| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিপ্লবের হুইপল্যাশ আর সুযোগসন্ধানী আত্মসমর্পণের নৃশংস ইতিহাস
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা আজ এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব বিশ্বমঞ্চেও অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে—অবশ্য, সেই অস্বস্তি ঠিক কোন পক্ষের, তা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারগুলো প্রচারিত হওয়া মাত্রই যাদের রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারে ভূমিকম্প নেমে আসে, তারাই আবার গণতন্ত্র নিয়ে সবচেয়ে উচ্চকিত বক্তৃতা দেন—এটাই আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক রসিকতা।
কাতারে উপদেষ্টা খলিলের বৈঠকেও যখন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে আসে, তখন বোঝা যায়—ঘরে আগুন ধরে গেলে প্রতিবেশীদের জানালায় আলো দেখা যেতেই পারে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক শক্তি এখনো দেশের বাইরের করিডোরে “অভিযোগের মিছিল” সাজিয়ে হাঁটছে—যেন দেশের ভেতরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার মতো সাহস বা গ্রহণযোগ্যতা আর অবশিষ্ট নেই।
সবচেয়ে মজার বিষয়, যারা বছরের পর বছর বিদেশে বসে “গণতন্ত্র উদ্ধার” আন্দোলন চালান, তারা আবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন—এ যেন অদ্ভুত এক রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র, যেখানে দায়িত্বহীনতার ওপর দাঁড়িয়ে নেতৃত্বের দাবি করা হয়, আর পরাজয়ের ভয় ঢাকতে বিদেশি মঞ্চে বক্তৃতা বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার টানাপোড়েন নতুন নয়; নতুন হলো এই—
যতই সমালোচনা হোক, আওয়ামী লীগ এমন এক কাঠামো দাঁড় করিয়েছে, যা বাইরে থেকে নেড়ে ফেলা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। আর এ কারণেই কিছু মহল আজ কূটনৈতিক চৌকাঠে দাঁড়িয়ে ব্যথিত স্বরে উচ্চারণ করছে—“বাংলাদেশ ভিন্ন পথে যাচ্ছে।”
অথচ সত্য হলো—
বাংলাদেশ ভিন্ন পথে নয়, নিজের পথেই এগোচ্ছে।
ব্যথিত কণ্ঠগুলো কেবল সেই পথের দূরত্ব সহ্য করতে পারছে না।
©somewhere in net ltd.