| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এস.এম. আজাদ রহমান
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের চ্যালেঞ্জ আর শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ—চুম্বকের দুই মেরু
সাংবাদিকতা কখনো কখনো দাবার বোর্ডের মতো—এক চালেই খেলা ঘুরে যায়। খালেদ মহিউদ্দিন সাহেবও হয়তো সেটাই করতে চেয়েছিলেন। তিনি যখন গম্ভীর মুখে ঘোষণা দিলেন—“পশ্চিমা মিডিয়ায় ‘আইনে নিষিদ্ধ’ কারও ইন্টারভিউয়ের একটিও উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবেন না”—তখন মনে হচ্ছিল, তিনি যেন এক অভ্রান্ত তত্ত্ব আবিষ্কার করে ফেলেছেন। সাংবাদিকতার ইতিহাসে চূড়ান্ত প্রজ্ঞার এক মাইলফলক স্থাপন হলো বোধহয়!
কিন্তু সমস্যা হলো, ইতিহাস খুবই দুষ্টু জিনিস—ওটা মাঝে মাঝে “চ্যালেঞ্জ” শুনে হাসে। খালেদ মহিউদ্দিনের ঘোষণা ছিল মঙ্গলবারের; শুক্রবারের মধ্যেই শেখ হাসিনার তিনটি ইন্টারভিউ একযোগে ছাপা পড়ল—রয়টার্স, এএফপি আর দ্য ইনডিপেনডেন্টে। তিন মহাদেশের তিন প্রভাবশালী মিডিয়া যেন ঠিক করে ফেলেছিল, “চলো দেখি, কে কাকে ‘আইনে নিষিদ্ধ’ প্রমাণ করে!”
এ যেন “চুম্বক” আর “লোহার টুকরো”র গল্প। খালেদ মহিউদ্দিন সাহেব ছিলেন চুম্বকের মতো আত্মবিশ্বাসী—তিনি বললেন, “আসো, কেউ পারলে দেখাও।” আর শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ এসে সেই চুম্বককে টেনে নিয়ে গেল পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত। এ যেন সাংবাদিকতার জগতে মহাকর্ষের উল্টো সংস্করণ—যেখানে “চ্যালেঞ্জ” দেয়ার পর প্রমাণ এসে মুচকি হেসে বলে, “এবার বুঝলে তো?”
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এই তিনটি ইন্টারভিউ যেন এক অদ্ভুত কাকতাল। তিন দেশের তিন বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা একই সপ্তাহে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করল—এমনটা হয়তো সাংবাদিকতার ইতিহাসে বিরল। কারও চোখে এটা কূটনীতি, কারও চোখে আন্তর্জাতিক সলিডারিটি, আবার খালেদ মহিউদ্দিনের দৃষ্টিতে এটা “পশ্চিমের মিডিয়া লিটারেসির মহাধস”।
তিনি বললেন, “এ কেমন বেআইনি কাণ্ড!”
সত্যিই তো, যখন যুক্তি হারিয়ে যায়, তখন “বেআইনি” শব্দটাই সাংবাদিকের শেষ আশ্রয়।
আরও মজার হলো, তিনি প্রস্তাব দিলেন—সরকার একটা দল পাঠাক অ্যামেরিকা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডে, যেন তারা রয়টার্স-এএফপি-ইনডিপেনডেন্টকে “সাংবাদিকতা শেখায়”! ভাবা যায়? আমরা—যাদের নিউজে বানান ভুলে মজে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া, যাদের বিশ্লেষণ হয় কল্পনার বেশি বাস্তবতার কম—তারা নাকি এখন পশ্চিমকে “সাংবাদিকতা” শেখাবে! এটা শুনে হয়তো রয়টার্সের ডেক্সে কেউ বলেছে, “Oh really? Bring popcorn!”
খালেদ মহিউদ্দিন সাহেবের আত্মবিশ্বাস অবশ্য প্রশংসনীয়। তিনি জানেন, “যে হারে বাস্তবতা ধাক্কা দেয়, সে হারে বাচনভঙ্গি শক্ত রাখতে হয়।” তাই শেখ হাসিনার তিনটি ইন্টারভিউ প্রকাশের পরও তিনি পিছু হটেননি। বরং কথার মাধুর্যে তিনি পশ্চিমের মিডিয়াকে ‘অবিবেচক’ ঘোষণা করলেন। যেন বলছেন—“আমি ভুল নই, দুনিয়া ভুল।”
তবে এই ঘটনাটা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক মজার মোড় এনে দিয়েছে। যিনি শেখ হাসিনাকে “অদৃশ্য” ভাবছিলেন, তিনিই তাঁর উপস্থিতির সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ তৈরি করে দিলেন। তাঁর চ্যালেঞ্জটাই যেন হয়ে গেল শেখ হাসিনার গ্লোবাল প্রেস এন্ট্রি কার্ড।
সুতরাং বলা যায়—
খালেদ মহিউদ্দিন সাহেব চমৎকার এক “প্রোমোশনাল ক্যাম্পেইন” চালিয়েছেন, হয়তো না জেনেই। তাঁর কথা শুনে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো একযোগে নড়েচড়ে বসল, তারপর দেখল—“Let’s prove the man wrong.”
ফলাফল? শেখ হাসিনার মুখোমুখি তিন মহাদেশ, তিন ভাষা, তিন শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম।
শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতার এই ম্যাচে কে জিতলেন, সেটা বলা কঠিন। কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায়—
চ্যালেঞ্জটা ছিল বাঙালি, জবাবটা ছিল বৈশ্বিক।
এবং এই দ্বন্দ্বে হারলেও খালেদ মহিউদ্দিন সাহেব ইতিহাসে জায়গা পেয়ে গেছেন—
“যিনি শেখ হাসিনার ইন্টারভিউর বিজ্ঞাপনটা অনিচ্ছায় করে দিয়েছিলেন।”
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: হ্যা চাল্লুতো বটেই।
২|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৪
ক্লোন রাফা বলেছেন: শেখ হাসিনা শুধু ইন্টারভিউ দেন নাই। তিনি সুদের মহাজনদের চ্যালেন্জ করতে বলেছেন আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে !একজন দখলদারের এখতিয়ার আছে নাকি নির্বাচন করার? নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। ইউনুস কোন এখতিয়ারে মানুষ হত্যার অর্ডার দিচ্ছে⁉️যতগুলো মব হয়েছে সবগুলোর দায় ইউনুসের। কারন তার সরকার মব ঘটতে দিয়েছে প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছে । তাই প্রতিটি হত্যার দায় অবশ্যই তার॥
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০০
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ক্লোন ভাই।
৩|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: একজন সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতেই প;আরেন। এটা দোষের কিছু না।
সাক্ষাৎকার মানে বলা। শেখ হাসিনার অনেক কিছু বলার আছে। তাকে বলতে দিতে হবে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০০
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
আদিত্য ০১ বলেছেন: খালেদ মালটা চাল্লু, আমার মনে হইয়ে জেনে বুঝে বিজ্ঞাপন করেছেন। এই মালগুলা টাকার নেশায় ছুটে