![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
আগুন লাগার আগে ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল
ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লেগেছে।
এখনও কেউ জানে না, কীভাবে, কোথা থেকে, কেন।
তবে সবাই জানে—এর দায় কারও নয়।
কারণ আমাদের দেশে আগুন নিজেই লাগে, নিজেই নেভে, আর মাঝে মাঝে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তও করে।
বলা হচ্ছে, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।”
মানে আগুন এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে—অর্থাৎ, কখনও নিভবে, কখনও আবার একটু জ্বলে উঠবে, প্রয়োজনে আবার নিভে যাবে।
সবই সময় ও সুবিধা অনুযায়ী।
কার্গো সেকশন পুড়েছে।
কিন্তু ভয় নেই—আমাদের দায়িত্বশীলরা বলেছেন,
“বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।”
বাংলাদেশে বড় ক্ষতি হয় কবে?
যখন কেউ সত্য বলে ফেলে, তখন।
যখনই কোনো কিছু পুড়ে যায়—
বন্দর, হাসপাতাল, ট্রেন, বাজার বা গার্মেন্টস—
আমরা জানি, কিছুক্ষণের মধ্যে কেউ একজন বলবে,
“সামান্য ক্ষতি, সবাই নিরাপদে।”
তাই ভাবি, আগুনেরও নিশ্চয় কোনো সরকারি লাইসেন্স আছে।
আগে ছিল ‘দোষী কে?’
এখন নতুন নীতি হলো— ‘দোষী সবাই।’
তাতে কেউই দায়ী নয়।
এ এক চমৎকার গণতান্ত্রিক সমতা—
আগুন যেমন সবার, দায়ও তেমন সবার।
বিমানবন্দর পুড়ছে, কার্গো উড়ছে,
আর আমরা নীতিনির্ধারকদের মুখে শুনছি,
“সব কিছু ঠিক আছে, আতঙ্কের কিছু নেই।”
এ যেন টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময় ঘোষকের কণ্ঠে বলা—
“যাত্রীদের অনুরোধ, নৌকার দিকে দৌড়াবেন না,
কারণ জাহাজ এখনো সরকার নিয়ন্ত্রণে আছে।”
আগুন নিভবে, অবশ্যই নিভবে।
কারণ আমরা নিভিয়ে দিতে ওস্তাদ—
প্রমাণ, আমরা আলোর প্রতিটা উৎস একে একে নিভিয়ে ফেলেছি।
এবার কেবল ধোঁয়া বাকি। ।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩১
বাজ ৩ বলেছেন: কোনো দুরাচার হয়ত আগুন লাগিয়ে দিয়েছে,নিজে নিজে আগুন লাগা তো সহজ ব্যাপার নয়,তাও বিমানবন্দরের মতো একটি জায়গায়,যেখানে,ইলেক্ট্রিশিয়ানরা সবসময় তদারকিতে লেগে থাকে
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৭
অপ্সরা বলেছেন: এই আগুন ধোয়ার কুন্ডলী আমর বাসা থেকে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিলো। শুধু ধোয়াই না নীচের দিকের আগুনসহ। এমন ভয়ংকর আগুন আগে কখনও দেখিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মানুষের দুঃসময়ে পরম করুণাময়ের কাছে হাত তুলে দোয়া করতে হয়।
কারগোতে অনেক মানুষের জিনিস থাকার কথা। তাঁদের ক্ষতি হয়েছে।