নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

“গুম–খুনের বিচার, র‌্যাব বিলুপ্তি, আ.লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান”

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯



প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি

“গুম–খুনের বিচার, র‌্যাব বিলুপ্তি, আ.লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এক যুগান্তকারী যৌথ চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে মানবাধিকার রক্ষা, নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রশ্নে একগুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

চিঠিটি প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW)।
সহ-স্বাক্ষরকারী সংস্থাগুলো হলো—
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ), সিভিকাস, ফোরটিফাই রাইটস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।

প্রেক্ষাপট
জুলাই বিপ্লব ও শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে, সেটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সংস্থাগুলোর মতে, সংস্কারের সূচনা হলেও “নিরাপত্তা খাত এখনো অরক্ষিত এবং জবাবদিহির বাইরে”।

চিঠির মূল বক্তব্য ও দাবি
১️⃣ গুম–খুন ও নিপীড়নের বিচার
*** বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতন–এর বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান।
*** র‍্যাব ও ডিজিএফআই–এর সঙ্গে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের দাবি।
*** বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার প্রস্তাব।

২️⃣ নিরাপত্তা বাহিনী সংস্কার
***. র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্ত করা ও সেনাসদস্যদের বেসামরিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রত্যাহার।
*** ডিজিএফআইয়ের ক্ষমতা সীমিত করে কেবল সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে নির্ধারণের সুপারিশ।

৩️⃣ গুমবিরোধী আইন ও তদন্ত কমিশন
***“গুম”–কে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ও গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশনকে শক্তিশালী করার আহ্বান।
***“এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স প্রিভেনশন অর্ডিন্যান্স”–এ মৃত্যুদণ্ড বাদ দেওয়ার সুপারিশ।

৪️⃣ মানবাধিকার কমিশন সংস্কার
***জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়ার দাবি।

৫️⃣ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
*** সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫, বিশেষ ক্ষমতা আইন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট—এসব আইন আন্তর্জাতিক মানে বাতিল বা সংশোধনের আহ্বান।
***. সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের দাবি।

৬️⃣ রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও আ.লীগ নিষেধাজ্ঞা
***. আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান।
সংস্থাগুলোর মতে, “এই নিষেধাজ্ঞা বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফেরার পথে বাধা সৃষ্টি করছে।”

৭️⃣ নাগরিক সমাজ ও এনজিও খাত
***. এনজিও ব্যুরোর সংস্কার ও বিদেশি তহবিলে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার আহ্বান।
নাগরিক সমাজের স্বাধীন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার দাবি।

৮️⃣ রোহিঙ্গা ইস্যু
রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন বন্ধ, এবং তাদের চলাফেরা, জীবিকা ও শিক্ষায় স্বাধীনতা বাড়ানোর সুপারিশ।

মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি “প্রত্যাবাসনের জন্য অনিরাপদ” বলে উল্লেখ।

৯️⃣ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
***. আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (ICC)–এর তদন্তে বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

উপসংহার
চিঠির সারবস্তুতে একটি বিষয় পরিষ্কার—
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে “একটি ঐতিহাসিক সুযোগ” হিসেবে দেখছে:

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি আওয়ামি লিগকে ইলেকশনে আসতে দেয়া উচিত । বড়োজোর ১০ সিট পাবে । জনগণ কচু দিবে । আমাদের ইলেকশনটাও সুনদর হবে ।

যখন মনে পড়ে লিগ কতকগুলো আমি-ডামি ইলেকশন করলো তার punishment হিসাবে তাদের ১০ বছর ইলেকশন থেকে দুরে রাখা উচিত। কেমন লাগে আরেকদলের ভোটাধিকার হরণ করতে আওয়ামি সাপোরটার রা বুঝুক ।

দিনশেষে আওয়ামি লিগ ফিরবে । কবে ফিরবে কিংবা কিভাবে ফিরবে সেটা সামনের দিনগুলোতে বুঝা যাবে তবে লিগের কোনো লিডারশিপ আর থাকলো না । লিগের যারা opposition তারা উইক এবং far-right বলে সুপার পাওয়ারদের আওয়ামি লিগের উপর নেক নজর আছে । কিনতু আসল বিষয় হলো দেশে মোলবাদিদের সিড সুচারুভাবে বপন করে গিয়েছে আওয়ামি লিগ । জামাত কে পাওয়ারফুল করেছে আওয়ামি লিগ । যদি জামাত পাওয়ারে আসে তবে লিগের সুপার পাওয়ারদের দেখানো সহজ হবে যে দেশে মোলবাদিরা দখন করেছে। শেখ হাসিনা এবং লিগের মতো ধোকাবাজি বাংলাদেশে আর কেউ করেনি । পুরো একটা জেনারেশন কে বলদ বানিয়ে গেছে ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


জনাব কুতুব ভাই, নীচ থেকে শুরু করি- আপনাদের আওয়ামীলীগ বলদ বানিয়ে ফেলেছে- তাইতো, আপনি একজন বদল?
জামাতকে বা মৌলবাদীদের সিড সুচারুভাবে বপন করেচে - তাইতো ঠিকই বলেছেন ভাই, এত্তোগুলারে ঝুলিয়ে দেয়াকেই বীচ বপর করা বলে।
আওয়ামীলীগ এর লিডার এমনিতেই তৈরী হয়, ওটার ভাবনা আপনার না যারা ভাববে তাদের ভাবতে দিন জনাব কুতুব ভাই।
আওয়ামীলীগ ছাড়াও যারা আমি-ডামি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের পানিশমেন্টের কথা ভাবলে আপনাকে নিরপেক্ষ ভাবতে শিখতাম।।
আমরা যারা এখনো ৫ আগষ্টের ধূম্রজাল থেকে বের হয়ে জনগণের পালস্ বুঝতে পারি নাই, তাদের অবশ্যই জনগণ কচু দিবে।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য সাধুবাদ।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের উপর সাধারণ মানুষ ভরসা রাখে না আর। কারণ তারা ফেইল করেছে। আমি আগেই বলেছি opposition উইক এবং ফার-রাইট বলে লিগ বেচে যাবে ।

বাংলাদেশের মানুষের চয়েজ করার মতো দল নেই । টিভিতে মাঝে মাঝে দেখি কিছু গরিব লোককে পয়সা দিয়ে বলায় শেখ হাসিনা ঠিক ছিলো। যদি এতোই ঠিক শেখ হাসিনা হয় তবে সে কেনো গরিব ? বাংলাদেশের ইকোনমি কতটা খারাপ করেছে আওয়ামি লিগ সেটা বুঝতে মাদরাসায় যেতে হবে । ইশকুলে পড়ানোর মতো খরচ পরিবার বহন করতে পারছে না । আবার নাকি শেখ হাসিনা ঠিক ছিলো । আওয়ামি লিগের শাসন ভুয়া শাসন ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: গদবাধা কথা ছেড়ে বাস্তবতায় আসুন, আওয়ামীলীগ আসার দরকার নাই দেশ ঠিক করুন। যদি পারেন করে দেখান। বিরোধী দল দুর্বল হলে অন্যদেশ থেকে ভাড়া করুন। সেটা না পারলে গদবাধা কথা বাদ দিন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই এই দেশের জন্য আওয়ামীলীগই ভালো।
খেয়াল করে দেখুন এক বছর ধরে আওয়ামীলীগ নেই- দেশের কি করুন অবস্থা।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: আরো করুন অবস্থা হবে।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: জামাত ধ্বংস ছাড়া এই দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০৬

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: জামাতের চেয়েও ভয়ংকর হচ্ছে ডিপ ষ্টেট মেকানিজম। আসুন জানি এটা আবার কি, ডিপ স্টেট বলতে এমন একটি গোপন এবং অননুমোদিত ক্ষমতার নেটওয়ার্ককে বোঝায়, যা একটি সরকারি কাঠামোর মধ্যে কাজ করে কিন্তু নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর নির্ভর করে না এবং নিজস্ব এজেন্ডা ও লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে। এই ধারণাটি বাস্তব বা কাল্পনিক হতে পারে এবং এটি মূলত সরকারের ভেতরে থাকা প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর একটি গোপন ক্ষমতা কাঠামোকে নির্দেশ করে। তাদেরকে খোঁজে বের করুন এবং ধ্বংস করার চেষ্টা করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.