| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাসিনাই যে যোগ্য—জনগণ আবার বুঝতে শুরু করেছে
‘কামডা শেখ হাসিনা ঠিক করেননি’—এই বাক্যটা আজকাল অদ্ভুতভাবে জনপ্রিয় হয়েছে।
কারণটা সহজ: যতই দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হোক, যতই কৃত্রিম নাটক বানানো হোক, জনগণের অভিজ্ঞতা বলে দেয়—দেশ চালানোর যোগ্যতা কার আছে আর কার নেই।
কয়েকদিন আগে একটি নাটক দেখানো হলো—নাম দেওয়া যায় “বোগাস-বু” নাটক। সেখানে শেখ হাসিনার বিচার করা হলো, নাটকীয়ভাবে মৃত্যুদণ্ডও শুনানো হলো।
লক্ষ্য ছিল মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়া, মানসিকভাবে দূরে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু ফল হলো উল্টো।
মানুষ হো হো করে হেসে উঠলো—
“রাজাকার করে শেখ হাসিনার বিচার! এইডা কোনো কতা!”
এটাই সেই জায়গা যেখানে গল্পটা ভিন্ন দিকে ঘুরে গেল।
যারা ভাবছিলো, শেখ হাসিনাকে ‘দুষ্ট চরিত্র’ বানিয়ে দেখালে জনগণ তার প্রতি বিরূপ হবে—তারা বুঝতে পারলো, বছর বছরের অভিজ্ঞতা মানুষকে বোকা হতে দেয় না।
মানুষ ঠিকই বলে উঠলো—
“দেশ যেভাবে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, শেখ হাসিনাকেই লাগবে আবার। অন্তত তিনি জানতেন কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়।”
লকারের গল্প—কী চমৎকার বেইজ্জতি!
কয়েক মাস আগে দুদকের এক দল “গোপন অভিযান” চালিয়ে শেখ হাসিনার দুইটি লকার খুঁজে পেলো।
মিডিয়া ডেকে বড়সড় আয়োজন—ওদের আশা ছিল, কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
ছবি তোলা হবে, ভিডিও বানানো হবে, প্রচারণা চালানো হবে—যেন শেখ হাসিনাই দেশের সব দুর্নীতির জননী!
কিন্তু লকার খুলতেই ঘটলো মহা কাণ্ড।
সেখানে পাওয়া গেলো সামান্য কিছু টাকা—যা আজকাল মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষও জমায়।
দ্বিতীয় লকার খুলতে আর নাটক দেখানো হয়নি।
চুপিচুপি খুলে, চুপিচুপি চলে গেল।
কোনো খবর নেই, কোনো ক্যামেরা নেই—কারণ দেখানোর মতো কিছুই ছিল না।
যে নারী দেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও নিজের বাসায় ৬০০ টাকার কাপ,
সাধারণ ওয়ালটন ফ্রিজ,
সাধারণ এসি,
সাধারণ আসবাব ব্যবহার করতেন—
তার ‘সোনার খনি’ আবিষ্কার করার প্রত্যাশা করাটাই ছিল হাস্যকর।
আজকালকার ইনফ্লুয়েন্সার আসিফ ভূঁইয়া কিংবা রিজওয়ানার জীবনযাপন শেখ হাসিনার তুলনায় বহুগুণ বিলাসী।
কিন্তু প্রচারণা এমনভাবে সাজানো হয় যেন তিনি বিলাসিতার প্রতীক।
৮৩২ ভরির মিথ—আরেকটি স্ক্রিপ্ট
লকার কাণ্ডে পর্যাপ্ত নাটক জমলো না দেখে নতুন স্ক্রিপ্ট তৈরি হলো।
হঠাৎ বলা হলো—
“শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়া গেছে।”
কোন লকারে?
কোথায় প্রমাণ?
মিডিয়া ছিল?
ফিঙ্গারপ্রিন্ট?
ইনভেন্টরি?
কিছুই নেই।
কিন্তু স্ক্রিপ্ট তো স্ক্রিপ্ট—প্রচারণা চালানোই লক্ষ।
এইখানেই হাসিনার ‘অপরাধ’।
তিনি ঘোষণা দিলেন—
“যদি সত্যিই ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়া যায়, তা হলে কড়াইল বস্তির মানুষের মধ্যে দিয়ে দিন।”
এখন বড় বিপদ।
কারণ সেই সোনা তো বাস্তবে নেই।
অর্থাৎ নেই জিনিস বস্তিতে দিয়ে আসার নির্দেশ—এ যেন বেহুদা রকমের বড় চ্যালেঞ্জ!
কেন জনগণ আবার বুঝতে পারছে—হাসিনাই ছিলেন যোগ্য
রাজনীতির বিশ্লেষণ জনগণ করে অভিজ্ঞতা দিয়ে, প্রচারণা দিয়ে নয়।
আজ দেশ সংকটে—অর্থনীতি টলমল, কর্মসংস্থান কমছে, বাজারে আগুন, বিদেশি বিনিয়োগ কমছে, প্রশাসনে অস্থিরতা।
মানুষ এখন তুলনা করে—
শেখ হাসিনার সময়ে কী ছিল, আর এখন কী হচ্ছে।
তার সময়ে—
** জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম স্থিতিশীল
** পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ, যা জাতীয় আত্মবিশ্বাসের প্রতীক
** মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প—একটির পর এক মেগা-প্রকল্প
** গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাওয়া
** নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
** সর্বোপরি প্রশাসনের মধ্যে একটি ধারাবাহিকতা ও স্থিতি
আজকের দিনে এসে এই ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দেশ এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে শক্ত, স্থির, দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রয়োজন—এবং জনগণ জানে কার সেই যোগ্যতা আছে।
জনগণের চাওয়া—শেখ হাসিনা ফিরে আসুন
রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুল হলে জনগণ ক্ষমা করে, কিন্তু অযোগ্যতা হলে জনগণ কঠিন বিচার দেয়।
এখন মানুষ বলছে—
“দেশটাকে বাঁচাতে আবার শেখ হাসিনাকেই লাগবে।”
নাটক, মিথ্যা কাহিনি, অদ্ভুত প্রচারণায় মানুষ বিভ্রান্ত হয় না।
তারা চোখে দেখে, জীবনে অনুভব করে।
আজ মানুষ তাই আবার বলছে—
শেখ হাসিনা শুধু একজন নেতা নন, কঠিন সময়ে দেশের জন্য দৃঢ় আশ্বাস ছিলেন।
তিনি ফিরে আসলে অন্তত দিকনির্দেশনা ফিরে আসবে, স্থিরতা ফিরবে, অর্থনীতি আবার দাঁড়িয়ে যাবে।
এই কারণেই যতই প্রচারণা চালানো হোক, যতই মঞ্চ বানানো হোক—
জনগণের মন থেকে শেখ হাসিনাকে চোখরাঙানি দিয়ে সরানো যাবে না।
কারণ অভিজ্ঞতা বলে দিয়েছে—
হাসিনাই ছিলেন যোগ্য, আর সেই যোগ্যতার বিকল্প আজও দেখা যাচ্ছে না।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কোন আদালতে প্রমানিত হলো- ক্যাঙ্গারু কোর্টেতো??? ও জাতি সংঘ!!! অপেক্ষা করুন সবই সময়ের ব্যাপার।
২|
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ![]()
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: রাগ করে লাভ নেই ভাইয়্যা, মানুষের মন আর আকাশের রং। অবশ্য যোক্তিক কারণও আছে।।
৩|
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২১
আমি নই বলেছেন: একমত নই।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: স্রোতের রিরুদ্ধে যাওয়ার উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আবারে রেজিম চেঞ্জ হলে অনেক কিছু বলতে পারবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রাইট হাসিনাই সেরা কারণ দুই আড়াই হাজার (জাতি সংঘের মতে ১৫০০ প্রায়) লোক মেরেছে, ৩০০০০ পঙ্গু করেছে, ২০০০ হাজার গুম করেছে, আয়নাঘর বানিয়েছে ব্যাংক লুট করেছে; সত্যিই হাসিনাই সেরাদের সেরা।
আম্লিগ না হয়ে মানুষ হোন ভায়া।