| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ এখন এক নির্মম সত্যের মুখোমুখি।
একদিকে বৈধতাহীন, দিশেহারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই নিজেদের নাটক সাজাচ্ছে—
অন্যদিকে জনগণ নীরবে কিন্তু কঠিন ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছে:
“তোমাদের খেলায় আমরা আর নেই।”
ইউনূসের গণভোট: অজ্ঞতা, অক্ষমতা ও রাজনৈতিক বিদ্রূপ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেখালেন—
রাজনীতিতে অজ্ঞতা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার নীরবতা প্রমাণ করে—
তিনি নেতার ভূমিকায় নেই, তিনি দর্শক।
আর আজ যে গণভোটের নামে হাস্যকর ঘোষণা দিলেন,
তা দেখালো—ক্ষমতার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে তিনি বাস্তবতা ভুলে গেছেন।
সংবিধান–সংস্কার–প্রশাসন—সবকিছু একসাথে গণভোটে ছুঁড়ে দেওয়া মানে
গণভোট নয়, রাজনৈতিক ভাঁওতাবাজি।
এটা জনগণকে বোকা ভাবার দুর্বল প্রচেষ্টা।
কিন্তু এই জনগণ আর নোবেল-মায়াজালে আটকে নেই।
তারা চোখে দেখা উন্নয়ন চেনে, মাঠে থাকা নেতৃত্ব চেনে।
ইউনূস সেই বাস্তবতা থেকে বহু দূরে—ভীষণ দূরে।
লকডাউন: নীরব কিন্তু শক্তিশালী জনঘোষণা
আজকের লকডাউনে বোমা ছিল না, আগুন ছিল না—
তবু শহর থেমে ছিল।
কারণ মানুষ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে—
“এই সরকারের প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই।”
এই নীরবতা ছিল আওয়ামলীগের প্রতি সমর্থনের কঠিন প্রমাণ।
ভুল হতে পারে, ক্লান্তি থাকতে পারে—
তবু স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, রাষ্ট্রের ধারাবাহিকতা বলতে
বাংলাদেশ আজও আওয়ামলীগকেই দেখে।
যারা দেশ পরিচালনা করতে পারে, সংকট সামলাতে পারে—
তাদের নাম আওয়ামলীগ।
অন্যরা শুধু শব্দের খেলা খেলে।
বৈধতা-বিহীন সরকারের প্রহসন
এই অন্তর্বর্তী সরকার বৈধতায় শূন্য,
জনসমর্থনে শূন্য,
বিশ্বাসযোগ্যতায় শূন্য।
তাদের প্রতিটি বিবৃতি আজ হাসির খোরাক।
গণভোটের ঘোষণা তাদের দুর্বলতা ও অযোগ্যতাকে
সবার সামনে নগ্ন করে দিয়েছে।
দেশবাসী এখন বুঝে গেছে—
এই সরকার সময় কিনছে, দেশ নয়।
যে কাঠামো নিজের অস্তিত্বই বৈধ করতে পারে না,
সে রাষ্ট্র চালাবে—এটা হাস্যকর।
আজ জনগণই প্রকৃত বিরোধী শক্তি।
আর সেই জনগণ স্পষ্ট বলেছে:
“এই প্রহসন বন্ধ করুন। নেতৃত্ব জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন।”
নীরব বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে
আজকের লকডাউন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়—
এটা ছিল জনগণের silent rebellion।
তারা সংঘাতে যায়নি,
কারণ তারা ধ্বংস চায় না—
তারা চায় পরিবর্তন, চাই প্রমাণিত নেতৃত্ব।
তারা বলছে:
“এই সরকারের সময় শেষ—Enough is enough.”
বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই নেতৃত্বকে ডাকছে,
যারা স্বাধীনতা দিয়েছে,
যারা উন্নয়ন দিয়েছে,
যারা বারবার এই দেশকে দাঁড় করিয়েছে।
উপসংহার: সত্য স্পষ্ট, পথ নির্দিষ্ট
ইউনূসের আজকের গণভোট ঘোষণার হাস্যকর নাটক
ইতিহাসে থাকবে রাজনৈতিক বিভ্রান্তির চরম উদাহরণ হিসেবে।
আর আজকের লকডাউন থাকবে
জনতার নীরব কিন্তু কঠিন প্রতিরোধের দিন হিসেবে।
জনগণ আজ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে—
এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই, কোনো নৈতিক অবস্থান নেই।
দেশ তাকিয়ে আছে সেই শক্তির দিকে—
যারা স্বাধীনতার পতাকা তুলেছিল,
যারা উন্নয়নের পথ দেখিয়েছে,
যারা এই দেশকে চিনতেও পারে, চালাতেও পারে।
আওয়ামলীগই আজও বাংলাদেশের একমাত্র কার্যকর নেতৃত্ব।
বাকিরা শুধু শোরগোল।[
©somewhere in net ltd.