![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
“উপদেষ্টা পরিষদে বিশ্বাস: ভুল না অভিজ্ঞতা — নাহিদের কান্না, উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট প্ল্যান”
যখন ছাত্ররা উপদেষ্টা হয়, আর উপদেষ্টারা রাজনীতি শেখে — তখন সরকারও শেখে, কাকে বিশ্বাস করা যায় না।
বাংলাদেশের উপদেষ্টা রাজনীতি এখন এক নতুন নাটকের নাম — ‘বিশ্বাস করো, প্রতারিত হও, তারপর টকশোতে কেঁদে বলো!’
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি চ্যানেল একাত্তরের কাছে অভিযোগ করেছেন —
উপদেষ্টাদের অনেককেই বিশ্বাস করা ছিল তাঁর জীবনের “সবচেয়ে বড় ভুল।”
শুনে বোঝা গেল,
রাজনীতিতে এখন বিশ্বাস মানে লটারির টিকিট — কার নাম উঠবে, কে সেফ এক্সিট নেবে, কেউ জানে না!
উপদেষ্টারা: জ্ঞানের মশাল না রাজনৈতিক মেমে?
গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণরা যখন সরকারে ঢুকল, সবাই ভেবেছিল নতুন যুগ আসছে।
কিন্তু দেখা গেল, পুরনো পরামর্শই নতুন মুখে ফিরছে।
নাহিদ বললেন,
“ছাত্ররা উপদেষ্টা না হলে সরকার তিন মাসও টিকতো না।”
কেউ কেউ শুনে বলল, “তাহলে সরকার না, টিউশন সেন্টার চালাচ্ছেন নাকি?”
উপদেষ্টারা এখন যেন গ্রুপ প্রজেক্টের সেই ছাত্র,
যে কাজ করে না, কিন্তু শেষে নিজের নাম বড় করে লেখে।
সেফ এক্সিট সিন্ড্রোম
নাহিদের দাবি অনুযায়ী, অনেক উপদেষ্টা এখন থেকেই পালানোর রাস্তা তৈরি করে রেখেছেন।
তারা নাকি রাজনৈতিক দলে দলে লিয়াঁজো করে রেখেছেন —
অর্থাৎ,
আজ ইউনূসের সরকার,
কাল হয়তো আবার “ডেমোক্রেটিক রিফর্ম পার্টির” শুভ উদ্বোধনে রিবন কাটবেন।
এদের একটাই নীতি:
“সততা হলো বিকল্প পরিকল্পনা থাকা।”
‘সেজদা’র রাজনীতি: কে নতজানু, কে নাটুকে?
সবশেষে নাহিদ দিলেন বোমা ফাটানো লাইন:
“৫ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে সেজদা দিয়েছে রাজনৈতিক নেতারা, ছাত্ররা নয়।”
এটাতেই বোঝা যায়,
দেশে এখন ধর্ম নয়, রাজনীতিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রার্থনা পদ্ধতি।
কেউ ক্ষমতার সামনে সেজদা দেয়, কেউ ক্যামেরার সামনে।
উপদেষ্টা না উপদ্রব?
উপদেষ্টা এখন রাজনীতির “অ্যাপ আপডেট” —
প্রতি সংকটে নতুন ভার্সন, নতুন বাগ, নতুন প্রতিশ্রুতি।
নাহিদ ইসলাম হয়তো কষ্ট পেয়েছেন,
কিন্তু ইতিহাস বলে —
বাংলাদেশে উপদেষ্টা বিশ্বাস করা মানে হচ্ছে ওয়াই-ফাইয়ে পাসওয়ার্ড না দিয়ে কানেক্ট আশা করা।
“Trust Refund Wanted”
©somewhere in net ltd.