![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
জেনারেল ওয়াকার একটা ফ্রাংকেনস্টাইন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা ও ক্ষমতার লড়াই যেন এক অনন্ত চক্র। প্রতিবারই কোনো না কোনো ‘নায়ক’ তৈরি হয়—যে শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে নিজস্ব ক্ষমতার দানব। সময়ের পরিক্রমায় ইতিহাস এই দানবদের চিহ্নিত করেছে নানা নামে—কেউ হয়েছে জিয়া, কেউ এরশাদ, কেউ হয়েছে ছায়ার মতো স্বৈরাচার। আর আজ, সেই ধারাবাহিকতায় যে নামটি ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজধানীর ক্ষমতার করিডরে, তিনি জেনারেল ওয়াকার।
শুরুতে ওয়াকারকে দেখা গিয়েছিল একজন কার্যকর সেনা কর্মকর্তা হিসেবে—সংগঠিত, দৃঢ়, কিন্তু অতিমাত্রায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিণত হয়েছে এক ভয়ংকর মোহে—ক্ষমতার মোহে। জাতিসংঘের মিশন বন্ধের হুমকিকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে তার ভূমিকা নিয়ে এখন নানা গুঞ্জন। তবে, শুধু জাতিসংঘ মিশনই নয়—ওয়াকারের উদ্দেশ্য ছিল অনেক গভীর ও সুদূরপ্রসারী।
যারা ১৯৭৫ সালের পটভূমি মনে রেখেছেন, তারা জানেন—যেভাবে জিয়া বা এরশাদ নিজেদের ‘রক্ষাকর্তা’ রূপে হাজির করেছিলেন, ওয়াকারও সেই পুরনো স্ক্রিপ্টের নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাস যেন নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চেয়েছিল—কিন্তু এবার শেখ হাসিনা বেঁচে যান। সেই এক মুহূর্তের ঘটনাই পুরো খেলাটা উল্টে দেয়।
বিশ্বাসযোগ্য সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকার কিছুই জানতেন না। ৫ আগস্টের সকালে শেখ হাসিনা জীবিত অবস্থায় নিরাপদে ভারতে পৌঁছে যাওয়ায় ওয়াকারের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ক্যান্টনমেন্টে বসে জুস খাওয়া ওয়াকার ও তার রাজনৈতিক সহযোগীরা তখনও ভাবতে পারেননি—তাদের ১৮ থেকে ২৩ বছরের প্রস্তুত ষড়যন্ত্র মুহূর্তেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
যদি কেউ ভাবেন, ওয়াকার শুধুমাত্র কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পুতুল—তাহলে সেটি হবে বিশাল ভুল। বরং তিনি নিজের তৈরি ফ্রেমে নিজেই নায়ক হতে চেয়েছেন। শেখ হাসিনা যদি নিহত হতেন, তাহলে রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে ওয়াকার নিজেকে “জাতির রক্ষক” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার রূপরেখা আঁকছিলেন। ইতিহাসে জিয়া যেভাবে ‘সামরিক রক্ষক’ হয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করেছিলেন, ওয়াকারের চিন্তায়ও সেই ছায়া ছিল।
কিন্তু ইতিহাস কখনও সরলরেখায় চলে না। শেখ হাসিনা বেঁচে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, আর সেই ব্যর্থতাই এখন তার ভয়ঙ্করতম শত্রু। বলা হয়, যে দানব সে তৈরি করেছিল—জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও রাজনৈতিক চক্রান্তের ফ্রেমওয়ার্ক—এখন সেই দানবই তাকে গিলে খাওয়ার অপেক্ষায়।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গণহত্যায় ওয়াকার বাহিনীর সম্পৃক্ততা নিয়ে নানা রিপোর্ট ঘুরছে। ভাঙ্গা ও ৩২ নম্বর এলাকাতেও তার বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তার অভিযোগ রয়েছে। ওয়াকার মনে করেছিল, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে ফেললে জামায়াতসহ নানা আন্তর্জাতিক শক্তি খুশি হবে, আর সেই খুশির বিনিময়ে সে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারবে।
তারপরও, বাংলাদেশ সেই পুরনো দেশ নয় যেখানে এক জিয়া বা এক এরশাদ রাতারাতি ক্ষমতার সিংহাসনে বসে যেতে পারে। এখানে প্রতিদিন রাজনৈতিক ঋতু বদলায়, মিত্ররা শত্রু হয়, আর যারা মনে করে তারা অজেয়—তারা ইতিহাসের পাদটীকা হয়ে যায়।
ওয়াকারের বর্তমান অবস্থা অনেকটা ফ্রাংকেনস্টাইন উপন্যাসের দানবের মতো। মেরি শেলির ক্লাসিক সেই কাহিনীতে বিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রাংকেনস্টাইন নিজের হাতে এক দানব তৈরি করেছিলেন, যে পরবর্তীতে নিজের স্রষ্টাকেই ধ্বংস করে দেয়। ওয়াকারের গল্পও অনেকটা তেমন—সে যে জঙ্গি ও ষড়যন্ত্রের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে, সেটিই এখন তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ওয়াকার নাকি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়নি। বিশেষ নিরাপত্তায়, প্যারা কমান্ডো দ্বারা পরিবেষ্টিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কোনো অফিসিয়াল মিটিং বা কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। সামরিক বৃত্তে এটি অস্বাভাবিক ঘটনা। সূত্রগুলো বলছে—ভয় এখন তার নিজের জন্যই।
যেভাবে এক সময় জিয়া বা এরশাদ নিজেদের তৈরি রাজনৈতিক কাঠামোর বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন, ওয়াকারের পরিণতিও এখন সেই দিকেই গড়াচ্ছে। বিদেশে “সেইফ এক্সিট” নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—যে দেশ ও যে জনগণকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছ, তারা কি কখনো নিরাপদ আশ্রয় দেয়?
ওয়াকার ভুলে গেছে—বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, এখানে দেশবিরোধীদের পরিণতি কখনও গৌরবময় হয় না। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে যত ষড়যন্ত্রই হোক, যত সামরিক দমনই ঘটুক, এই দেশের মানুষ প্রতিবারই তাদের প্রতিরোধ করেছে।
আজ ওয়াকার যে ফ্রাংকেনস্টাইন তৈরি করেছে—তার রাজনৈতিক দানবেরা, ধর্মীয় উগ্রবাদীরা, বিদেশি অভিভাবকেরা—তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে একে অপরকেই ধ্বংস করছে। সেই সংঘাতের মাঝেই ওয়াকার হয়তো বুঝতে পারছে, ক্ষমতার দানবের কোনো বন্ধু নেই, কোনো মিত্র নেই, শুধু ক্ষুধা আছে—আর সেই ক্ষুধা একদিন তাকে গিলে ফেলবেই।
বাংলাদেশের ইতিহাসের এই নতুন অধ্যায় এখনো লেখা শেষ হয়নি। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত—এই ভূমিতে যারা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে রাষ্ট্রকে বন্দি করতে চায়, তাদের শেষ ঠিকানা হয় পরিত্যক্ত, বেওয়ারিশ, অবিশ্বাসের প্রান্তে।
জেনারেল ওয়াকার সেই দিকেই হাঁটছেন—নিজের তৈরি ফ্রাংকেনস্টাইনের মুখের ভেতর।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:২৯
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কিসের মধ্যে কি আর পান্তাভাতে ঘি, ঠিকই আছে কষ্ট লাগলে বলতে পারেন, আরো বলুন তবে যুক্তি দিয়ে বলুন মেনে নেবো, তবে কে তোথায় বাঁশ দিয়েছে সেবা আপনি ভালই দেখেছেন।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪০
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ওয়াকার ছাগলের মাথা দিয়ে তৈরি বুটের ডালের সাথে রুটি খায়, আপনার জন্য সমস্যা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কোন সমস্যা নাই, খুব মজা আপনিও খেতে পারেন।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কি একটি সময় পার করছে ওয়াকার উজ জামান । লিগ আর জাশি কেউ ওয়াকার কে দেখতে পারছে না । । দুই দল চায় ওয়াকার উজ জামান মারা খাক ।
হায় সেলুকাস কি আজব আমাদের দেশ ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: এটা ঠিক আজব দেশ। কেউ যুক্তি মানে না, তালগাছটা নিজের ভাবে।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:১৯
মাথা পাগলা বলেছেন: ইতিহাস বলে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দেশের উপকারের থেকে শতগুন বেশী ক্ষতি করেছে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: তাদের কন্ট্রোল করতে না পারলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক!
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:২৬
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাল লিখেছেন। সুখপাঠ্য। পড়ে আনন্দ লাগে। আমাদের মত পাঠকদের কী বা করার আছে, কল্পনায়, লেখনীতে রাজা উজির মেরে মনের শখ মিটাই!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৫
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: সুপাঠ্য পাঠ করলে মনের শান্তি হয়, কিন্তু এটা খারাপ নিউজ মনের শান্তি কি আসে? হ্যা যাদের বাস্তবে কিছু করার নাই কল্পনাই হোক রাজা উজির মারার জায়গা। ধন্যবাদ
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:০৪
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: একটা কথা বলি ভাই, রাস্তা থেকে কিছু ফকির, ফকিন্নি ধরে দেশ চালাতে দেন। দেখবেন বাংলাদেশের রাজনীতি বিদদের দেশ চালনার চেয়ে ওদের দিয়েই দেশ অনেক ভাল চলছে!
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কিছু ফকির, ফকিন্নি দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব না, তবে কমেন্টেসের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৪৪
ক্লোন রাফা বলেছেন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে বাংলাদেশের চাইতে ,ঔপনিবেশিক অপশক্তির পারপাস সার্ভ করতেই বেশি আগ্রহী। এই বাহিনীর সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।এমনকি সাধারণ নাগরিকদের চাইতে অধিকতর সুবিধা পেয়ে থাকে।
অথচ সাময়িক নগদ কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য আধিপত্য বাদী অপশক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ‼️ইউনাইটেড ন্যাশনের পারপাস সার্ভ করা কোন জাতির সেনাবাহিনীর মুল কাজ হোতে পারেনা।অথচ আমরা তাদের সেই ভমিকয় দেখছি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপরে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। সবচাইতে নিকৃষ্ট গণতন্ত্র ও যেকোনো সামরিক অপশাসনের চাইতে ভালো। কারন কোনো দেশই সামরিক সরকারের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় না । একমাত্র অস্ত্র ব্যবসায়ি দেশগুলি তাদের সাথে সম্পর্ক রাখে। কারন এই দেশগুলো সকল দেশ তাদের তাবেদার বানাতে চায়!
এতকিছুর পরেও আমি আমদের সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।কারন একটা দেশের সেনাবাহিনী সেই দেশের সার্বভৌমত্বের একটি প্রতীক। তবে আমাদের সেনাবাহিনী কোনো আইনের উর্ধ্বে নয়। আমরাই আমাদের সেনাবাহিনীর সঠিক বিচার করতে পারি।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০৭
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের একটি প্রতীক অথচ আপনি বলছেন, "বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপরে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।"
তাহলে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক রইলো কোথায়? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:০০
কামাল১৮ বলেছেন: ওয়াকার কিছু ভালো কাজও করেছে।যা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১০
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ইতিহাস বলে ভাল কাজের জন্য স্মরণ খুব বেশি দিন করে না এদেশের মানুষ, যা দেখেছেন ৫আগসে্টর পর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন ভিলেন আর রাজাকার হলো নায়ক। আর ওয়াকার সাহেব কি করতে চেয়েছেন কি করেছেন এই আর্টিকেলে সেটা বলা আছে।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১৭
ক্লোন রাফা বলেছেন: আপনি আমার কমেন্ট আবার পড়েন / তিনবার পড়েন। আমি দ্বায়মুক্তি দেইনি। সেনাবাহিনী প্রতিটি দেশের স্বার্বভৌমত্বের একটি প্রতীক। সেটাই লেখা আছে। একটি প্রতীক কিন্তু একমাত্র প্রতীক নয়!
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৬
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াকার আসলে বিপদের মাঝে আছে।
সে কোন দিকে যাবে?
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩১
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কোন দিকে যাবে, সেই ভাল জানে, নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সে ও তার লোকজন পার পাবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৬
জাহাঙ্গির আলম ৫৬ বলেছেন: আর্মি আর দেশের মানুষ যে তাদের পোন্ডে বাশ দিয়ে বিদায় করেছে তারা সেটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না। এখনও আশায় রয়েছে আর্মি আর দেশের মানুষ তাদের জন্য রাস্তায় নামবে।