ তামিম একবার ইনিংস শুরু করার আগে জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে ভুল সুর ধরেছিল!
জনগণের রায় স্পষ্ট
বাংলার মানুষ জানে, সাকিবের বিকল্প নেই।
তিনি দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার।
তাঁর হাতের ছোঁয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেট পৌঁছেছিল এমন উচ্চতায়, যেখানে কল্পনাও করতে পারিনি।
আজ সেই সাকিবকে শুধু রাজনৈতিক হিংসা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
যারা সাকিবকে খেলতে দেবে না, তাদের প্রতি জনগণের জবাব খুব স্পষ্ট—
“দল বদলানো যায়, বোর্ড বদলানো যায়,
কিন্তু সাকিবের মতো কিংবদন্তি তৈরি করা যায় না।”
শেষ কথা: সাকিব মানে বাংলাদেশ
সাকিবকে যদি বাদ দেওয়া হয়, আসলে বাদ দেওয়া হবে দেশের ক্রিকেটকে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বপ্নগুলোকে।
আর আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার মতো অস্থায়ী উপদেষ্টাদের কথা মনে রাখার দরকার নেই।
কারণ তারা আসবে, যাবে।
কিন্তু সাকিব আল হাসান থাকবেন ইতিহাসের পাতায়, লাখো ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়ে।
স্লোগান:
“সাকিবের বিকল্প নাই, কিন্তু উপদেষ্টার বিকল্প আছে হাজার হাজার!”
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব অধ্যায় শেষ — ঘোষণা দিলেন এক ‘অধ্যায়হীন’ ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা নামের সাথে লাখো স্বপ্ন, কোটি আবেগ জড়িয়ে আছে—সাকিব আল হাসান।
যে ছেলে মাগুরার মাটিতে জন্ম নিয়েও সারা বিশ্বের ক্রিকেট মাঠে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে বেড়িয়েছে, সেই ছেলেকে আজ বলা হচ্ছে,
“বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে তুলতে দেওয়া হবে না।”
এ কথাটা বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
শোনার পর মনে হলো না যেন কোনো রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা কথা বলছেন, মনে হলো মোড়ের চায়ের দোকানের মাইক হাতে দুলাভাই, যিনি প্রতিদিন নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকতে কোনো না কোনো খবর বানিয়ে দেন।
সাকিব বনাম সজীব: ম্যাচ শুরু হলো ফেসবুকে![/su
সাকিব একটা ফেসবুক পোস্ট করলেন, আর সেই পোস্ট দেখে সজীব ভুঁইয়ার রাগ এমনভাবে চড়ল, যেন তিনি হঠাৎ করে ভারতের সাথে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নেমেছেন।
দুই দিন ধরে ভার্চুয়াল কুস্তি — স্ট্যাটাসের পাল্টা স্ট্যাটাস, কমেন্টের পাল্টা কমেন্ট।
শেষে সজীব ভুঁইয়া নাটকীয় ভঙ্গিতে ঘোষণা দিলেন,
“আমার বোর্ডের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনো বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।”
এ যেন ক্রিকেট মাঠ নয়, পুরোপুরি রাজনৈতিক মঞ্চ। শুধু টসের জায়গায় ফেসবুকের ‘পোস্ট’ আর বলের জায়গায় কমেন্ট সেকশন!
কার প্রমাণ, কার অপমান
সজীব ভুঁইয়া দাবি করলেন,
“সাকিব আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা প্রমাণ পেয়েছি।”
প্রমাণ হিসেবে তিনি দেখালেন একটা ফেসবুক পোস্ট!
মানে, দেশের ক্রীড়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে এখন ফেসবুকের পোস্ট দেখে।
তাহলে তো কালকেই হয়তো কোনো ক্রিকেটার স্টোরিতে শুধু লাল গুলাপ দেবে, আর বোর্ড বলবে—
“ওহ, লাল মানে তো আওয়ামী লীগ! বাদ দাও!”
এই যুক্তিতে চললে বিসিবির পরের মিটিং হবে মিরপুরের মাঠে নয়, বরং মেটা হেডকোয়ার্টারে।
সাকিবের অপরাধ?
সাকিবের অপরাধ হলো, তিনি ক্রিকেটের বাইরেও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন।
তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, নৌকা প্রতীক নিয়েছিলেন।
কিন্তু এখনকার নতুন সরকার সেটা মেনে নিতে পারছে না।
তাদের যুক্তি হলো,
“সাকিব তো নৌকা নিয়েছে, মানে সে আওয়ামী!”
কিন্তু প্রশ্ন হলো—
তাহলে যারা গাছ প্রতীক, সাইকেল প্রতীক, কিংবা পাখি প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা কি প্রাণী অধিকার বা পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য?
ক্রিকেটে রাজনীতি ঢোকালেন কে?
সজীব ভুঁইয়া নিজেই রাজনীতির মাঠের খেলোয়াড়।
তিনি ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের রাজনৈতিক লাঠিখেলা চালানোর জায়গা বানাতে চান।
আজ তিনি সাকিবকে বাদ দিলেন, কাল হয়তো তামিমের বিরুদ্ধে কড়া ভাষণ দেবেন, কারণ তামিম একবার ইনিংস শুরু করার আগে জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে ভুল সুর ধরেছিল!
জনগণের রায় স্পষ্ট
বাংলার মানুষ জানে, সাকিবের বিকল্প নেই।
তিনি দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার।
তাঁর হাতের ছোঁয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেট পৌঁছেছিল এমন উচ্চতায়, যেখানে কল্পনাও করতে পারিনি।
আজ সেই সাকিবকে শুধু রাজনৈতিক হিংসা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
যারা সাকিবকে খেলতে দেবে না, তাদের প্রতি জনগণের জবাব খুব স্পষ্ট—
“দল বদলানো যায়, বোর্ড বদলানো যায়,
কিন্তু সাকিবের মতো কিংবদন্তি তৈরি করা যায় না।”
শেষ কথা: সাকিব মানে বাংলাদেশ
সাকিবকে যদি বাদ দেওয়া হয়, আসলে বাদ দেওয়া হবে দেশের ক্রিকেটকে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বপ্নগুলোকে।
আর আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার মতো অস্থায়ী উপদেষ্টাদের কথা মনে রাখার দরকার নেই।
কারণ তারা আসবে, যাবে।
কিন্তু সাকিব আল হাসান থাকবেন ইতিহাসের পাতায়, লাখো ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়ে।
স্লোগান:
“সাকিবের বিকল্প নাই, কিন্তু উপদেষ্টার বিকল্প আছে হাজার হাজার!”
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কুতুব ভাই, ধন্যবাদ, এখানে সাকিব এর যোগ্যতার কথা বলা হচ্ছে, ব্যক্তি হিসেবে কে কত খানি ভাল মন্দ সে বিচার মানুষের কাছে ছেড়ে দিন।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দূর্জন বিদ্যান হলেও তার সঙ্গ পরিতাজ্য।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন, কিন্তু এতো মানুষ দূর্জন যে সঙ্গ ত্যাগ করতে থাকলে জঙ্গলেও আমাদের জায়গা হবে না।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩
শায়মা বলেছেন: শিল্পী, খেলোয়াড় এদেরকে সবাই ভালোবাসে। এরা দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য!! তাদের পলিটিক্সে টানার মানে কি? তদেরই বা এত পলিটিক্স করার দরকার কি ???
তারা থাকবে বন্ধনহীন জন্ম স্বাধীন চিত্ত মুক্ত শতদল ......
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: সহমত, ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: একটা ডেড হর্স! ভয়াবহ স্বার্থপর মানুষ, নিজেকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। ফালতু ক্রিকেট খেলার জন্য এইসব আবর্জনা দরকার নেই।
ভারত পারেই এই একটা খেলা, তাই এই নিয়ে চরম হট্টগোল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
আমি নই বলেছেন: সাকিব মারাত্বক স্বার্থপর মানুষ। নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ খুন ছারা টাকা কামানো যায় এমন সব কাজই করেছে। আজকে যে অনলাইন জুয়া বাংলাদেশে ক্যানসারে রুপ নিয়েছে এটাও ঐ হারামজাদা সাকিবের জন্যেই। সেই সম্ভবত বাংলাদেশের একমাত্র সেলিব্রেটি যে কিনা জুয়া মারাত্বক অপরাধ জেনেও এর প্রচার করেছিল।
পলিটিক্স বাদ, পলিটিক্সের বাইরেও যত অপকর্ম এই সাকিব করেছে তার জন্যে জেলে পচা উচিৎ ছিল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধনবাদ।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
মাথা পাগলা বলেছেন: স্টক মার্কেট (৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে সম্ভবত মামলা থেকে নাম কাটায়), বেটিং স্পনসর, আর একটা মনে হয় চেক বাউন্সের অভিযোগ আছে। এছাড়া আর কি কি অভিযোগ আছে শুনি?
আসল কথা কন তার প্রতি আপনারা জেলাস। সুন্দর বউ আছে, আম্রিকায় বাড়ি আছে, কোটি কোটি ফ্যান আছে। কিন্তু সে বিরাট কোলির মতো ব্যাড বয় হবে কেন? তার উচিত ছিল সকাল-বিকাল নামাজ পড়া। ক্রিকেট ইতিহাসে সাকিবের নাম আজীবন উচ্চারিত হবে, বাংগু জাতি কি করলো দেখার দরকার নাই।
লেখক বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন, কিন্তু এতো মানুষ দূর্জন যে সঙ্গ ত্যাগ করতে থাকলে জঙ্গলেও আমাদের জায়গা হবে না।
কথাটা ভালো লেগেছে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাকিব আল হাসান মানুষ ভালো না। তার মধ্যে মানবিক গুণের অভাব রয়েছে। তবে তাকে নিয়ে যে কথা বলছে সে ব্যক্তি এবং তার বাবা এখন মধু খেয়ে বেড়াচ্ছেন। ইন্টেরিম সরকারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করাপশন করছেন সেই ব্যক্তিটি!