নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

মানুষ

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক রহমান: ১৭ বছরের নীরবতা, অজ্ঞাত জীবন—আর কিছু বিব্রতকর প্রশ্ন

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬

তারেক রহমান: ১৭ বছরের নীরবতা, অজ্ঞাত জীবন—আর কিছু বিব্রতকর প্রশ্ন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নাম—তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনে অবস্থান, প্রায় দুই দশকের রাজনৈতিক দাবিদাওয়া, অভিযোগ-প্রত্যাঘাত—সব মিলিয়ে তাঁকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর ব্যক্তিগত দক্ষতা, শিক্ষা, পেশা এবং রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে এমন কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে, যার উত্তর তিনি কোনোদিন দেননি। এবং আরও আশ্চর্যের বিষয়—কেউ দাবি করলেও আজ পর্যন্ত সেটা কোনো তথ্য দিয়ে ভুল প্রমাণও করতে পারেনি।

এখানে প্রশ্নগুলো তুলে দিচ্ছি—এবং হ্যাঁ, চাইলে আপনি এগুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন—তথ্য দেখিয়ে।
১. শিক্ষা: ইন্টারমিডিয়েটের পর তাঁর ডিগ্রির কোনো প্রমাণ নেই
উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে দেখা যায়—তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার তথ্য রয়েছে, কিন্তু ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন—এমন কোনো উল্লেখ নেই।
রাজনীতিবিদদের জীবনী সাধারণত অত্যন্ত বিস্তারিত হয়। বিশেষ করে যাদের পরিবার ক্ষমতায় থেকেছে, যাদের আন্তর্জাতিক পরিচিতি আছে—তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিষ্কারভাবে লেখা থাকে।

এখানে সেটা নেই।

আর একটি সহজ যুক্তি:
যদি সত্যিই গ্র্যাজুয়েট হতেন, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক সিভি, দলের প্রোফাইল, মিডিয়ার পরিচিতি—সব জায়গাতেই তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকত।
কিন্তু তা নেই।


যেটা নেই—সেটা নেইই।

২. লন্ডনে ১৭ বছর—একবারও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বক্তব্য নেই
লন্ডনে থাকা মানে হলো—বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মিডিয়া রাজধানীতে থাকা। BBC, The Guardian, Reuters—সব তাঁর পাশেই।
কিন্তু গত ১৭ বছরে তিনি:
**. একটিও আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকার দেননি,
**. কোনো কনফারেন্সে যাননি,
**. কোনো সেমিনারে অংশ নেননি,
**. কোনো পলিটিক্যাল থিঙ্ক-ট্যাঙ্কেও পরিচিত নন।

অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ—তারই অঞ্চলে বিশ্বমানের ছাত্রছাত্রী, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী—কেউ তাঁকে চেনেও না।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।

৩. লন্ডনে তাঁর আয়ের উৎস কী—কেউ জানে না
১৭ বছর ধরে তিনি কীভাবে চলছেন?
**. চাকরি?
**. ব্যবসা?
**. পরামর্শমূলক কাজ?
**. নাকি শরণার্থী ভাতা?

তিনি নিজে কখনো বলেননি।
দলও কখনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

রাজনৈতিক নেতাদের আয়-ব্যয়ের উৎস সাধারণত স্বচ্ছ হওয়া উচিত—বিশেষত বিদেশে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের ক্ষেত্রে।
কিন্তু এখানে পুরো অন্ধকার।

৪. তাঁর জীবনে কখনো কোনো চাকরি বা পেশাগত অভিজ্ঞতা নেই
এটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা।

তারেক রহমানের জীবনে:
**. চাকরি নেই,
**. ব্যবসার রেকর্ড নেই,
**. কোনো প্রফেশনাল দক্ষতার পরিচয় নেই,
**. কোনো কর্মজীবন নেই।

বরং তাঁর সারা জীবন—
বাবা-মার রাজনৈতিক পরিচয়ে টিকে থাকা।
তার বেশি কিছু নয়।

৫. ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে তাঁর অনুপস্থিতি
১৯৯০ সালে তিনি ছিলেন ২৫ বছরের যুবক।
এ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছিল। তাঁর মা তখন জীবন বাজি রেখে রাস্তায় লড়াই করছিলেন।

আর তিনি?

ঘর থেকে এক পা–ও বের হননি।
এক পা–ও না।

এটাই বাস্তবতা।
৬. ২০০১ থেকে তাঁর রাজনীতিতে ওঠা—ক্ষমতার গন্ধে
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন—ক্ষমতার চেয়ারে বসে, মায়ের স্নেহশক্তির সুযোগে।

তারপর বিএনপির কী অবস্থা হয়েছিল—আমরা সবাই দেখেছি।

আজকের বাংলাদেশে এমন নেতৃত্ব টেকে না
**. যে মানুষের:
**. নিজস্ব কোনো অর্জন নেই,
**. শিক্ষাগত প্রোফাইল পরিষ্কার নয়,
**. কর্মজীবন নেই,
**. পেশাগত দক্ষতা নেই,
**. আন্তর্জাতিকভাবে অচেনা,

আর ১৭ বছরের নীরবতা—তার “নেতৃত্বের যোগ্যতা” প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।

জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে যে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে—সেখানে বংশানুক্রমিক রাজনীতি আর অযোগ্য নেতৃত্ব টিকবে না।
ডাকসু-জাকসুর নির্বাচন তার প্রমাণ।

প্রকৃতির নিয়মই ভিন্ন
যেমন লিওনেল মেসির পাশে বিশ্বমানের প্লেয়ার জড়ো হয়,
তেমনি অযোগ্য নেতৃত্বের চারপাশে জড়ো হয়—নয়ন, গণেশ, মির্জা আব্বাস, দুদুদের মতো লোক।
এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

আপনি চাইলে—এই লেখাটা ভুল প্রমাণ করুন। তথ্য দিয়ে।
কারণ তর্ক নয়—তথ্যই চূড়ান্ত বিচারক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.